নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কেন আমার দিন কাটেনা , রাত কাটে না, রাত কাটে তো ভোর দেখি না

তোমরা যখন পড়তে বসো মানুষ হবার জন্য, আমি না হয় পাখি হব পাখির মত বন্য

ইমরা

অতি সাধারণ , অলস,ঘুম আর আরাম প্রিয়

ইমরা › বিস্তারিত পোস্টঃ

যুক্তি ও ন্যায়বিচার হারবে না

১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৪

কখন বুঝবেন একটি বিতর্কে আপনি নৈতিক ও যৌক্তিক বিচারে জিতে যাচ্ছেন?



যখন আপনি প্রশ্ন করবেন- গোলাম আজম, নিজামী, মুজাহিদ, কামরুজ্জামান, সাঈদীসহ শীর্ষ জামাত নেতারা ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের দোসর হিসেবে গণহত্যা, ধর্ষণ, বুদ্ধিজীবি হত্যা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, ধর্মান্তরকরণ ইত্যাদি মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে কি না?যদি করে থাকে তাহলে সেই অপরাধে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হওয়াই ন্যায়বিচার কি না?



উত্তরটা সহজ! হ্যাঁ অথবা না! হ্যাঁ এর পক্ষে ঐতিহাসিক, দালিলিক এবং জীবিত সাক্ষী ও নির্যাতিতদের প্রমাণ আছে শত সহস্র! আর কারো উত্তর ‘না’ হলে তাকে একটা কঠিন বিতর্ক করে প্রমাণ করতে হবে যে এরা এইসব অপরাধ করে নাই! তারা মাসুম, নির্দোষ!



কিন্তু যখন আপনার প্রতিপক্ষ এই সহজ প্রশ্নের ‘হ্যাঁ কিংবা না’ উত্তর দিতে না পেরে নিম্নোক্ত কাজগুলো করবে তখন আপনি বুঝবেন আপনি জিতে যাচ্ছেন, কারণ প্রতিপক্ষের হাতে যুক্তি নেই!



প্রথমত, যদি তারা উত্তর না দিয়ে আবোল তাবোল প্রশ্ন শুরু করে, যেমন হাসিনার বেয়াই, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এরা রাজাকার ছিল কিনা, পদ্মা সেতু দুর্নীতি, শেয়ার বাজার এসব ঘটনার বিচার কেন হয় না! বক বক বক!



দ্বিতীয়ত, যদি তারা নানা তত্ত্বের অবতারণা ঘটায়, যেমন মাহমুদুর রহমানের ফ্যাসিবাদ তত্ব, মির্জা ফখরুলের ভালোবাসা ও শান্তি তত্ব, ফরহাদ মজহারের ইসলামী সমাজতন্ত্র ও শ্রেণী সংগ্রাম তত্ব ইত্যাদি!



তৃতীয়ত, যদি তারা অশালীন ভাষায় আক্রমণ শুরু করে, যেমন শাহবাগে কী রংগলীলা চলছে, আপনার কোন ছবি ফটোশপ করে সানি লিওনের সাথে লাগিয়ে দেয়, কিংবা গাঁজাখোর, পতিতা ইত্যাদি বলে আক্রমণ শুরু করে! যুক্তিতে যখন পারছে না, তখনই শুরু হয় ব্যক্তিগত আক্রমণ!



চতুর্থত, আপনাকেও রাজাকার প্রমাণের চেষ্টা করে! যেমন আপনার বাবার দাদার ভাইঝির ছেলে ছিল রাজাকার, কিংবা কোন সামাজিক বা রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে অভিযুক্ত যুদ্ধাপরাধীদের সাথে একই দাওয়াতে আপনিও গিয়েছিলেন, যেমন বংগবন্ধুও কোন এক কালে পাকিস্তান আমলে গোলাম আজম ও অন্যান্য দলের নেতাদের সাথে একই রাজনৈতিক সভায় ছিলেন, তাই গোলাম আজম রাজাকার হলে বংগবন্ধুও রাজাকার, এইরকম যুক্তিতে আপনিও রাজাকার, এইসব!



পঞ্চমত, যদি আপনার ধর্ম পরিচয় নিয়ে টানাটানি শুরু করে! আপনি নাস্তিক, মুরতাদ, ধর্মচ্যুত ইত্যাদি! একই সাথে ইসলাম, জেহাদ, ধর্ম অবমাননা কিংবা একটু নরম সরম ভাবে আল্লাহর কাছে আপনার জন্য হেদায়েত প্রার্থনা!



ষষ্ঠত, যদি অশিক্ষিত ধর্মপ্রাণ মানুষের বিশ্বাসকে ফটোশপ দিয়ে এডিট করে চাঁদে নিজেকে স্থাপন করে সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করে!



সপ্তমত, যুক্তি ও ন্যায়বিচারে ব্যর্থ হয়ে সহিংসতা উসকে দিয়ে মানুষ হত্যা, জানমালের ক্ষতি, সংখ্যালঘুদের প্রতি আক্রমণ, পুলিশকে আক্রমণ করে!



অষ্টমত, নানা ষড়যন্তের মাধ্যমে কখনো আল্লাহর কাছে, কখনো আর্মির কাছে, কখনো ওয়াশিংটনের কাছে সাহায্য পাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করে!



এবং শেষ পর্যন্ত কোন কিছুতেই কিছু না হওয়ায় যুক্তিতে হেরে গিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে আপনাকে মেরে ফেলার চেষ্টা করে, যেমনটা রাজীবকে করেছে কিংবা ভবিষ্যতে তাদের বিরোধিতাকারী সবাইকে করবে!



তাহলেই বুঝবেন মরার আশংকা থাকলেও এই যুক্তির যুদ্ধে, ন্যায়ের যুদ্ধে আপনিই শেষ পর্যন্ত জয়ী! আর আপনার প্রতিপক্ষ একটা সহজ প্রশ্নের উত্তর দিতে না পেরে অযৌক্তিক প্রমাণিত, পরাজিত!



নিজের যুক্তি্র উপর আস্থা রাখুন, ভয় পাবেন না! ইতিহাসে যুক্তি কখনো হারেনি, যৌক্তিক মানুষ কখনো হারেনি, ১৯৭১ এও না!



২০১৩ তেও যুক্তি ও ন্যায়বিচার হারবে না

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.