নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কেটেছে একেলা বিরহের বেল, আকাশকুসুম-চয়নে। সব পথ এসে মিলে গেল শেষে, তোমার দুখানি নয়নে।

অন্তহীন পথিক

আগ্রহ মোর অধীর অতি—কোথা সে রমণী বীর্যবতী । কোষবিমুক্ত কৃপাণলতা — দারুণ সে , সুন্দর সে উদ্যত বজ্রের রুদ্ররসে , নহে সে ভোগীর লোচনলোভা , ক্ষত্রিয়বাহুর ভীষণ শোভা ।

অন্তহীন পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

"দাসত্ব"

২৫ শে জুন, ২০১৫ রাত ১:২৯

মাঝে মাঝে মনে হয়, আমি তো এই পৃথিবীতে আসার জন্য আমার আব্বা আম্মার কাছে চিঠি লিখি নাই যে, আমার প্রিয় হবু আব্বা আম্মা, আমি আর আত্মা হয়ে আল্লাহ্‌র আরসে থাকতে পারছি না, আমাকে আপনারা শরীর দান করেন, আমাকে পৃথিবীর মুখ দেখান! তাহলে কেন আমি এই পৃথিবীতে আসার জন্য, বা আমাকে এই পৃথিবীতে আনার জন্য আমার আব্বা আমার কাছে চিরঋণী থাকবো?

আমার তো দরকার ছিল না এই পৃথিবীর ৬০ কিংবা ৭০ বছরের জীবনের। এমন তো না, আমি মারা যাবো না। আমি যদি মারাই যাই, তাহলে এই পৃথিবীতে এসে লাভ টা কি? শুধু শুধু অসুখ, পড়ালেখা, জীবন যুদ্ধে জয়ি কিংবা পরাজিত হবার আশংকা। কি লাভ এতো কষ্ট করে? আমি তো অমরত্ব পাবো না। কেউ কর্মের উপর অমরত্ব পায়, কিন্তু সেটা মানুষের মুখে, বইয়ের পাতায়। সে তো আর বেঁচে থাকে না। গাছের পাকা আম আমি যদি খেতেই না পারি, তাহলে সারাজীবন গাছ পুষে মানুষকে খাওয়ানোর দরকারটা কি?

আমরা এমন একটা সমাজের কথা যদি চিন্তা করি, ধরি সেটা আজ থেকে ২০০০ বছর পরে যখন পৃথিবীতে artificial intelligence সম্পূর্ণ ভাবে প্রথিস্তিত, কিংবা কোন একটা দ্বীপ। যেখানে মানুষ বলতে ১০ জন পুরুষ, ১০ জন মহিলা। তাঁরা সম্পর্কে স্বামী- স্ত্রী, তাঁরা সবাই সিদ্ধান্ত নিলো, আমরা কোন সন্তান নিবো না। তাহলে কি হবে? প্রথমেই যেটা হবে, টা হচ্ছে সেই সমাজ ধংস হয়ে যাবে। সবার চোখে নিশ্চয়ই এই জিনিসটাই আসছে সবার আগে। কিন্তু আমরা খুব গুরুত্ব পূর্ণ একটা ব্যাপার এড়িয়ে যাচ্ছি। দেখা যাক, জিনিষ টা কি কি......।।

*** সবাই যখন বয়স্ক হবে, তখন তাঁদের দেখার জন্য কে থাকবে? একটা সময় আসবে, সবাই বয়স্ক হয়ে পড়বে। কারও ক্ষমতা থাকবে না, এক গ্লাস পানি খাওয়ার জন্য। একটু পাস ফিরে শোয়ার জন্য। যেখানেই সে মল মুত্র ত্যাগ করবে, সেখানেই থাকে পড়ে থাকতে হবে। কে তাঁর খাবার সংগ্রহ করে দিবে? সে তো না খেয়ে মারা যাবে? তাহলে?***

তাহলে এর উত্তর আমরা পাই, আমাদের এই সমাজ এর দিকে তাকালে। আমরা আমাদের নিজেদের জন্য, আমাদের কে রক্ষা করার জন্য এবং আমাদের বিপদের দিনে, অসহায় হয়ে পড়ে থাকার দিনে আমাদের যেন কেউ হাত বাড়িয়ে বলতে পারে, বলতে পারে আমি আছি তোমার জন্য। আমি তোমার দেখ ভাল করবো। তোমার মুখে খাবার তুলে দিবো। তুমি যেখানে মল মুত্র ত্যাগ করবা, সেটা আমিই পরিষ্কার করে দিবো। আমরা কি এটাকে এক প্রকার "দাসত্ব" বলতে পারি?

আমার কেন জানি মনে হচ্ছে পারি। কারও কাছে কি কোন উত্তর জানা আছে? থাকলে আমাকে দিতে পারেন।

artificial intelligence নামে একটা কথা আছে। সেখানে বলা ছিল, একদিন যন্ত্র মানুষের মতো বুদ্ধি মত্তার অধিকারী হবে।
অনেকে ব্যাখ্যা করেছিলো, যন্ত্র মানুষের মতো বুদ্ধি মত্তার অধিকারী হতে পারবে না। সেখানে মানে ঐ থিসিস পেপারটাতে ১০ থেকে ১২ টার মতো ব্যাখ্যা ছিল। তাতে অনেক কিছুই বলা ছিল। বলা ছিল, যন্ত্র কবিতা লিখতে পারবে না মানুষের মতো। কেউ বলেছিল দুঃখ পেলে কাদতে পারবে না......... ব্লা ব্লা ব্লা।

কিন্তু একজন পাদ্রী বলেছিল, আমাদের এইটার বিস্তার ঘটানো যাবে না, মানে ঘটানো উচিৎ হবে না।
তিনি এর ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ কথাটা বলতে ভুলে গিয়েছিলেন, যন্ত্র মানুষের মতো রক্ত মাংসের দাস হতে পারবে না...... পয়দা করতে পারবে না, নতুন দাস দের...............আর? আর যদি আমরা ঠিক মানুষের মতো কাউকে বানাতে পারি, যে আমাদের বৃদ্ধ বয়সে সাহায্য করতে পারবে, তাহলে আমি সিয়র, কোন মানুষ বাচ্চা নিবে না। ফলাফল? আমাদের এই পৃথিবীর বুকে অচিরেই কেউ শেষবারের মতো তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করবে।।

কি হচ্ছে এটা? আমরা আজ দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা জমাচ্ছি। কি জন্য? আমাদের সন্তানরা যেন বসে শুয়ে আরাম করে খেতে পারে। তাঁরা আবার জমাবে তাঁদের সন্তানদের জন্ন......এই ভাবে চক্র চলতেই থাকবে।

আর সন্তানরা? এই দুনিয়ায় তো টাকা ছাড়া চলা অসম্ভব। তাই তাঁরা প্রথমে ইচ্ছে করলেও তাঁদের বাবা-মায়ের বাইরে কথা বলতে পারবে না। ছেড়ে যেতে পারবে না। একটা সময় তারাও এই প্রসেসে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে। ভালোবাসবে তাঁদের বাবা মাকে। তখন আর টাকা না, ভালোবাসাটাই মুক্ষ হয়ে দাঁড়াবে। ইচ্ছে করলেও ছাড়তে পারবে না তার বাবা-মা কে। এই ভালোবাসার দরুন তারাও একদিন বাবা-মা হবে। দরকার পড়বে তাঁদের দুর-দিনের সাথীর। আর তাঁরা জন্ম দিবে নতুন নতুন রক্ত মাংসের কোটি কোটি "দাস"।

এখন অপেক্ষা শুধু artificial intelligence এর উন্নতির জন্য। আমি সিয়র, একবার যদি মানুষ বুঝতে পারে, তাকে দেখার জন্য কেউ আছে, তাহলে কেউ আর বাচ্চা নিবে না। ফলে, পৃথিবী ধংস। আমি এই নিষ্ঠুর পৃথিবীর ধংস দেখতে চাই। আর কিছুই না।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০১৫ রাত ১:৪৮

আমি মিন্টু বলেছেন: ভালো কইছেন............

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.