নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কেটেছে একেলা বিরহের বেল, আকাশকুসুম-চয়নে। সব পথ এসে মিলে গেল শেষে, তোমার দুখানি নয়নে।

অন্তহীন পথিক

আগ্রহ মোর অধীর অতি—কোথা সে রমণী বীর্যবতী । কোষবিমুক্ত কৃপাণলতা — দারুণ সে , সুন্দর সে উদ্যত বজ্রের রুদ্ররসে , নহে সে ভোগীর লোচনলোভা , ক্ষত্রিয়বাহুর ভীষণ শোভা ।

অন্তহীন পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

কালা রাধা মরে, মরা প্রেম কেন মরে না?

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৭

অনিন্দ্য গল্প শুনবি?

অনিন্দ্য আমার কথায় কান দিচ্ছে না। এক মনে ফেসবুক চালাচ্ছে। আমি ওর উত্তরের অপেক্ষায় না থেকে গল্প বলা শুরু করে দিলাম।
কাল রাতে একটা স্বপ্ন দেখেছি, বুঝলি! মনটা খুব খারাপ সেই জন্য। আমার প্রথম প্রেম নিয়ে স্বপ্ন!

বলে আমি কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলাম। সত্যি সত্যি আমার মন ভীষণ খারাপ! অনিন্দ্য শুনছে কি না, সেই দিকে মনোযোগ নাই! তারপরেও বুঝলাম, ও আমার দিকে না তাকিয়েই আস্তে করে ইউটিউবে চলা গানের ভলিউম কমিয়ে দিলো!

স্বপ্নে কি কি হয় না হয় কিছুই বুঝি না রে! কাল যে স্বপ্নটা দেখলাম তাতে সারাক্ষণ আমি লুঙ্গি পরে ছিলাম। আর গায়ে ছিল গামছা। খুব লজ্জা পেয়েছি জানিস।

ও কি জন্য আমার বাসা এসেছে জানি নাহ। এসে কি করেছে তাও জানি নাহ। স্বপ্ন শুরু হয়েছে ওর যাওয়ার সময়ে। আমি ওকে বললাম, একা যাবে? আমি তোমাকে এগিয়ে দিয়ে আসি।

আমি ওকে এগিয়ে দিচ্ছি ঢাকার রাস্তা ধরে। পুরান ঢাকার যে রাস্তা গুলো দিয়ে আমি প্রতিদিন অফিস যাই, সেই সব রাস্তা দিয়ে। আমার চেহারা এখনকার মতই আছে। শুকনা আর লম্বা। কিন্তু ও সেই আগের মতোই আছে কেন জানি। আমার কোমরের চেয়ে একটু লম্বা হবে। ওকে খুব বেটে দেখাচ্ছে!

ও আমার সাথে অনেক হাসিমুখে গল্প করতে করতে যাচ্ছে।

একটা পর্যায়ে আমরা ওর বাসার সামনে চলে আসলাম। ও আমাকে জোর করে ওর বাসায় ধুকালো। আগেই বলেছি আমি লুঙ্গি আর গামছা পরে আছি। তাও আবার খালি পায়ে।

কিছুক্ষণ পরে দেখি আমি ওদের ড্রইং বুমে বসে আছি। ওর আব্বা আম্মা আমার সামনে বসে আছে। কি যে লজ্জায় পড়ে গেলাম! বুঝাতে পারবো না। কিন্তু আমার কোন দিকে মন নাই। আমার খালি কান্না পাচ্ছে! আমি কিছুতেই বুঝে পাচ্ছি নাহ, ও আমার সাথে এতো সুন্দর করে, এতো ভালো ভাবে গল্প করলো? এও কি সম্ভব?

আমার চোখ ছলছল করে উঠলো। তাই চুপ করে গেলাম।

অনিন্দ্য বলল ভাই, তারপরে?

একটু পরে ওদের বাসায় কিছু মানুষ আসলো। আমি তো আছি গামছা পরে। তাই ওর আম্মা আমাকে নিয়ে উপরের তলায় গেলো। আমি যেতে যেতে ওর আম্মাকে বললাম, আমার না খুব লজ্জা লাগছে। আমার এক মামা লুঙ্গি পরে আমার এক নানির বাসা গিয়েছিলো, নানি বাসায় ধুকতে দেয়নি (সত্য ঘটনা)। স্বপ্নে এই কথা কিভাবে মাথায় আসলো, বুঝলাম নাহ!

ওর আম্মা কিছুই বলল নাহ, হাসি মুখে আমাকে নিয়ে উপরে গেলো। তারপরে ওর ছোট ভাইয়ের কিছু শার্ট আর গাঞ্জি দিলো। পরে দেখি সব ছোট হচ্ছে, তাও পরলাম আর কি!

তারপরে ভাই?

তারপরে দেখি আমি ওর বাসার সামনে দাড়িয়ে আছি। শীতের সকাল। হালকা কুয়াশা পড়ছে। আমি একটা চাদর গায়ে দিয়ে আছি, আর ও লাল রঙের একটা শাল।

আমি চলে আসছি। ও হাসি মুখে আমাকে বিদায় দিচ্ছে। আমি আসার জন্য ফিরে তাকালাম। কিন্তু আমার আসতে ইচ্ছে করছে নাহ! একটুকুও না। বারবার ইচ্ছে করছে, ফিরে তাকাই। ফিরে যাই। থেকে যাই। বুকে কি যে একটা কষ্ট অনুভুত হচ্ছে, বুঝাতে পারবো না রে!
তারপরে ভাই?

ঘুম ভেঙ্গে গেলো। অনেকক্ষণ চুপচাপ শুয়ে থাকলাম বিছানায়। খু্ব মন খারাপ লাগছিলো। জানি কিছু করার নাই। মেনে নিতে হবে ভাগ্যকে। কিছু কেন কিছু করার নাই, এই জন্য নিজের প্রতি অনেক রাগ লাগছিলো।
তারপরে?

তারপরে আর কি? উঠলাম। অফিসের জন্য রেডি হলাম। বাইরে দেখি টিপটিপ করে বৃষ্টি হচ্ছে। আমি রিক্সা নিয়ে ছুটে চললাম অফিসের দিকে। কেন জানি অবুঝ হয়ে গেলাম হুট করে। কান্না চলে আসলো। আমি বাঁধা দিলাম না। চোখ দিয়ে পানি পরতে থাকলো...............।। সবাই তাকাচ্ছিল জানিস! তাকাক, আমার কি? আমিও তো মানুষ নাকি?

থাক ভাই, আর বলা লাগবে না। প্লিজ তুমি থামো।

আমার হাসি পেলো। প্রতিদিন আমি থামি, আর আজ অনিন্দ্য আমাকে থামিয়ে দিচ্ছে............।।

-অনিন্দ্য?
-বল ভাই।
-খুব কষ্ট হচ্ছে রে ভাই.........।। খুব কষ্ট হচ্ছে.........।।
-তুমি থামো ভাই, প্লিজ। থামো তুমি.........।।

ঘর নিরব করে আমরা দুই জন থেকে থাকলাম। থেমে থাকলো না শুধু অবুঝ চোখের পানি। আমিও তো মানুষ নাকি?

#একজনের রিকুয়েস্টে তার জীবনের গল্প লিখলাম। কষ্টের গল্প লিখতে ভালো লাগে নাহ :(

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:০৪

অবনি মণি বলেছেন: ভালোই লাগ্লো।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৯

অন্তহীন পথিক বলেছেন: অল্প নাকি বেশি?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.