নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এমন মানব জনম আর কি হবে !

ৎঁৎঁৎঁ

আমি যুক্তিশূন্য ঈশ্বর মানতে রাজী আছি, কিন্তু কোন হৃদয়হীন ঈশ্বর না।

ৎঁৎঁৎঁ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তিন পাগলে হল মেলা নদে এসে!

০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪

বেশ কয়েক বছর আগের কথা, তখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আমাদের সময়ে বিরিশিরি খুব আকর্ষনীয় একটা জায়গার মধ্যে ছিল। ঘুরতে যাওয়ার জন্য বিরিশিরি হলে কোনো কথা নেই! গারো পাহাড়ের সিঁথি বেয়ে নেমে আসা সোমেশ্বরী হচ্ছে তার মূল আকর্ষন। টলমলে চোখের মত স্বচ্ছ যার জল, জলবতী চোখের মতই মায়াবী। স্থানীয় পাহাড়ী মানুষগুলো সরল ও অতিথি বৎসল। একবার আমরা দুই বন্ধু ঠিক করলাম, নগরে তো বহুদিন হল, এবার একটু সোমেশ্বরীর হাওয়া জল খেয়ে আসা যাক! তৃতীয় এক বন্ধুও যোগ দিল, কিন্তু ও পরের দিন রওনা দিতে পারবে, ভালো কথা, তুমি পরের দিনই আস,- এই বলে আমরা দুইজন রওনা করলাম!



বিরিশিরির উৎরাইল বাজার যখন পৌছুলাম তখন রাত এগারোটার বেশী বাজে। স্থানীয় সময় হিসেবে তখন অনেক রাত। গন্তব্য YMCA রেস্ট হাউজ, আগে যতবার এসেছি, এখানেই উঠেছি। ওখানকার কয়েকজনের সাথে পরিচয় হয়ে গিয়েছে, আশা করি থাকার জায়গা পাওয়া নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। তবে পৌছানোর পরে পরিবেশ একটু অন্যরকম লাগলো। পীত বর্ণের হাফ প্যান্ট পড়া অজস্র নারী পুরুষ চারপাশে হাঁটাহাঁটি করছে আর অবোধ্য কিচির মিচিরে মাঠ ঘাট গরম! আর যা শুনলাম তাতে তো চোখ ছানাবড়া, - ৩৪ জন জাপানি না কোরিয়ান এখন আর মনে নেই,- একসাথে এসে হাজির, - no vacancy! মানে? এত রাতে আমরা যামু কই? আরচু, এভারেস্ট দা, যারা YMCA’র স্টাফ, তাদেরই নাকি থাকার জায়গা নেই। আমরা কই থাকবো! আশে পাশে তখন আর কোনো হোটেলও ছিলো না।



দুই দোস্ত মিলে শেষমেশ সিদ্ধান্ত নিলাম, কুছ পরোয়া নেই, সোমেশ্বরীতে চলে যাব, রাতটা আরও ভালো যাবে। আরচুকে বললাম, তাহলে ভাল মানের কিছু পরিমান চু ম্যানেজ করে দেন। আরচু বয়সে বৃদ্ধ, গারো ভাষায় আরচু মানে খুব সম্ভবত দাদু। সবাই তাকে আরচু বলতো, আমরাও বলতাম। চু হচ্ছে বিরিশিরির পরবর্তী আকর্ষন,- একধরনের পানীয়। মুলত ভাত, সাথে নানাকিছু মাটির কলসে করে মাটির নিচে পুতে নির্দিষ্ট সময় ফার্মেন্টেশন চালান হয়, বাঁশের পাইপ দিয়ে কলস থেকে টেনে খেতে হয়। বহু ধরনের পানীয় পান করেছি, কিন্তু চু এর মত আর কিছু না। পেটে পড়লে উড়তে ইচ্ছে করে।



থাকার জায়গা দিতে না পারায় আরচু কিঞ্চিত দুঃখিত, মনোবেদনা পুষিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি লিটার দুই চুশুয়া ম্যানেজ করে দিলেন। এইটা নাকি ঘনীভূত চু, আরও জোশিলা! আমরা খুশিমনে মামের বোতল ভর্তি করে সোমেশ্বরী পাড়ে চলে আসলাম। সোমেশ্বরী প্রকৃতিতে পাহাড়ি নদী, পাড় ঘেঁষে বেশ বিস্তীর্ন সাদা বালির চর, বর্ষায় ঢল না নামলে অন্য সব সময় শুকনা থাকে। আমরা বালির মধ্যে খুঁজে খুঁজে একটা ভাঙ্গা নৌকার পাশে আমাদের রাত্রীকালীন খুটি পুঁতলাম। তার আগে যে হোটেল আমাদের পাহাড়ি খাসির মাংস খাইয়েছিল, সেই হোটেল থেকে পেট পুড়ে ভাত খেয়ে এসেছি।



আমরা ভাঙ্গা নৌকায় আমাদের ব্যাগপত্র রেখে চু পান সহযোগে সোমেশ্বরী মন্থনে মগ্ন হয়ে পড়লাম, আশাপাশে কোনো বাড়িঘর মানুষ জনের ইশারা ইঙ্গিত কিছু নেই। বেশ কিছুক্ষন ধরে নদীর সাথে সুখকর থ্রিসাম জলকেলী খেলা শেষ করে আবার পাড়ে বসে আছি। আকাশে ততক্ষণে চাঁদ এসে হাজির, সাদা ধবধবে বালি ঝলসে উঠছে তার কোমল আলোয়। সোমরস ঘুরছে হাতে হাতে, - চাঁদের আলো নাকি নদীর মায়া, নাকি নির্জনতার ঘোর নাকি রাত্রির নিমগ্নতা পান করছি জানি না, কিন্তু শিরায় শিরায় নাচ শুরু করেছে আরেক মাতাল নদী!



আমার বন্ধুর নাম ধরা যাক মাহিন, মাহিনকে আমরা ডাকি পাগলা। বন্ধুরা যখন খারাপ ভালো কোনো একটা নামে ডাকে তখন তার কিছুটা সারবস্তু থাকবেই, পাগলারও আছে। আমাদের মধ্যে ও কিছু কাজ জড়তাহীন নির্লিপ্ততার সাথে করে ফেলতে পারে। ও এখন যেটা করলো, - বিনা সঙ্কোচে জামা প্যান্ট পরনে যা ছিল খুলে ফেললো! আমার বৈশিষ্ট্য হচ্ছে শত ইচ্ছে হলেও হুট করে আমি এরকম কিছু করতে পারি না। তবে কেউ সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিলে আমি তার সঙ্গী হতে দ্বিধা করি না। প্রথমে একটু শকড হইলেও আমি দ্রুত আমার শক কাটিয়ে উঠলাম এবং সত্ত্বর আমার যাবতীয় বস্ত্র বিসর্জন দিলাম। এবং আবিস্কার করলাম নিখাদ নগ্নতা সভ্যতা ঝেড়ে ফেলার জন্য এক দারুন টনিকের কাজ করে। নদীর সাথে, রাতের সাথে, চাঁদের সাথে যেন পুরোপুরি মিশে গেলাম,- আমিও এখন ওদের মত আদিম ও মুখোশবিহীন, শরীরের কোথাও কোনো বাহুল্য লেশমাত্র নেই। বাকি রাতটা আমরা খুব চুপচাপ নিজেদের মধ্যে ডুব দিয়েই কাটালাম। রহস্যময় অন্ধকারে নদীর বয়ে চলা স্রোত, নদীটাকে মনে হতে লাগলো যেন জীবন্ত, ওর বুকের সেতারে তোলা আছে ঝরে পড়া মেঘেদের সঙ্গীত। শুধু কান পেতে শুনে যাও। আবার মনে হতে লাগলো আমি যেন সেই আদিম মানুষটা, যে জন্মের পর কোনো দিন নদী দেখেনি, নদীর কথাও শোনে নি। হাঁটতে হাঁটতে বহুদূরে হারিয়ে গিয়েছে এক চাঁদজ্বলা রাতে। পথের সামনে এসে দাঁড়িয়েছে এক রুপালী স্রোত, কলকল ঝিরিঝিরি মনমাতানো গানে আদিম মানুষটার কেমন লাগতো? আমার মনে হতে লাগলো আমিও বোধ হয় আগে কখনও নদী দেখিনি, প্রথম দেখার বিস্ময় নিয়ে ডুব দিতে ইচ্ছে করলো জলে। বেঁচে থাকাটা যে কী প্রচন্ড রকম অলৌকিক ও বিস্ময়কর, সেটা যেন প্রথমবারের মত ও সবথেকে তীব্রভাবে অনুভব করতে পারলাম!





''অমরত্বেরও মৃত্যু হবে নালন্দা, জোছনার জলজ-অন্ধকারে।

সোমরস পান করে ঈশ্বর নামছেন সোমেশ্বরী জলে

আমি দশমাস আরাধনায় জাইগা থাকবে সোমপুরে,

সোমেশ্বরী থেকে দূরে;

তুমি আসবে তন্দ্রায়, চন্দ্রা নদীর ওপারে;

আমি ঘুম-মন্দিরায় সুর তুলবো বাকি কয়মাস

টেরাকোটায় শিল্পিত খোদাইয়ের মাঝে।''





আবার একসময় সোমেশ্বরীকে মনে হতে লাগলো ভয়ানক রূপসী কোনো নারী, এমন মোহিনী, আমি আমার কোনো স্বপ্নে দেখা স্বপ্নেও দেখিনি,- যার মাদকতা রক্তে আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে, কাব্য করে নদীকে নারীর সাথে তুলনা দিচ্ছিনা, কোনো নদী যে শরীরে কামোত্তজনার মত আগুন ধরিয়ে দিতে পারে সেটাই আমার নদীর সাথে প্রথম ও একমাত্র অভিজ্ঞতা।



চাঁদ ডুবে গেছে ততক্ষনে, পূব দিকে আলোর আভা, - আস্তে আস্তে ঘোর থেকে জেগে উঠলাম। চারপাশে প্রকৃতির মধ্যেও একটা পরিবর্তন আসছে এটা খুব ভালো করে বোঝা যাচ্ছে। আমরা সুশীল সভ্য ছেলেদের মত পোশাকগুলো আবার লটকে নিলাম শরীরে। গন্তব্য দুর্গাপূর, শরীর ক্লান্ত, থাকার একটা ব্যবস্থা করে ঘুম দিতে হবে। ফেরার পথেও একটা মজা হল, নদীর পাড় ঘেঁসে রাস্তায় ওঠার সময়, তখনও আলো ফোঁটেনি ঠিকমত, আরেক নৌকার পাশে আমরা সাদা জোব্বা পড়া একটা জীন দেখলাম! ওইটা একটা জীন, এইটা বোধগম্য হওয়া মাত্র আমরা দুই মাতাল দুই জনকে ধরে এক ছুট দিলাম! বিদ্রুপকারীরা বলতে পারে ভয়ে দৌড়েছি, সেটা আমি মনে করি ভুল হবে, আসলে মূল বিষয় হল ভোরবেলা জীনের সাথে সাক্ষাৎ করাটা মোটেই ভাল লাগে নি। দৌড় দেওয়াটা নিতান্তই আত্মরক্ষামূলক সতর্কতা। তবে রাস্তায় উঠেই আমরা আমাদের সামলে উঠতে পারলাম, যখন দেখলাম সাদা জোব্বা পড়া আরও কিছু মুসল্লি নামাজ পড়তে বের হয়েছে! তবে এবার ওদের চোখে বিস্ময়! আমরা দুইজন তরতাজা তরুন অবিন্যস্ত বেশভুষা, ঢুলুঢুলু চোখ, টলোটলো পায়ে কিভাবে নদীর মধ্যে দিয়ে উঠে আসলাম- এই সংক্রান্ত হাজারো প্রশ্ন ওদের মুখে ভোরের সূর্যের মতই স্পষ্ট হয়ে উঠছে! এরকম পরিস্থিতিতে পাগলা বন্ধু দূর্দান্ত, সে নিজে এগিয়ে গিয়ে সবাইকে উচ্চস্বরে বিশুদ্ধ উচ্চচারণে সালাম দিল- ‘আসসালামু আলাইকুম অয়া রাহমাতুল্লাহে অয়া বারকাতুহু’। ওনাদের লম্বা সালামের উত্তর নিতে নিতে আমরা পা চালিয়ে বহুদুর!



পরদিন বিকালে আমাদের তৃতীয় দোস্ত হাজির। ধরা যক ওর নাম রবিন, আমাদের মধ্যে বাইরে থেকে ওই সবথেকে রাশভারী টাইপের, টুকটাক লেখালেখি আঁকাআঁকির শখ আছে। সন্ধ্যার পরে আমরা যথাযথ প্রস্তুতি সম্পন্ন করে (ট্রিপল ডোজ চুশুয়া!) নদীর পাড়ে। আগের রাতের স্বর্গীয় অভিজ্ঞতা দোস্তকে না দেখালে তো ওর জীবনটা বৃথা হয়ে যাবে, আমরা বন্ধুরা থাকতে ওর জীবনটা কোনোভাবেই ব্যর্থ হতে দিতে পারি না। কিছুক্ষনের মধ্যেই আমরা দিন বন্ধু জগত সংসারের তিন মহারাজ বনে গেলাম, দুনিয়ার কোনো কিছুতেই আমাদের আর কিছু যায় আসে না। দুই জনে মগ্নতা আসে, তিনজনে আসে উল্লাস। কিছুক্ষনের মধ্যেই পাগলা বন্ধু যথারীতি বস্ত্র বিসর্জন দিল, তার সাথে আমিও যোগ দিলাম। এই দফা রবিন বেশ থতমত খেয়ে গেল, মোটা চশমার মধ্যে দিয়ে গোলগোল চোখে তাকিয়ে বলতে লাগলো- এই তোরা কী করছিস? এই তোরা কী করছিস? ওকে পাত্তা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না, বরং আমরা ওকেও বস্ত্র বিসর্জনের প্রস্তাব দিলাম। সে লাজুক প্রতিরোধে জানালো,- সেটা সম্ভব না। কিন্তু সেটা তো হতে পারে না, ওকে তো এই আদিম স্বর্গে পোশাক পড়ে ঢুকতে দেবে না,- আমরা বন্ধুরা থাকতে তো ওর জীবনটা ব্যর্থ হতে দিতে পারি না। আমরা তার উপরে প্রবল ঝাঁপিয়ে পড়ে তার বস্ত্র হরণের প্রচেষ্টায় নিমগ্ন হলাম! সে প্রচুর চিৎকার করলো, গালি দিল, অতঃপর একসময় দুইজনের বিক্রমের কাছে পরাজিত হয়ে বালির মধ্যে শরীর ঢেকে বসে রইলো। ওকে আমরা আরও কিছু সোমরস পান করালাম, সে কিছুক্ষণের মধ্যেই স্বাভাবিক হতে পারলো এবং আমাদের সাথে নদী বিহারে যোগ দিল। ন্যাংটো অবস্থায় ওর চোখের পুরু চশমাটা খুব বেমানান লাগায় চশমা নিয়েও আপত্তি জানানো হল, - এইদফা বন্ধু খুব আনন্দের সাথেই চশমা বিসর্জন দিল। দুইজনে মগ্নতা, তিনজনে হৈচৈ, এর প্রমান রাখার জন্যই কিনা জানি না, পাগলা দোস্তের মাথা পুরোপুরি গরম হয়ে গেল। সে ঘোষণা করলো যে সে আর এই সভ্য সমাজে বাস করতে চায় না, সে সোমেশ্বরীর জলে ভেসে যাবে। ন্যাও ঠ্যালা, পাগল সামলাও এবার। সে নদীর মাঝখানে গিয়ে হাত পা ছেড়ে ভেসে পড়তে চায়। খুব বেশী পানি নেই, কিন্তু স্রোত আছে অনেক। এর মধ্যে ও ভেসে গেলে কী কেলেঙ্কারিটা হবে! সেইটা আমরা দুইজন বুঝলেও পাগল কী আর বোঝে? ও যতবার ভেসে যেতে চায়, ততবার আমরা ওর হাত পা চ্যাংদোলা করে ডাঙ্গায় তুলে নিয়ে আসি। আর ও আমাদের বাপ-মা-দাদা-দাদী ৭২ জেনারেশন ধরে গালি দিতে থাকে, আর চিৎকার- ‘তোরা আমারে ছাইড়া দে, তোরা আমারে ছাইড়া দে’! এইরকম চললো বেশ কিছুক্ষন। আবার আমরা ওকে যখন মাঝ নদী থেকে তুলে আনার চেষ্টা করছি, তখন হঠাৎ দেখলাম দুরের পাড় ঘেঁষে টর্চ জ্বালিয়ে একদল মানুষ আসছে। ওদের উচ্চ স্বরের কথা শোনা যাচ্ছে, - নদীর পাড়ে এত রাতে কারা,- এই খবর নেওয়ার জন্য তথ্যানুসন্ধানী একটা দল আসছে বোঝা গেল। আমরা পানির মধ্যে সাথে সাথে জমে গেলাম। সর্বনাশ! রাতে খাবার হোটেলে শুনে আসা কথাটা মনে পরে গেল। আমরা রাতে নদীর পাড়ে যাব শুনে হোটেল ওয়ালা বলেছিল যে কিছুদিন আগে নাকি নদীর পাড়ে খুন হয়েছিল, আমরা গেলেও যেন খুব সাবধানে থাকি। যথারীতি আমরা ওর কথা পাত্তা দেই নাই। এখন যে আমরা জমে গেলাম সেটার কারন এটা নয় যে আমরা ভাবছি যে ওরা আমাদের তিনজনকে মেরে ফেলবে, সমতলের সংবদ্ধ হিংস্রতা পাহাড়িদের মধ্যে দেখি নাই। আমাদের জমে যাওয়ার মূল কারন হচ্ছে আমাদের পোশাক সবার ডাঙ্গায়, আমরা এখন যদি পাড়ে উঠে পোশাক উদ্ধার করতে যাই, তার আগেই ওদের আলো খেয়ে আমাদের মান সম্মানের সলিল সমাধি হয়ে যাবে। আবার ওরা যদি আমাদের কে পানির মধ্যে খুজে পায়, আমাদের অবশ্যই সারেন্ডার করে ডাঙ্গায় উঠে ওদের কে পরিচয় দিতে হবে, সেটারও উপায় নেই, আবারও সেই মান সম্মানের প্রশ্ন! আমরা পাগলাকে কোনোরকম ঠান্ডা করে ডুবুরী স্টাইলে নাক উচিয়ে নদীর আরও গভীরে ঢুকে নাক ভাসিয়ে দুরু বুকে অপেক্ষায় রইলাম। মনে মনে দোয়া দরুদ যা মনে আছি পড়ছি সমানে, ওরা আমাদের না পেয়ে যদি পাড়ে আমাদের পোশাকও পায়, তাহলেও আমরা ধরা, তখন গিয়ে কাপড় উদ্ধার করার জন্য হলেও আমাদের ওদের সামনে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। এইবার আমরা মনে মনে ইচ্ছে মত গালি দিচ্ছি পাগলাকে, - ওর “তোরা আমারে ছাইরা দে” টাইপ চিৎকার শুনেই নিশ্চয় ওরা এসেছে, ভাবছে আজকে আবার কে কারে খুন করে ফেললো!



যাই হোক, এই জন্মের তো কোনো পূন্যের কথা মনে করতে পারি না, নিশ্চয় গত জন্মের কিছু ছিল, এই জন্য ওরা আমাদের বা আমাদের কাপড় কিছুই পেল না, কিছুক্ষণ এদিক অদিক টর্চ মেরে বিদায় নিল, আমরাও হাঁপ ছেড়ে নদী থেকে উঠে আসলাম। উঠে পাগলাকে একটা স্পেশাল ট্রিটমেন্ট দেওয়া হল, সেইটা আর এই বেলা বলছি না। তবে ও আর চিৎকার চেঁচামেচি না করে বেশ শান্ত হয়ে গেল!



পরের দিন সোমেশ্বরীর একটা দুর্লভ রূপ দেখেছিলাম, সেটা হল পাহাড়ি ঢল, ঢল নামলে এই সোমেশ্বরীকে আর চেনা যায় না, নদীর প্রশস্ততা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ, এপাড় থেকে ওপাড় দেখাটাই কষ্ট, আর স্রোতের তোড়ের কথা নাই বললাম। তবে পরের ও শেষ রাতে আমরা নদীতে হাঁটু ডোবানরও সাহস পাইনি। এর আগে আমরা দেখিয়েছিলাম সোমেশ্বরীকে আমাদের মাতাল রুপ, সোমেশ্বরী আজ দেখালো তার ভরা মাতাল রূপ, তার সামনে নিজেদের মনে হল অতি তুচ্ছ, সামান্য, ওর এই প্রবল বয়ে চলার পাশে আমাদের আলাদা কোনো অস্তিত্বই নেই, আমরা বিষয়টা সম্যক উপলদ্ধি করতে পেরে সুরসুর করে আবার ফেরত আসলাম নগরে।















*** কবিতা কবি শামীম রেজার, দূর্জয় ভাইয়ের সৌজন্যে যার সাথে পরিচয়!

মন্তব্য ৭০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৭০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬

তুষার মানব বলেছেন: চমৎকার ভাবে লেখেছেন

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ তুষার মানব!


শুভকামনা!

২| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: ভার্সিটী উইঠা পুরা বাংলাদেশ ঘুরমু .... X(( X(( X((



আর চমৎকার লিখেছেন ইফতি ভাই :) :) :)

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪২

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ভার্সিটি জীবনেই ঘোরার এই সুযোগটা পাবেন। পরে দেখবেন আর সময় নেই, সময় থাকলেও মন নেই!

আপনার ভবিষ্যৎ ভ্রমনে শুভকামনা রইলো!

৩| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:০৯

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: খুব ভাল লিখেছেন। যদি কিছু ছবি থাকত আরো ভালো লাগত।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৭

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: স্বাগতম bashor_17 ! ওই ট্যুরে মনে কোনো হয় কোনো ক্যামেরা ছিল না সাথে, ছবি আমার কাছে নেই একটাও, তবে স্মৃতিগুলো টনটনে ছবি হয়ে আছে।

শুভকামনা রইলো!

ভালো থাকুন!

৪| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:২৮

মামুন রশিদ বলেছেন: উড়ছি কেন, কেউ জানিনা...


আপনার স্মৃতিচারন পড়েই আমি উড়তে শুরু করেছিলাম ;)

এমন সুললিত ভাষায় কেউ এই রকম একটা বদ কাহিনী (আদিম ও মুখোশহীন :P ) লিখতে পারে, ভাবতেই পারি না ।

চমৎকার লেগেছে ইফতি । আপনার লেখা পড়ে মনে হচ্ছিলো আমি নিজেই, "জোছনার জলজ-অন্ধকারে,
সোমরস পান করে ঈশ্বর নামছেন সোমেশ্বরী জলে"

ভালোলাগা++

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ মামুন ভাই!

এমন সুললিত ভাষায় কেউ এই রকম একটা বদ কাহিনী (আদিম ও মুখোশহীন :P ) লিখতে পারে, ভাবতেই পারি না
- মজার মন্তব্য করলেন ভাই! কাহিনী বদ হইলেও আমরা কিন্তু পোলা ভাল! :P

স্মৃতিচারণ করতে করতে আমিও খুব নস্টালজিক হয়ে পড়েছিলাম, মনে পড়ে গেল কত কথা! :(

শুভকামনা!

৫| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৩০

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ভালো লাগলো! সুন্দর ভাবে লিখেছেন!

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৮

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ আজ আমি কোথাও যাবো না!

স্মৃতিকথন ভালো লাগায় ভালো লাগা!


শুভকামনা!

৬| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৬

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: এমন সুললিত ভাষায় কেউ এই রকম একটা বদ কাহিনী (আদিম ও মুখোশহীন ) লিখতে পারে, ভাবতেই পারি না ।

ছি ! ছি ! ছি ! ৎঁৎঁৎঁ এত খারাপ =p~ =p~ =p~

ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম ।
ইতি
মাহমুদ ।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৩

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: হে হে, আমরা বদের দল! আমরা বড় খারাপ! মুখোশটা খুলে দেখালে আমরা বড় খারাপ!

ভাল থাকিবেন!

ইতি,

আরেক মাহমুদ!

৭| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:




চমৎকার লেখনী ++++++++++ অবশ্যই রইল।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৬

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কান্ডারী!

শুভকামনা রইলো!

৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: অনবদ্য ভ্রমণ কাহিনী! কবিরা লিখলে এমন উপভোগ্য ই হয় !
শুভকামনা কবি !

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: কবিরা মেলা বদ হয়! বদমায়েশীর কাহিনী সব সময় উপভোগ্য! :)

শুভকামনা হে স্বপ্নবাজ কবি!

ভালো থাকুন!

৯| ০৯ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৫৬

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন:
স্মৃতিচারন পড়ে মনে হচ্ছিল গল্পই যেন!
চমৎকার করে লিখছেন।
বিরিশিরি কয়েকবার যাব বলে প্লান করেও আর যাওয়া হয়নি!

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫১

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ নাজিম ভাই! লিখতে গিয়ে আমি অনেক নস্টালজিক হয়ে পড়েছি! ট্যুরটা আসলে গল্পের মতই ছিল! আমি বিরিশিরি গিয়েছি সে বহুদিন আগে, এখন কেমন আছে জানি না। তবে ঘুরতে যাওয়ার জন্য অসাধারণ একটা জায়গা, সময় সুযোগ পেলে ঘুরে আসতে পারেন!


শুভকামনা!

১০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১২:২২

রুম৭৪ বলেছেন: বিরিশিরি যাব, সোমেশ্বরীর তীরে বসে চু খাব, ভাই জায়গাটা কোথায়?

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০০

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: হা হা, বিরিশিরি বড় মায়াবী জায়গা, এইটা নেত্রকোনা জেলার ভেতরে পড়ে, মহাখালী থেকে বিরশিরির বাস যায়, ছয় থেকে আট ঘন্টা আগে লাগতো! যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো হলে হয়তো এখন কম সময় লাগবে। সামুতেও বিরিশিরি নিয়ে প্রচুর পোস্ট আছে আশেপাশে।

ঘুরে আসতে পারেন, ভালো লাগবে আশা করি!

আপনার বিরিশিরি সফরে শুভকামনা রইলো!

১১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:০৬

মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন: এই তো! নস্টালজিক করে দিলেন আমায় ...

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০২

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ হে মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়! আপনার আগমনে আমি কৃতার্থ হইলাম!

আমিও অনেক নস্টালজিক হয়ে গিয়েছি লিখতে লিখতে! আহা, কী সব দিনগুলো!

শুভকামনা!

১২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১:৪৪

যাফর বলেছেন: যায় দিন ভাল, আসে দিন খারাপ। আহহ আবার যদি সেই দিন গুলি ফিরে পেতাম!

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:০৮

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: আহহ আবার যদি সেই দিন গুলি ফিরে পেতাম!

সোমেশ্বরীর বয়ে যাওয়া জল আর কী ফেরত আসবে নদীর বুকে? যদি আসতো, আমরাও হয়তো ফেরত পেতাম আমাদের সেই সব দিন!

শুভকামনা যাফর!

ভালো থাকুন!

১৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:২১

নিয়েল হিমু বলেছেন: এটা কি কবিতা পড়লাম ইফতি ভাই ?

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:১০

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: হা হা, মন খুশী মন্তব্য করলেন হিমু ভাই! কিছু দিন কবিতার কাছ থেকে ছুটি নিয়েছি, গত কিছুদিন অনেক কবিতা লেখা হয়েছে, এখন ক্লান্ত!

শুভকামনা রইলো!

অনেক ভালো থাকুন!

১৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৪০

নীল জানালা বলেছেন: বিরিশিরিতো এখন ডাইলভাত হয়া গেসে। যেই আমলে আমি গেসি তখন বিরিশিরি আছিল দুর্গম জংলা এলাকা।

ভালো লেখসেন। মধুপুরের দিকে যায়েন একবার সময় কৈরা। ঐখানেও ভেতো পাওয়া যায়। খাইতে মজা।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৭

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: শুরুর সময়টাতেই সব কিছু সবথেকে মোহনীয় থাকে, আমি অনেক বছর ওইদিকে যাইনি, এখন কি অবস্থা কে জানে!

ভেতো নামটা নতুন আগে শুনি নাই! শুনতে মজা, খাইতে তো বটেই!

শুভকামনা!

১৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৫:০৪

শান্তির দেবদূত বলেছেন: "সে ঘোষণা করলো যে সে আর এই সভ্য সমাজে বাস করতে চায় না, সে সোমেশ্বরীর জলে ভেসে যাবে। ন্যাও ঠ্যালা, পাগল সামলাও এবার।"

এইবার আমরা মনে মনে ইচ্ছে মত গালি দিচ্ছি পাগলাকে, - ওর “তোরা আমারে ছাইরা দে” টাইপ চিৎকার শুনেই নিশ্চয় ওরা এসেছে, ভাবছে আজকে আবার কে কারে খুন করে ফেললো!


এই দুইটা জায়গা পড়ে বত্রিশ দাত বের করে হাসলাম কিছুক্ষণ। দুর্দান্ত একটা স্মৃতিপাঠ হলো। শুধুই কি স্মৃতি? ভ্রমণ, এডভেঞ্চার, তারুন্যের উম্মাদনা! সব কিছু ছাড়িয়ে এমন শৈল্পিক বর্ণনা ও যাদুকরী ভাষার ব্যবহার; সব মিলিয়ে একটা মাস্টার পিস পড়লাম।

শেষে এসে আবার তিন পাগল আর সোমেশ্বরীর পাল্টাপল্টি মাতাল রূপ নিয়ে দর্শণ ঝেড়ে দিলেন! উফ! আমি মুগ্ধ!!

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১৬

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ শান্তির দেবদূত ভাই! আপনি পোস্টে এত চমৎকার মন্তব্য করেন, ভালো লাগে!

লিখতে লিখতে এত নস্টালজিক হয়ে পড়েছি, সেই বন্ধু গুলোর সাথেও এখন কতদিন পর পর হুট করে দেখা হয়! আমাদের সেই তারুণ্যও সোমেশ্বরীর জলের সাথে বয়ে মিশে গেছে গঞ্জের কালিমায়! :(

শুভকামনা রইলো!

অনেক ভালো থাকুন!

১৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ ভোর ৬:৫১

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন: লেখা অসাধারণ, যেন সোমেশ্বরীর বহতা....

তবে লেখার বিষয়ে রেখে গেলাম নিখাদ হিংসা ;)

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১৮

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: মইনুল ভাই, আপনাকে পোস্টে পেয়ে অনেক ভালো লাগছে! আর আপনার হিংসা মানেই তো অপরপক্ষের আনন্দ!

শুভকামনা রইলো!

অনেক ভালো থাকুন!

১৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৬

নেক্সাস বলেছেন: কবিতার মত করে সোমেশ্বরী মন্থনের কথা লিখলেন। অসাধারণ ভাই।
ঢাকায় এসেছিলেন। দেখা হল না। আফসোস

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:২৫

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ সুপ্রিয় নেক্সাস ভাই! ঢাকায় এসেছিলাম, আপনার সাথে দেখা হয়নি! আশা করি সামনের আড্ডায় আমি আসতে পারবো এবং আপনার সাথে দেখা হবে!

শুভকামনা রইলো!

অনেক ভালো থাকুন!

১৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

আশিক মাসুম বলেছেন: স্ম্বতির রোমন্থন !!!

নস্টালজিক হয়ে গেলাম ।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: বাহ, সোমেস্বরীতে নস্টালজিক হওয়ার মত অনেকের অনেক স্মৃতি! এইটা ভাল লাগলো অনেক!

আপনাকে অনেক দিন পরে আবার ব্লগে পেয়ে খুব ভালো লাগছে!

শুভকামনা রইলো!

ভালো থাকুন!

১৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪০

সুমন কর বলেছেন: চমৎকার বর্ণনা করেছেন। ভালো লাগল, স্মৃতিচারণ। আমাদের ডির্পামেন্ট থেকেও একবার বিরিশিরি গিয়েছিলাম। তাই কিছু স্মৃতি আমারও মনে পড়ে গেল। আপনার কাছে ক্যামেরা ছিল না, আমারও ছিল না! তবে কলিগদের কাছ থেকে ধার করা একটা ছবি আপনাকে দিলাম।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: আরে, খুব দারুন একটা ছবি দিয়েছেন তো! কত সালের ব্যাচ এরা, চেনার চেষ্টা করলাম, কিন্তু চিনতে পারছিনা, অবশ্য আমার চিনতে পারার কথাও না, গণিত বিভাগের ইতিহাসের অন্যতম ফাঁকিবাজ ছিলাম আমি, নিতান্ত দায়ে না পড়লে অ্যাানেক্সে আমাকে দেখা যায় নি!

বিকালে নৌকায় ঘোরাটা হচ্ছে আরেকটা দুর্দান্ত মজার ব্যাপার, বিশেষ করে সন্ধ্যার আগে অন্যরকম লাগে, আর দূরের মেঘালয় দেখা গেলে কথাই নেই!

শুভকামনা রইলো সুমন দা!

অনেক ভালো থাকুন!

২০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১২

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
চমৎকার।
ঘুরতে পারার আনন্দই আলাদা।

শামীম রেজার কবিতার ব্যবহার আরো আনন্দ দিলো।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: সে আর বলতে, জীবনটাই যদি ঘুরে ঘুরে কাটায়ে দেওয়া যেত!

শামীম রেজার কবিতা টা তো অসাধারণ!

শুভকামনা রইলো দূর্জয় কবি!

অনেক ভালো থাকুন!

২১| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: পোস্ট পরে পড়ুম। আমি আসছিলাম উঁকি দিতে সোমেশ্বরীর কোনও ছবি আছে কিনা দেখতে। এতো সুন্দর জায়গার ছবি নাই তাই হতাশ হইছি। পরে দেখা হবে, এখন বিদায়

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:০৯

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: পোস্টটা আগে পড়লে ছবির জন্য কইতা কিনা ভাবতাসি, আমরা কিঞ্চিত বেসামাল ছিলাম কিনা! ছবি থাকলে এবং সেই ছবি দেওয়াটা কী ভাল হত? :!> :!> :!>


২২| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: বেসামাল তোমরা ছিলা, সোমেশ্বরী কি বেসামাল ছিল ? X((

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৩

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: পোস্টটা যদি তুমি পড়তা, তাহলে দেখতা যে পরে সোমেশ্বরী ঢল নাইমা আমাদের থেকেও বেসামাল হয়ে পড়েছিল, ওই ছবি দেওয়াটা কী ঠিক হত? :#> :#> :#>

২৩| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৮

এহসান সাবির বলেছেন: চমৎকার লেখা ভাই...... আমার বিরিশিরির স্মৃতিগুলো মনে করিয়ে দিলেন........

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ২:৪৬

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: যাক, আমি তাহলে একাই স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ি নাই, সাথে আরও কয়েকজনকে পাওয়া গেল!

শুভকামনা রইলো সাবির ভাই!

আশা করি শিঘ্রই দেখা হবে!

২৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:০১

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: চু বা চুশুয়া খাওয়ার ইচ্ছা হইছে। বিরিশিরির কথা অনেক শুনছি। যাওয়ার ইচ্ছা আছে সোমেশ্বরীর উন্মত্ততা দেখতে।

তোমার বন্ধু পাগলার ভোর বেলায় সাদা জোব্বা পড়া মুসুল্লীদের সালাম দেয়ার স্টাইল ভালো লাগছে

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৬

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: চু খুব ভালো জিনিস, ইতালিয়ান ওয়াইন এর মতই মজার!

সোমেশ্বরী তার মাতাল রূপ সবাই রে দেখায় না, এইটার জন্য পাহাড়ে বৃষ্টির জন্য অপেক্ষায় থাকতে হয়, আমরা অনেকবার গিয়ে সেই একবারই তার রূপ দেখেছিলুম! :) দেখা যাক সে তোমারে কিছু দেখায় কিনা!

পাগলা বন্ধুর সালাম টা খুব কাজের ছিল, অনারা আমাদের তেমন প্রশ্ন করার সুযগ পাননি! =p~ =p~

২৫| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪

হাসান মাহবুব বলেছেন: চুশুয়া খেয়ে গভীর রাতে নদীর ওপর চাঁদের কণা...মিয়া এমন লোভ লাগায় দিলেন! মাইনাস।

১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: সেইরকম দুইটা রাত ছিল হামা ভাই! পুরা মাথা নষ্ট! সময় হলে ঘুরে আসতে পারেন, ভালো লাগবে নিশ্চিত, এক গাদা গল্প মাথার মধ্যে নিয়ে আসবেন!

শুভকামনা!

২৬| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০

গোর্কি বলেছেন:
ছবিবিহীন এমন চমৎকার ঝরঝরে সাবলীল ভ্রমণ লেখনী অনেক দিন পর পড়লাম। বাংলাদেশের অনেক প্রাকৃতিক দর্শণীয় স্থানে গেলেও, বিরিশিরিতে যাওয়া হয় নি কখনও। আগামী বৎসর শীত-বসন্তে যাবার নিয়ত করলাম। রাঙামাটিতে একবার চাকমা পানীয় "দো-চুয়ানি" সেবন করেছিলাম। সেরকমই হবে মনে হচ্ছে। পোস্ট পড়ে তো পুরোই পাঙ্খা। এখন থেকে বিরিশিরি ঘুর ঘুর করবে মাথার ভেতর।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:২৭

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ সুপ্রিয় গোর্কি! উনি আমার প্রিয়তম একজন লেখক, উনার একটা গল্প অনুবাদ করার ইছে হচ্ছে বেশ কিছু দিন ধরে, করা হচ্ছে না উদ্যমের অভাবে!

বিরিশিরি ঘিরে আসতে পারেন, ভালোলাগবে আশা করি। বরষা কালে যাওয়ার একটা মজা হচ্ছে সোমেশ্বরীর তরতাজা রূপটা দেখতে পাওয়া যায়! অবশ্য শীতের পরিবেশটাই থাকে মায়াবী!

আপনার বিরিশিরি ভ্রমন আনন্দময় হোক!

শুভকামনা!

২৭| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: হাহাহা! দারুণ বর্ণনা কবি, সম্পূর্ণ ঘটনাটা চোখের সামনে ঘটতে দেখলাম যেন!

ভালো লাগল ভ্রমণকাহিনি। শুভেচ্ছা।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৩৩

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ প্রোফেসর! সব ঘটনা চোখের সামনে দেখতে পেয়েছেন, তার মানে কী আমাদেরকেও দেখতে পেয়েছেন? :!> :!>

ঈদ ও পূজার শুভেচ্ছা!

২৮| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
আমার নিজের এমন ইচ্ছে ছিলো কিন্তু পাগলাটে একটা বন্ধুর অভাবে এমন কিছু করতে পারি নাই। :(


শামীম রেজা মদের নাম, আজকাল গিলবার চেষ্টা করছি। :)


লেখা ভালো লেগেছে :)

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪০

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: সঙ্গ একটা খুব জরুরী বিষয়, বিশেষ করে এই রকম কোনো উদ্যোগের জন্য! :)

শামীম রেজার লেখা পড়ে ভালো লেগেছে, হাতের কাছে বই পেলে কিনে ফেলবো!

পূজা ও ঈদের শুভেচ্ছা রইলো কবি!

দিন মাতুক উৎসবে!

২৯| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৯:০৪

চয়নিকা বলেছেন: তুই হারা, এখখন হারা

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৪৪

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: বুঝলাম না কিছু! :(

পূজা ও ঈদের শুভেচ্ছা রইলো!

৩০| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৬

মোঃ ইসহাক খান বলেছেন: স্মৃতিচারণে ভালোলাগা।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫০

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ ইসহাক ভাই!

ঈদ ও পূজার কাশফুল শুভেচ্ছা!

৩১| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

সায়েম মুন বলেছেন: বিরিশিরি যাওয়া হয়নি। আশা রাখি একদিন যেতে পারবো।
লেখায় ভাললাগা রইলো।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ঘুরে আসুন, ভাল লাগার আশা রাখি!

ঈদ ও পূজার শুভেচ্ছা রইলো চন্দ্রকবি!

অনেক ভালো থাকুন!

৩২| ১১ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:২৫

শ্যামল জাহির বলেছেন: 'তিন পাগলে হল মেলা নদে এসে!' ভাল লাগা রইলো।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৬

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ শ্যামল জাহির ভাই! বদ কাহিনী ভালো লাগায় আনন্দ!

পূজা ও ঈদের শুভেচ্ছা রইলো!

ভালো থাকুন সকলে মিলে!

৩৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:২২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: দারুন একটা লেখা!! এই রকম একবার আমার এক বন্ধু করেছিল। ছাইড়া দে, ছাইড়া দে। শত ভদ্র প্রচেষ্টাও তাকে শান্ত করতে পারিনি। তারপর দিলাম ছাইড়া!!

কিছুক্ষন গরম অনুভূতি। কিছুক্ষন অবিশ্বাসের দৃষ্টি।
এবং প্রায় সাথে সাথে একজন পরিপূর্ন সচেতন মানুষ। ;)

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০১

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: আপনার মধ্যে বেশ বেরসিক নিষ্ঠুরতা আছে বলতে হবে, বেচারারে ছাইড়া দিলেন?!

কিছুক্ষন গরম অনুভূতি। কিছুক্ষন অবিশ্বাসের দৃষ্টি।
এবং প্রায় সাথে সাথে একজন পরিপূর্ন সচেতন মানুষ। ;)



=p~ =p~ =p~

ঈদের দিন থেকে সাইজির দরবারে সাধুসঙ্গ! আপনি আসছেন?

৩৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:৩২

তারছেড়া লিমন বলেছেন: শুধু একবার হাড়িয়া খাইতে মুনচায়.....................ইহা একটি ফাঁকিবাজি কমেন্ট পোষ্টে ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++সহ ধন্যবাদ।

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:০৬

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: হাঁড়িয়া এবং মহুয়া,- এই দুইটা জিনিস চেখে দেখা হয়নি! :(

লিমন ভাই, কুষ্টিয়া আসতেসি ঈদের দিন থেকে! দেখা হওয়ার অপেক্ষায় রইলাম!

ঈদ ও পুজার শুভেচ্ছা রইলো!

৩৫| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এইরকম একটা মাতাল রাত! খুব লোভ লাগল। মাধুকরী বইটাতে বোধহয় অনেকটা এমন কিছু পড়েছিলাম, কুর্চির সাথে বাইরে কাটানো একটা রাত। স্পষ্ট মনে নেই, শুধু একটু ছায়া ছায়া। তখন থেকেই খুব শখ ছিল। আপনি সেটা আবার জাগিয়ে দিলেন।

খুব খুব সুন্দর লিখেছেন ইফতি। চমৎকার!

২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ হে সমুদ্র কন্যা! রাতখানা বড়ই উতাল মাতাল আছিল! আহা, কী সেই সব দিন!

হামা ভাইয়ের সাথে একটা ট্যুর দিয়ে আসতে পারেন! চমৎকার ভ্রমন হবে সন্দেহ নেই!

মাধুকরী অনেক আগে একটুখানি পড়েছিলাম, বড় হওয়ার পর হাতে পাইনি, পেলে পড়ে ফেলতে হবে!

শুভকামনা রইলো!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.