নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

একজন বিশিষ্ট সাইকো

আবু রায়হান ইফাত

একজন বিশিষ্ট সাইকো, নির্জনতা প্রিয় অদ্ভুত প্রকৃতির একজন মানুষ, মাঝে মাঝে আত্মমস্তিষ্কে এমন কিছু কল্পনা করি যা হয়তো কারো নিকট ভিত্তিহীন, কিন্তু আমার নিকট মহামূল্যবান ।

আবু রায়হান ইফাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি বাস্তব জীবনের গল্প

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৫৫




একসময় প্রেম ভালোবাসার বিরোধী ছিলাম, বিশ্বাস এবং কোনো প্রকার আসক্তি ছিলো না প্রেম ভালোবাসার প্রতি।
বাল্যকালে ভালোবাসায় ব্যার্থ হয়ে এক কাজিন কে আত্মহত্যা করতে দেখেছি, সেই থেকে ভালোবাসার প্রতি একপ্রকার তীব্র ঘৃণা সৃষ্টি হয়েছিল ।
৮ম শ্রেণীতে থাকা কালীন সময় নিকটাত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেলে এক মেয়ে প্রপোজ করেছিলো, কিন্তু মনের মাঝে বাস করা সেই ঘৃণা থেকে সরাসরি নিষেধ, হয়তো বা মেয়েটি একটু কষ্ট পেয়েছিল, আমি চাইনি তাকে কষ্ট দিতে কিন্তু ভালোবাসার প্রতি বিশ্বাস হীনতার কারনেই কষ্ট দিতে হয়েছে।

এরপর.......
৯ম শ্রেণীতে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করার পর এক আন্টির বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলাম, সেখানে যাওয়ার পর ঐ আন্টির ননদের মেয়ে প্রপোজ করেছিলো, ঐ একি কারনেই তাকে ও নিষেধ করেছিলাম। মেয়েটি কষ্ট পেয়েছিলো খুব, হাত কেটে ছিল এবং তিন দিন নাকি হাসপাতালেও ছিলো কাজিন এর নিকট থেকে পরে শুনেছি।
এর আগে পরেও কয়েকটি প্রপোজ পেয়ছিলাম কিন্তু সবাই কে সরাসরি নিষেধ করে দিয়েছি
আমি চাই নি কাউকে কষ্ট দিতে, কিন্তু নিয়তি বলে কথা... তখনো আমার মনে সৃষ্টি হয়নি ভালোবাসার, মনটা ছিলো পাথরের ন্যায় , অনুভব করতে পারি নি তাদের ভালোবাসা এবং ভালোবাসায় ব্যার্থ হওয়ার কষ্ট।

আর হ্যাঁ, অামি ভালোবেসেছি, ভালোবাসতে শিখেছি, মনের মাঝে ভালোবাসার সৃষ্টি হয়েছিল ২০১৩ সালের ৩রা জানুয়ারি তে, ওই দিনই আমি প্রথম লামিয়া কে দেখি, প্রথম দেখাতেই মনের মাঝে সৃষ্টি হয়েছিলো ভালোবাসার, লামিয়ার প্রতি সৃষ্টি হয় এক অপ্রকাশিত ভালোবাসার, সেই অপ্রকাশিত ভালোবাসা গভীর থেকে আরো গভীরে রূপান্তরিত হলো, লামিয়া কে দেখার জন্য সর্বদা ব্যাকুল হয়ে থাকতাম।
একদিন তাকে দেখতে না ফেলে আমি প্রায় পাগল ন্যায় হয়ে যেতাম, তাকে দেখার পর মনের মাঝে আসতো এক স্বর্গ সুখের স্বস্তি।
২০১৫ সালের জুলাই মাসের শেষের দিকে লামিয়া অসুস্থ হয়েছিল, (কোন দিন টি ছিলো ডায়েরি হারানোর কারনে তা ঠিক মনে পড়ছে না)
আমি সাইফোর্স থেকে কোচিং শেষ করে নিচে আসার পরে বৃষ্টি থাকার কারনে ওখানেই অবস্থান করতে ছিলাম, হঠাৎ করে লামিয়ার এক ফ্রেন্ড আমাকে ফোন দেয়, আমার বন্ধুমহলের কল্যাণে লামিয়ার ফ্রেন্ডরা সবাই এবং লামিয়া জানতো আমি যে তাকে ভালোবাসি।
ফোন রিসিভ করার পর ওর বন্ধু বলে ভাইয়া লামিয়া আজ পরীক্ষার হলে অসুস্থ হয়ে যায় এবং তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়, কথাটি শুনার পর মনের ভিতর একটা ঝড় বয়ে যায়, উদাসীন হয়ে যাই আমি, প্রবল বৃষ্টির মাঝে নেমে যাই রাস্তায়, লোকজন তাকিয়ে আছে আমার দিকে আর ভাবছে হয়তো ছেলেটি পাগল হয়ে গেছে এই প্রবল বৃষ্টিতে রাস্তায় দাড়িয়ে ভেজার কারন হয়তো তারা খুঁজে পায় নি। বৃষ্টি থামার পর হুঁশ ফিরে, চলে যাই বাসায়। সেই রাতে আক্রান্ত হই জ্বরে, চিকিৎসা এবং ঔষধ নেওয়া থেকে দুরে ছিলাম, দীর্ঘ দিন জ্বর থাকার পর যখন দেহ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে বন্ধুরা তখন বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় আমাকে, বাড়িতে যাওয়ার পর আম্মুর অনুরোধ রক্ষার্থে ডাক্তার এর শরণাপন্ন হই থাকতে হয় বেশ কিছু দিন হাসপাতালের বেডে।
মনে মনে কিছুটা স্বস্তি অনুভব করেছিলাম যে লামিয়া ও হাসপাতালে কষ্ট পেয়েছিলো, আমি তেমন কষ্ট না পেলেও এখন হাসপাতালের বেডে আছি।
এতটাই আবেগী ছিলাম যে লামিয়ার কিছু হলেই আমি অসুস্থ হয়ে যেতাম।
অসীম ভালোবাসতাম তাকে, এখনো ভালোবাসি এবং আমৃত্যু ভালোবাসবো।

আজ ৫ম বছরে পদাপর্ণ করলো তার প্রেমে পড়ার, কিন্তু দূর্ভাগ্য জনিত কারণে সে আজ আমার জীবন থেকে অনেক দূরে, আমি আজও জানিনা কখনও বাস্তবায়িত হবে কিনা তাকে নিয়ে সাজানো সেই স্বপ্ন গুলোর।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.