নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইমরানন

কিছু কথা থাকনা গোপন..... https://www.facebook.com/imran.hossain.aamir

ইমরানন › বিস্তারিত পোস্টঃ

“পাইরেটস অফ দ্যা ক্যারাবিয়ান”

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১১:৩৪




“ক্যাপ্টেন” জ্যাক স্প্যারো, এই ক্যারেক্টারটি আমার কতো প্রিয় তা ঠিক বলে বোঝানো যাবে না…

সেদিন সিরিজের লাস্ট পার্ট দেখার মাধ্যমে সিরিজটি শেষ করলাম… প্রথম ৩টা কয়েকবার করে দেখা হলে শেষের পার্টি একবারও দেখা হয় নাই…
সিরিজটি নিয়ে হালকায়ে রিভিউ…
Pirates of the Caribbean: The Curse of the Black Pearl (2003

এই সিরিজের সবগুলো মুভি-ই ব্যাপক লেগেছে, এরমধ্যে ব্ল্যাক পার্ল একটু বেশি-ই “ব্যাপক লেগেছে”… জনি ডেপ কি জিনিস তা এই মুভি দেখে বুঝতে পেরেছি(আমার দেখা জনি ডেপের প্রথম মুভি-ই এইটা ছিলো) এমন কি সেরা অভিনিত মুভিও এটি… এই মু্ভি এটলিস্ট ২টি ক্যাটাগোরিতে(বেস্ট এক্টর আর মেকাপ) অস্কার না পাওয়ায় চরম আশাহত হয়েছি… রবার্ট ডি নিরো কে জ্যাকস্প্যারোর চরিত্রের জন্য অফার করা হয় কিন্তু তিনি তা ফিরিয়ে দেন এই ভেবে যে, এর আগেও পাইরেটসদের নিয়ে অনেক মুভি নির্মিত হয় এবং বেশির ভাগ বক্স-অফিসে ভালো কিছু করতে পারেনি… এর পরের ইতিহাস সবার-ই জানা…
Will Turner এর চরিত্রের জন্য Heath Ledger কেও সিলেক্ট করা হয় কিন্তু ডিরেক্টর Gore Verbinski অরলান্ডোকে চূড়ান্ত হিসেবে ঘোষনা করেন, এখানে তিনি রেফারেন্স হিসেবে The Lord of the Rings Trilogyকে ব্যবহার করেন… Christian Bale, Jude Law সহ অনেক বাঘা বাঘা অভিনেতাদেরকে এই চরিত্রের জন্য লিস্ট করা হয়… মুভির তিনটি প্রধান চরিত্র, জ্যাকস্প্যারো-এলিজাবেদ সোয়ান-উয়িল টারনার… তিনটি নাম বিখ্যাত তিন জন পক্ষীবিদের… মুভি জ্যাকস্প্যারোর গোল্ডেন দাতের আইডিয়াটি ছিলো স্বয়ং জনি ডেপের…
এছাড়াও মুভির বেশ কিছু ডায়ালগ জনি ডেপ মাধ্যমে উদ্ভাবিত…

Pirates of the Caribbean: Dead Man’s Chest (2006)

প্রথম পার্টে অস্কারে ৫টি বিভাগে নমিনেশন পেয়েছিলো কিন্তু আফসোসসস, কোন বিভাগে অস্কার জোটেনি, কিন্তু সিরিজের এই পার্টে বাজিমাত, বেশ কয়েকটি বিভাগে নমিনেশন পেলেও Visual Effects এর জন্য অস্কার পেয়ে যায়…। এটি ছিলো ২০০৬সালের সব’চে হিট মুভি, এই সিরিজের সব মুভি ভালো লেগেছে, কিন্তু এই মুভিটা একটু কম ভালো লেগেছে(অন্যগুলো সাথে জাস্ট কম্পেয়ার করে)… স্টোরি একটু টাইট হলে হয়তো ভালো না লাগার ব্যাপারটি আসতো না… স্টোরি মন মতো না হোক তাতে কি মাথা নষ্ট ভিজুয়াল ইফেক্টস তো আছে… ব্যাটলশিপ টাইপের হয়ে গেছে আর কি… স্পেশালী একটি ক্যারেক্টারের কথা উল্লেখ করবো যাকে দেখে হাতের অর্ধেক সিঙ্গারা আর খাওয়া হয়নি… মনে হয় না আর বলে দিতে হবে এই চরিত্রের নাম “ডেভি জোন্স” উয়াক… মুভির শেষের সিকুয়েন্সে দেখা যায় জ্যাকস্প্যারোর হাতে কৌশলে হ্যান্ড কাফ পড়িয়ে দেন এলিজাবেদ সোয়ান… এই আইডিয়ার জনক Keira Knightley(এলিজাবেদ সোয়ান) নিজে-ই… বাহ, নিজেরা-ই সব…
ভৌতিক এবং ভায়োলেন্স কিছু ব্যাপারের জন্য এই মুভিটি চীনে ব্যান করা হয়… পাইরেসির ভয়ে মুভিটি “Rummy 2″ নাম দিয়ে থিয়েটারে প্রেরণ করা হয়… অধিক ব্যবসা সফল হওয়ার পেছনে হয়তো এই আইডিয়া প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে…

Pirates of the Caribbean: At World’s End (2007)

এই সিরিজের একশন প্যাকড মুভি হিসেবে এই মুভিটি এগিয়ে থাকবে… স্টোরীলাইন গত পার্ট থেকে যথেষ্ট ভালো, টুইস্ট ছিলো কিন্তু অতোটা মেনশন করার মত না… মুভির রান টাইম একটু কম হলে ভালো হতো… মুভির রান টাইম প্রথমে প্রায় ৩ঘন্টার মতো ছিলো পরবর্তিতে প্রায় ২০মিনিটের মত কেটে দেয়া হয়… মুভির প্রথম ৩০মিনিট পর্যন্ত জ্যাকস্প্যারো না আসায় বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম… কিন্তু জ্যাকস্প্যারোর এন্ট্রির পর মুভির আবহাওয়া অন্য রকম হয়ে যায়… মুভির শেষের প্রায় ১ঘন্টার মতো ছিলো শুধু একশন যা অনেকের কাছে বোরিং লাগলেও আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে(মিনিংফুল একশন সিকুয়েন্স ছিলো বলে), অযথা কোনো একশন সিকুয়েন্স ছিলো না… এন্ডিং খুব ভালো লেগেছে, মুভির এন্ডিং সিনের সাথে The Curse of the Black Pearl (2003) এর যথেষ্ট মিল আছে, দুটো মুভিতে-ই জ্যাকস্প্যারোকে ছোট নৌকাতে দেখা যায়… এখন পর্যন্ত সব’চে ব্যয়বহুল মুভির উপাধী সিরিজের এই মুভির আয়ত্বে, এমন কি The Lord of the Rings Trilogy এর মোট বাজেট এই মুভি থেকেও কম… মুভির কিছু সিকুয়েন্স Dead Man’s Chest করার সময়-ই দৃশ্যায়ন করা হয়… এই মুভিও ফেক টাইটেল ব্যবহার করে থিয়েটারে প্রেরণ করে, ফেক নামটি ছিলো “Rummy 3″

Pirates of the Caribbean: On Stranger Tides (2011)

স্টোরিলাইন খুব সিম্পল ছিলো এই মুভির, কিন্তু খুব ভালো ছিলো, কিন্তু ডিরেকশনে Gore Verbinski না থাকায় কেমন হবে এই নিয়ে একটু দ্বিধায় ছিলাম, কিন্তু Rob Marshall যথেষ্ট ভালো করেছেন… পারফরমেন্স নিয়ে কোনো কথা হবে না, সবাই তাদের সর্বোচ্চ দিয়ে কাজ করেছেন…মেগান ফক্সকে Syrena(সেরিনা)এর চরিত্রে নেয়ার জন্য বিবেচনা করা হয়… সিরিজের আগে মুভিগুলো করার সময় অনেক crew মেম্বার অতিরিক্ত ঠান্ডা আবহাওয়া থাকায় অসুস্থ হয়ে পড়ে তাই এবার জনি ডেপ ৫শ crew মেম্বারদের জন্য নিজের টাকায় ওয়াটার প্রুফ জ্যাকেট কিনে দেন সবাইকে(বড় মাপের অভিনেতা বলে কথা)… সিরিজের এই মুভিটি-ই অস্কারে কোনো নমিনেশন পায়নি…
মুভির শুটিং চলাকালীন সময় জ্যাকস্প্যারো কাছে একটি চিঠি আসে ৯বছরের একজন স্কুলগার্লের, চিঠিতে লেখা ছিলো, জ্যাকস্প্যারো যেনো তাদের স্কুলে আসে এবং তাদের ক্লাস টিচারের বিরুদ্ধে তাদের সাথে মিলে বিদ্রোহ করে, এরপর জ্যাকস্প্যারো সেই স্কুলে যান(তার নিজের বেশ ধরে-ই) এবং তাদেরকে “বিদ্রোহ” টাইপ কিছু করা থেকে বিরত থাকতে বলেন..
On Stranger Tides শেষ করার পর এখন শুধু অপেক্ষা Dead Men Tell No Tales এর…

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫

দূরের পথযাত্রী বলেছেন: জ্যাক স্প্যারোর দলে ভিড়তে চাই!! B-)

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০০

ইমরানন বলেছেন: আমিও চাই ;)

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ দুপুর ১২:৫০

রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ) বলেছেন: নিঃসন্দেহে প্রিয় মুভি সিরিজ। অসাধারণ। আর জনি ডেপ নিয়ে বলার নেই কিছু।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯

ইমরানন বলেছেন: অস্কারহীন আরেকজন সফল অভিনেতা ।

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৫:২৪

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
দূরের পথযাত্রী বলেছেন: জ্যাক স্প্যারোর দলে ভিড়তে চাই!! B-)

সুন্দর লিখছেন।

০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৬

ইমরানন বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:০৮

রাতুল_শাহ বলেছেন: নতুন পর্বের আশায় আছি ...............

৫| ০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৪

সাব্বির ০০৭ বলেছেন: অস্কারের বড় ব্যর্থতা যে, সে এখনো জনি ডেপের হাতে উঠতে পারেনি!
আমার ফেভারিট মুভি সিরিজ!

০৫ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:২০

ইমরানন বলেছেন: অস্কারের সব'চে বড় ব্যর্থতা হলো চ্যাপলিনের হাতের ছোয়া না পাওয়া(অভিনেতা হিসেবে)

৬| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৫ সকাল ১০:২৯

নাইট রাইটার বলেছেন: আমার অন্যতম ফেভারিট মুভি সিরিজ
পাইরেটস অফ দ্যা ক্যারাবিয়ান প্যারোডি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.