নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দিগন্তজোড়া

মোবাশ্বের হোসেন

মানবতাবাদী

মোবাশ্বের হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৌদি - ইরান উত্তেজনা

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৬



সৌদি ইরান উত্তেজনা ক্রমান্নয়ে বাড়ছে , পারমনবিক কর্মসূচী নিয়ন্ত্রনের চুক্তি হওয়ায় ইরান যেভাবে বিশ্ব সমাজে পুনঃ গমন ঘটেছে এবং
তার মাধ্যমে ইরানের যে বিকাশ হওয়ার সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে তাতেই সৌদি আরব হুমকি দেখছে।
দীর্ঘ দিনের উত্তেজনায় হঠাত উত্তাপ পায় যখন সৌদি আরব দেশদ্রোহীতার অভিযোগে এক শিয়া নেতাকে মৃত্যুদন্ড দেয়। একজন বিদেশী ধর্মীয় নেতার মৃত্যু দন্ডে ইরানের অভ্ভন্তরের প্রতিক্রিয়া ছিলো ভয়াবহ , ইরানী বিক্ষোপকারীরা তেহরানের সৌদি দুতবাসে আক্রমন করে বসে। ইরান সরকার এর নিন্দা করলেও এটা ইরানের কাছ থেকে একটি বাজে সংকেত বিশ্ব সমাজের প্রতি যেটা বিপ্লব পরবর্তী মার্কিন দুতাবাস আক্রমন ও জিম্মি করার ঘটনাকেই মনে করিয়ে দেয়।
বিশ্ব সমাজ ধারণা পাবে ইরানের কিছুই বদল হয়নি। বিশেজ্ঞরা মনেকরে এমুহুর্তে ইরান সরকার আরো দায়ত্বশীলতা পরিচয় দেওয়া দরকার ছিল বিশেষ করে কূটনীতিক এলাকার নিরাপত্তার জোরদারের মাধ্যমে , যেটা সৌদির মতো সংবেদনশীল দুতাবাসের ক্ষেত্রে।

ভালো একটি প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে সৌদি আরব , কুয়েত বাহারাইন , সুদান সহ আরব আমিরাত কূটনীতিক সম্পর্ক ছিন্ন ও সীমিত করণ করেছেন। যদিও এধরনের উচ্চ প্রতিক্রিয়ার জন্য ইরান মোটেই প্রস্তুত ছিল না। যদিও ইরান সরকার এ ঘটনার নিন্দা ও শতাধিক গ্রেপ্তার করার পরও সৌদি কর্তৃপক্ষ তেহেরানকে দায় মুক্তি দিতে ।
তবে সাউদি ইরান সম্পর্কের টানা পড়ন টা হাজার বছরের পুরানো। যখন মুসলিম বিশ্ব সুন্নি ও শিয়া মতবাদে বিভক্ত হয়ে যাই।
ইরান শিয়া নেতৃত্বে আর সৌদি থাকে সুন্নি নেতৃত্বে।
এছাড়াও আছে জাতিগত ব্যাপার পারসিক আর আরবী বলা যায়। দুই দেশই অপর বিবদমান দুই দেশ সিরিয়া ও ইয়েমেনের বিরোধীদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। ইরান সমর্থন করে শিয়া গঠিত সিরিয়া সরকার কে আর সৌদি সমর্থন করে সুন্নি গঠিত ইয়েমেন সরকারকে। বিশেজ্ঞরা বলছেন ইরান বিবদমান পক্ষগুলোকে সমর্থনের মাধ্যমে নিজকে নিয়ে নিরব থাকা সৌদিকে আঞ্চলিক বিষয়ে সরব ও শক্তি প্রদর্শনে উদ্বুদ্ধ করে। সৌদি দুরদর্শিতার মাধ্যমে নানান জোট , মিত্র শক্তি ইত্যাদি গঠনের মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বের প্রকাশ্য নেতৃত্বে চলে আসে। যেটা ইরান করতে চাইছিল অবরোধ উঠার পর।
জামাল কাশহোগী , এক স্বনাম ধন্য সৌদি সংবাদিক , তিনি বলেন রাশিয়ার সহযোগিতায় ইরান , মিশর ও ইরাকি শিয়াদের মাধ্যমে সিরিয়া সরকার কে সহযোগিতা করে যাচ্ছে যেটা ২য় বিশ্ব যুদ্ধের সময় জার্মানি সারা ইউরোপেকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যেটা করছিলো , ইরান মধ্যপ্রাচ্যা কে নিয়ত্রনের জন্য তাই করছে।
সৌদি পররাষ্ট উপদেষ্টা হামিদ আল শাহিরী বলেন , এটা উপেক্ষা করার পর্যায়ে নাই যখন ইরান তার প্রভাব বিস্তার করার প্রবণতা দিনে দিনে বাড়াচ্ছে। পারমানবিক নিয়ন্ত্রণ চুক্তির মাধ্যমে ইরান অবরোধ মুক্ত হওয়ার অর্থ হচ্ছে ইরান তার সামরিক তত্পরতা সীমিত করার অঙ্গীকার।
তিনি বলেন , সৌদিরা অসন্তুস্ট এই কারণে যে পশ্চিমারা চুক্তির সময় সিরিয়া ইয়েমেন ও অনন্য সংঘর্ষ এলাকায় ইরানের ভূমিকার কথা মাথায় রাখে নাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বন্ধু , তিনি বলেন , আমরা চাইছিলাম তারা যেন ইরানকে একটি পরিস্কার সংকেত দেয়, ইরান যেন সংঘর্ষ এলাকায় অস্ত্রধারীদের সমথন ও অস্ত্র চোরাচালান বন্ধ করে। সৌদি আরব , ইরানের পারমানবিক হুমকির চেয়ে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধাবস্তার অবসানকে বেশি গুরুত্ত দেয়।
মঙ্গলবার ইরানি পররাষ্ট মন্ত্রী মোহাম্মেদ জাবেদ জাফির সৌদি আরবের সাথে আলোচনায় যাচ্ছে কিভাবে সৌদির "ইরান বৈরী নীতি "র অবসান করা যায়। তবে সৌদিরা বলছে যেকোনো সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ইরানীদের অবশ্যয় তাদের নীতিতে পরিবর্তন আনতে হবে।

একজন সৌদি বিশেষজ্ঞ বলেন , সৌদি - ইরান সুসম্পর্কই আরব বিশ্ব ও মুসলিম বিশ্বের জন্য কল্ল্যাণকর।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৪

কল্লোল পথিক বলেছেন: সৌদিরা হচ্ছে মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে বড় শত্রু।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৯

মোবাশ্বের হোসেন বলেছেন: যুক্তি দিয়া বুঝান ভাই , আবেগে বললে তো হবে না ?

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৪

হানিফঢাকা বলেছেন: ইরানের পতাকাটার মধ্যে যে চিহ্নটা আছে তা কিসের চিহ্ন?

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৩৮

মোবাশ্বের হোসেন বলেছেন: ওরা এটাকে আল্লাহু বলে

৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫০

হানিফঢাকা বলেছেন: ভাল করে খেয়াল করে দেখুন এইটা আল্লাহ্‌ ক্যালিওগ্রাফি না। এইটা হচ্ছে বিখ্যাত মেনুরা ক্যান্ডেল। গুগল সার্চ দেন এর পর মিলিয়ে দেখেন।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৪

মোবাশ্বের হোসেন বলেছেন: হতে পারে ভাই , আমি এত গভীর ভাবে ভেবে দেখেনি , ওরা যা বলে তাই বলছিলাম

৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫১

দ্যা লায়ন বলেছেন: কোরাআন শরীরফে শিয়া সুন্নি বলে কিছু নেই, যা নিয়ে সৌদি আরব নেক্কার জনক কাজ করে আসছে শতবছর ধরে।সৌদি আরব ইসলাম এর এক মাত্র ধারক বাহক নয়।এটা স্পষ্ট।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬

মোবাশ্বের হোসেন বলেছেন: কিছু যুক্তি ও তথ্য দিলে ভালো হতনা ? লেখার মসল্লা পাইতাম

৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ ভোর ৫:১২

চাঁদগাজী বলেছেন:


এক সময়ের পারস্য, পরে আধুনিক সভ্যতার চারণভুমি ইরান আজ দুস্ট ও কমশিক্ষিতদের চারণ ভুমিতে পরিনত হয়েছে; ওরা সৌদী বেদুইনদের সাথে পাল্লা দিয়ে ইরাক, সিরিয়াকে ধ্বংস করতে নেমেছে।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫

মোবাশ্বের হোসেন বলেছেন: ভাই একটা কথা বলি , অতীতে কে কি ছিল সেটা এখন বিবেচ্ছ নয় , কথা হচ্ছে ২ দেশই শক্তিশালী এবং মুসলিম , আমাদের প্রাথর্না করা উচিত ২ জনই যেন মেলে মিশে পশ্চিমা শক্তিকে মধ্যপ্রাচ থেকে বিদায় করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.