নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইমরানন

কিছু কথা থাকনা গোপন..... https://www.facebook.com/imran.hossain.aamir

ইমরানন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বলিউডের "গডফাদার"-গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৮:৪৫

হলিউডের কাছে গর্ব করার মত অনেক সিনেমা আছে কিন্তু বলিউড তথা গোটা ভারতবর্ষে গর্ব করার মত সিনেমা খুব একটা বেশি না… কিন্তু সেই গুটি কয়েক সিনেমাগুলো হলিউডের অন্যসব মাস্টারপিসের সমপর্যায়ে… সেই লেভেলের একটি চলচ্চিত্র হচ্ছে “Gangs of Wasseypur “…
জিশান কাদরি- এই নামটি হয়তো অনেকের-ই অজানা, ২০০৯ সালে ওয়াসিপুর থেকে মুম্বাই আসেন “হিরো” হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে, যদিও পরবর্তীতে তার এই “লক্ষ্য” কয়েক লক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ে যখন তিনি বুঝতে পারেন “হিরো” হওয়া অতোটা সহজ না, যতোটা কল্পনা করে তিনি ওয়াসিপুর ছেড়ে মুম্বাই আসেন… এরপর তিনি প্রচুর সিনেমা দেখা শুরু করে দেন, এক সময় রিয়ালাইজ করেন “আরেহ এই রকম কাহিনী তো আমিও লিখতে পারি”… খাতা-কলম নিয়ে বসে পড়লেন “লেখার” জন্য… কিন্তু কি “লিখবেন”…!! কোনো কূল-কিনারা করতে না পেরে সিদ্ধান্ত নেন নিজের জন্মস্থান(ওয়াসিপুর)কে নিয়ে লিখবেন… অবশেষে কোনো রকম ৮ পৃষ্ঠার মধ্যে গল্পের মূল কনসেপ্ট লিখে নিয়ে যান আনুরাগ কাশ্যাপের কাছে, আনুরাগ কাশ্যাপ সামারি পড়ার পর এই গল্প নিয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন… গল্প নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করায় জিশান এই ফাকে নিজের অভিনয়েr কথা আনুরাগ কাশ্যাপকে বলে… আনুরাগ কাশ্যাপ তাকে বলেন, অভিনয়ের চিন্তা আপাতত না করে পুরো স্ক্রিপ্ট লিখে নিয়ে আসতে… এরপর দীর্ঘ এক বছর গল্পের উপর কাজ করে ১৪০ পৃষ্ঠার স্ক্রিপ্ট নিয়ে হাজির হন আনুরাগ কাশ্যাপের সামনে… স্ক্রিপ্ট পড়ার সাথে সাথে ডিকলেয়ার করে দেন এই স্ক্রিপ্ট নিয়ে তিনি কাজ করবেন… অন্যদিকে জিশানের মনে অভিনয়ের ইচ্ছা এখন জীবন্ত… প্রি-প্রোডাকশনের সময়-ই তিনি আনুরাগ কাশ্যাপকে বলে দেন, এই গল্পের “ডেফিনেট” নামে যে চরিত্রটি আছে, তা তিনি প্লে করতে চান… এতে আনুরাগ কাশ্যাপ রাজি হয়ে যান, যদিও এই চরিত্রের প্রথম শট নেওয়ার পর আনুরাগ কাশ্যাপ শট বাদ করে দেন… এবং জিশানকে বলেন ওজন কমাতে… প্রায় দশ কেজি ওজন কমানোর পর আবার রিটেক দেন…


এতোক্ষন জিশান কাদরির কথা এর জন্য বললাম কারণ তার জন্য আজ এই রকম একটি মাস্টার ক্লাস চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে…
“ওয়াসিপুর” হচ্ছে ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের ধানবাদ জেলার একটি বিশাল এরিয়া, আর এই সিনেমার প্রেক্ষাপট যখন থেকে শুরু হয় তখন ওয়াসিপুর ছিলো ধানবাদের বাহিরে । এই সিনেমার মূল কাহিনী আবর্তিত হয় ওয়াসিরপুরকে নিয়ে-ই… গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর মূলত সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত একটি চলচ্চিত্র…
“নতুন” সিনেমা সবাই নির্মান করতে পারে না, বলিউডে খুব কম পরিচালক-ই আছেন যারা নতুন চলচ্চিত্র নির্মান করেন… এখানে নতুন বলতে বোঝানো হয়েছে “চলচ্চিত্রের নতুনত্বকে”… আনুরাগ কাশ্যাপ বলিউডকে একদম নতুন একটি চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন, এমন একটি সিনেমা যেখানে একজন অডিয়েন্স সম্পূর্ণ নতুন কিছুর স্বাদ পাবে, এমন কিছু যা কেউ কখন করে দেখায়নি… তারান্তিনো যেমন ভায়োলেন্সের ব্যাপারটি একদম আর্টের লেভেলে নিয়ে গেছেন ঠিক তেমনি আনুরাগ কাশ্যাপও গ্যাংস্টার জেনারের সাথে ভায়োলেন্সকে জোড়া লাগিয়ে একদম নতুন কিছু সৃষ্টি করে দেখিয়েছেন…
কাস্টিং থেকে শুরু প্রতিটি সাইট ছিলো একটু বেশি অসাধারণ…
ডিরেকশন- মানোজ বাজপাই কোনো এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন বলিউডের সব’চে আমেজিং পরিচালক হলেন “আনুরাগ কাশ্যাপ”
বলিউডের টপ পরিচালকের লিস্ট ততক্ষন পর্যন্ত অপরিপূর্ণ থাকবে যতক্ষন পর্যন্ত আনুরাগ কাশ্যাপের নাম না লেখানো হয়… রাজকুমার হিরানী,রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার সাথে আনুরাগ কাশ্যাপের নাম সব সময় উচ্চারিত হবে শুধুমাত্র এই সিনেমার জন্য… আনুরাগ কাশ্যাপের ডিরেকশন মানে নতুন কোনো চমক, এমন কিছু যা দেখার পর মুখ থেকে অটোমেটিক বেরিয়ে পড়বে “I’ve never seen it before”… সিনেমার স্ক্রিপ্ট নিয়ে তিনি ব্যাপক গবেষনা করেছেন, যা তার পরিচালনায় খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠছে…সাধারণত একটি সিনেমাতে দেড়শ থেকে দু’শ এর মত সিন থাকে কিন্তু এই মুভিতে প্রায় সাতশ সিন রয়েছে… পুরো মুভির রান টাইম প্রায় সাড়ে পাচ ঘন্টা, সেই হিসেবে একটি সিনের জন্য এক মিনিটেরও কম সময় বরাদ্দ… এত কম সময়ে পুরো মুভিকে এতো সুন্দর ভাবে উপস্থাপনের জন্য-ই “গ্যাংস অফ ওয়াসিপুর” একটি মাস্টারপিস হয়েছে … হয়তো এর জন্য Cannes Film Festival এ মুভিটি প্রদর্শিত হয়েছে…


স্টোরি- পুরো মুভির গল্পটি অনেক বড় হওয়ায় এটিকে দুই ভাগে ভাগ করে নির্মান করা হয়… মুভি স্টোরি ৮৫%-ই ছিলো রিয়ালস্টিক আর বাকি ১৫% ফিকশন… প্রথম পার্ট একটু ধীর গতির ছিলো কিন্তু দ্বিতীয় পর্বে বেশ জোড়ালো ভাবে কাহিনি এগিয়ে যায়… প্রতিটি টার্ন & টুইস্ট সিট-বেল্টকে আরো শক্ত করে ধরে রাখবে… যখন এই সিনেমার স্ক্রিপ্ট ডেভলপিং-এর কাজ করা হচ্ছিলো তখন বেশ ধমকিমূলক ফোন কল পেয়েছিলেন মুভির কো-রাইটার আর আনুরাগ কাশ্যাপ… শতবাধাকে পেছনে ফেলে নিজের কাজ করে ফেলেছেন…
কাস্টিং & ক্যামেরা ওয়ার্ক- বড় কোনো স্টারকে এই সিনেমায় কাস্ট করা হয়নি, জাস্ট সিনিয়র কিছু অভিনেতাদের কাস্ট করা হয়েছে… এই সিনেমার প্রতিটি ক্যারেক্টার-ই একটু অদ্ভুত ধরনের, সবার ভেতরে একটু সাইকো সাইকো ভাব আছে, আর এই সাইকোয়িক ভাব ব্যাপক ভাবে ফুটে উঠেছে কাস্টিং এর মাধ্যমে… সবাইকে পারফেক্ট চরিত্রে কাস্ট করা হয়েছে… এই সিনেমায় “আসগার” নামে একটি চরিত্র আছে যার জন্য প্রায় দেড় হাজার মানুষ অডিশন দিয়েছে, এর থেকে বোঝা যায় কতোটা সতর্কতার সাথে মুভির কাস্টিং করা হয়েছে… মুভির স্টোরিলাইনে যে এটমস্ফিয়ার ক্রিয়েট করা তা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে অডিয়েন্সের কাছে উপস্থাপিত হয়েছে ক্যামেরা ওয়ার্কের মাধ্যমে… সেকেন্ড পার্টে ফাইনাল সিকুয়েন্স ছিলো পুরো মুভির বেস্ট সিন…
মিউজিক এন্ড ডায়ালগ- এই সিনেমার মিউজিক কম্পোজার Sneha Khanwalker শুটিং শুরুর এক বছর আগে থেকে মিউজিক কম্পোজ করা শুরু করে দেন… এই সিনেমার মিউজিক এক কথায় “অদ্ভুত সুন্দর”… সিনেমার মত মিউজিকও একটু ডিফরেন্ট… একশন সিকুয়েন্সের সাথে গানগুলো বেশ লেগেছে… প্রতিটি টার্নিং সিকুয়েন্সের আগে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের ব্যবহার একদম পারফেক্ট হয়েছে… এই সিনেমার কিছু এক্সেসিভ ভায়োলেন্সের সাথে কিছু ডায়ালগও সবার হয়তো হজম নাও হতে পারে, মারমার-কাটকাটে ভরপুর মুভির প্রায় প্রতিটা ডায়ালগ… ডায়ালগের জন্য মুভিটি আরো বেশি রিয়ালিস্টিক মনে হয়েছে
অভিনয়- এই সিনেমার মাইট্রোকন্ডিয়া হচ্ছে প্রতিটি চরিত্রের ন্যাচারাল অভিনয়… বিশাল কাস্টিং হওয়ায় সবার নাম ধরে ধরে বলা পসিবল না, যদিও সবাই তাদের বেস্ট অভিনয় করে দেখিয়েছেন, স্পেশালী যে চরিত্রগুলো সারাজীবন মনে থাকবে সেগুলো নিয়ে দুটি কথা… প্রথম পর্বে মানোজ বাজপাই তার জীবনের সেরা অভিনয় করে দেখিয়েছেন… জাস্ট outstanding performance… দুটি পর্বে-ই রিচা চাড্ডা দারুন পারফরমেন্স করেছেন…




কিন্তু কেকের উপর চেরি হয়ে ছিলেন one & only নাওয়াজ উদ্দিন সিদ্দিকি… যার মাত্র এক মিনিটেরও কম সময়ের অভিনয় দেখে(সারফারোস মুভিতে) আনুরাগ কাশ্যাপ বুঝতে পেরেছিলেন “একে” দিয়ে কিছু হবে… এরপর যখন গ্যাংস অফ ওয়াসিপুরে লিড রোলে তাকে কাস্ট করা হলো তখন প্রায় অনেকে অবাক হয়ে গিয়েছিলো… অবাক হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না, কারণ আনুরাগ কাশ্যাপ এক হিসেবে বিশাল একটা রিস্ক নিয়ে ফেলেছিলেন তাকে কাস্ট করে.. এমন দুঃসাহস খুব কম পরিচালক-ই দেখিয়েছেন…. অবশেষে সকল প্রশ্নের জবাব তিনি দিয়ে দিলেন তার অভিনয়ের মাধ্যমে… এখনও অনেকে কম্পেয়ার করে কনফিউজড যে কার অভিনয় বেশি ভালো হয়ে মানোজ বাজপাই এর নাকি নাওয়াজ উদ্দিনের… দু’জন-ই তাদের এখন পর্যন্ত সেরা অভিনয় দিয়ে দিয়েছেন এই সিনেমায়… বলিউডের আরেক লিজেন্ডারি পরিচালক তিগমানসু ঢুলিয়া এই মুভিতে অভিনয় করেন, এই প্রথম তিনি ক্যামেরার সামনে আসেন… মানোজ বাজপাই আর নাওয়াজ উদ্দিনের সাথে পাল্লা দিয়ে তিনিও অসাধারণ অভিনয় করেছেন… সাপোর্টিং একট্রেস হিসেবে হুমা কুরাইসি ভালো করেছেন… সারদার খান আর ফাইজাল খানের পর ডেফিনেট আর পারপেন্ডিকুলারের অভিনয় খুব ভালো লেগেছে, তাদের অভিনয়ও অনেক দিন মনে থাকবে…





প্রথম পার্ট থেকে ২য় পার্ট অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং লেগেছে…।
বি-টাউনের গডফাদার বলে বিবেচিত এই গ্যাংস্টার মুভি আমার দেখা সেরা গ্যাংস্টার মুভি লিস্টে প্রথমে থাকবে… পুরো মুভি কোনো কমেডি সিন নেই, বেশির ভাগ-ই সিরিয়াস সিন, কিন্তু তারপরও ব্যাপক হেসেছি… মুভির ট্রেড মার্ক কিছু সিকুয়েন্স আছে যা মাঝে মাঝে দেখা হয়… মুভিতে একটি সিকুয়েন্সে দেখা যায় ফায়জাল খান(নাওয়াজ উদ্দিন) মহসিনাকে(হুমা কুরাইসি) প্রেমের প্রস্তাব দিচ্ছে এই সময় হাত ধরাকে কেন্দ্রে করে খুব সুন্দর একটি সিকুয়েন্স আছে যা বাস্তবে-ই নাওয়াজ উদ্দিনের সাথে হয়েছে… এই সিনেমার জন্য নাওয়াজ উদ্দিন ন্যাশনাল এওয়ার্ড পান… ফুল অফ এন্টারটেইনমেন্টের পারফেক্ট উদাহরণ হচ্ছে এই সিনেমাটি…
পরিশেষে একটা কথা-ই বলবো “Gangs of Waseypur is already a Cult”

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ৯:৩৮

সাদী ফেরদৌস বলেছেন: তুমি তো ভাই অসাধারণ লিখ , অসাধারণ তোমার বিশ্লেষণ । তোমার এই লেখাটা পড়ে তোমার আর্কাইভস এর লেখা গুলা পড়লাম । স্রেফ অসাধারণ ।
আমার কথা হচ্ছে তুমি এত দিন কই ছিলে ?
সিনেমা সম্পর্কে আমার প্রচণ্ড আগ্রহ এবং আমি এসব বুঝার চেষ্টা করি ।
সামু ব্লগে হয়ত আগের দিন নেই , তবে আশা করি তুমি অচিরেই অনেকের নজরে পরবে , তোমার মতো এভাবে সিনেমা নিয়ে লেখার লেখক খুব একটা নেই ।
তোমার প্রতি শুভ কামনা ।

২৯ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৩৭

ইমরানন বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সাদী ভাই, আপনাদের এমন মূল্যায়ন-ই আমার অনুপ্ররণা , দোয়া রাখবেন যেনো এর থেকে ভালো কিছু আপনাদের দিতে পারি ।

২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১১:১৫

মিজভী বাপ্পা বলেছেন: আমি দুদিন লাগিয়ে দুটি পার্ট দেখেছি। এক বাক্যে অনবদ্য এর উপরে যদি কিছু থাকে তাহলে সেটা। কারণ গ্যাং অব ওয়াসিপুরের কাহিনী সেই বিট্রিশ আমল থেকে বর্তমান প্রেক্ষাপটকে ঘিরে আর্বতিত হয়েছিল। এই ছবিতে সব ক্যারেক্টরই ওদের বেস্ট অভিনয় দিয়েছে আমার মতে।
আমি এক রিভিউতে পড়েছিলাম যে অনুরাগ কাশ্যপ এই ছবিটি এক পার্টেই শেষ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরে দেখলেন যে ছবিটি এক পার্টে শেষ করা হলে এটির মূল থীম অনেকটাই অধরা হয়ে থাকবে ফলে কাহিনী, ক্লাইমেক্স, সাসপেন্স ইত্যাদি কিছুই পরিলক্ষিত হবে না ছবিতে। তাই এটিকে দুটি পার্টে করেন। তবে ১ম পার্টে অনেক বিস্তারিত ছিল। ২য় পার্ট একটু তাড়াতাড়ি করেই মানে মূল বিষয়বস্তুকে তুলে ধরেই ওরা শেষ করে দিয়েছে।

তবে ফিনিশিং পার্ট টা আমার খানিক খারাপ লেগেছে। কারণ পরিশেষে ডেফিনিট নওয়াজকে মেরে চলে গেল। এরপর সাসপেন্স রেখে দিলো কারণ ডেফিনিটের মূল ইচ্ছা ছিল ওয়াসিপুর কে দখল করা। ওর কি পরিণতি হল বা ধনবাদের ঐ জমিদারের ছেলে ডেফিনিটকে কি করল সেটি আর দেখালো না। এই টাইপের মুভি গুলোর এরকম একটা সাসপেন্স রেখে দেয়। কারণ সর্ম্পূণ পরিণতি তা দেখায় না। যদিও একটি মুভির সফল পরিসমাপ্তিতে কিন্তু ছবির সার্থকতা নিহিত থাকে :)

এরপরেও আমার দেখা অসাধারণ মুভি এটি।

২৯ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩

ইমরানন বলেছেন: সিনেমার দুইটি পার্ট দুই রকম ফ্লেভার দেওয়া হয়েছে, যদিও প্রথম একটু ধীর গতির ছিলো কারণ এই পার্টে মোট দুটি জেনারেশনের উথান-পতনের কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, আবার অন্য দিকে দ্বিতীয় পার্টে শুধু গল্পের ফিনিশিং দেওয়া হছে, যদিও পার্সোনালী আমার কাছে দ্বিতীয় পার্ট বেশি ভালো লেগেছে, কিন্তু ডায়ালগের বিচারে প্রথম পার্ট বেশি ভালো ছিলো.। সিনেমাটি একটি পার্টে শেষ করা হবে এমন কোনো নিউজ আমি পাইনি , যদি এক পার্টে শেষ করা হতো তাহলে এটির ফ্লেভার অন্যরকম হতো

৩| ২৯ শে জুলাই, ২০১৫ রাত ১২:২৭

সজিব্90 বলেছেন: ১ম পাঠ দেখা হয়েছিল ২য় পাঠ এখনো দেখা হয় নাই,YouTube এ পাওয়া যাবে কি ?

২৯ শে জুলাই, ২০১৫ সকাল ১০:৪৪

ইমরানন বলেছেন: ইউটিউবে পাবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.