নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কেটেছে একেলা বিরহের বেল, আকাশকুসুম-চয়নে। সব পথ এসে মিলে গেল শেষে, তোমার দুখানি নয়নে।

অন্তহীন পথিক

আগ্রহ মোর অধীর অতি—কোথা সে রমণী বীর্যবতী । কোষবিমুক্ত কৃপাণলতা — দারুণ সে , সুন্দর সে উদ্যত বজ্রের রুদ্ররসে , নহে সে ভোগীর লোচনলোভা , ক্ষত্রিয়বাহুর ভীষণ শোভা ।

অন্তহীন পথিক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিলুপ্ত সুখ

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১:০৭

লেখক হবার খুব শখ ছিলো একসময়।

সেই একসময় আর আজকের সময়ের মাঝে অনেক ফারাক। ঠিক যেমন ক্লাস ৬-৭ এ থাকার সময় টা! সেই সময়ের শুক্রবার গুলো থেকে আজকের শুক্রবার গুলো একদম আলাদা।

আব্বা প্রতিদিন দুপুরে বাইরে খেতেন বা সাইকেল চালিয়ে বাসা এসে খেয়ে যেতেন৷ তার খাওয়ার ফিক্স কোন সময় ছিলো নাহ। হয়ত আমাদের খাবার আগে, অথবা আমাদের খাবার পরে। পরিবারের সবার এক সাথে বসে খাওয়া হত শুধু শুক্রবার গুলোতে। সেইদিন আলাদা ভাবে রান্না হত। থাকত ভালো ভালো তরকারি। আব্বা আর আমি গোসল সেরে জুম্মার নামাজ পড়ে বাসায় ফিরে সবাই মিলে খেতে বসতাম।

ডায়েনিং টেবিল ছিলো না আমাদের বাসায়। সপ/মাদুর বিছিয়ে সবাই গোল হয়ে বসতাম। গোস্তের চাইতে আলু বেশি থাকা তরকারি দিয়ে তৃপ্তি করে খেয়ে উঠতাম সবাই। ততক্ষণে ৩টা বেজে যেত। সবাই বিছানায় আয়েশ করে শুয়ে বিটিভিতে বাংলা সিনেমা দেখা শুরু করতাম। আহারে! কি সুখের দিন ছিলো আমাদের। ভাবা যায়, আম্মার বয়স এই মাত্র ২০ বছর আগে ৩৩-৩৫ ছিলো!

মাঝে মাঝে ভাবি, আম্মা কিভাবে এতো কম বয়সে এতো রেস্পন্সিবলিটি নিয়েছিলেন? আবার ভাবি, হয়ত নিতে পেরেছিলেন বলেন আজ আম্মা সফল। অনেকেই হয়ত ভাবতে পারেন, আম্মা ক্লাস ৫ পাস করেন নাই। জীবনেও চাকুরি করেন নাই, তাহলে উনি সফল কিভাবে?

আমরা ঠিক যেভাবে আমাদের সুখগুলোকে এককেন্দ্রিক করে বাজারে তুলে নষ্ট করেছি, ঠিক এক ই ভাবে সফলতার মাপকাঠি বানিয়ে কিছু সফল মানুষকে পরাজয়ের মালা পরিয়েছি।

বাচ্চা লালনপালন করে তাদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করাও যে এক প্রকার সফলতা, সেখানেও যে একজন মানুষকে বাহাবা দেয়া যেতে পারে সেটা হয়ত আমরা ভুলেই গেছি। আর গেছি বলেই ঘর সংসার সামলানোটা আজ অনেকেই অনেক খাটো চোখে দেখে। ফলাফল সামনে! মা হোক বা বাবা হোক স্যুট/বুট পরে সবাই ছুটছে চাকুরি নামক সফলার পিছে।

ঠিক তেমনি খুশি বা আনন্দ গুলোকে বাসার সবার সাথে ভাগাভাগি না করে আমরা ছুটছি এর ওর বাসায়। ছুটছি রমনায়, তুলছি ছবি, দেখাচ্ছি সবাইকে! দেখো তোমরা আমরা কত সুখি!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ রাত ১:৪৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: শুক্রবার দিন বাসার সবাই মিলে পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি দেখার সুখ কি বর্তমান যুগের ডিজিটাল পোলাপান কখনো অনুভব করতে পারবে ?

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: সেই সময় গুলোই ভালো ছিলো। বিলাসিতা ভালো নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.