নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, কবি, সাহিত্যিক, অাই.সি.টি গবেষক, প্রাবন্ধিক, ব্লগার ও সাংবাদিক।

মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু)

অামরা সাজাব নতূনকর্মসংস্থান, অামরা রাখিব দেশের মান; এক নতুন অামি নব উম্মাদনায়, এক নব দেশ হোক অামাদের পদচারনায়

মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) › বিস্তারিত পোস্টঃ

ব্যাংকিং খাত বীমা অার অার্থিক প্রতিষ্ঠনের দূর্নিতী ও এর প্রভাব

০১ লা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:২০



দেশের সবচেয়ে ভয়ংকরর জালিয়াতী হচ্ছে ব্যাংকিং খাত, বীমা অার অার্থিক প্রতিষ্ঠনগুলোতে। চলছে লুটের মহড়া। মানুষকে নজরবন্দি করে যে যার মত লুট করছে ভদ্র ষ্টাইলে। কোন কিছুতেই যেন নেই এর বালাই। এই ভদ্র বেশের মানুষগুলির জন্য মনে পড়ে যায় একজন বিখ্যাত মানবাধীকার কর্মী ও কবির কবিতা-

''সিড়িতেই দেখা হল এক শকুনের সাথে
যে এইমাত্র ছিড়ে খেয়ে এসেছে
কোন বাড়ন্ত বালিকার দেহ
কালই অাবার তাকে দেখা যাবে হয়ত
কোন সভার প্রধান অতিথী হিসেবে'' ইত্যাদি ইত্যাদি

সত্যিই কবির সে অাক্ষপটি ছিল দারুণ এক বিদ্রোহের প্রতীক। অভিজ্ঞ, উচ্চ শিক্ষিত, বিদেশী ডিগ্রী প্রাপ্ত কোর্ট-টাই পরা ভদ্র ষ্টাইলের মানুষগুলিকে অামরা রাষ্টের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসা্ই অার এই অাশায় বুক বাধি যাক এবার বুঝি অামরা এই সেক্টরকে ১০০ বছর সামনে এগিয়ে নিয়ে গেলাম, কিন্তু সে অাশায় 'গুড়ে বালি'। উন্নয়নের নামে তার সেক্টরটিকে কলূষিত করে তারা পাড়ি জমায় ওদের কোন স্বপ্নের দেশে। কারণ ওদের তো মাতৃভূমির জন্য কোন দয়া, মায়া নেই। ওরা তো ভালবাসতে শেখেনি মা, মাটি অার মানুষকে।

মনে পড়ে যায় মধ্য যুগের কবি অাব্দুল হাকিমের কথা-

''যেইসব বঙ্গেতে জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী
সেই সব কাহারো জন্ম নির্ণয়-অ ন জানি''

এবার সারকথা: অর্থমন্ত্রী একজন প্রাণবন্ত মানুষ, এত ব্যাংক কেলেঙ্কারীর পরেও তিনি বলেছেন এতে অর্থনিতীতে কোন প্রভাব পরবে না। কিন্তু সাম্প্রতি অগ্রণী ব্যাংক কেলেঙ্কারির পর গতকাল সংসদে তার চেহারায়ও চিন্তার কালো ছাপ দেখা দিল এবং এই খাতের এই সিরিজ কেলেঙ্কারীর এত ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও প্রকাশ করেছেন।

এই খাতকে কলুষিতমুক্ত করতে না পারলে স্ব-কেন্দিক অর্থ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে মানুষ। খালি হয়ে যাবে এসব সেক্টর। রাষ্ট্র পড়বে এক নতূন চ্যালেঞ্জর মুখে। প্রণোদনা প‌্যাকেজ দিয়েও মানুষকে অার ব্যাংকমুখী করানো যাবে না। একটি কালো অধ্যায় নেমে অাসবে এই খাতে। সেটিকে পুঁজি করে বিদেশীরা ''কনসালটেশনের'' নামে অামাদের অারো ফতুর করবে। ঋণের বোঝা ভারি হবে, সব জায়গায় সরকার বসাবে ট্যাক্স। দিশেহারা হবে সাধারণ পাবলিক। সমস্যা বাড়তেই থাকবে।

এই খাতের সুদিন ফেরাতে ব্যস্ত হবে রাষ্ট্র। অার তাতে ভাটা পড়ে যাবে দিনবদলের অগ্রযাত্রায়। থমকে যাবে দেশ। তৈরি হবে নতুন কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার অার একটি অধ্যায়।

না! যতটা ভাবছি কিছুই না ঘটুট হে! দেশ মাতৃকা। অামি তোমায় অনটনে দেখতে চাই না। দেখতে চাই একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।

অাল্লাহ্ হাফিজ......::::::::: [email protected]; Dhk, BD.

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ সকাল ১১:২৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তারপরও ব্যর্থতার মাহারাজ পদত্যাগ করার মতো ণূন্যতম ভদ্রতা দেখায় না!

সরকার তার ক্রমাগত ব্যর্থতার পাল্লার ভারে প্রশাসনিক প্ররিচালনার ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করে না।

রাজনীতিবিদ আর মিডিয়ার কারণেই এবারের বিগত ৪০ বছরে এই প্র্রথমবার দেশের এত অধ:পতন .. সব খাতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ব্যাংকিং, জীবন যাপনের প্রতিটা খাতে ব্যা বৃদ্ধিতে মানুষের নাভীশ্বাস উঠে গেছে....

২| ০১ লা জুলাই, ২০১৬ দুপুর ১২:৪২

মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) বলেছেন: ওহ! বন্ধু ধন্যবাদ অাপনার সুন্দরতম মন্তব্যটির জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.