নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পোড়া কাঠ আর শুকনো পাতার গন্ধ

ফা হিম

আমি হাত পেতে রই এ বৃষ্টি ছোব বলে/রাশি রাশি বৃষ্টির ফোটা ধুয়ে যায় আহত আমায়/তবু কখনো ধরা দেয় না।/www.facebook.com/imfaahim

ফা হিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা চলচ্চিত্র ও নাটক নামের ক্যারিক্যাচার!!X(

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:২৭

বহুদিন যাবৎ শুনে আসছি বাংলা চলচ্চিত্র, নাটক ইত্যাদির ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। আগের মত লোকে হল-বিমুখ নয়, রুচিশীল দর্শকরা এখন টিকেট কেটে ছবি দেখছে, এক সময়ে যে অশ্লীলতায় সয়লাভ হয়ে গিয়েছিল, তা এখন আর নেই।



কিন্তু আদপেই কোন পরিবর্তন হয়েছে কি? নাকি বরং পুরোনো জিনিসেরই ভিন্ন রকম প্রতিচ্ছবি? ঘুরে ফিরে তো সব একই প্যাটার্নের কাহিনীই আমাদের সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে। হয় সিনেমার শেষে নায়ক প্রতিশোধ নিবে, অথবা ভিলেন নায়িকা বা তার আত্নীয় কাউকে ধরে নিয়ে যাবে এবং নায়ক তাদের উদ্ধার করবে। শেষে যদি পুলিশ নাও আসে তবু সেটা ভিন্ন গল্প হবে না, কখনই না।



কিছু কিছু সিনেমা যে ভালো হচ্ছে না তা না। এমন আগেও ছিল, এখনো আছে। সে যুগে "মাটির ময়না", "নিরন্তর" এসব ছবিও তো তৈরি হত সেকালে!



এখন প্রশ্ন হল উন্নতি বলতে আমরা কি বুঝি? কেউ যদি ভাবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, এনিমেটেড অ্যাকশন, ডিজিটাল ক্যামেরা এগুলো সব উন্নতির লক্ষণ তাহলে আমার বলার কিছু নেই।



অ্যাকশন-ধর্মী চলচ্চিত্রকে আমারা খুব গুরুত্ব দিচ্ছি। অথচ ভেবে দেখেন দেখি বিশ্বের কয়টা অ্যাকশন ফিল্ম কিংবা কমেডী মুভি অস্কার কিংবা কান চলচ্চিত্র অথবা এ ধরণের কোন আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাচ্ছে? রেটিং-ই বা পাচ্ছে কি রকম? এই রেটিং তো আমার আপনার মত লোকেরাই দিচ্ছি তাই না?



গতকাল দেখলাম একটা নাটক পুরোটাই সবুজ রঙের। সাধারণত বিশেষ কোন ক্ষেত্রে অথবা অতীতের দৃশ্য দেখালে কামেরার মুড পরিবর্তন করা হয়ে থাকে। কিন্তু ইদানিং লাখ টাকার ক্যামেরা দিয়ে নির্মাতারা যা করছে তাকে প্রযুক্তির অপব্যাবহার বলে মনে হয় আমার কাছে। একটা ভালো ছবির জন্য এত রং-বেরঙ্গের ক্যারিক্যাচারের আদৌ কোন প্রয়োজন আছে কি?

২০১৩ সালে অস্কারে মনোনিত হওয়া "নেব্রাস্কা" ছবিটি ছিল সাদাকালো। কান ফিল্ম ফেস্টিবাল ও গোল্ডেন গ্লোভ পুরস্কার পাওয়া জার্মান ছবি "হোয়াইট রিবন (২০০৯)"ও ছিল সাদাকালো। ২০১১ সালের ফরাসী ছবি "দ্য আর্টিস্ট" তো আরেক কাঠি সরেস, ওটা ছিল নির্বাক ছবি।



সিনেমা-নাটকের প্রয়োজনে ভিএফএক্স ব্যবহার হয়ে আসছে বহুদিন থেকেই। দামী সফটওয়্যার দিয়ে, ফটোশপের ঝামা ঘষে যা বানানো হচ্ছে তার বেশিরভাগই অপ্রয়োজনীয়। নায়কের দিকে বুলেট এগিয়ে যাচ্ছে আর নায়ক সময়মত সরে পরছে, এ জাতীয় বস্তু আর কত খাওয়ান হবে? অথচ সফটওয়্যারের সাহায্য ছাড়াও কিন্তু ভিএফএক্স বানানো যায়।

কম্পিউটার গ্রাফিক্স করে যে দৃশ্য তৈরি করা হয় তাতে এতটাই খুত থাকে যে সামান্য একটা লোকেও বুঝবে যে এটা ভুয়া। নাটকে হেলিকপ্টার দেখাবে, সেটাও কাঁচাহাতের ফটোশপ দিয়ে। যদি দর্শক বুঝেই ফেলে সবকিছু, তবে এটা বানানোর দরকার কি? এগুলো না হলে কি ছবি হবে না?



বাংলা নাটকের ক্ষেত্রে আমরা দেখি পুরোটাই উদ্দেশ্যহীন সংলাপে পরিপূর্ণ। একটা বক্তব্য উপস্থাপন করতে গেলে অযথাই বাড়তি পাঁচ-দশটা সংলাপ ডুকানো হচ্ছে। কেন? একমাত্র কারণ হতে পারে নাট্যকার আর তেমন কিছু যোগ করতে পারছেন না কাহিনীতে, তাই সময়ক্ষেপণ করছেন। এমনই দৈন্যদশা তাদের।

একবার এক নাটক চোখে পরেছিল যেটা মূলত একটা শর্টফিল্ম (সম্ভবত তুর্কি) এর নকল। মূল ফিল্মটি ছিল পাঁচ মিনিটের আর নাটক প্রায় এক ঘন্টার!!

তরুন গায়ক ও নাটক নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমনকেও দেখি নাটকের মাধ্যমে তার কিছু কিছু গান দর্শকদের শুনিয়ে ছাড়ছে। তাও ভালো, লোকে কিছু গান শুনে কিছুটা বিনোদিত হতে পারে, নাটকের কাহিনী বুঝুক আর মাথার উপর দিয়েই যাক।

কিন্তু অনেক নাটকের মাঝখানেই সস্তা গান ডুকিয়ে প্রায় দশ-বিশ ভাগ সময় খেয়ে দেয়া হচ্ছে। এমন দৈন্যতা কত দেখব?



সব মিলিয়ে বাংলা চলচ্চিত্র এবং নাটকের ভবিষ্যৎ হতাশ না হয়ে পারছি না।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:০৩

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: একমত ভ্রাতা ।
তবে এত্তো এত্তো নাটক টেলিফিল্ম এর ভিড়ে ভৌতিক নাটক '' আলো '' আর কমেডি নাটক '' কুফা বিবাহ'' আসলেই অসাধারন লেগেছিলো :)
শুভেচ্ছা :)

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৫২

ফা হিম বলেছেন: হুম মাঝে মাঝে ভালো কিছু নাটক-সিনেমাও আমরা পাই। কিন্তু এর ধারবাহিকতা বজায় থাকে না, এটাই সমস্যা।

ধন্যবাদ

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: আসলেই বেহাল দশা।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২

ফা হিম বলেছেন: হুম

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৫০

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: সহমত! অপূর্ন ভাইয়ের মন্তব্যের সাথে একমত!

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২২

ফা হিম বলেছেন: ধন্যবাদ কাভা ভাই

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৩৪

সুমন কর বলেছেন: সহমত।

আগে তাও ৬-৭টা চ্যানেল ছিল। নাটক, টেলিফিল্ম, গানের প্রোগাম কিছু দেখা হতো। আর এখন দেখাই যায় না। এ্যাডের যন্ত্রণা বিশাল। তাই এবার তেমন প্রোগাম দেখিই নাই।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২০

ফা হিম বলেছেন: শুধু কেবল অ্যাডের কারণে বাংলা নাটক বেশিরভাগ সময় মার খেয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য কারণ তো আছেই।

এখন টিভিতে দেখার চেয়ে বেশিরভাগ লোকই ডাউনলোড করে দেখে।

৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ২:৫৮

দারাশিকো বলেছেন: টিভি নাটক নিয়ে বলতে পারছি না - টিভি নাটক দেখা হয় না। সিনেমা নিয়ে যা বললেন সেখানে কিছু কিছু বিষয়ে কিঞ্চিত দ্বিমত পোষন করি। বাংলাদেশের সিনেমায় কারিগরী উন্নতি ঘটছে - তবে সেটা ধীরগতির এবং বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই মানসম্মত হচ্ছে না। গল্প বলার স্টাইলেও কিছু পরিবর্তন আসছে - তবে সেগুলো ভারত-প্রভাবিত। সিনেমার উন্নতির জন্য বাংলাদেশীয়তা বেশী প্রয়োজন। সিনেমার দিকে দর্শক ফিরছে - এটা তো কোনভাবেই অস্বীকার করা যাবে না। ফান করার জন্য হোক বা ব্যঙ্গ, সিনেমাহলে শিক্ষিত তরুণ দর্শকরা যাচ্ছেন - এটা আরও বাড়বে।

অ্যাকশন সিনেমার দিকে বেশী দৃষ্টি থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কারণ সিনেমায় যারা লগ্নী করেন তারা সেই লগ্নীকৃত অর্থ ফেরতও আনতে চান। সেই নিশ্চয়তা অ্যাকশন সিনেমায়, গতানুগতিক গল্পে, স্টার অভিনেতার ক্ষেত্রে বেশী। পি এ কাজলের সিনেমা 'মুক্তি' এ বছর চ্যানেল আইয়ে প্রচারিত হচ্ছে - কোন হল নিতে রাজী হয় নি। কারণ কি? মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুতোষ সিনেমা দেখিয়ে হল মালিকরা ব্যবসা করতে পারবে না। আবার অনুদানের ছবি না হলে ইমপ্রেসও এই ছবি কিনতো না - অর্ধেক বিনিয়োগ করে পুরো সিনেমা পেতে হলে অনুদানের ছবি কেনার বিকল্প নেই।

চলচ্চিত্রের উন্নয়নটা সামগ্রীকভাবে হতে হবে এবং জড়িত সব পক্ষকেই ভূমিকা রাখতে হবে। শুধু নির্মাতাগোষ্ঠীর দায়িত্ব যেমন নয়, তেমনি শুধু দর্শকগোষ্ঠীরও দায়িত্ব নয় সিনেমাশিল্পের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার। আমি আশাবাদী - তবে শঙ্কিত - আমাদের নিজস্বতা বলে শেষ পর্যন্ত কিছু থাকবে কিনা সে ব্যাপারে। দেখা যাক!

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৭

ফা হিম বলেছেন: কারিগরী উন্নতি যে ঘটেছে এ ব্যাপারে। তবে সেটা সঠিকভাবে হচ্ছে না। বাইরের দেশে গ্রাফিক্স এনিমেশনের জন্য আলাদা ক্রু থাকে, স্টুডিও থাকে। সেখানে প্রায় শ'খানেক লোক একসাথে খেটে খেটে একেকটা দৃশ্য তৈরি করে। কিন্তু আমাদের দেখা যায় হাতে গোনা কয়েকজন নিজেরাই করে ফেলছে এনিমেশন সফটওয়্যার ব্যবহার করে। মানসম্পন্ন তো হচ্ছে না, কোলকাতার চেয়েও বাজে অবস্থা।

আবার কখনো কখনো অকারণেই প্রযুক্তির ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়। যেমনটা জলিল কিংবা এ সময়ের জাহাঙ্গির শেঠের ক্ষেত্রে দেখি। বন্দুকের গুলি ছুটে যাওয়া, গাড়ি উড়ে যাওয়া, এইসব দৃশ্যের আদৌ কোন উপযোগিতা আছে কি? তবে পয়সা এবং শ্রম খরচ করে এইসব বানানো কেন?

চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে নিজস্বতার দাবী আমারও। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এই প্রসংগটা তুলে আনার জন্য।

যেমন অ্যাকশন-ধর্মী ছবির ক্ষেত্রেই ধরুন। মাফিয়া, এস্পিওনাজ, এগুলো কি আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে যায়? এটা শুধুই বিদেশীদের অনুকরণ। আবার রাস্তায় একা পেয়ে কোন মেয়ের উপর দলবেধে হামলে পরা, অতপর হিরোর আগমন; কিংবা হিরোর এক ঘুষিতে দেয়াল ভেঙ্গে পরা, এসবও কোন কাজের জিনিস নয়। আমরা চাইলেই আমাদের নিজস্ব ধারা কিংবা বাস্তবতা নিয়ে অ্যাকশন ছবি বানাতে পারি। আরো স্পষ্ট করে বললে যে দেশে এত এত মাদক চোরাকারবারি, সন্ত্রাসী গডফাদার, গুম-খুন, বনদস্যু সেখানে অ্যাকশন ছবি বানানোর জন্য অন্যেরটা নকল করা কেন??

ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য।

৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:১৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


ভাল ছবি মানেই যে অ্যাকশন-ধর্মী ছবি হওয়া চলবেনা এমন ধারনা বোধ করি ঠিক না। আর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি, এনিমেটেড অ্যাকশন, ডিজিটাল ক্যামেরা এগুলো একটি বিশাল ফ্যাক্ট। আজ থেকে বছর দশেক আগেও কোলকাতার হলুদ প্রিন্টের সিনেমার প্রতি মানুষ মুখ ফিরিয়ে বিয়েছিলো। কিন্তু এখন দেখুনতো প্রযুক্তির ছোঁয়ায় সেই একই কাহিনী নির্ভর ছবিগুলো কেমন দর্শক প্রিয়তা পাচ্ছে। গানের কম্পোজিশনেও এসেছে আধুনিকতা। শুধু আর্ট ফিল্ম বানালেই যে চলচ্চিত্রের উন্নতি হয়ে যাবে কিংবা টেলিভিশন অথবা ব্যাচেলর টাইপ সিনেমা উন্নতির লক্ষন নয়।

সিনেমার মূল হলো ব্যবসা সফলতা। বেদের মেয়ে জোছনা, ভেজা চোখ কিংবা সালমান শাহ অভিনীত ব্যবসা সফল সিনেমা গুলোর কথা তাহলে কি বলবেন ? তখন কি মানুষ দল বেঁধে এই সব ছবি হলে গিয়ে দেখে নাই ?

সমস্যা হলো মাঝে বাংলা চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা ছেয়ে গিয়েছিল এখন তা আর তেমন নেই বললেই চলে। গান থেকে শুরু করে চিত্রায়ন সব কিছুতেই চেষ্টা করা হচ্ছে মান উন্নয়নের। কাহিনীতেই কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। দরকার শুধু আমাদের হল মুখী হওয়া। শুধু সমালোচনা না করে আসুন হলে গিয়ে সিনেমা দেখি তাহলেই প্রযোজক ও পরিচালকরা উৎসাহী হয়ে ভাল ছবি বানাবেন।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৯

ফা হিম বলেছেন: শুধু ব্যবসা সাফল্যের ব্যাপারটা ঠিক মানতে পারলাম না। আবার সব একত্রে আর্ট ফিল্ম বানাতে হবে সেটাও ঠিক না। ব্যবসা সফল হবার জন্য অ্যাকশন ছবি-ই বানাতে হবে এমনটা আমি মনে করি না। যেমন ধরুন "মনপুরা" কিংবা "মোল্লা বাড়ির বউ"-ও মোটামুটি ব্যবসা সফল ছিল। কিংবা হুমায়ুন আহমেদের টেলিফিল্ম, নাটক এবং সিনেমাগুলো। আর "উধাও"-ও তো ভালোই সাড়া জাগিয়েছিল।

বাঙ্গালাদেশে দুটো গুরুত্বপূর্ণ সিনেমার ধরণকে এখনো অবহেলা করা হচ্ছে -- একটা হল সাস্পেন্স, আরেকটা হরর। ভেবে দেখেন তো এই ধাঁচের ছবি কয়টা তৈরি হয়েছে? আমার মতে এ জাতীয় সিনেমা বানানো গেলে সেগুলোও সাড়া জাগাতে পারে। শুধু অ্যাকশন ছবির প্রতি অবসেসন কোন কাজে আসবে না।

আপনাকে ধন্যবাদ সুচিন্তিত মন্তব্যের জন্য।

৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৬

মামুন রশিদ বলেছেন: যে প্রযোজক সেই পরিচালক, আবার সেই নাট্যকার । আমাদের নাটকের ইন্ডাস্ট্রি বেশ বড়, কিন্তু এখানে প্রফেশনালিজমের ছিটেফোটাও নাই । সেই একই ফরমেটে একই কাহিনী আর কিছু মুখস্ত ডায়লগ- ব্যস বানিয়ে চ্যানেলে জমা দাও । আপনি যে মানের নাটকই বানান না কেন, চ্যানেলগুলো তা কিনে নিবে এবং তা প্রচারে বিজ্ষাপন পাওয়া কোন ব্যাপারই নয় ।

চমৎকার পোস্ট ।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৫

ফা হিম বলেছেন: আর কাহিনীগুলো একেবারে প্রেডিক্টেবল। উদ্দেশ্যহীন এবং অপ্রয়োজনীয় সংলাপ আর দৃশ্য দিয়ে ঠাসা। আর মেরাথন বিজ্ঞাপনের ব্যাপার তো আছেই। অনেক ভালো নাটকও এর ভিতর হারিয়ে যায়। নাটকের কাহিনী যত ভালো, বিজ্ঞাপন তত বেশি, এ যেন একটা থিউরী হয়ে দাড়িয়েছে।

ধন্যবাদ মামুন ভাই।

৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৫

লেখোয়াড় বলেছেন:
আর বলবেন না।
ওরা মনে করে কি সেরাটাই না করলাম।

ধন্যবাদ লেখার জন্য।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৫

ফা হিম বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য :)

৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৪

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: বাংলা চলচ্চিত্র ও নাটকের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা হলো এগুলোর কাহিনী ও নির্মাণশৈলী। রাইট ম্যান ইজ নট টু দ্যা রাইট চেয়ার।
ধন্যবাদ, ফা হিম।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৬

ফা হিম বলেছেন: একেবারে আসল কথাটাই বলে দিলেন।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১০| ১১ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৩৯

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: টিভি দেখি না , সিনেমাও না । পুরাই বেরসিক হয়ে যাচ্ছি !

১৩ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪৮

ফা হিম বলেছেন: টিভি দেখার কি দরকার? ইণ্টারনেট আছে না? জলিল মামার সিনেমা দেখালাম ইউটিউবে!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.