নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ইকবাল সুমন। মাঝে মাঝে টুকটাক লিখা লিখি করি। এছাড়া কোন কিছু করি না।
শহরের এক ব্যস্ত মোড়ে। সময়টা অনেক বছর আগে। তখনো আমার গ্রাজুয়েশন পর্ব শেষ হয়নি। পাশে আরও ২ জন বন্ধু সহ দাড়িয়ে আছি রিক্সার জন্য। গন্তব্য বাসায় যাব।
আমাদের থেকে কিঞ্চিৎ দূরে একটা বালিকা দাড়িয়ে আছে। বয়সের মাপকাঠিতে বালিকা HSC পড়তে পারে অথবা তার চেয়ে ছোট হবে।
প্রকৃতিগত-ভাবে আমি কোন কিছু বা মানুষের দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে পারি না।
কিন্তু কেন জানি সেদিন বালিকার দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়েছিলাম। সেটা তখনি বুঝলাম, যখন বালিকাও আমার দিকে তাকিয়ে বারবার অবাক হচ্ছে। বালিকা আমার দিকে তাকানোর সাথে সাথে আমি আমার চোখটা নামিয়ে ফেলছিলাম। ঘটনাটি বারবার হচ্ছিল। আমি নিজেও অনেকটা অবাক হচ্ছিলাম। মনে মনে বলছিলাম, এটা তো হওয়ার কথা না!!!
এর পরে আমি স্থির দৃষ্টিতে বালিকার দিকে তাকালাম। আমাকে জানতেই হবে, আমার দৃষ্টিটা বারবার ওখানে যাচ্ছে কেন। আরও গভীরভাবে তাকালাম, দেখলাম, বালিকা উচ্চতায় ৫.৫ এর মত হবে। বালিকার গায়ের বর্ণটা মোটেই শ্যামলা বলা যাবে না, কালো-ই বলতে হবে। বহির আবরণে যা পরেছে মোটামুটি সব কিছুই মানানসই, কিন্তু সব কিছুই গতানুগতিক। কিন্তু কোথায় যেন একটা এক্সট্রা ফিচার আছে। সেটাই আমার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। পরে সেটা আবিষ্কার করি। তা হল, বালিকার চাহনির মধ্যে একটা স্নিগ্ধতা ছিল। বালিকার পুরো মুখের আবরণের মধ্যে একটা লাবণ্য আছে, একটা ভাষা আছে। তার চাহনি, লাবণ্য, মুখাবরণ যেন সারাক্ষণ কথা বলে যাচ্ছে আমি কিংবা আমাদের সাথে। আসলে এটাই আকর্ষণের মূল কেন্দ্রবিন্দু ছিল।
আমি আমার ফ্রেন্ডকে দেখালাম সে বালিকাকে। আমার ফ্রেন্ড অনেকটা অবাক হল এবং আমার দিকে ১০ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকল। কারণ আমার ফ্রেন্ড কোন দিনও একজন অপরিচিতা সম্পর্কে এ ধরণের অবজার্ভেশনের কথা আমার মুখ থেকে শোনেনি। ফ্রেন্ড পরবর্তী ৩০ সেকেন্ড বালিকার দিকে তাকিয়ে থাকল। তারপর আমাকে বালিকা সম্পর্কে একটা শব্দই বলল, "অসাধারণ"...
আমরা ৩ ফ্রেন্ডস বালিকার আগেই রিক্সা পেয়ে যাই। আমি রিক্সা থেকে শেষবার যখন পিছনের দিকে তাকাই, আমি স্পষ্ট দেখতে পাই, বালিকা আমাদের রিক্সার দিকে স্থির দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিল।
সেটাই ছিল প্রথম, সেটাই ছিল শেষ।
এইতো জীবন....
(গতকাল রাতে ইউ-টিউবে হুমায়ুন আহমেদের একটা পুরনো নাটক দেখছিলাম। নাটকের প্রধান একটা চরিত্রে যে মেয়েটা ছিল, সে কোন আহামরি সুন্দরী না। কিন্তু আমার দেখা সেই বালিকার মতই তার মুখে একটা স্নিগ্ধতা, লাবণ্যময়তা ছিল, যা বরাবরই আমাকে আকর্ষণ করতো।
কিন্তু পরবর্তীতে হুমায়ুন আহমেদের নাটকের সে মেয়েটা বাস্তবেই সুইসাইড করে। আমি জানি না সুইসাইডের কারণটা কি। কিন্তু এটা জানি, আমি সেই বালিকা বা সেই হুমায়ুন আহমেদের নাটকের চরিত্রটাকে কখনোই ভুলতে পারব না। কারণ তারাই আমাকে শিখিয়েছে, কিভাবে নির্বাক একটা চাহনি থেকে ভালোলাগার ব্যাপারগুলো শিখতে হয়। আমার সাথে বহুকাল তাদের দেখা হয়নি, জানি না আর কোন দিন দেখা হবে কিনা)।
০৩ রা জুলাই, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৯
ইকবাল হোসাইন সুমন বলেছেন: সুমাইয়া আজগার রাহা
নাটকঃ জলতরঙ্গ
©somewhere in net ltd.
১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৫ বিকাল ৩:১০
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: হুমম, নাটকের নাম কি? আর মেয়েটার নাম কি যে বাস্তব জীবনে আত্মহত্যা করেছিল? জানতে মন চাচ্ছে, কাহিনী তো সিরিয়াস