নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ (!)। তাই মানবতার প্রাধান্য সবার আগে। তারপর না হয় জাতি-গোষ্ঠীর প্রাধান্য। -- [email protected]

হাবিব ইমরান

পড়তে, ভাবতে এবং স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ানোয় দারুণ পছন্দ। ধার্মিকতা আর বকধার্মিকতার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি বিলকুল অপছন্দ।

হাবিব ইমরান › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন : "অন্ধ, দলকানা, বধির, বোবা, নির্লজ্জ এবং দায়িত্ব জ্ঞানহীন" এক কমিশন

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৪


আর কিছুদিন পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বহুল প্রত্যাশিত একাদশ জাতীয় নির্বাচন। এই নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই সাধারণ মানুষের আতঙ্ক বৃদ্ধিই পাচ্ছে। যদিও এ নির্বাচন নিয়ে সাধারণের আবেগ ছিলো অন্যরকম। বেশিরভাগ নতুন ভোটার এই নির্বাচনে ভোট দিয়ে গণতান্ত্রিক দায়িত্ব পালন করে সেল্পি তুলবে। ভোট কেন্দ্রে যাবে, পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিবে, মিছিল করবে, জনসংযোগ করবে, পাড়ায় পাড়ায়- মহল্লায় মহল্লায় পোস্টার লাগিয়ে আনন্দ উদযাপন করবে, নিজেদের নিজেদের মধ্যে প্রিয় ব্যক্তি নিয়ে খুনসুটি হবে, আরো কত কি!

কিন্তু ২০১৪ সালের রকিব কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থাকে নির্লজ্জতার আবরণে ঢেকে দিয়ে জাতিকে উলঙ্গ করে দেখিয়ে দিয়ে নিজের লাজ লজ্জা বিকিয়ে দিয়ে সরে পড়েছে। ইলেকশনের জায়গায় সিলেকশন ব্যবস্থা চালু করেছে। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে দলীয় প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করেছে। গণতন্ত্রকে হুমকির মুখে ফেলেছে। সেই ২০১৪ সালের রকিব মার্কা নির্বাচনের পর বর্তমান নির্বাচন হুদা কমিশনও এখনও উলঙ্গ অবস্থায়ই রয়ে গেছে। মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারেনি। সব সেক্টরে দলীয় কর্মী নিয়োগের ফলে তাদের প্রভাবে এখনো কমিশন উলঙ্গ অবস্থায় দিনাতিপাত করছে।

সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান কাজ করবে জনগণের স্বার্থে। সব সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করে জনগণের ট্যাক্সের টাকা থেকে। কিন্তু দায়িত্বপালনের বেলায় তা হয় জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে দলীয় স্বার্থরক্ষার্থে।
সারাদেশব্যপী নির্বাচন নিয়ে যে সহিংসতা হচ্ছে তা সাধারণের চোখে পড়ে, শুধুমাত্র 'অন্ধ-কানা' কমিশনের চোখে পড়েনা। নাকি মেয়াদহীন গাজা খেয়ে অতিমাত্রায় প্রমোদিত হয়ে টাকা মারার ধান্ধায় প্রহর গুনছেন তারা !
সারাদেশে প্রার্থীদের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলাও তাদের চোখে পড়ছেনা?
'তফসীল ঘোষণার পর সব প্রার্থীর অধিকার সমান' কমিশন এ ঘোষণা দেয়ার পরও তা বাস্তবায়ন করতে কেন পারছেনা?
বর্তমান সময়ে বিভিন্ন দল বা প্রার্থীরা কমিশনে হামলার অভিযোগ করলে তারা তদন্ত না করে সরাসরি হামলার কথা কিভাবে অস্বীকার করতে পারে?
সারাদেশে মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদও কমিশন মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিতে পারে?
প্রার্থীরা সেনাবাহিনী দাবী করলে কমিশন কেন অপারগতা প্রকাশ করবে?
সেনাবাহিনীর টাকা কি নির্বাচন কমিশনের পকেট থেকে দিতে হবে? না দিলে ভয় কিসের? সুষ্ঠু হলেও সেনাবাহিনী চাইলেই দিতে বাধ্য থাকবে।
প্রতিদিনই কোন কোন হেভিওয়েট প্রার্থীর ওপর হামলা হচ্ছে, গুলিবিদ্ধ করা হচ্ছে, মাঠে নামতে দেয়া হচ্ছেনা, পুলিশ দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে, প্রচারে নামলেই বাধা দেয়া হচ্ছে, সংঘর্ষ হচ্ছে, এমনকি প্রাণনাশও করা হচ্ছে এতে কমিশন কেন নিরব ভূমিকা পালন করছে?
প্রত্যেক দলই সমান- এ নীতি কেন কমিশন মানছেনা? বিরোধী দল কি ট্যাক্স দেয়না?

কিন্তু এসব কিছু কমিশন একেবারেই দেখছেনা, শুনছেনা এমনকি এসব নিয়ে কিছু বলছেও না।
তাই বলতে হয়, '' বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন : 'অন্ধ,দলকানা,বধির,বোবা' এবং 'নির্লজ্জ, দায়িত্ব জ্ঞানহীন' এক কমিশন"।

প্রতিটা মানুষের যদি নিরাপত্তা দিতে না পারে তাহলে পদে বসে থাকার কোনো স্বার্থকতা নেই। নেই কোনো অর্জন। বরং উপহাসের পাত্র হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায়ও নেই, হতে হবে নির্লজ্জ, বেহায়া। আগে জনগণ, তারপর দল। আগে নিরাপত্তা তারপর ক্ষমতা। প্রতিটি নাগরিকই চায় সুষ্ঠু নির্বাচন।
ভালো কাজ করলে মানুষ এমনিতেই পছন্দের দলকে ভোট দিবে। দেয়া উচিতও। কিন্তু খারাপ কাজ করে ক্ষমতায় বসে থাকার কি প্রয়োজন? মানুষ পছন্দ করলে ভোট দিবে, পছন্দ না করলে ভোট দিবেনা এতেই সন্তুষ্ট থাকা উচিৎ। মানুষের উপর যাদের ভরসা নাই, তারাই এরকম ভোট ডাকাতি করে। তারা আবার মানুষের ভালোবাসাও আশা করে, হাউ সেলুকাস।

এ জাতি কি কখনো ভদ্র, মার্জিত রুচির অধিকারী হবেনা?
হবেনা নিজের অধিকারের প্রতি দায়িত্বশীল?
মানবতা কি রাজনৈতিক পদতলে পিষ্ট হতেই থাকবে?
কবে থামবে এমন ক্ষমতা দখলের নামে হিংস্রতা, বেহায়াপনা আর নির্লজ্জতা?

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৮

সনেট কবি বলেছেন: জটিল পরিস্থিতি!

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১১

হাবিব ইমরান বলেছেন: দেশটা শেষ হয়ে যাচ্ছে দেখে খারাপ লাগছে।

২| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:০৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এত সুন্দর একটা সুযোগ আছে সিইসি'র যে চাইলেই 'হিরো' হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু তিনি মনে হয় 'চাটুকার' হয়ে মৃত্যুবরণ করতে চান। আরে ভাই, চাপ থাকলে পদত্যাগ করেন। আরেকজন আসবে। আপনি চাইলেও তো আর ৫০ বছর বাঁচতে পারবেন না!...

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৫

হাবিব ইমরান বলেছেন: স্বভাবটাই এমন। বদস্বভাব। দুর্নীতি করতে করতে রগে রগে, শিরায় শিরায় দুর্নীতি ঢুকে গেছে। এখন ছাড়তে গেলেই সুড়সুড়ি লাগে। যদিও ছাড়ার মত মানসিকতা চোখেও পড়েনি। আর চাটুকারিতা বলে একটা কথা আছে সেটাও নিয়মমত মেনে চলতে হয়।

৩| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪২

সাফাত আহমদ চৌধুরী বলেছেন: এই টালমাটাল অবস্থা পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয় ।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:৪৯

হাবিব ইমরান বলেছেন: কিন্তু এই পরিবর্তনের ফাঁকে অনেক কিছু হারাতে হয়। অনেক বেশি ক্ষতি হয়ে যায়। অনেক ত্যাগ করতে হয়।

৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৪০

প্রোলার্ড বলেছেন: লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার কাজ করে যাচ্ছে ইসিগন

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৭

হাবিব ইমরান বলেছেন: প্রধান কমিশনার তো লেভেল প্লেয়িং কি জিনিস বুঝেনইনা। আর মাহবুবু তালুকদার তা বলেন, আমরা যা দেখি। এ নিয়ে প্রায়ই কাদা ছোঁড়াছুড়ি হয়। বাস্তবতা স্বীকার করা উচিৎ সকল কমিশনারের।

৫| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: দেশের সব মানুষ চায় সুন্দর সুষ্ঠ ভাবে নির্বাচন হোক।

১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:২৯

হাবিব ইমরান বলেছেন: ঠিক বলেছেন। মানুষ এসব রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে একেবারেই বিরক্ত। কি দরকার অযথা এসব করার। জনগণ ভোটের মালিক, তাদের সে অধিকার দিয়ে দিলেই ঝামেলা শেষ। এবার তারা যাকে খুশি ভোট দিবে। এনিয়ে ঝামেলাবাজরাই এখন রাজনীতি করে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.