নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

দিগন্তজোড়া

মোবাশ্বের হোসেন

মানবতাবাদী

মোবাশ্বের হোসেন › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৌদি কূটনীতি ও ইরানের বিবেচনা

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪১

আমার মনে হয় সৌদি কূটনীতির কাছে ইরান বড় ধরনের একটা ধরা খাইল, যখন অবরোধ উঠছে ঠিক সেসময় ইরান সৌদি দুতবাস এ অগ্নিসংযোগ করে , আর সৌদি উচ্চ মাত্রায় প্রতিক্রিয়া দেখেয়ে বিশ্ববাসির দৃষ্টি আকর্সন করে , এবং বিশ্ববাসীকে মনে করিয়ে দিয়েছে সেই ইরানের বিপ্লব পরবর্তী মার্কিন দুতবাস হামলার কথা আর সম্পর্ক ছিন্নর মাধ্যমে ইরানের পূর্ব তৈরী করা বাজার হারালো।দুতবাস হামলার মাধ্যমে ইরান জগত বাসীকে জানালো তার কোনো কিছুই পরিবর্তন হয়নি , অথচ উপসাগরীয় দেশগুলার যে বাজারটা অবরোধ কালীন সময়ে ইরানের অক্সিজেন হিসাবে কাজ করেছিল, তার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে ইরানের আরো সংবেদনশীলতার দরকার ছিল। ইরান এখনো বিশ্ব ব্যবস্তার সাথে তাল মিলিয়ে আধুনিক অর্থনয়্তিক কর্মকান্ড চালানোর মত যতেষ্ট পরিপক্কতা অর্জন করেনি যেটা গালফ দেশ গুলা করতে পেরেছে। অবরোধ উঠে যাওয়ায় ইরান গালফ দেশগুলার সাথে দ্রুত বানিজ্য বৃদ্ধির মাধ্যমে যেটুকু সুফল পেত , হটাত কুটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন ও সীমিত করনের কারণে ইরানি জনগণ সে সুফল থেকে বঞ্চিত হবে। সত্যিই ইরানি নেতারা একটা নির্বোধের মত কাজ করেছে। সেটা না জেনেও হতে পারে আবার অতিরক্ত আত্মবিশ্বাস থেকেও হতে পারে , অবরোধ উঠে যাওয়ার কারণে। তবে বন্দুকের গুলি বের হয়ে গেছে। এ ছাড়াও সৌদি আরেকটি ক্ষেত্রে সফল তুর্কীর মত আরব বিমুখ দেশকে তাদের বলয়ে নিয়া এনে । আমি মনে করি সৌদি নেতৃত্ব খুবই সুক্ষভাবে কূটনৈতিক চালগুলো চালছেন যেখানে পশ্চিমাসহ বিশ্বকে জানান দিচ্ছে এতদিন বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার দিয়ে কেনা অস্ত্র শো-পিচ হিসাবে কেনা হয়নি , প্রয়োজনে ব্যবহার করতে তারা খুব একটা পিছপা হবে না। যদিও এতদিন ধারনা ছিল সৌদি সহ গালফ দেশগুলা পশ্চিমা বিশেষ করে মার্কিনিদের কথার বাইরে যাই না , ইরানও এ ধারণার পোষণ করেছে , তার চিন্তা চেতনায় ছিল পশ্চিমের সাথে যেহেতু একটা রফা দফা হইছে এখন আরব রাষ্ট্র গুলা হয়ত অনেক কিছুই মানে নিবে। এখানেই ইরান তার ভূল চালটা দেয়। এখন ইরানের একটাই পথ যেটা উপসাগরীয়দের মতো মন্দের ভালোদের হারাইয়া , পশ্চিমাদের মতো মন্দের মন্দদের নিয়া চলতে হবে। সৌদি শুধু উপসাগরীয় দেশগুলোকে ই তার দলে ভিড়ায়নি, সুদান মিশর এর মত আফ্রিকান রাষ্ট্র গুলাকেও তার দলে টানতে পারছে। এখানে ইরানের বুঝা উচিত ছিলো হয়তো বিচ্ছিন্ন গ্রুপকে সহয়াতার মাধ্যমে কোনো দেশকে চাপে ফেলতে পারে , কিন্তু আখেরে কিন্তু লোকসানের পাল্লাটা ভারী হয়।
কেন ইরান এমনটা করলো ? সোজা হিসাব দীর্ঘদিন বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে ইরান তাদের চিন্তা চেতনার একটা শুন্যতা সৃষ্টি হয়েছে , তার উপর রাশিয়ার সিরিয়া হস্তক্ষেপ আরো উত্সাহিত করে ইরানকে।

মার্কিনদের ভুমিকা কিন্তু খুব একটা দৃশ্যমান না ইরান উপসাগরীয় ঝামালাই , এর দুটি কারণ হতে পারে , এর একটি হয়ত দেখা যাক চলতে থাকুক , আরেকটা মার্কিনিরা উপসাগরীয়দের আস্তা হারায়া ফেলছে। ইয়েমেন যুদ্ধে মার্কিনিরা টু শব্দ পর্যন্ত করতে পারছে না , তা থেকে কিছুটা আচ করা যাই , যাও ব্রিটিশরা একটু কুতুমুতু করছিল এখন চুপ, পশ্চিমাদের মতো বানিজ্যিক জাতরা জানে ,অন্ততপক্ষে বড় ধরনের অস্ত্র বিক্রির চুক্তিগুলা তো আর ইয়েমেন ইরান থেকে পাওয়া যাবে না , যদি উপসাগরীয় দেশগুলি চটে তবে ডিল গুলা হয়ত চীনের ঝুলিতে যাবে। এছাড়াও রাশিয়াকে ব্যতিব্যস্ত রাখার জন্য পূর্বদিকে একটি ফ্রন্ট খোলাথাকা দরকার , এ ধরনের একটা চিন্তা চেতনাও পশ্চিমাদের মধ্যে কাজ করছে।
আরো পর্যবেক্ষণ করলে দেখা যাবে সৌদি সিরিয়াই স্থল সেনা নামানোর কথা বলার পর , ইউরোপীয় ও মার্কিনিরা মিলে সৌদিকে সমর্থন দিচ্ছে। এ থেকেও কিছুটা আচ করা যাই , মার্কিনিরা আগের মোট মধ্যপ্রাচকে প্রভাবিত করতে পারছেনা।

আমেরিকার আকেরটি ভয় কাজ করছে যদি সৌদি তুর্কী পাকিস্তান মিলে একজোট হয়ে যাই তবে মুসলিম বিশ্বে আরেকটি নতুন নেতৃত্বের বিকাশ ঘটবে যেটা পশ্চিমের জন্য মোটেও স্বস্তিকর নয়। কেননা অর্থ অস্ত্র প্রযুক্তি এ তিন দেশের-ই আছে।

শেষ পর্যন্ত কোথায় গড়াতে পারে সৌদি ইরান উত্তেজনা ? আপাতত বলা যাই , আর বেশি গড়াবে না দু পক্ষেই তাদের শেষ সীমায় চলে এসেছে। এবার নিজেরাই নিজেদের লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা চলছে।দু দেশের নেতাদের কথাবার্তায় তাই এখন ফুটে উঠেছে। দেখা যাবে উত্তজনায় যুদ্ধের চেয়ে বানিজ্যের লোকসানের পরিমান দুপক্ষরেই বেশী , তাই আরব আমিরাত সরাসরি সম্পর্ক ছিন্ন নাকরে সীমিত করার ঘোষণা দেন , যাতে দুপক্ষই খুশি ও সতর্ক থাকে। ইরানের মধ্যপ্রাচ্যের খনিজ সম্পদের বাজারটা দারুন দরকার কেননা সে তার খনিজ দ্রব্য ইন্দোনেশিয়ার সাথে প্রতিযোগিতা করে চীন বা এশিয়ায় বিক্রি করতে পারবেনা , আবার আফ্রিকার সাথে টেক্কা দিয়ে ইউরোপে বিক্রি করা যাবে না , তাই তার মধ্যপাচ্যের বাজারটা দরকার , টিক একই ভাবে খাটে আমদানীকারক উপসাগরীয় দেস্গুলার ক্ষেত্রেও। আপাতত তারা কোনো সরাসরি লড়াইতে যাবে না , তবে প্রক্সি লড়াই যেটা আছে সেটা চলবে। যেটা তুরুস্ক রাশিয়ার মধ্যে চলছে।

তবে আমার মনে হয় আমরা আবার ঠান্ডা লড়াইয়ের যুগে প্রবেশ করেছি , কিন্তু এটা পূর্বের চেয়ে ভিন্ন , এখানে আমেরিকা রাশিয়ার মত দুটি জোট হবে না , আঞ্চলিক জোট , ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক বিবেচনায় নিয়ে বিভিন্ন জোট ও শক্তি গড়ে উঠবে। সে পরিস্তিতি হবে পূর্বের চেয়ে আরো বিপদ সংকুল ও ভয়াবহ। সত্যিই এ ধরণী থাকবে ঝুকিতে।


আমি লেখায় তেমন গুছানো না , আমি শুধু আমার চিন্তাগুলা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম , বানান ভূল বা ব্যাকরণ অশুদ্ধতার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.