নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কেটেছে একেলা বিরহের বেল, আকাশকুসুম-চয়নে। সব পথ এসে মিলে গেল শেষে, তোমার দুখানি নয়নে।

অন্তহীন পথিক

আগ্রহ মোর অধীর অতি—কোথা সে রমণী বীর্যবতী । কোষবিমুক্ত কৃপাণলতা — দারুণ সে , সুন্দর সে উদ্যত বজ্রের রুদ্ররসে , নহে সে ভোগীর লোচনলোভা , ক্ষত্রিয়বাহুর ভীষণ শোভা ।

অন্তহীন পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

“গবিন্দমাণিক্য”এর “জয় হউক”

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:০৪

গবিন্দমাণিক্য তার ভাই নক্ষত্ররায়কে কোলেপিঠে করে মানুষ করে, তাকে যতটা না ভালোবেসে ছিলেন, তার চেয়ে অনেক বেশিই হয়তো ভালোবেসে ছিলেন “হাসি” নামের ছোট্ট একটি মেয়েকে অথবা মেয়েটির পিতা সমতুল্য ভালোবাসাকে। সেই মেয়েটির রক্ত ভীতি গবিন্দমাণিক্যকে এইটা বুঝতে সাহায্য করে, মা (দেবী), তার সন্তানের বলি চান না, রক্ত চান না। চান সন্তানের মনের পাপের, শত্রুতার, হিংসার বলি। আর এর জন্যই তিনি তার রাজ্যে বলি বন্ধ ঘোষণা করেন।



এতে মা ( দেবী ), যতটা না অসন্তোষ হলেন, সন্তাদের প্রতি তার রোষের আগুন ঢেলে দিলেন, তার চাইতে অনেক বেশি অসন্তোষ হলেন মায়ের সেবক, “রঘুরাম”।



“রঘুরাম” বলি বন্ধ থামেতে করলেন না এমন কোন কাজ নাই............।। তিনি “গবিন্দমাণিক্য” কে সিংহাসন থেকে সরানো ছাড়া আর কোন পথ দেখলেন না।



এই জন্য এমন কোন পাপ নাই, যা তিন করলেন না।............ ভাইয়ের হাতে ভাইকে মেরে ফেলার ফন্দী করলেন............ ছোট্ট শিশু “তাতা” কে বলিতে চড়াতে চাইলেন............ নিজ গোত্রের সাথে বিশ্বাস ঘাততকতা করে “সুজা” কে সাহায্য করলেন। আরও কত জঘন্য কাজ............ তা বলে শেষ করার কি যো আছে?



“গবিন্দমাণিক্য” সবাইকে আপন করতে পারতেন। সেটা ছিল তার মহৎ গুনের একটি............ তিনি শিশু “তাত” র মাথায় নির্দ্বিধায় তার রাজ মুকুট তুলে দিতেন। ............ নির্জন অরন্নে খোলা তলোয়ার তুলে দিলেন পুত্র সমান ভাইয়ের হাতে, তার জীবন নিয়ে নেয়ার জন্য। আর বাঁচিয়ে দিতে চাইলেন গোটা মানব জাতির “ ভাত্রিপ্রেম ” কে............আর জয় করে নিলেন ভাইয়ের হৃদয়।

“গবিন্দমাণিক্য” সব হারাতে প্রস্তুত, শুধু মানবতার জন্য। তার শিক্ষা যে সুশিক্ষা ছিল, তা চোখ বুজে বলে দেয়া যায়। “রঘুরাম” ও কিন্তু অশিক্ষিত ছিলনা, তবে তাহার সুশিক্ষার বড়ই অভাব ছিল বৈ কি! ( হয়তো ছিলই না )।



“গবিন্দমাণিক্য” নিত্য দিনে নিত্য নতুন মানুষকে আপন করেছেন। তাদের সাথে বন্ধুত্ব করেন, স্থান কাল পাত্র না ভেবেই। তাদের ভালবেসেছেন। তোয়াক্কা করেননি সে কে? তার অবস্থান কোথায়। তিনি শুধু জানতেন, সবাই মানুষ। তাই হয়তো তিনি মানুষের সেবা করে, দুস্থকে সেবা করে, অবহেলিত কে সাহায্য করে, আশ্রয়হীনকে আশ্রয় দিয়ে, অর্থাৎ মানবতার ভিতর দিয়ে ( মা’কে ) সেবা করার চেষ্টা করেছেন।



আর “রঘুরাম”, যে কিনা সারা জীবন মানুষকে উপদেশ দিয়েছেন, কিসে ভালো কিসে মন্দ। কি করলে “মা” খুশি হবেন, কি করলে অখুশি হবেন, কি করলে “মা” দেশ ত্যাগ করবেন, বংশ নির্বংশ হবে.........এমন সব উপদেশ দিতেন, দিয়ে নিজের স্বার্থ উদ্ধার করতেন, তিনি কি পেলেন জীবনে? উপহার স্বরূপ পুত্র সমতুল্য “জয়সিংহের” তাজা রক্ত বিসর্জনে “মা’য়ের” পূজার ফুল?

যে উপদেশ তুমি নিজে পালন করতে পারবে না, সে উপদেশে তোমার নিজের স্বার্থ থাকবে, যে উপদেশে বন্ধুটির সম্মান হানি হবে, সে উপদেশ অভিশাপ রূপে আজ না হোক কাল, একদিন না একদিন অভিশাপ রূপে উপদেশ কারির উপরই পড়বে বৈ কি.........হয়তো পড়েছে।



যুগে যুগে “রঘুরাম” এসেছে, আসবে......।। কিন্তু পরিসমাপ্তিতে (?) তাকে কিন্তু “গবিন্দমাণিক্য” এর কাছে গিয়েই বলতে হবে, মহারাজা “গবিন্দমাণিক্য”এর “জয় হউক”।

.............................................................(তথ্য সংগ্রহ) ‪#‎রাজর্ষি_‬(রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.