নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইমরানন

কিছু কথা থাকনা গোপন..... https://www.facebook.com/imran.hossain.aamir

ইমরানন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বলিউডে ব্যোমকেশ

৩০ শে মে, ২০১৫ রাত ৮:০৯

Detective Byomkesh Bakshy


এবছর বেশ কিছু ডিটেকটিভ জেনারের সিনেমা নির্মিত হয়েছে, যদিও কিছু খুব ভালো হলেও কিছু ছিলো এভারেজ পর্যায়ের । এদের মধ্যে "এবার শবর" আর "ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ বক্সী" একটু বেশি ভালো লেগেছে ।
স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের বিখ্যাত সৃষ্টি "শার্লক হোমস" থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে শরদিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা ইতিহাসে এক নতুন চরিত্রের সৃষ্টি করেন যার নাম দেন "ব্যোমকেশ বক্সী" । ১৯৬৭ সালে সত্যজিৎ রায়ের "চিড়িয়াখানা"র মাধ্যমে ব্যোমকেশ বক্সী প্রথমে সিনেমায় আসেন । এরপর আরো ৯বারের মতন রূপালী পর্দায় আসেন শ্রী-সত্যান্বেষী ।
রুপালী পর্দায় শেষ আগমন ঘটে বলিউডের অন্যতম সফল পরিচালক দিবাকর ব্য্যানার্জীর হাত ধরে । সিনেমায় বইয়ের ভাষার মতন করে-ই ব্যোমকেশ বক্সিকে প্রেজেন্ট করা হয়েছে । এখানে ব্যোমকেশ চরিত্রে অভিনয় করেছেন বলিউডের নতুন মুখ "সুশান সিং রাজপুত" ।



দিবাকর ব্যানার্জীর পূর্বের প্রায় সবগুলো কর্ম খুব ভালো হয়েছে বিশেষ করে "সাংহাই" । তখন নতুন পরিচালক হিসেবে কম বাজেটের মধ্যে সিনেমা নির্মান করে ব্যাপক সফল হয়েছেন । তাই এবার স্টেপকে বড় করলেন । টার্গেট করলেন একটু বেশি সংখ্যক অডিয়েন্স । দুইটি কারণে এবারের কাজ অনেক বেশি টাফ ছিলো , কারণ নং এক- সিনেমার প্লট, কারণ নং দুই-সফল উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত । কারণ নং এক বিবেচনা করলে তিনি সেক্ষেত্রে সফল হয়েছেন, ১৯৪৩ সালের প্লটকে বেশ যত্নের সাথে পর্দায় দেখিয়েছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে কলকাতার আবহ কেমন ছিলো তা সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন । ছোট-খাটো বিষয়ের উপরেও নজর রেখেছেন । over all ভালো ভাবে-ই স্টোরিকে উপস্থাপন করা হয়েছে ।




ডিরেকশন এন্ড স্ক্রিনপ্লে ঃ দিবাকর ব্যানার্জী বেশ ভালো মানের সিনেমা নির্মাতা । তার পূর্বের কাজগুলো বেশ আন্ডার-রেটেড হলেও অনেক ভালো লেগেছে । সিনেমাটিক সেন্স অনেক আপার লেভেলের । তার পরিচালনার আলাদা ধরন রয়েছে, এই সিনেমায় বেশ ভালো করেছেন । উর্মি জুভেকারের সাথে মিলে দিবাকর ব্যানার্জী এই সিনেমার স্ক্রিনপ্লে লিখেছেন । প্রথম হাফে স্ক্রিনপ্লে বেশ জোরালো লেগেছে, পরবর্তী সিকুয়েন্সে আগের চেয়ে বেশি সাসপেন্স ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে, মূলত মিস্ট্রি-থ্রিলার জেনারের মূল লক্ষ্য হলো দর্শকের সাসপেন্স ধরে রাখা, এখানে বলতে গেলে শতভাগ সফল হননি সিনেমার স্ক্রিনপ্লে রাইটারগণ , সেকেন্ড হাফে স্টোরি সফট হয়ে আসছিলো । সিনেমার শুরু থেকে পুরো স্টোরিকে যে উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে তা নিন্মগামী মনে হয়েছে, শেষার্ধে অনেক বেশি চরিত্রের আগমন ঘটায় এক প্রকার কনফিউশনের সৃষ্টি হয় স্ক্রিন-টাইমিং নিয়ে । মুভির রান টাইম একটু কমিয়ে আনলে দ্বিতীয়ার্ধে বোরিং ফিল করার সমস্যা হতো না ।

চিত্রায়ণ ঃ সিনেমেট্রোগ্রাফি এভারেজ পর্যায়ের । যদিও প্লট অনুযায়ি এক্সপেক্টেশন একটু বেশি ছিলো ।

পারফরমেন্স ঃ ব্যোমকেশের চরিত্রে সুশান্ত বেশ ভালো করেছে । আশা করি পরবর্তী সিকুয়ালে এই ভালো পারফরমেন্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখবেন । স্বস্তিকা মুখার্জির স্ক্রিন টাইম কম হলেও যথারীতি অনেক ভালো করেছেন । অনুকুল গুহের চরিত্রে নেরাজ কাবি আউটস্ট্যান্ডিং পারফরমেন্স দিয়েছেন । উনার এই চরিত্রে প্রথমে আমির খানকে অফার করা হয়েছিলো । অভার অল বাকিরাও খুব ভালো করেছেন ।



এই জেনারের সিনেমায় ডায়ালগ অনেক গুরুত্বপূর্ন, কিন্তু এই সিনেমার ডায়ালগ শুনে মনে হচ্ছিলো এই ধাচের ডায়ালগ আগেও শুনেছি । কিন্তু কিছু কিছু ডায়ালগ বেশ লেগেছে, হিউমার সমৃদ্ধ বেশ কিছু ডায়ালগ ছিলো । ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ভালো হয়েছে, সিনেমার প্রথমে আর শেষে দুটি গান খুব ভালো লেগেছে ।
অভার অল, দেখার মতন সিনেমা, বলিউডের প্রথম ব্যোমকেশ বেশ এন্টারটেইনিং লাগবে ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.