নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কেটেছে একেলা বিরহের বেল, আকাশকুসুম-চয়নে। সব পথ এসে মিলে গেল শেষে, তোমার দুখানি নয়নে।

অন্তহীন পথিক

আগ্রহ মোর অধীর অতি—কোথা সে রমণী বীর্যবতী । কোষবিমুক্ত কৃপাণলতা — দারুণ সে , সুন্দর সে উদ্যত বজ্রের রুদ্ররসে , নহে সে ভোগীর লোচনলোভা , ক্ষত্রিয়বাহুর ভীষণ শোভা ।

অন্তহীন পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

Follow me.........

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:২৪

দিনে দুইটা থেকে তিনটা সিগারেট খাই।

বেশিরভাগ সময় পেট ভোরে কিছু খাবার পরে বিছানায় শুয়ে আরাম করে এক কাপ চায়ের সাথে একটা ব্লাক ধরিয়ে নিয়ে বেশ আরাম করেই খাই সিগারেট টা। পুরো সময়টাই আমার নিজের। নিজেকে অনেক সুখি সুখি মনে হয় এই সময়টাতে। মনে হয় পাঁচ মিনিটের জন্য স্বর্গে প্রবেশ করেছি। আরামে চোখ বন্ধ হয়ে আসে।

গতকাল দুপুরে খাবার পরে সময় পাই নাই। পকেটে সিগারেটের প্যাকেটটা নিয়েই লাইব্রেরীর উদ্দেশে বের হয়েছিলাম। রাস্তায় সিগারেট টানতে টানতে ভার্সিটি যাচ্ছি, এমন সময় দেখি আম্মার বয়সি একজন মহিলা আমার দিকে অবাক হয়ে তাকাচ্ছে। তিনি দশ সেকেন্ডের মতো আমার দিকে তাকিয়ে ছিলেন।


তাঁর চোখে কিন্তু কোন রাগ ছিলনা। তিনি যেন আমার দিকে এক পাহাড় সমান অভিমান নিয়ে তাকিয়ে ছিলেন। তিনি যেন বলতে চেয়েছিলেন, "বাবু, তুমি এটা কি করছ?"

এটা তো ঢাকা শহর। যাদুর শহর। এখানে সবাই সবাইকে ভয় পায়। কে জানে কার কত ক্ষমতা। কেউ তো কাউকে চেনে না, সে জন্যই। সেই জন্যই হোক আর সময় স্বল্পতার কারনেই হোক, তিনি কিছু বললেন না। কিন্তু তাঁর অভিমানি দৃষ্টিকে আমি উপেক্ষা করতে পারলাম না। আমি সিগারেট টা ঠোঁট থেকে নামিয়ে হাতের আড়াল করে ফেললাম।

আমি কি ওই মহিলাকে সম্মান দেখানোর জন্য এই কাজটা করলাম? আমার মনে হয় না। আমি আসলে ওই মহিলার চোখে আমার আম্মাকে খুঁজে পেয়েছিলাম। আমি তাই করি সব সময়। যখন আব্বার বয়সি কোন মানুষকে দেখি, বাসে দাঁড়িয়ে আছেন আর আমি বসে আছি আমার কি যে কষ্ট হয়! ভাবি, ইস আব্বা দাঁড়িয়ে কষ্ট করছে, আর আমি বসে আছি! এটা কি করে সম্ভব? আমি দাঁড়িয়ে ওই লোককে বসতে দেই, এই আসায়, আমার আব্বাকেও কেউ না কেউ এই ভাবে একদিন তাঁর কষ্ট লাঘব করতে সাহায্য করবে।

যখন ১৭-১৮ বছরের কোন মেয়েকে দেখি চোখে কাজল দিয়েছে টানা টানা ভাবে। চোখ গুলো গভীর নিসুতি দীঘির কালো জলের মতো দেখাচ্ছে, আমি অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকি। মনে মনে ভাবি, আমার পিচ্চি বোনটাকেও কাজল দিলে নিশ্চয়ই এমনই মায়াবতী লাগে। তখন আর যাই হোক, ওই মেয়েটার গ্রীবার দিকে আমার নজর যায় না। কারন আমি আমার বোনকে আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি। এই মেয়েটার মাঝে আমি আমার পিচ্চিকে খুঁজে পাই। সুন্দর জামা গায়ে কোন মেয়েকেই দেখলেই ঐখানে বোনটাকে বসিয়ে ভাবি, স্মৃতিকে কেমন দেখাইত এমন জামা পড়লে?

এতো কথা বলার কারন কি?

পরশু কিছু ছেলে একটা মেয়ের জামা কাপড় ধরে টেনেছে। আমি বলতে চাইনা তাঁরা কোথায় পড়ে, কি করে, কার ক্ষমতায় চলে, কেন তাঁদের হাত এখনও কেটে দেয়া হচ্ছে না। এসব বলার জন্য অনেক বড় মাপের মানুষজন আছেন, তাঁরা বলবেন।

আমি শুধু বলতে চাই, তাঁরা কি তাঁদের জন্মদাত্রী মা'কে ভালোবাসে না? যে মায়ের স্তন পান করেছে, ক্যামনে পারে আরেকজনের মায়ের স্তন ঢাকার আবরণ ধরে টান দিতে? যে বোন তাকে ভাইয়া ভাইয়া বলে যুবরাজের, বীরের সিংহাসনে বসিয়ে রেখেছে, ক্যামনে পারে শত শত মানুষের সামনে সেই বোনকে বিবস্ত্র করতে?

পারে, কারন এদের হাতে এদের মা, বোনও নিরাপদ না।

ভালোবাসা অন্য জিনিস রে ভাই, অন্য রকম এক অনুভূতি। সেই অনুভূতি সবাইকে ছুয়ে দিতে পারেনা। আঙ্গুলটা নিজের দিকে তুলে ধরে দেখুন, সেই অক্রিত্তিম ভালোবাসা আপনাকে ছুয়ে দিতে পেরেছে না কি!

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩৩

শুভ্রা শিউলি রায় বলেছেন: এরা না ভালোবাসা কি জানে, না মনুষত্য কাকে বলে জানে, না মানবিক শুঁখ কাকে বলে তা জানে। এরা হয়ত জানে বোনের গ্রিবার দিকে তাকিয়ে হস্তমৈথুন করলেও কোন দোষ নাই। আল্লাহ মেয়ে বানাইসেই ভোগের জন্য।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৪৬

অন্তহীন পথিক বলেছেন: পৃথিবীতে যত বাজে মন্তব্য আছে, আপনি যদি সব গুলো এদের দিকে ছুড়ে মারেন, সব গুলোই কম পড়ে যাবে।

আপনার মতো আমার ও রাগে পুড়ে যাচ্ছে। আল্লাহ্‌ মেয়েকে বানিয়েছেন মায়া মমতা দিয়ে, তাঁরা সেটা নানা ভাবে নানা রুপে আপনার সামনে তুলে ধরবে। কথা হচ্ছে, আপনি কিভাবে নিচ্ছেন। :)

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:০৮

শুভ্রা শিউলি রায় বলেছেন: সমস্যা এখানেই যে এখন মেয়েদের যারা এই সম্মানটুকু করেনি, করতে জানেনা, তাদের হাতেই আধার কোন কোনে রামদা, ছুরি উঠে আসে। তার কাছে সবই কোরবানির গরু। ধর্মের নামে সে সব কোরাবনি করবে, নিজের মনুষত্ববোধটুকু পর্যন্ত। গরু তাও হাঁট থেকে কিনতে হয়। নারী, পুরুষ, মনুষত্ব বিনামূল্যে কোরবানি দেয়া সম্ভব।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:২০

অন্তহীন পথিক বলেছেন: না, কোরবানি দেয়া সম্ভব না। কোরবানি কথাটা ভিন্ন অর্থ প্রকাশ করে। কোরবানি দিতে হয় লোভ কে, পাপকে। এখানে জলাঞ্জলি শব্দই বেশি গ্রহণযোগ্য :)

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:২৪

নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: কারন তারা মানুষের মধ্যে পরে না। এরা অমানুষ। কাপুরুষ আর কুলাঙ্গার।

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১০:২৭

অন্তহীন পথিক বলেছেন: ঠিক :)

৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:০৯

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: এদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। অমানুষ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.