নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কেটেছে একেলা বিরহের বেল, আকাশকুসুম-চয়নে। সব পথ এসে মিলে গেল শেষে, তোমার দুখানি নয়নে।

অন্তহীন পথিক

আগ্রহ মোর অধীর অতি—কোথা সে রমণী বীর্যবতী । কোষবিমুক্ত কৃপাণলতা — দারুণ সে , সুন্দর সে উদ্যত বজ্রের রুদ্ররসে , নহে সে ভোগীর লোচনলোভা , ক্ষত্রিয়বাহুর ভীষণ শোভা ।

অন্তহীন পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

Ethics কি?

০৯ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১২:১৩


Ethics কি? Ethics এর মূল শিক্ষাটাই বা কি?

Ethics এর মূল কথা হচ্ছে, Do the right think. কথাটা বাংলায় এমন, “সব সময় সঠিক কাজটা করতে হবে।”

CSE এর ভাষায় ব্যাখ্যা করি কথাটা। আমি একজন প্রোগ্রামার ডিজাইনার। আমি নাম করা একটা সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকুরী করি। একজন ক্লাইন্ট আসলো আমার কাছে। আমি তাকে চিপায় নিয়ে কফি খেতে খেতে বললাম, ভাই আপনি যদি আমার কাছে আমার কোম্পানির মাধ্যমে আসেন আপনার খরচ হবে ৫লাখ। কিন্তু আপনি যদি আমার কাছে পার্সোনালি আসেন, আমি আপনার সফটওয়্যারটা মাত্র ২লাখ টাকায় করে দিবো। যে কেউ ই রাজি হবে এই প্রস্তাবে।


কিন্তু তাতে হবে কি? আমাকে কোম্পানি মাস শেষে বেতন হিসেবে যা টাকা দিত তা তো দিবেই, কিন্তু কোম্পানি আমাকে যে কাজ গুলোর বিনিময়ে বেতনটা দিত, সেই কাজটাই কোম্পানি পেলো না।

ফলাফল হবে দুইটা।
এক, কোম্পানি পথে বসবে। কোম্পানির মালিকের বারোটা বাজবে। তাঁর সংসার চালাতে গিয়ে তাঁর বারোটা বাজবে।
দুই, আমিও নায়লা নাইমের মতো এত্ত বড় হিউজ একটা টিভি কিনবো। গুলশানে সুন্দর ফ্লাটে হবে আমার বসবাস।

আমি যদি ওই অসৎ কাজটা না করতাম, তাহলে কি হতো? আমি সাদামাটা একটা লাইফ লিড করতাম। আমার সংসার চলতো টানা পোড়নের ভিতর দিয়ে। আমি পদে পদে ধরা খেতাম। বউ বাচ্চা-কাচ্চা কেউ ই আমাকে দাম দিত না। কে চায়, এমন জীবন? আমি চাইনা।

যাই হোক, আমরা Ethics এ আসি। এই সময়/ ক্ষেত্রেও কিন্তু Ethics এর মূল কথা এক ই। “Do the right think”। যে কোন পরিস্থিতিতে যে কোন অবস্থায় সৎ থাকা। সে পথ যতই বন্ধুর হোক না কেন। সৎ থাকা কিন্তু যতটা সোজা মনে হচ্ছে, আসলে কিন্তু এতটা সহজ না ব্যাপার টা। আমরা যদি হিন্দি মুভি “অপহরণ” দেখি, তাহলে অজয়ের বাবার চরিত্রটা দেখলে বোঝা যাবে, সৎ থাকা কত কঠিন। সবাই একবার করে হলেও ওই লোক কে গালি দিয়েছে। বলেছে, এই যুগে এই সব চলে?

একটু পুরনো ইতিহাসে যাই। সালটা ১৯৪৭। হিন্দু মুসলিম দাঙ্গা চলছে সবখানে। সেই দাঙ্গা থামাতে গান্ধী স্বয়ং আমাদের নোয়াখালীতে এসেছিলেন।(আমরা তাঁর ছাগল চুরি করে খেয়েছিলাম tongue emoticon ) আজকে আমরা যাদের রাজাকার হিসেবে চিনি, তখন তাঁরা অনেকেই রাস্তায় নেমে এসেছিলো মুসলমানদের রক্ষার জন্য। তখন তাঁরা ছিল আমাদের চোখে হিরো। দ্ব-জাতি তত্ব্র যে ভুল না, সেটা এখন প্রমাণিত। অর্থাৎ তাঁদের হিরো-ইজম সম্পর্কে আমাদের কোন দ্বিমত নাই।

১৯৭১ সাল। পাকিস্তানী সৈন্যরা তাঁদের অন্যায় অধিকার আদায়ের জন্য, লাগিয়ে দিলো পাকিস্তান- বাংলাদেশের যুদ্ধ। তখন আমাদের এই হিরোরা কি করলো। তাঁরা তাঁদের Ethics ভুলে গেলো। নিজ দেশ, নিজ জাতির রক্ত পিপাসায় মেতে উঠলো। গঠন করলো রাজাকার, আলবদর, আলসামস। বাদ বাকি ইতিহাস তো আমরা সবাই জানি ই।

হায়রে কামরুজ্জামান, তুই যদি Ethics শিক্ষাটা না ভুলতি, তাহলে কি আজকে জেল খানায় তোর ফাঁসির নথি পৌঁছাইত?

কামরুজ্জামানের ফাঁসি দেখে খুশির কিছু নাই। সে ছিল সেই ১৯৭১ এর রাজাকার। আর আমরা এখনকার বাঙ্গালিরা হচ্ছি এই যুগের রাজাকার। সে ও বাঙ্গালির রক্ত চুষেছে, আমরাও তাই ই করছি। রাস্তাটা শুধু আলাদা। ও বন্দুকের খোঁচায় রক্ত চুষেছে, আমরা কলমের খোঁচায় রক্ত চুষছি। তফাৎ টা শুধু এতোতুকুই। আর কিছু না।

কামরুজ্জামানের ফাঁসি যদি হয়(না হওয়া পর্যন্ত ক্যামনে সিয়র হই?), তাহলে সেটা আমাদের বাঙ্গালির জন্য আর একটা শিক্ষা হয়ে থাকবে। হয়ে থাকবে ইতিহাস। একদিন এই ঘুস খোর আধুনিক বাঙ্গালিকেও উঠতে হবে বিবেকের ফাঁসির মঞ্চে। তখন? তখন বুঝবি বাবা, কত ধানে কত চাল।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.