নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, কবি, সাহিত্যিক, অাই.সি.টি গবেষক, প্রাবন্ধিক, ব্লগার ও সাংবাদিক।

মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু)

অামরা সাজাব নতূনকর্মসংস্থান, অামরা রাখিব দেশের মান; এক নতুন অামি নব উম্মাদনায়, এক নব দেশ হোক অামাদের পদচারনায়

মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) › বিস্তারিত পোস্টঃ

অাপডেট করা হোক দেশের বীমা শিল্প

২৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৩:২৮

একটি বীমা একটি পরিবারের মুখে হাসি ফোটাতে পারে কখনো কখনো। ঐব পরিবারটিকে তখন নির্ভর করতে হয় না অন্যের উপর। কিন্তু কিছু কিছু ফাঁক- ফোকরের কারণে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ অার বীমা খাতে নিয়োজিত উন্নয়ন কর্মীরা। যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে এ খাতটিকে অাপডেট না করেল এর প্রভাব পরবে জিডিপিতেও। বাকী জাতীয় অর্থনীতি ও মুদ্রা প্রবাহে পরবে এক বিশাল প্রভাব যা অর্ত ব্যবস্থাকে ঠেলে দিবে হুমকির মুখে। বীমার পরিবর্তে মানুষ প্রাচীন নিয়মে টাকা জমাবে বাঁশের খুটি কিংবা মািটর নিচে, যেটা জাতির জন্য এক বড় দুঃসংবাদ।

বীমা জগতে অাধুনিক সফটওয়্যানর ব্যবস্থা থেকে শুরু করে কি নেই, অাছে বীমা এসোশিয়েশন এর মত একটি শক্তিশালী এসোশিয়েশনও। কিন্তু এখনো অাপডেট করা হয়নি এর সেলস ব্যবস্থা। সেলস এ নিয়োজিত অাছেন উন্নয়ন কর্মী নামে এক ধরনের কর্মী সাধারণ যারা সাধারণত পরিচািলত হয়ে থাকে কয়েকটি সাভিস সেল এর মাধ্যমে। সার্ভিস সেল এর উন্নয়ন কর্মকর্তারা বিভিন্ন জায়গায় মিটিং/ সেমিনার এর মাধ্যমে প্রলোভনের মাধ্যমে উন্নয়ন কর্মী সংগ্রহ করেন এবং সেই কর্মীগণ মাঠ পর্যােয় বীমা পলিসি হোল্ডার সংগ্রহ করেন বিভিন্ন মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে যা কোন ইন্স্যুেরন্স এর পলিসিতে উল্ল্যেখ নেই। এক পর্যায়ে উন্নয়ন কর্মীগণ বিভ্রান্ত হন এবং পলিসি হোল্ডাররাও বিভ্রান্তিতে পরে বীমা থেক বিমুখ হয়ে যান।

নিচে একটি স্পষ্ট উদাহরণ দেওয়া হল, প্রয়োজনে প্রিয় পাঠক যাষ্টিফাই করে দেখবেন-
১. উন্নয়ন কর্মী সংগ্রহ মিটিংয়ে বলা হয় ফিল্ড অফিসার একটি বীমা করলে বীমা অংকের ২৫% কমিশন পাবেন।

২. ১২ বছরে মাসিক ৫০০/- টাকা করে জমা করলে মেয়াদ শেষে দ্বিগুণ (১২ * ১২ * ৫০০ = ৭২,০০০) এর দ্বিগুণ ১,৪৪,০০০/- টাকা পাবেন।

৩. ২ / ৩ বছর দেওয়ার পর পলিসি সারেন্ডারও করতে পারবেন এক্ষেত্রে অাসল টাকা ফেরৎ পাবেন।

৪. বিনা সুদে জমাকৃত টাকার উপর ৯০% পর্যন্ত লোন পাবেন পলিসি হোল্ডারগণ ইত্যাদি ইত্যাদি।

অাসলে দেখুন অাসল চিত্রটি
উপরে নং ১ এ বর্ণিত বিষয়টি দেখা যায় একজন বীমা কর্মীকে উক্ত কমিশন দেওয়া হয় পলিসিটি রানিং থাকলে ১ বছর পর্যন্ত অার এতে বীমা কর্মীর মন ভেঙ্গে যায়।

উপরে নং ২ এ বর্ণিত অঙ্গীকারটি ১২ বছর পর অার অঙ্গীকার থাকে না অর্থাৎ জমাকৃত টাকার ডবল দেওয়া হয় না (মেয়াদ শেষে বেঁচে থাকলে), বরং জমাকৃত টাকার উপর ১৫ থেক ২০% পর্যন্ত কোম্পানির নগদ লভ্যাংশ ঘোষনা করে সেই হারে প্রদান করা হয় ফলে পলিসি হোল্ডাররা অার ২য় বার বীমামুখী হন না ।

উপরে নং ৩ এ বর্ণিত বিষয়টি দেখা যায় সারেন্ডার করলে লাভ তো ভাগলপুর জমাকৃত টাকার অর্ধেকের ও কম পাওয়া যায়।

উপরেনং ৪ এ বর্ণিত বিষয়টি দেখা যায় লোন অানতে গেলে জমাকৃত টাকার ৪ ভাগের এক ভাগ লোন অফার করে।

এরকম অারো অনেক কারণে মানুষ বীমা শিল্প থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে। যার যথাযথ পদক্ষেপ না নিলে দেশীয় বীমা শিল্প দিন-দিন হুমকির মুখে পরে যাবে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৯ শে জুন, ২০১৬ বিকাল ৪:২১

শোভন১ বলেছেন: বীমা কি শিল্প? নাকি খাত? যাই হোক, বীমার এতো মার-প্যাঁচ থাকে যে এখন এই মার-প্যাচে এখন নিজেরাই প্যাঁচ খেয়ে গেছে। আমারতো মনে হয় বোকা ছাড়া কেউ বাংলাদেশে ইন্স্যুরেন্স করেনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.