নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কেটেছে একেলা বিরহের বেল, আকাশকুসুম-চয়নে। সব পথ এসে মিলে গেল শেষে, তোমার দুখানি নয়নে।

অন্তহীন পথিক

আগ্রহ মোর অধীর অতি—কোথা সে রমণী বীর্যবতী । কোষবিমুক্ত কৃপাণলতা — দারুণ সে , সুন্দর সে উদ্যত বজ্রের রুদ্ররসে , নহে সে ভোগীর লোচনলোভা , ক্ষত্রিয়বাহুর ভীষণ শোভা ।

অন্তহীন পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

স্মৃতিচারণ ২

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:০৫

প্রোজেক্ট ম্যানেজার স্যারের মেয়ের পিএসসি পরিক্ষা চলছে। আজ মনে হয় অংক পরিক্ষা। পরিক্ষায় আসছে এমন দুইটা সমস্যা নিয়ে স্যার কথা বলল। সাথে সাথে আবেগে আপ্লুত হয়ে গেলাম। :(

স্মৃতিতে চলে গেলাম ক্লাস ফাইবে। -_-

স্কুল লাইফ মানেই আমার কাছে বিভীষিকা। পড়া পারতাম নাহ। প্রচুর মার খেয়েছি এই পড়া না পারার কারনে আর রেজাল্ট লুকিয়ে রাখার কারনে। তাছাড়া ক্লাস ফাইবে বৃত্তির সিলেকশন, মাথা নষ্ট অবস্থা।

অংক পরিক্ষা দিয়ে আসলাম। কিচ্ছু পারি নি। একটা সরল অংক ছিলো মনে হয়, উত্তর ছিলো ১। সব ই জানা কিন্তু কিছুই পারি নাই। ফেইল সিয়র। এসব কথা তো আর বাসায় বলা যায় না, বললাম পরিক্ষা ভালো হয়েছে। তবে খুব ভালো নাহ। মনে হয় লেটার (৮০) থাকবে নাহ। আব্বা আম্মা মেনে নিলো। দুপুরে খেয়ে একটু রেস্ট নিয়ে বিকেলে হালকা খেলে আসলাম।

এসে দেখি আসায় আব্বা বসে আছে গম্ভীর ভাবে। কাহিনী কি?

আব্বা গলা ভারি করে বলল, বাবু তোমার প্রশ্নটা নিয়ে আসো তো। আমি নিয়ে আসলাম। আব্বা খুব ভালো করে খুটিয়ে খুটিয়ে দেখলো কোন গুলোতে মার্ক করেছি। এরপরে আব্বা বলল, যাও একটা খাতা নিয়ে আসো।

আমি যেন স্তব্ধ হয়ে গেলাম। খাতা নিয়ে আসতে বলল কেন আব্বা? কোন অংক করতে দিবে নাকি? দিলে কোনটা দিবে? একটাও তো পারি নাই। এখন কি হবে?

উঠানের মাঝে বিছানা বিছিয়ে আব্বা আর আমি বসলাম। আব্বা বলল যে অংক গুলা মার্ক করেছো সব গুলা কর। আমি দেখি তোমার লেটার মিস যাবে কি না!

আমার চোখে তখন বেদুইন ভাব চলে এসেছে। মনে হচ্ছিলো চোখে ছানি পড়েছে আমার। ঠিকমতো কিছুই দেখতে পারছিলাম নাহ। :'(

চোখে পানি চোখে শুকিয়ে, নাকের পানি নাকে শুকিয়ে অংকগুলা করা শুরু করলাম। কতক্ষণ গেলো বুঝি নাই। মনেও নাই...।।

আব্বার অংকগুলা দেখছে। আমার তো পায়ের নিচে মাটি নাই। কখন যে আব্বা ধমক দিবে সেই অপেক্ষায় আছি। ( আব্বা আবার আমাকে কোনদিন মারতো নাহ :P )

আব্বা সব গুলা অংক খুটিয়ে খুটিয়ে দেখলো। দেখে বলল, নাহ; লেটার মিস হবে নাহ। সবগুলাই তো ঠিক আছে দেখি। -_-

আব্বা আমার হাতে খাতা দিয়ে উঠে গেলো। আমি নির্বাক চোখে খাতার দিকে তাকিয়ে রইলাম। কিভাবে সম্ভব? আমি কিভাবে করলাম অঙ্কগুলা। সব ই যদি হয়, তাহলে পরিক্ষার খাতায় পারলাম না কেন?

অজানা সেই উত্তরের জবাব দিয়েছিলেন স্কুলের অংকের স্যার। স্যার আমার বাম হাত ধরে উপরের দিকে টান টান করে রেখে বাম পাছায় অগনিতো মাইর বসালেন আর চিল্লায় চিল্লায় বললেন, এইবার বৃত্তির সিলেকশন আর স্যার আমাদের ১২ পেয়েছেন। স্যার বারবার এক ই কথা বলছেন আর মারছেন। আমি আবুল হয়ে মার খেয়ে গেলাম। এছাড়া আর কি বা করার ছিলো আমার?

ভাবা যায় এইগ্লা? :(

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৪:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: টিচার এইভাবে মারতে পারেন না। এটা ঠিক না।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৭

অন্তহীন পথিক বলেছেন: পারে কি পারে না, ২০০৭ এ রংপুর জিলা স্কুল থেকে যারা পাশ করছে একবার জিজ্ঞেস করে দেখতে পারেন :প

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.