নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মায়াময় illusory

দুখ-কষ্টকে নেশার মতো করে নাও, যত বেশি দুখ-কষ্ট হবে তত বেশি নেশা হবে। নেশায় বুদ হয়ে যাও।

মায়াময়

তুমি নিজের জন্য যা ভালোবাস, সকলের জন্যও তা ভালোবাস। তোমার উপর কেউ অত্যাচার করে এটা যেমন তুমি চাও না, তেমনি অন্যের উপর ও অত্যাচার করো না। অন্যের মধ্যে যা খারাপ বলে তুমি মনে করো, নিজের মধ্যেও সেটা খারাপ বলে মনে করতে শেখো। তুমি যা জানো তাই ই বলবে। যা জানো না তা বলো না।------- হযরত আলী (রাঃ)

মায়াময় › বিস্তারিত পোস্টঃ

কিভাবে হৃদয় জয় করা হয়েছিল !!

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২


এক অন্ধ বৃদ্ধ ইহুদী ব্যাক্তি মদীনার বাজারের পাশে বসবাস করতো। প্রতিদিন সে চিৎকার করে মহানবী (সাঃ) এর প্রতি তাঁর ঘৃনা প্রকাশ করতো। সবাই বৃদ্ধকে এক বিরক্তজনক ব্যাক্তি বলেই মনে করতো। তার দেখাশুনার প্রতি কেউ খেয়াল রাখতো না... কেউই না; কেবল এক ব্যাক্তি ছাড়া। প্রতিদিন এক অচেনা দয়ালু ব্যাক্তি বাজারের সেই অন্ধ লোকটিকে খাবার খাওয়াত এবং তার যত্ন নিত। অতঃপর হঠাত একদিন, সেই অচেনা ব্যাক্তির আসা বন্ধ হয়ে গেল। এর প্রতিবাদে অন্ধ বৃদ্ধ ব্যাক্তিটি কেবল চিৎকার করতে থাকল যে, মোহাম্মদই তাঁর এভাবে ক্ষুধার্ত থাকার জন্য দায়ী।

সেদিন মহানবী মোহাম্মদ (সাঃ) এর তিরোধান হলো; সেদিন পুরো মদীনা নিরব নিথর হয়ে ছিল, বাজারটিও ছিল নিরব। আবু বকর (রাঃ), যিনি মহানবী (সাঃ) এর সর্বঘনিষ্ট সাহা্বী ছিলেন, সেই বাজারে অন্ধ বৃদ্ধ ব্যাক্তিটির খোঁজে গেলেন (মহানবীর পবিত্র অসিয়ত মতোই হবে) এবং দেখতে পেলেন সে এক কোনায় বসে মহানবী (সাঃ) কে অভিশাপ দিচ্ছে। আবু বকর (রাঃ) বললেন যে তিনি তাকে খাবার খাওয়াতে এসেছেন; কিন্তু অন্ধ বৃদ্ধ ব্যাক্তিটি আবু বকরকে (রাঃ) গালি দিয়ে বলল যে, সে কেবল সেই দয়ালু হাতেই খাবার খাবে যে প্রতিদিন তাঁর কাছে আসতো। আবু বকর (রাঃ) অন্ধ ব্যাক্তিটির মুখে খাবার দেয়ার চেষ্টা করলেন কিন্তু সে চিৎকার করে বললোঃ ‘যে লোক আমাকে রোজ খাবার খাওয়াত সে কখনো আমার মুখে শক্ত খাবার তুলে দিত না, সে প্রথমে নিজে তা চিবাতো এবং তারপর আস্তে করে তা আমার মুখে তুলে দিত নতুবা তা গলায় বেঁধে আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে যাবে’। আবু বকর (রাঃ) দুঃখে ভারাক্রান্ত হলেন এবং অশ্রুতে তাঁর চোখ ভিজে গেল। তিনি শক্ত রুটিগুলোকে চিবালেন এবং তা অল্প অল্প করে বৃদ্ধ লোকটির মুখে দিতে থাকলেন। কিন্তু বৃদ্ধ লোকটি আবারও চিৎকার করে উঠলোঃ ‘যে লোকটি আমাকে রোজ খাবার খাওয়াত সে কখনো তাড়াহুড়া করতো না, সে (দ্বিতীয় লুকমা মুখে দেয়ার আগে) ততক্ষণ পর্যন্ত অপেক্ষা করতো যতক্ষণ না আমার গলাধকরণ পুরোপুরি সম্পন্ন হয় এবং সে ততক্ষণ আমাকে ধৈর্যের সাথে খাওয়াত যতক্ষণ না আমার সম্পূর্ণ উদরপূর্তী হয়ে যায়’। আবু বকরের (রাঃ) হাত আবেগে কাঁপতে লাগল এবং তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন। “তুমি কি সেই লোকটির নাম জানো যে তোমাকে প্রতি রোজ খাবার খাওয়াত?” - তিনি অন্ধ লোকটিকে জিজ্ঞেস করলেন। "কিভাবে আমি জানব?" সে উত্তর দিল। "আমি তো কখনো তার নাম জিজ্ঞেসই করিনি।" কান্নাভেজা কন্ঠে আবু বকর (রাঃ) তাকে সেই ব্যাক্তির নামটি বললেন যে এসে পরম স্নেহের সাথে প্রতিদিন তাকে খাবার খাওয়াত। তাঁর পবিত্র নাম ছিল মোহাম্মদ (সাঃ), যিনি আজ আর বেঁচে নেই। তিনি ছিলেন ইসলামের মহান নবী (লক্ষ কোটি সালাম ও দরূদ তাঁর উপর সর্বদা বর্ষিত হতে থাকুক)। এ ছিল সেই লোক যাকে তুমি সর্বাধিক ঘৃনা করতে। একথা শোনার পর, সেই বৃদ্ধ অন্ধ লোকটির হ্রদয় বিগলিত হলো এবং সে সাথে সাথে ঘোষণা করলোঃ “আমি সাক্ষ্য বহন করছি যে আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মোহাম্মদ (সাঃ) তাঁর রাসূল”।
(সূত্রঃ ব্রিটিশ মুসলিম জোনাথন বাটারউর্থের বক্তৃতা থেকে)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:০৩

গোল্ডেন গ্লাইডার বলেছেন: “আমি সাক্ষ্য বহন করছি যে আল্লাহ ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই এবং আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মোহাম্মদ (সাঃ) তাঁর রাসূল”।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.