নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
তুমি নিজের জন্য যা ভালোবাস, সকলের জন্যও তা ভালোবাস। তোমার উপর কেউ অত্যাচার করে এটা যেমন তুমি চাও না, তেমনি অন্যের উপর ও অত্যাচার করো না। অন্যের মধ্যে যা খারাপ বলে তুমি মনে করো, নিজের মধ্যেও সেটা খারাপ বলে মনে করতে শেখো। তুমি যা জানো তাই ই বলবে। যা জানো না তা বলো না।------- হযরত আলী (রাঃ)
তখন সময়টা পরকাল। শীতের ভোর। চার পাশ ঘন কুয়াশার চাদরে আবৃত । সক্রেটিস সাহেব মর্নিং ওয়াকে বের হয়েছেন। প্রথমে কিছুক্ষণ হাটবেন , তার পর কিছুক্ষণ দৌড়বেন ,তারপর আবার হাটবেন এবং বাড়ী চলে যাবেন। তার এই মর্নিং ওয়াকের দার্শনিক ব্যাখ্যা হচ্ছে- প্রত্যেকটি প্রাণী শৈশবে নির্ভার হয়ে জীবণ যাপন করে, যৌবন বয়স চরম ব্যস্ততা,উৎকন্ঠা আর ব্যাকুলতায় কাটায় আর বার্ধক্যে শৈশবের ন্যায় পুণরায় নির্ভার হয়ে জীবণ সমাপণ করে।
সক্রেটিস সাহেবের আজকের মর্নিং ওয়াকে এখনো শৈশবে আছেন। আর কিছুক্ষণ পরে হয়তো তিনি যৌবনে পদারপন করবেন। এমন সময় দূর থেকে তীব্র আলো আসছে দেখে উনি বুঝতে পারলেন প্লেটো আসছে। কিছুক্ষণ পর প্লেটোর সঙ্গে উনার দেখা হল। কথা হল আদর্শ রাষ্ট্রের স্বরূপ নিয়ে। তার পর দু’জন দু’জনের পথে অগ্রসর হলেন ।
সক্রেটিস সাহেব যখন মর্নিং ওয়াকে যৌবনে পদারপন করেছেন। তখন উনি অনেক দূর থেকেই দেখতে পেলেন এরিস্টটটল আসছেন, সঙ্গে বিশাল এক লাইব্রেরী এবং তলোয়ার হাতে আলেকজান্ডার দি গ্রেট। এরিস্টটটলের সঙ্গে উনার কথা হল রাজনীতি নিয়ে।
সক্রেটিস সাহেব মর্নিং ওয়াকে যখন বার্ধক্যে পদারপন করেছেন। বাসায় ফিরবেন বলে ভাবছেন,এমন সময় যথাক্রমে দেখা হল ডেকার্ট,কান্ট,বার্টেন্ড রাসেল,জা জ্যাক রুস,জন লক,হেগেল,মিল,মেকিয়াভেলি প্রমূখ ভাববাদী ও বস্তুুবাদী দার্শনিকগণের সঙ্গে। সুবিশাল আলোচনা হল ।
মর্নিং ওয়াক শেষে সক্রেটিস সাহেব নিজ বাড়ীর দরজার সম্মুখে দাড়িয়ে দু’বার দরজা নক করলেন। উত্তরে তার সহধর্মিণী এক বল ময়লা পানি তার উপর ফেললেন। সক্রেটিস সাহেব মৃদু হাসলেন এবং কান্টের শর্তহীণ আদেশের তাৎপর্য অনুমান করলেন।
লেখা - ০৮/০৭/২০১১
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৪:১৯
মায়াময় বলেছেন: ধন্যবাদ...
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৮:৫২
মায়াময় বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১:৫৩
ব্লগ মাস্টার বলেছেন: সুন্দর