নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শিক্ষক, কবি, সাহিত্যিক, অাই.সি.টি গবেষক, প্রাবন্ধিক, ব্লগার ও সাংবাদিক।

মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু)

অামরা সাজাব নতূনকর্মসংস্থান, অামরা রাখিব দেশের মান; এক নতুন অামি নব উম্মাদনায়, এক নব দেশ হোক অামাদের পদচারনায়

মোঃ ইমরান হোসেন (ইমু) › বিস্তারিত পোস্টঃ

কর্তার স্বীকারোক্তি ‌ও এক মন্ত্রী মহোদয়ের হেরে যা‌ওয়ার গল্প

৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৩


ঘটনাটা সেদিনের, যেদিন একটি গণতান্ত্রিক দেশের একদল মানুষ একটি অধিকার অাদায়ের অন্দোলনে অন্দোলিত হচ্ছিল শাহবাগে। তারা চেয়েছিল রামপাল বা গোপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র দেশে হোক, কিন্তু সুন্দরবন বিধ্বংসী হিসেবে নয়। এ ব্যপারে তারা ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নে তাদের অধিকার তথা গণতান্ত্রিক অধিকার অাদায়ে ব্যস্ত ছিলেন শাহবাগে। ক্ষমতাসীনদের কিন্তু উপর মহল চটে বসল! তারা ভাবল এই কয়টা পিপড়েমাত্র অামাদের পালিত পুলিশ বাহিনী কয়েকজনকে লেলিয়ে দিলেই পিষে মারবে এবং গণতন্তের মুখ বন্ধ করে দেবে। কিসের অাবার গণতন্ত্র, কিসের অাবার অধিকার?

যেই কথা সেই কাজ, বাসায় থেকে মন্ত্রী মহোদয়ের কথায় জো হুকুম.. জাহাপনা!! বলে পুলিশ বাহিনির গুটিকয়েক তাদের নৃশংসতার নিকৃষ্টতম পন্থা অবলম্বন করে ঝাপিয়ে পড়ল জাতীয় তেল, গ্যাস, বিদ্যুত-বন্দর রক্ষা কমিটির হরতালের অাহবানে সাড়া দেয়া সমর্থকদের উপর। যেটা বেশি দিন দুরের কথা নয়। এইতো গত ২৬-০১-২০১৭ইং তারিখের কথা যা দেশের মানুষ অবলোকন করেছে গণমাধ্যমের অাশীর্বাদে।

কিন্তু কি ছিল সেই ঘটনাটি? ঘটনাটি ছিল হরতাল সমর্থনকারীদের উপর নির্যাতনের ছবি তুলতে গিয়ে বেসরকারী টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলার দু’জন সাংবাদিককে নির্যাতন এবং শ্লীলতাহানি করে পুলিশ।

এরপর নিজ-রাজ্য-মন্ত্রী (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) মহোদয় গণমাধ্যমে এব্যাপারে তার বিবৃতি পেশ কররেন এভাবে- ‘হরতালরে ছবি তুলতে গিয়ে পুলিশের সাথে সাংবাদিকদের ধাক্কাধাক্কি হয়েছে’। হ্যাঁ, সত্যিই ঠিক এভাবেই তিনি পেশ করেছে সাংবাদিক নির্যাতনের এই ঘটনাকে।

এরপর ক্ষোভে ফেটে পড়লেন ভুক্তভোগীসহ মাঠপর্যায়ের সকল সাংবাদিকরা। সহকর্মীদের প্রদি সহানুভুতিশীল হয়ে করলেন কর্মবিরতী, কালোব্যাজ ধারন এরপর দাড়িয়ে গেলন মানববন্ধনরে লাইনে এবং মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায়, দায়ের করা হল অভিযোগ অার দাবী করা হল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মত গুরুত্বপূর্ণ এক ব্যক্তির মুখ থেকে বের হওয়া এই ধরনের বিবৃতি উড্ডয়ন করা হোক। বরখাস্ত করে শাস্তির অাওতায় অানা হোক সংশ্লিষ্ট পুলিশ সদস্যদের।

............এরপর রবিবার (২৯-০১-২০১৭ইং) গণমাধ্যমে এল এক কর্তা ব্যক্তির জবানবন্দী। তিনি জানালেন- শাহাবাগে সাংবাদিক নির্যাতনে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যাচাই বাছাই করে দোষীদের দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে। এই ব্যক্তিটি হলেন পুলিশের মহা পরিদর্শক একেএম শহীদুল হক। তিনি যথার্থই বলেছেন, কারণ ব্যক্তির দোষ কোন সম্প্রদায়ের উপর বর্তাবে কেন? যারা জড়িত তারাই কেবল শাস্তি পাবে। এসময় তিনি সংবাদমাধ্যমের গুরুত্ব সম্পর্কে অারো তুলে ধরেন যে- রাষ্ট্রের সব বিষয় জনসম্মুখে তুলে আনতে গণমাধ্যম কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাংবাদিক ও পুলিশের সঙ্গে সবসময় সু-সম্পর্ক থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

তাহলে তো লেফট হ্যান্ড সাইট = রাইট হ্যান্ড সাইট, প্রুভড যে- পুলিশ সাংবাদিকদের সাথে ধাক্কাধাক্কি নয় বরং অন্যায় ভাবেই নির্যাতন করেছে। তাহলে অামাদের স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের বিবৃতিটি কি উড্ড করা হবে? নাকি অামরা ভুলে যাব যে এ ব্যাপারে তিনি কিছুই বলেননি। অার বললে‌ও এ যাত্রা তিনি হেরে গেছেন। কারণ বিশ্ব দেখেছে এটা ধাক্কাধাক্কি নাকি অমানষিক নির্যাতন।
নাকি অমানষিক নির্যাতন।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.