নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পোড়া কাঠ আর শুকনো পাতার গন্ধ

ফা হিম

আমি হাত পেতে রই এ বৃষ্টি ছোব বলে/রাশি রাশি বৃষ্টির ফোটা ধুয়ে যায় আহত আমায়/তবু কখনো ধরা দেয় না।/www.facebook.com/imfaahim

ফা হিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

যে দেশকে কোনদিন স্বীকার করেনি, সেই দেশেই গো আযমের কবর হল!

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২০

আপাতত ঘটনার পরিসমাপ্তি এখানেই। স্বাধীনতার ইতিহাসের সবচেয়ে কুখ্যাত নামটি যার বার বার উচ্চারিত হয়েছে, সেই গো আযমের দাফন-কাফন সব হয়ে গেল। এবং একেবারে নির্বিঘ্নেই!

আমি সত্যি হতাশ, মর্মাহত, বিরক্ত! জীবিত থাকতে সেই লোকটি বাংলাদেশকে স্বীকার তো করেইনি, বরং মৃত্যুর আগ পর্যিন্ত ষড়যন্ত্র চালিয়ে গেছে। আমরা তার কিছু করতে পারলাম না। উলটো উন্নত হাসপাতালের বিলাশ-বহুল কক্ষে সুখে-শান্তিতে দিন পার করতে দেখলাম। অবাক হয়ে দেখলাম মুক্তিযুদ্ধ চেতনার ধ্বজা-ধারী দলটি ক্ষমতায় থাকার পরও যুদ্ধের সবচেয়ে ঘৃণীত ব্যক্তিটির জানাজা, দাফন সব এই দেশের মাটিতেই হল। শুনেছি গো আযমের নাকি দেশের নাগরিকত্বও নেই। তবু নির্বিঘ্নে একটা দেশের একটা রাজনৈতিক দল চালিয়ে গেল, দেশের টাকায় তার বিলাসী জীবন-ধারণ চলল।

আমি অবাক হয়ে দেখালাম এই ঘটনায় আমরা প্রায় প্রতিক্রিয়াহীন। যেন কারোই কোন কিছু যায় আসে না! আমরা সব ষড়যন্ত্র ভুলে গেছি। শাহবাগ, পল্টনে বিচ্ছিন্ন কিছু প্রতিবাদ হতে দেখেছি। অথচ সেখানে লোক সমাগম নেই। গণজাগরণ তো এখন দিন দিন ব্যানার-সর্বস্ব হয়ে যাচ্ছে, সেটা না হয় বাদ গেল। কিন্তু আমরা সাধারণ মানুষের মুখে কোন প্রতিবাদ ছিল না।

আরো বিস্মিত হলাম তাদের বিচ্ছিন্নতা দেখে। একদিকে শাহবাগ, আরেকদিকে সিপি, আরেক দিকে অন্যান্য সংগঠনগুলো। এই বিশেষ একটা ইস্যুতেও কি সবাই এক জায়গায় হতে পারত না?

আর এদিকে পুলিশ পাহারায় সব সম্পন্ন করার মানে কি? প্রতিবাদকারীদের রাস্তায় দাড়াতে দেয়া হয় না। আমাদের একজন চিরশত্রুকে এত নিরাপত্তা, এত প্রটোকল দেয়া কেন? আর লাশ বয়ে নিয়ে গেল নির্বিঘ্নভাবে তার পরিবার, কেউ কোন বাধার সম্মুখীন হল না। পুলিশের ভয়েই কিনা কে জানে, শুধু দূরে দাঁড়িয়ে আস্ফালনই করে গেল সবাই, অদ্ভূত সব কর্মসূচীর আয়োজন করল। কাজের কাজ কিছুই হল।

এর ভিতর খবর শোনা গেল কে নাকি গো আযমের কফিনে জুতা ছুড়ে মেরেছে। যাক, তাও একটা স্বস্তি মেলে আর কি, কেউ না কেউ একেবারে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে কিছু করার সাহস দেখিয়েছে। কিন্তু সেটাও যেন শুরু হয়েই শেষ। কারো কোন কিছু আসলো গেল না। হয়তো আশি-নব্বই এর দশক হলে এটা খুব বড় ধরণের খবর হত, এখন সব গা সওয়া হয়ে গেছে। একজন তো অনলাইনে বলেই দিয়েছে, - কত মন্ত্রী-মিনিস্টারই তো জুতার বাড়ি খাইল, তাতে কি হইছে?

অনলাইনে (এবং অফলাইনেও) আজকের তরুন-যুবকদের অবস্থা দেখে আমি বড় হতাশ হতে হয়। এত এত প্রমাণ হাজির করার পরও তারা একজন প্রতিষ্ঠিত রাজাকারকে নির্দোষ প্রমাণে ব্যস্ত। যার জানাজায় এত এত লোক হয় সে নাকি "খ্রাপ" হতে পারে না! কেউ বা বঙ্গবন্ধুকে গণহত্যাকারী বানিয়ে দেয়, আর গো আযম তার তুলনায় নিস্পাপ বলে প্রচার করে। এসব দেখে অনেক মৃত রাজাকারের জন্য বড় করুণা হয়। আর কয়েক বছর বেঁচে থাকলেই তো তারা একেজন নিস্পাপ এমনকি "মুক্তিযোদ্ধা" হয়েও বসে থাকত!!

মন্তব্য ৪০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২৪

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভাষাহীন ভ্রাতা ভাষাহীন । বলার কিছুই খুঁজে পাচ্ছি না । বাংলায় কথা বলি তো তাই কণ্ঠায় এসে বেঁধে যাচ্ছে । X(( :(

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭

ফা হিম বলেছেন: বাংলায় বলতে সমস্যা নাই তো ভাই, গো শাবকটা আবার ভাষা আন্দোলনে ছিল বলে? সে তো পরে তওবা কইরা বলছে ওইটা তার ভুল ছিল।

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৬

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: কত লম্ফঝম্প! কত ঠাটবাঁট! এরে বাংলার মাটিতে দাফন করতে দেওয়া হবেনা - ওরে ফাকিস্তান পাঠাও - এর কবরকে থুতু ফেলানোর জায়গা বানাও। ওর কবরে ঘৃণা স্তম্ভ প্রতিষ্ঠা কর।

আল্লাহ তায়ালা মানুষের সবচেয়ে বেশি যে আচরণ অপছন্দ করেন, তা হল দম্ভ। যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমকে নিয়ে চেতনাধারীদের দম্ভ সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। পক্ষান্তরে তার দলকে শুন্য থেকে মহীরুহে পরিণত করার পরেও গোলাম আযমের মধ্যে কখনও কোন দম্ভের ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি।

আল্লাহ ধৈর্যশীল এবং কর্মঠ ব্যক্তিদেরকে পুরস্কৃত করেন আর দম্ভ করাদেরকে উপযুক্ত শিক্ষা দেন। কিন্তু গোলাম আযমের মৃত্যু পরবর্তী ঘটনাবলী তাদেরকে আসলে খুব যন্ত্রণাদায়ক শিক্ষাই দিয়ে দিয়েছে।

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯

ইউরো-বাংলা বলেছেন: আপনি যা শুনেছেন ভুল শুনেছেন। গোলাম আযম বাংলাদেশের পাসপোর্টে ইউরোপ, আমেরিকা , আফ্রিকা ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশ সফর করেছিলেন। বিশ্বাস না করলে ইউটিউবে গোলাম আযম লিখে সার্চ দিন।

তিনি অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৫০

ফা হিম বলেছেন: তাতে কি সে নির্দোষ হয়ে গেল রে ছাগু? ইউরোপ, আমেরিকা, মিডিল-ইস্টে গিয়া যে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে না করছে সেই খবর রাখো না? তারপরও যদি তার বাংলাদেশী পাসপোর্ট থাকে তবে সে "মোনাফেক" ছাড়া আর কিছু না।

খুব খিয়াল কইরা রে পাগলা!

৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৯

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: আমার শেষ পোস্টটি @নীল আকাশ ২০১৪ এবং @ইউরো-বাংলা কে উৎসর্গ করলাম । আপনারা আমন্তৃত

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৯

নাসরীন খান বলেছেন: সে তো নিজের সাথে নিজে প্রতারনা করেছে। যে দেশকে স্বীকার করেনি,সে সেখানকার নাগরিকত্বধারী পাসপো্রট বহন করে বেড়িয়েছে কেন?

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:২১

ফা হিম বলেছেন: ঠিক বলেছেন, আপনার কথায় একটুও ভুল নাই।

৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:১৬

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: প্লাস দিয়া গেলাম । :)

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:২৪

ফা হিম বলেছেন: প্লাসের জন্য ধন্যবাদ

৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:২৪

মামুন রশিদ বলেছেন: বাঙালী, বাংলাদেশ যতদিন বেঁচে থাকবে, এই পশুটাও ততদিন বেঁচে থাকবে মানুষের চরম ঘৃণার পাত্র হয়ে ।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৪৮

ফা হিম বলেছেন: মামুন রশিদ বলেছেন: বাঙালী, বাংলাদেশ যতদিন বেঁচে থাকবে, এই পশুটাও ততদিন বেঁচে থাকবে মানুষের চরম ঘৃণার পাত্র হয়ে ।

মগবাজারের কবরে লোকে থুথু ছিটাবে।

৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:২৯

মোগল সম্রাট বলেছেন: এখন আরো ষ্পষ্ট হলো আওমিলীগের সাথে জামাতের যে একটা নেগোসিয়েশন হয়ে গেছে তা আর পাবলিকের বোঝার বাকি নাই। সব সম্ভবের দেশ এই বাংলাদেশ। এখানে রাজাকারের জানাজা জাতীয় মসজিদে হয়, তাতে আবার হাজার হাজার মানুষ (!) ও আসে আর আমাদের তাই নির্লজ্জ দৃষ্টিতে দেখতে হয়, মানতে হয়।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৫১

ফা হিম বলেছেন: সেটাই মনে হচ্ছে। রাগে-দুঃখে এখন চুল ছেড়া ছাড়া উপায় নাই। কেউ ভালো না X( X(

৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৩৭

ইউরো-বাংলা বলেছেন: আরে মূর্খ ছাগল তুমি যে ভুল লিখেছো, সেটাই আমি ধরিয়ে দিয়েছি। আর তুমি কিনা আমাকে বলছ ছাগু!!!

এইতো দেখছি হাসিনার মুখে রাম রাম !

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৫২

ফা হিম বলেছেন: কেন, তোমরাও "রাম রাম" কর বুঝি রামছাগল!

১০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৪২

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ভ্রাতা , এভাবে ছাগু বলে কেউ ? আগুন ধরে যাচ্ছে না ! পোড়া গন্ধ পাচ্ছি । আপনি নিশ্চয়ই ছুপা ব্যাবহার করতে ভুলে গিয়েছেন ।


এসো নীপবনে ছায়াবীথিতলে ............ ( পড়ুন , কাঁঠালবনে ) =p~

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৫

ফা হিম বলেছেন: বড় চিন্তায় আছি, ভবিষ্যতে আর কাঁঠাল বন থাকে না কি এই ছুপা-ছাগুরা সব খেয়ে দেয়।

ইউরো-বাংলা বহুত পুরানা একটা ছুপা-ছাগু, এখনো যে টিকে আছে এটাই বিস্ময়!

১১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:৫৪

মামুন রশিদ বলেছেন: অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: আমার শেষ পোস্টটি @নীল আকাশ ২০১৪ এবং @ইউরো-বাংলা কে উৎসর্গ করলাম । আপনারা আমন্তৃত ।


পিলাচ ;)

১২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: একটাই সান্ত্বনা

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৪৪

ফা হিম বলেছেন: হুম

১৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:১৪

নীল আকাশ ২০১৪ বলেছেন: @অপূর্ণ! আপনার উৎসর্গ পত্র সফল হইয়াছে। জানাদি আমায় জেনারেল থেকে ওয়াচে নিয়েছেন। এখন থেকে আমি আর কোন পোস্ট করতে পারবনা। কেবল কমেন্ট করতে পারব। এই সুযোগ উনি কতদিন রাখেন, তা দেখার অপেক্ষায় আছি।

১৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:১৯

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: @নীল আকাশ ২০১৪ , বিপদে ডরে না ভীর !

আল্লাহ্‌ আপনার মঙ্গল করুন ।

১৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:২২

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: তবে আমার উটসর্গে এমনটা হয়েছে বলে মনে করি না । আমার আপনার থেকে ব্লগে জানা আপু বেশী নজর রাখেন ও ভালো বুঝেন বলেই মনে করি ।

সত্য সুন্দর ও আলোর পথে ফিরে আসুন ।

১৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১:২৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:


+++++

তাদের যে দেশেই কবর হোক না কেন তারা খারাপ লোক। রাজাকার।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:৫৩

ফা হিম বলেছেন: রাজাকারের কোন দেশ নাই। তাদের একটাই পরিচয়, তারা রাজাকার।

১৭| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৩৪

অতঃপর জাহিদ বলেছেন: কেউ কিছু করতে পারলাম না, এরকমই একদিন রাজাকারের দখলে চলে যাবে দেশ!!!

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:১৩

ফা হিম বলেছেন: সেই প্রক্রিয়ার যেন শুরু দেখতেছি

১৮| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৩৮

কলমের কালি শেষ বলেছেন: হতাশ । :( :(

১৯| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ৯:৪৫

আমি শঙ্খনীল কারাগার বলেছেন: সব কিছু একদিন নষ্টদের হাতে চলে যাবে।

২০| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৪ রাত ১০:৩৯

অতঃপর জাহিদ বলেছেন: গোলাম আযমের জানাজায় কুটি কুটি মানুষ হইছে, সো দ্যাট গোলাম আযম ছিল একজন সহী মুসলমান, একজন চরম ভালো মানুষ। মানুষ যে যত ভালো হয় তার জানাজায় তত বেশি লোক সমাগম হয়। কালকে থেকে এইসব শুনতে শুনতে বিরক্ত। গোলাম আযম কত বড় কালপ্রিট ছিল তা সবাই জানে। এমনকি গোলামের জানাজার কাতারে দাঁড়ানো মুতে পানি নেয়া না নেয়া হাজার হাজার মানুষগুলোও। কিন্তু তারপরও কেন তারা গোলামের জানাজায় গেল? দুইটা প্রধান কারন এমনিতেই বোঝা যায়।
প্রথমত, ১৬ কোটি জনসংখ্যার এই দেশে অভাবী লোকের অভাব নেই। কয়েকটা টাকা ছিটালে এখানে হাজার হাজার, কুটি কুটি মানুষ পাওয়া যায়। আর এই জামাত তো গত ৪২ বছর ধরে বাংলাদেশের হাজার হাজার অভাবী পরিবারগুলো খুজেঁ নিয়েছে অসংখ্য ছেলেকে। দিয়েছে অর্থ সহায়তা, করেছে মগজ ধোলাই। তাই গোলামের জানাজায় এই বিশাল লোকারণ্য দেখে আমি মোটেও অবাক হইনি, এটাই স্বাভাবিক ছিল।
দ্বিতীয়ত, গোলাম আযম জামায়াতের একজন প্রধান কান্ডারী ছিল। তার জানাজায় লোক সমাগম না হলে সেটা জামাতের প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে দাঁড়াইতো। তাই গোলাম আযমের জানাজায় যে কোন মুল্যে লোক সমাগম করতে হবে এটা পলিটিক্যাল এজেন্ডার অংশ। বলতে পারেন একটা দলীয় শো ডাউন ছিল এই জানাজা।
লোক সমাগম কোন বিষয়না। যে কোন পলিটিক্যাল সমাবেশে জনসংখ্যার ঢেউ দেখলেই বোঝা যায় এই দেশে মানুষ জড়ো করা কত সহজ কাজ। বেশি দুরে তাকাতে হবেনা, হেফাজতে ইসলামের ঐ ৫ মে'র সমাবেশের কথাই ভেবে দেখেন। হেফাজতের সমাবেশ দেখে মনে হয়নাই দেশের সব মানুষ হেফাজতের ই পক্ষে? কিন্তু সেই হেফাজতের কুটি কুটি মানুষ এখন কোথায়?
শোনেন, কারো জানাজায় লোক বেশি হলেই যদি প্রমান হয় সে সহী, শুদ্ধ মুসলমান তাহলে ব্লাগার রাজীব হায়দার (থাবা বাবা) সবচেয়ে বড় সহী মুসলমান। যদি বিশ্বাস করেন গোলাম আযম একজন পবিত্র মুসলমান বলে তার জানাজায় বেশি লোক হইছে তাইলে এইখানে স্বীকার করে যান ব্লগার রাজীব হায়দারও একজন বিরাট আলেম-কামেল ব্যক্তি ছিল।
তোমরা যারা রাজাকার গোলামের জানাজায় অংশ নিয়েছো, ধিক!

লিখেছেন :আপেল মাহমুদ

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২২

ফা হিম বলেছেন: আমার অবশ্য অন্যরকম একটা থিউরী আছে। আপনি দেখবেন মোটামুটি রকমের কোন ওয়াজ-মাহফিল হলেই লোক জড়ো হয়ে যায়। এ দেশের মানুষের ফ্রি টাইমের অভাব নেই। আর কোন কিছুতে একটু ধর্মীয় গন্ধ ছড়িয়ে দিতে পারলে "সোয়াবে"র আশায় লোকে সেখানে যাবেই। হেফাজতের সমাবেশেও এই "সোয়াবে"র আশায় লাখো লোকের আগমণ!

২১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ৯:০১

চলতি নিয়ম বলেছেন: রাজাকারের জানাজায় এত মানুষের উপস্তিথিই প্রমান করে দেশের কত মানুষ রাজাকারের বংশধর X(( X((

২২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২০

আলম দীপ্র বলেছেন: একজন সাধারণ মানুষের চেয়ে আনন্দের মৃত্যু হল মনে হয় । !
সে যা করেছে তাতে মৃত্যুও তার জন্য যথেষ্ট শাস্তি বলে মনে হয় না !
পুরোই হতাশ :( :(

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২৫

ফা হিম বলেছেন: বড়ই আনন্দময় মৃত্যু, একটা বিলাসী মৃত্যু!

২৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭

অথঃপর আমি বলেছেন: যেহেতু গো-আযম মারা গিয়েছে তাই তাকে নিয়ে হয়তবা আর বেশী আলোচনা করা যাবেনা। তবে আমাদের উচিৎ এখন তার লিখিত বইগুলো পড়া এবং সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা। সেখানে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী বা ইসলাম বিরোধী কিছু আছে কিনা তা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে এবং এসব বিষয়ে মানুষকে সাবধান করাও আমাদের দায়িত্ব। আসুন আমরা সবাই তার বইগুলো পড়ে সেগুলো থেকে ভুল বের করি।

তার লিখিত কিছু বই হলো: ইকামাতে দ্বীন, আদম সৃষ্টির হাকিকত, জীবন্ত নামাজ, মনটাকে কাজ দিন, মুমিনের জেলখানা, আল্লাহর দরবারে ধরণা ইত্যাদি।

২৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৫৭

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: @অথঃপর আমি , রিভার্স খেলেন নাকি ? গুআজম এর বই পইড়া ভুল বাইর করতে হবে ! খেয়ে দেয়া কাজ নাই নাকি আর ! ওইগুলা যাদের পড়ার দরকার তারা পড়ুক আর বেহেস্তের টিকিট কাটুক । অনেক ভালো ভালো সুফি আলেমদের লেখা অনেক ভালো বই আছে , ওইগুলা পড়ুন , কাজে লাগবে ।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:২৮

ফা হিম বলেছেন: একেবারে দাঁত ভাঙ্গা জবাব!

২৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ২:২০

একে৪৭ বলেছেন: ভাই আপনার বয়স কত???
যখনকার কাহীনি বললেন তখন আপনি ছিলেন তো??? যা যা বলেন বা বলছেন তা কি স্বচক্ষে দেখেছিলেন???
নাকি আমার মতোই বিভিন্ন রং এর বই দেখে দেখে চিৎকার চেচামেচি করছেন? যে বইয়ে নিজের পছন্দমতো লেখা হয়েছে, তার তথ্য নিয়েই ভারী ভারী কথা বলছেন?
যদি বলেন তখন ছিলেন বা স্বচক্ষে দেখেছিলেন, তাহলে কোন কথা নাই।
অন্যথায় বলব, ভাই এ দুনিয়াতে কেউই নিরপেক্ষ নয়। যারা ইতিহাসগুলো লিখেছে তারাও নিরপেক্ষ ছিলনা। তাদের নিজেদের চিন্তা চেতনার প্রতিফলন অবশ্যই তাদের মধ্যে ছিল।
কোন না কোন পক্ষ নেয়া মানুষের প্রজাতিগত অভ্যাস।
[ প্রমান চাইলে নিজে নিজে দাবা খেলতে বসে পরুন। একবার এপাশ থেকে চাল দিন, এর পর বোর্ড ঘুরিয়ে অপর পাশ থেকে চাল দিন। খেয়াল করবেন আপনি মনের অজান্তেই একটি পক্ষকে ফেভার দিতে চাইছেন! ]
তাদের কথা সত্য হতেও পারে, নাও হতে পারে। ৪৩ বছরে পানি অনেক গড়িয়েছে। একই ইতিহাসে একেকজন নিজের মনের মতো করে রং লাগিয়েছে। তার মধ্যে আসল রং খুজে বের করা এখন প্রায় অসম্ভব!!!
গোলাম আযম সহ অন্যরা কোন সত্যিই কোন অপরাধ করেছিল কিনা তা জোর গলায় বলার জন্য সঠিক মানুষ আমরা নই। আর যারা বলতে পারত তারাও আযমদের সাথে রাজনিতীর খেলায় জড়িত। এখন এটা যে তাদের কোন রাজনৈতীক চাল নয় তাও কিভাবে নিশ্চত হচ্ছেন?
যদি তারা সত্যিই অপরাধী হয়ে থাকে তবে তাদের বিচার হোক (যদিও তার প্রমান বের করা এখন প্রায় অসম্ভব) । কিন্তু যদি তারা সত্যিকার অর্থে অপরাধি না হয়ে থাকে তবে অযথা একজনকে গালা-গালি করে আমরা কি নিজের বিবেকের কাছে অপরাধী হয়ে যাচ্ছি না?
সাহবাগে জড়ো হয়ে চিৎকার করাদের বেশীরভাগই আমার বয়সি।কিভাবে তারা না জেনে আরেকজনের সরাসরি ফাঁসি দাবি করে???

আমি শুধু বলতে চাইছি, এ ব্যাপারে চিৎকার চেচামেচি করার জন্য সঠিক পারসন আমরা নই, এটা আমাদের কাজ নয়।
আমরা একসাথে যতটুকু দেখেছি ততটুকু নিয়ে ভাবতে পারি, বর্তমান নিয়ে কাজ করতে পারি এবং সুন্দর ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করতে পারি।

৩০ শে অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১০:৩৬

ফা হিম বলেছেন: জ্বী ভাই, আমার বয়স কম। আমি মুক্তিযুদ্ধ দেখি নাই। পাশাপাশি ১ম-২য় বিশ্বযুদ্ধ দেখি নাই, ব্রিটিশ আমল দেখি নাই, মুঘল শাসন দেখি নাই, তুঘলকি শাসন দেখি নাই, মীরজাফররে দেখি নাই, আরব দেশ থেকে আগত সেইসব পীরদের কেরামতি দেখি নাই যারা এ দেশে ধর্ম প্রচার করে গেছে। দুঃখের কথা কি বলব ভাইডি, আমি মহানবী (স)-এর ইসলাম প্রচারও দেখি নাই।

বুঝলেন তো ভাইডি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.