নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কেটেছে একেলা বিরহের বেল, আকাশকুসুম-চয়নে। সব পথ এসে মিলে গেল শেষে, তোমার দুখানি নয়নে।

অন্তহীন পথিক

আগ্রহ মোর অধীর অতি—কোথা সে রমণী বীর্যবতী । কোষবিমুক্ত কৃপাণলতা — দারুণ সে , সুন্দর সে উদ্যত বজ্রের রুদ্ররসে , নহে সে ভোগীর লোচনলোভা , ক্ষত্রিয়বাহুর ভীষণ শোভা ।

অন্তহীন পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

এবারের ঈদ আপনার যেমন হতে পারে।।

২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ১০:৪৪

আমার আম্মা অক্ষর জ্ঞান শূন্য না হলেও, বলা যায় মুখ্য সুক্ষ মানুষ। আম্মার যাবতীয় এক্টিভিটিস দুইটা কাজের মাঝে সীমাবদ্ধ।
১) টাকা রোজগার।
২) ভারতীয় সিরিয়াল দেখা।

আম্মা, ভারতের গান সিনেমা, এই সবের সেই ভক্ত। চিনে না, এমন কোন নায়ক নাইকা নাই। বহুকাল আগে, আমি আম্মার একটা ডাইরি পাই। সেখানে অবাক হয়ে দেখি, প্রায় ৫০-৬০ টা বাংলা সিনেমার নাম। আমি আম্মাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আম্মা, আপনি এই গুলার সব গুলা দেখছেন? আম্মা বলল, দেখার পরেই এসে লিখেছি। আমি অবাক হয়ে আম্মার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করি, এই কঠিন চেহারার মাঝ বয়সী একজন মহিলার মাঝেকার "বালিকা বধুর" সেই আবেগি রুপ।

আমরা মাঝে মাঝে ভুলেই যাই, আমাদের বাবা মায়েরাও একসময় তরুন তরুণী ছিল। সেই তরুন বয়সে তাঁরা আড় চোখে কোন তরুন তরুনির দিকে কাঁপা কাঁপা চোখের দিকে তাকিয়ে বুকের মাঝে একটা ধাক্কা খেত। আমার মা ও হয়তো তার বিয়ের প্রথম দিকে, আবেগে আপ্লুত হয়ে তার স্বামীকে বলতো, আজ আমরা কিন্তু ঘুমবো না। আজ সারারাত বৃষ্টিতে ভিজবো। আর আমার বোকা শোকা আব্বা হ্যাঁ না কিছু না বলে মুখ গোমড়া করে তার নতুন বিয়ে করা বউয়ের পাশে বসে থাকতো।

আমি মাঝে মাঝে ভাবি, আমাদের দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মানুষ, প্রধানমন্ত্রী "শেখ হাসিনা"; তার ও কি এমন একটা দিন ছিল না, তিনি প্রেমময় চোখে তার স্বামীর দিকে তাকিয়ে মৃদু হেসে বলেছিল,

"মন মাঝি খবরদার
আমার তরী যেনো ভেড়ে না
আমার নৌকা যেনো ডুবে না
মন মাঝি খবরদার...."

আর তার স্বামী প্রতি উত্তরে বলেছিল-

"সখি,ভাবনা কাহারে বলে-
সখি,যাতনা কাহারে বলে?
তোমরা যে বলও দিবসও রজনী-ভালবাসা ভালবাসা।
সেকি কেবলই যাতনাময়,সেকি কেবলই চোখের জল,সেকি কেবলই দুখের শ্বাস!
লোকে তবে করে কি সুখেরী তরে এমন দুখের আশ!"

আমি কিছু কিছু মানুষকে দেখি, তাঁরা তাঁদের আনন্দে তাঁদের বাবা মা কে রাখে না। ভাবে, ওরা তো বয়স্ক। ওরা কি বুঝবে আধুনিকরার? ওরা তো পুরনো!

পুরনো মানুষের কি মন নাই রে ভাই? তুমি আজ রক শুনে পুলকিত হও। তাঁরা না হয় রবিন্দ্রনাথ, আব্দুল জব্বার, আব্দুল আলিম শুনে পুলকিত হতো। সমস্যা কি? মূল কথা তো সেই পুলকিত হওয়া। তাইনা? বরংচ, তোমাদের মাঝেই নোংরামি আছে। তাঁদের তার মাঝে নাই।

এই কথা গুলো বললাম, সামনে ঈদ আসছে এই জন্য। ঈদ মানের সকাল বেলা নামাজ পড়ে এসে বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়া না। সন্ধ্যায় সিগারেটের ধোঁয়ায় বন্ধুদের সাথে আড্ডা না। রাস্তায় সুন্দরী কোন মেয়ে বের হলে তাকে দেখে "ঐ মাল" বলে চিৎকার করা নয়। রাতে কোন বন্ধুর বাসায় থেকে ফেন্সিডিলের আর কেরু ব্রান্ডের সাথে গাঁজার আসর নয়।

ঈদ মানে, একটা সন্ধ্যার জন্য হলেও মায়ের কোলে মাথা রেখে তার সাথে তার প্রিয় কোন অনুষ্ঠান টিভিতে দেখা। আব্বার সাথে কোন এক সন্ধ্যায় বসে খাবার খওয়া। ছোট বোনটাকে নিয়ে কোথাও থেকে ঘুরে আসা।

আমি জানি, এখনকার দিনে এই সব কথা মানা খুব ই কষ্টকর ব্যাপার। কিন্তু একটা ঈদ এ এই চেষ্টাটা করে দেখা যেতেই পারে। কে জানে, ভালো লাগার সংজ্ঞা পাল্টালেও পাল্টাতে পারে।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০১৫ রাত ১১:১৭

রুমি৯৯ বলেছেন: Well written

৩০ শে জুন, ২০১৫ রাত ১২:১৪

অন্তহীন পথিক বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.