নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I n c o g n i t o

যতোবার আমি শান্তি খুঁজেছি, ঠিক ততোবার আমার মাথায় শুধু একটি চিন্তাই এসেছে। সেটা হচ্ছে একটা ড্রিল মেশিন দিয়ে মাথার খুলিটা ফুটো করে দেওয়ার চিন্তা।

ইনকগনিটো

যতোবার আমি শান্তি খুঁজেছি, ততোবার শুধুমাত্র একটা চিন্তাই আমার মাথায় এসেছে। সেটা হচ্ছে একটি ড্রিল মেশিন নিয়ে নিজের মাথার খুলিটা ফুটো করে দেওয়ার চিন্তা।

ইনকগনিটো › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি নীল গোলাপ।।

০৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩৩









১.

খুট করে একটা শব্দে ঘুম ভাঙলো।



চারপাশ অন্ধকার। হঠাৎ করে বুঝতে কিছুটা সময় লাগে আমি কোথায় আছি। প্রতিবারই এমন হয়। কে জানে, একটুও আলো থাকে না বলেই হয়তো। যদিও কিছুক্ষন তাকিয়ে থাকলেই অন্ধকার চোখে সয়ে আসে। শুনেছি, অন্ধকারে থেকে থেকে যে কোন প্রাণীর দৃষ্টিশক্তি বেড়ে যায় বহুগুন। সত্যি মিথ্যা অবশ্য জানিনা।



আমি মাথা তুলে একটু তাকালাম। প্রচণ্ড রকম ঘাড় ব্যথা করছে। মেঝেতে শুয়েছি বলেই হয়তো। চারিদিকে অদ্ভুত রকম একটা সুনসান নিরবতা। নৈশব্দের সাথে অন্ধকারের সম্পর্ক বেশ গভীর। একজন ছাড়া অন্যজনকে অসম্পূর্ণ মনে হয়। আমি তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়ে মাঝে মাঝেই ওদের সাথে মিশে যাই। একটা সময় মনে হয়, আমিও ওদের অংশ হয়ে গেছি। তখন সামান্য শব্দও আমার ইন্দ্রিয় ঠিক গ্রহন করতে পারে না। খুব অল্প শব্দই ওদের কাছ থেকে আমাকে আলাদা করে দেয়।



খুট করে আবারো শব্দ হলো। শব্দের উৎস ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। তবে বেশ বুঝতে পারছি ঘরের মধ্যে ছোটখাটো কিছু একটা দৌড়াদৌড়ি করছে। ইঁদুর হয়তো। আমি যতদূর জানি, রুমটা নিচ্ছিদ্র। বিচ্ছিন্ন বলা যায় কি? হ্যা, বিচ্ছিন্নও বলা যায়। ইঁদুরটাও হয়তো আমার মতোই এখানে আটকা পড়েছে। পালাবার পথ খুঁজে পাচ্ছে না।



এখানে দিন নেই। বোধহয় অজস্র রাত থেমে আছে। রুমটার বাইরে এখন কি? দিন না রাত? আমি জানি না। অনুমানও করতে পারছি না। মানুষের দেহে নাকি একটা ঘড়ি থাকে। তাকে বলা হয় দেহ ঘড়ি। ওরা অন্ধকারে আটকে রেখে রেখে কিভাবে যেন আমার দেহ ঘড়িটাকে নষ্ট করে ফেলেছে। আমি জানিনা, আমি এখানে কতো দিন ধরে আছি। আমি জানিনা আজ কতো তারিখ, কি বার।



শুধু জানি, ওটা ১২ তারিখ ছিলো। আমার মনে আছে ওই দিনের বিকেলের কথা। বিকেলটা চমৎকার ছিলো। এখানের বসন্তের বিকেলগুলোতে বাতাসের সাথে মায়া মেশানো থাকে। আমি তখন লেকের পাড় এর বড় রাস্তাটা ধরে হাঁটছিলাম। তারপর যেন মাটি ফুঁড়ে বের হলো ওরা। আমাকে ঘিরে ফেললো। আমি পালাবার চেষ্টা না করে শুধু মোবাইল ফোনটা সজোরে নিক্ষেপ করলাম লেকের জলে। তারপর আমার আর কিছুই মনে নেই। কিভাবে যেন সুন্দর বিকেলটা অজস্র রাত হয়ে গেলো। আলোহীন, শব্দহীন- নিকষ কালো রাত।



আমি হামাগুড়ি দিয়ে একটু আগালাম। মসৃণ দেয়ালটা খুঁজছি, হেলান দিয়ে একটু বসবো। ক্ষুধা লেগেছে প্রচণ্ড। শেষ কখন খেয়েছি, মনে পড়েনা। ওরা মাঝে মাঝে আসে। আমার প্রয়োজনে নয়, ওদের প্রয়োজনে। আমাকে ওদের বাঁচিয়ে রাখা প্রয়োজন। কারন, খুব সম্ভবত আমিই একমাত্র ব্যক্তি, যে জানি শফিক ভাই কোথায় আছে। শফিক ভাইকে খুঁজে বের করার জন্য ওরা একেবারে বুনো কুকুরের মতো হয়ে গেছে। শফিক ভাইকে ধরতে পারেনি, আমাকে ধরেছে। মূর্খ। ওরা জানে না, আমাকে ধরে লাভ নেই। আমার মুখ থেকে কখনো কিছু বের হবে না।



ওরা আমার বাম হাতের দুটো আঙ্গুল টেনে ছিঁড়ে ফেলেছে। প্রতিবার ওরা যখন আসে, আমার একটা দুটো করে নখ ভেঙে তুলে ফেলে। আমার দুই হাতে অবশ্য কোন নখ অবশিষ্ট নেই। সব তোলা শেষ। শুধু পায়ের নখগুলো এখনও অক্ষত আছে। আজ এলে হয়তো সেগুলোও তোলা শুরু হবে। নখ তুলে ফেলা খুবই সোজা কাজ। নখের নিচে শক্ত চাবিটা ঢুকিয়ে চাপ দিলেই নখ আলগা হয়ে যায়। তারপর মহানন্দে তারা সেগুলো টেনে টেনে তুলে ফেলে। আরও কতো কি করে। আমি শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখি। মাঝে মাঝে নখ তুলেই আঙ্গুলের থকথকে গোলাপি অংশে জ্বলন্ত কয়েল দিয়ে ছ্যাকা দেয়। অবশ্য তাতে রক্ত পড়া কিছুটা কমে যায়। মাংস পুড়ে যায় তো, তাই। আমি আমার পোড়া মাংসের গন্ধ পাই।



অনেক দূর থেকেও আবছা ভাবে পা এর শব্দ পাচ্ছি। কেউ হয়তো আসছে। আজ ওরা কি করবে কে জানে। মানুষের একটি সম্পূর্ণ শরীর যন্ত্রণা দেওয়ার জন্য অসাধারন একটা বস্তু। একটা মানুষকে অজস্র রকম ভাবে শারীরিক যন্ত্রণা দেওয়া যায়। সেই তুলনায় ওরা তো তেমন কিছুই করেনি। নখ তুলেছে, আঙ্গুল ছিঁড়েছে, আর বাম হাত থেকে চামড়ার বড়সড় একটা অংশ চারকোনা করে কেটে ফেলে দিয়েছে। অবশ্য বলেছে, শফিক ভাই কোথায় আছে না বললে একটা করে চোখও তুলে ফেলবে। শুনে আমি একটু হেসেছি। আমার চোখ এর দরকারও নেই। এখানে এমনিতেও অন্ধকার। আমি মোটামুটি জানি, এটার শেষ কোথায়। আমার অনুমানশক্তি ভালো। মন তীব্রভাবে বলছে, আমি আর কখনো এই অন্ধকার থেকে বাইরে বের হতে পারবো না। আমি তো শফিক ভাই কে নিয়ে কিছুই বলবো না। ওরা আরও হিংস্র হবে। হিংস্র হয়ে যন্ত্রণা দিয়ে তিলে তিলে ওরা আমার শরীরটাকে শেষ করবে। করুক। শরীরটা শেষ হয়ে গেলে কি হয়? জীবনও শেষ হয়ে যায়? হতে পারে। আবার নাও পারে। জীবনের তো অনেক রুপ। শফিক ভাই বলতো- একই জীবন পাশাপাশি অনেক জগতে অবস্থান করে। এক জগত থেকে মৃত্যু হলে, ক্ষতি কি?



পা এর শব্দ ক্রমশই স্পষ্ট থেকে স্পষ্টতর হচ্ছে। এটা লম্বা মতোন, শুকনা- রোগা লোকটার পায়ের শব্দ। আমি চিনে গেছি। এখানে যে কয়জন আছে, তার মাঝে এই লোকটার মাথা ঠাণ্ডা। সেটা একটা সমস্যা। হিংস্র মানুষের চেয়ে ঠাণ্ডা মানুষ বেশি বিপদজনক। হিংস্র মানুষেরা খেলে শরীরের সাথে। ঠাণ্ডা মানুষেরা খেলে মনের সাথে। ঠাণ্ডা মানুষের সাথে কথা বার্তা তাই একটু সাবধানে বলতে হয়। মানুষ নিজেও জানে না, মাঝে মাঝে অবচেতন মনে সে কিভাবে ছোট্ট অথচ গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য প্রকাশ করে ফেলে।



লোহার ভারী দরজাটা খুলে সে ভেতরে ঢুকলো। আমি জানি, সে এখন কি করবে। সে এখন একটা সিগারেট ধরাবে। এর মাঝে তারই এক চ্যালা তার জন্য একটা চেয়ার নিয়ে আসবে। সে চেয়ারে বসে সিগারেট ফুঁকবে আর আমার সাথে কথা বলবে। তার হাতে একটা বড় টর্চ থাকে সবসময়। আজও আছে। সে টর্চের তীব্র আলো আমার মুখে ফেলে আমার সাথে কথা বলতে পছন্দ করে। এর মাঝে সে দুইটা সিগারেট খাবে। আমার সাথে তার কথা বলার সময়কাল হচ্ছে- দুই সিগারেট।



রুমে ঢুকে সে একটু এদিক ওদিক তাকালো। সাবধানতা। বন্দী মানুষকেও কখনো দুর্বল ভাবতে নেই। মন সবসময়েই সকল অনিশ্চিত ব্যাপারে নিশ্চিত হতে চায়। এটা মানব মনের ধর্ম। তার চ্যালা ইতিমধ্যে তার চেয়ারটা নিয়ে এসেছে। আমার দিকে তাকিয়ে দাঁত বের করে একটু হাসলো। পরিস্কার সাদা দাঁত। অন্ধকার এর মাঝেও তার দাঁত ভালোভাবে দেখা যায়।



"কেমন আছো রুমি?"

"ভালো।"

"কম ভালো নাকি বেশি ভালো?"



আমি একটু হাসলাম।

লোকটা সিগারেট ধরাতে ধরাতে বললো-"কোন প্রশ্নের উত্তর হাসি দিয়ে দেওয়াটা আমার ঠিক পছন্দ না।"

"আমার পছন্দ।"

"বেশ। আর কি কি পছন্দ তোমার?"

আমি আবারো হাসলাম।



লোকটা আমার দিকে ঝুঁকে এলো।

"তোমার বাবা মা কোথায়?"

"আপনি তো জানেন। জানেন না? জানলে আবার জিজ্ঞাসা করেন কেন?"

"আমি তোমার মুখ থেকে আবার শুনতে চাই।"

"আমার মা-বাবা নেই।"

"কে আছে?"

"কেউ নেই।"

"অবশ্যই কেউ না কেউ আছে। কেউ নেই, এটা সম্ভব না। একজন মানুষ কখনোই সম্পূর্ণ একা, কারো মনের আশ্রয় ছাড়া থাকতে পারে না। পারে?"

"জানিনা।"

" যা জানতে চাইছি, বলো। কে আছে?"

"শফিক ভাই।"

"আমি শফিকের কথা বলছি না। শফিক তোমার গুরু। তুমি শফিককে শ্রদ্ধা করো, ঠিক। কিন্তু তোমার জীবনে আরও কেউ একজন আছে। মানুষ মাত্রই ভালোবাসার কাঙাল। তুমিও নিশ্চয়ই কাউকে ভালোবাসো। তোমার ভালোবাসার মানুষটির নাম কি?"

"আমি বলবো না।"



টর্চের তীব্র আলো এসে এবার আমার মুখের উপর পড়লো।

"সে কই থাকে?"

"বলবো না।"

"সে কি শফিককে চেনে?"

"আমি জানি না।"



আমি এক মুহূর্তের জন্য তার চোখ দুটো জ্বলে উঠতে দেখলাম। পরক্ষনেই তার জ্বলন্ত চোখ দুটি কোথায় যেন হারিয়ে গেলো। অন্য যে কেউ হলে এতক্ষণে আমাকে আঘাত করে বসতো। এই মানুষটার মাথা অনেক ঠাণ্ডা। সে এখনো আমাকে আঘাত করেনি। প্রথম সিগারেটটা শেষের পথে।



"শফিক কোথায় আছে বলে দাও, তোমাকে ছেড়ে দেবো।"

"না।"

"১২ তারিখ বিকেলে তুমি শফিকের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলে। ও সেদিন তোমাকে কি বলেছিলো?"

"বলবো না আমি।"

"তুমি একজন স্বপ্নভুক মানুষ, রুমি। তুমি কেন খামোখা শফিকের জন্য তোমার জীবনটা নষ্ট করছো? এইসব আন্দোলন, বিদ্রোহ তোমাকে মানায় না। আমি তোমার চোখে স্বপ্ন দেখি। বাকি জীবনটা নিয়ে তোমার অনেক সুন্দর পরিকল্পনা আছে। আছে না?"

"না, নেই।"

"মিথ্যে বলছো কেন? তুমি তো ব্রাইট একটা ছেলে। তুমি কি ভাবো, আমরা তোমার সম্পর্কে কোন খোঁজ খবর নেই নি?"

"নিলে তো এটাও জানার কথা, আমি যা বলি, সেটাই করি। আমি বলেছি, আমি কিছু বলবো না, তার মানে কখনোই আমি কিছু বলবো না। আপনাদের যা করার দরকার, করতে পারেন।"

"বেশ বেশ। আদর্শ গুরুর আদর্শ শিষ্য। তোমার মতো শিষ্য পেয়ে তোমার গুরু নিশ্চয়ই খুব খুশি। তাই না?"

"হয়তো।"

"সিগারেট খাবে একটা?"

"আমি সিগারেট খাই না।"



লোকটা উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বললো, "তোমার গুরু অচিরেই ধরা পড়বে। তখন কিন্তু চাইলেও কিছু করার থাকবে না। তোমার আর তোমার গুরুর একই পরিণতি হবে। সেটা কি একবারও ভেবেছো?"

"জী, ভেবেছি।"

"গুড। ভেরি ইম্প্রেসিভ। আর তোমার ভালোবাসার মানুষটা ধরা পড়লে? তখন কি করবে?"



এই প্রথম আমার বুকটা অল্প একটু কাঁপলো। তবে সেই সূক্ষ্ম কাঁপন ধরার ক্ষমতা কারোরই নেই। আমি তার দিকে তাকিয়ে একটু হাসলাম।







অন্ধকার ঘরে আবারো নেমে আসে নীরবতা। আমি বসে বসে অপেক্ষা করি। কিসের অপেক্ষা আমি জানিনা। অপেক্ষা করার মতো কষ্টকর জিনিস আর নেই। শান্তাও আমার জন্য অপেক্ষা করে ছিলো নিশ্চয়ই। কিংবা এখনো হয়তো আছে। ১৭ তারিখ কি পার হয়ে গেছে? আমি জানিনা। ও আমার কাছ থেকে অনেক দূরে থাকে। অন্য একটা শহরে। ১৭ তারিখ ওর সাথে আমার দেখা হওয়ার কথা ছিলো। দেখা হলো না। যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও পাবে না, ফোন ফেলে দিয়েছি লেক এর জলে। ওদের হাতে ফোনটা পড়লে বড়সড় ঝামেলা হয়ে যেতো। শফিক ভাই বিপদে পড়তো। শান্তারও ঝামেলা হতো। আমি চাইনা আমার জন্য ও কোন বিপদে পড়ুক। আচ্ছা, শান্তা কি আমাকে ভুল বুঝছে? ও তো জানেনা, এখানে আমি কিভাবে আছি। ও ভুল বুঝলে আমার খারাপ লাগবে। খুব খারাপ লাগবে।



মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমরা একজন অন্যজনকে চিনি না। মানে, আমাদের কখনো দেখা হয়নি। ছবিও দেখিনি। ইচ্ছা করেই। বলেছিলাম, সামনা সামনি আমাদের দেখা হবে। ওর শহর চিটাগাং এ, সমুদ্র পাড়ে দেখা করার কথা ছিলো। শফিক ভাই শান্তার কথা জানতো। উনি বলেছিলো- "দেখা করিস না কেন? এবারই যেয়ে দেখা করবি।"



শান্তার সাথে কি আদৌ আমার কখনো দেখা হবে?



আমি চোখ বন্ধ করে বসে থাকি। না খেতে খেতে ক্ষুধা মরে গেছে। শরীর আস্তে আস্তে দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। শরীর দুর্বল হয়ে আসলে ভালো লাগে। আমি সেই ভালো লাগাটা অনুভব করি। আমার ঘুম বেড়ে গেছে বহুগুন। কখন ঘুমাই- টের পাইনা। কখন জাগি, জানিনা। মজার ব্যাপার হচ্ছে, এই দুঃসময়ের মধ্যেও আমি ঘুমের ঘোরে প্রায়ই একটা সুন্দর স্বপ্ন দেখি। স্বপ্নটা একটু অদ্ভুত। আমি দেখি, কোথাও একটা জীর্ণ-শীর্ণ গাছ, সেখানে একটা নীল গোলাপ ফুটে আছে।



পায়ের শব্দ পাচ্ছি আবারো। একজনের না, কয়েকজনের। আমার মনে হলো, একটা বড়সড় ঝড় ধেয়ে আসছে আমার দিকে। আমি অবশ্য আগের মতোই চুপচাপ বসে রইলাম। বড়সড় ঝড় সামাল দিতে হয় নির্বিকার ভাবে। এটা আমাকে শফিক ভাই শিখিয়েছেন।



দড়াম করে দরজাটা খুলে গেলো। এবারে লাল গেঞ্জি সবার আগে। তার চোখমুখ উদ্ভাসিত। দেখে মনে হচ্ছে, অত্যন্ত আনন্দদায়ক কিছু ঘটতে যাচ্ছে। লাল গেঞ্জি যখন আসে, তখন আমার অনেক কষ্ট হয়। লাল গেঞ্জি হচ্ছে কাটাকুটি স্পেশালিষ্ট। সাথে লম্বা, রোগা লোকটিও এসেছে। তার সাথে আরও ৪ জন আছে। কখনোই এক সঙ্গে এতো লোক আসেনা। আজ মনে হয় সার্কাস দেখার লোভ সামলাতে পারেনি, চলে এসেছে।



"ভালো আছো, রুমি?"



লম্বা মানুষটার মুখ হাসি হাসি। তাকে দেখে নেহায়েত একজন সজ্জন, ভদ্রলোক মনে হয়।



"খেয়েছো?"

আমি যন্ত্রের মতো গলায় বললাম-"জি, খেয়েছি।"

"এই কদিন ভাতের পচা মাড় খেতে খুব কষ্ট হয়েছে, না?"

আমি চুপ করে রইলাম। মানুষটা আমাকে উপহাস করার চেষ্টা করছে।

সে বললো-"খেতে খারাপ হলেও কিন্তু ওটা শরীরের জন্য বলদায়ক। শরীরে বল পাচ্ছো না?"

"পাচ্ছি।"

"শরীরের বল বেশি, না মনের বল বেশি?"

সবাই হো হো করে হেসে উঠলো।



মানুষটাও হাসছে। তার হাসিটা সুন্দর। নিষ্পাপ, নিষ্পাপ। দেখতে ভালো লাগছে।



সে বললো-"তোমাকে একটা খবর দিতে এলাম।"

"ও আচ্ছা।"

"খবরটা শুনতে চাও না?"

"আমাকে খবর দিতে এসেছেন। এসেছেন যখন, নিজেই বলবেন।"

"কিন্তু আমি চাইছি তুমি এটা ধারনা করো। তোমার তো অনুমান শক্তি ভালো। ধারনা করতে পারো খবরটা কি?"

আমি যন্ত্রের মতো গলায় বললাম- "না।"



এবার তার চোখমুখ শক্ত হয়ে গেলো।

"তোমাকে বলতেই হবে এটা। বলো।"

আমি ক্লান্ত গলায় বললাম- "যে খবরটা দিতে এসেছেন, ওটা আমি বিশ্বাস করি না।"

"তাই?" অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে সে। "কি করলে বিশ্বাস করবে?"

"সেটা আপনি ভালো করেই জানেন।"



সে মাথা নেড়ে বললো- "হ্যা, জানি। আমি সেটাই করতে এসেছি। তোমার গুরুকে যা করা হয়েছে, তোমাকেও তাই করা হবে। একই ভাবে, একই পরিনতি দেবো আমি তোমাকে। সেটা আমি আগেই বলেছিলাম। তুমিও জানবে, ঠিক কিভাবে একটু আগে তোমার গুরুকে হত্যা করা হয়েছে। দৃশ্যটার পুনরাবৃত্তি হবে।"



দুইজন এগিয়ে এসে আমাকে উঠিয়ে দাড়া করালো। লাল গেঞ্জি এগিয়ে আসলো আমার দিকে। তার হাতে ধারালো চকচকে একটা বড়সড় কিরিচ, মুখ হাসিহাসি। সে যেয়ে দাঁড়ালো আমার ঠিক পিছে। আয়োজন দেখে মনে হচ্ছে, আমাকে জবাই করা হত্যা করা হবে।



লম্বা মানুষটা হাল্কা গলায় জিজ্ঞাসা করলো- "তোমার কি আর কিছু বলার আছে?"

"আমি একটা কথা জিজ্ঞাসা করতে চাই।"

"কি?"

"আজ কতো তারিখ?"

"আজ ১৭ তারিখ।"



আমার বুকটা ছলাৎ করে উঠলো। আজ ১৭ তারিখ। আজ শান্তার সাথে আমার দেখা করার কথা ছিলো।



দুজন শক্ত করে দু দিক থেকে আমাকে ধরলো।



আমার কল্পনায় ভেসে উঠলো, একটি মেয়ে একটি গোলাপ হাতে নিয়ে সমুদ্রপাড়ে দাড়িয়ে আছে। গোলাপ এর রং কি? লাল নিশ্চয়ই। লাল না হয়ে নীল গোলাপ হলে দৃশ্যটা আরও বেশি সুন্দর হতো। নীল গোলাপ অপার্থিব একটা ভালোবাসার প্রতীক। দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার, পৃথিবীতে নীল গোলাপের কোন অস্তিত্ব নেই। এখানের ভালোবাসার রং লাল। টকটকে লাল। ঠিক যেন রক্তধারার মতো.......







ধড়মড় করে ঘুম থেকে জেগে উঠলাম আমি।



দুঃস্বপ্নটা নিঃসন্দেহে ভয়ংকর। একেবারে বুকে কাঁপন ধরিয়ে দেয়। ইদানিং ঘুমালেই এই স্বপ্নটা দেখি। একটু আগেও দেখলাম। ছোট্ট একটা স্বপ্ন অথচ কি পরিমান আতঙ্ক তার মাঝে। মনে হয়, কেউ বা কারা এখনই আমাকে হত্যা করছে। অদ্ভুত! এই স্বপ্নের কোন মানে হয়?



আমি উঠে বসলাম। এখন আর ঘুম আসবেনা। একটা সূর্য ডুবে গেছে। আরেকটা রয়ে গেছে। এই গ্রহে দুটি সূর্য। তবে একসাথে কখনো দুটো সূর্য অস্ত যায়না। এই কারনে এই গ্রহে কোন অন্ধকার নেই। তবে একটা অস্ত গেলে আলো কিছুটা ম্লান হয়ে আসে। দুটো সূর্য বলে এই গ্রহে তাপও বেশি। সমস্ত গ্রহটাই পাথুরে। রুক্ষ প্রান্তরে ভরা। গ্রহটার পূর্ব দিকে লাল রঙের বড় একটা পাহাড় আছে। পাহাড়টির ওপাশে কিছু অগভীর জলাশয় আছে। ওখান থেকে পানি সংগ্রহ করা যায়। তারপর পাথরের ফাকে রেখে রেখে পানি ঠাণ্ডা করতে হয়।



এই গ্রহে আমিই একমাত্র মানুষ। আর কেউ নেই। থিসিউস ছিলো, ও চলে গেছে। আমার বোধ হবার পর থেকে আমি এখানে শুধু থিসিউসকেই দেখেছি। ও আমাকে আগলে রেখে বড় করেছে। আমি জানিও না, আমার বাবা-মা কারা, আমি এখানে কিভাবে এলাম। থিসিউস বোধহয় জানতো। কিন্তু ও আমাকে কোনোদিন কিছু বলেনি। থিসিউস ছিলো আমার অভিভাবকের চেয়েও বড় কিছু। ও নিজ হাতে আমাকে শিক্ষা দিয়েছে কিভাবে প্রতিকূলতার সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হয়। থিসিউস অনেক জ্ঞানী। আমি ওর কাছ থেকে শিখেছি জ্যোতির্বিজ্ঞান, দর্শনশাস্ত্র, গণিতশাস্ত্র, গ্রহ-তারা-নক্ষত্রের হিসাব।



থিসিউস আমাকে প্রায়ই বলতো, ও চলে যাবে। ওর অনেক বিপদ। ওকে নাকি কারা হন্য হয়ে খুঁজছে। ও তাই এখানে অনেক বছর ধরে লুকিয়ে আছে।



একদিন কিছু না বলেই ধুপ করে উধাও হয়ে গেলো সে। আমার সেদিনের কথা স্পষ্ট মনে আছে। আমি লাল পাহাড়ে গিয়েছিলাম। ফিরে এসে আর থিসিউসকে দেখিনি। ভাবলাম আছে হয়তো আশে পাশে। ফিরবে আরেকটু পর। তিন দিন পার হয়ে গেলো এভাবে। সে আর ফিরে এলো না।



থিসিউসের অন্তর্ধান একটা রহস্য। সে কি নিজেই চলে গেছে? নাকি তাকে কেউ বা কারা ধরে নিয়ে গেছে? আমার মনটা হঠাৎ করেই বিষণ্ণ হয়ে গেলো। আমি এই গ্রহে একজন নিঃসঙ্গ মানুষ। থিসিউস যাওয়ার পর আমি আরও বেশি নিঃসঙ্গ হয়ে গেছি।



থিসিউস বলতো, আমার নিঃসঙ্গতা একদিন থাকবে না। ও বলতো, আমার জন্য নাকি একজন বহুকাল ধরেই অপেক্ষা করে আছে। এখানে নয়, অন্য কোথাও। সে কে, কই থাকে-জিজ্ঞাসা করলে থিসিউস মুচকি হাসতো। সে বলেছে, আমার সেটা জানার প্রয়োজন নেই। আমার শুধু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করা প্রয়োজন। একদিন সে নিজেই আসবে।



আমি ধীর পদক্ষেপে হেঁটে হেঁটে এখানের বড়, সাদা পাথরটার কাছে আসি। থিসিউস এখানে অনেক কিছু লিখে রেখে গেছে। থিসিউস কিভাবে যেন ভবিষ্যৎ হিসাব করতে জানতো। এই পাথরে সেগুলো কিছু কিছু এখনো লেখা আছে। আমার মন খারাপ হলে মাঝে মাঝে এখানে আসি। আমার মনটা তখন ভালো হয়ে যায়।



থিসিউস বলতো, আমরা সবাই পাশাপাশি অনেক জগতে অবস্থান করি। একটা জীবনের ভবিষ্যৎ নাকি এক এক জগতে এক এক রকম। এখানে লিখে রাখা কথাগুলো বড় অদ্ভুত। আমার জন্যও কিছু লেখা আছে। সেগুলোকে আমার রুপকথা মনে হয়। এখানে একটা গাছের কথা বলা আছে। গাছটার কিছু বর্ণনা দেয়া আছে। বর্ণনা পড়ে মনে হয়, গাছটা মৃতপ্রায়, শুকনো। এখানে লেখা আছে, এই গাছটিতে একদিন একটা ফুল ফুটবে। ফুল ফুটলে বুঝতে হবে, সে আসছে।



আমি গাছটা খুঁজে বের করেছি। সেটা গ্রহের একেবারে দক্ষিনের দিকে। আমি প্রতিদিন একবার করে সেখানে যাই। বর্ণনা মতোই গাছটা অনেক জীর্ণ-শীর্ণ। পাতাগুলো ফ্যাকাশে, অল্প। দেখলে মনে হয়, মরে গেছে। কিন্তু আমি জানি, একদিন এই গাছে একদিন ফুল ফুটবে। থিসিউস যখন বলেছে ফুল ফুটবে, তখন অবশ্যই ফুল ফুটবে। থিসিউস মিথ্যা বলে না।



আমি আগ্রহ ভরে অপেক্ষা করি। ফুল ফোঁটার জন্য অপেক্ষা। ফুল ফুটলে পরে সে আসবে। আমি বহুকাল ধরে তার জন্য অপেক্ষা করে আছি। সে আমার অংশ। তবে এই অপেক্ষায় কোন ক্লান্তি নেই। বরং তার জন্য অপেক্ষা করতে আমার ভালো লাগে। অপেক্ষা করার মতো এতো মধুর জিনিস আর হয় না।







গাছটিতে ফুলের কুঁড়ি ধরেছে। মনে হয় খুব শীঘ্রই ফুল ফুটবে। আমার ভেতরে কেমন যেন এক ধরনের অনুভুতি হয়। অদ্ভুত একটা অনুভুতি। কিছু কিছু অনুভুতির কোন নাম হয়না। এটাও হয়তো সেরকম একটা কিছু। আমার ঠিক বিশ্বাস হতে চায়না। এতোদিনের অপেক্ষা কি তবে শেষ হতে চলেছে?



আমি আগ্রহ নিয়ে গাছটার পাশে বসে থাকি। কবে ফুটবে ফুলটা? ওটা নিশ্চয়ই দেখতে খুব সুন্দর হবে। যে ফুলের সাথে দুটি মানুষের এমনভাবে সম্পর্কিত, সেই ফুল সুন্দর না হয়ে যায় না।



আমি গাছটার দিকে তাকিয়ে থাকি। সময় যায়, একটি সূর্য বাড়ি ফেরে, আরেকটি বসে বসে হয়তো পাহারা দেয়। তাকিয়ে থাকতে থাকতে আমার ক্লান্তি আসে। ঘুমে আমার দুচোখ বুজে আসে। আমি ওখানেই ঘুমিয়ে পড়ি। কখন ঘুমাই- টের পাইনা। কখন জাগি- জানিনা।



একদিন ঘুম ভেঙে জেগে দেখি জীর্ণ-শীর্ণ গাছটিতে একটা নীল গোলাপ ফুটেছে। অদ্ভুত সেই দৃশ্য। দৃশ্যটা কেন যেন আমার কাছে খুব বেশি চেনা চেনা মনে হয়। মনে হয়, যেন আগে কোথাও দেখেছি। ঠিক মনে করতে পারি না।



আমি টের পাই, আকাশ থেকে অতিকায় কোন মহাকাশযান এসে নেমেছে, আমার পিছে, অনেকদুরে, এই মাটিতে। থিসিউস বলেছিলো, ফুল ফুটলে কেউ একজন আসবে। সে এসেছে। আমি এখন নিশ্চিতভাবে জানি।



আমি আলগোছে গোলাপটা ছিঁড়ে নেই গাছটা থেকে। পিছে তাকাইনি, তবু আমি জানি, সেই নারী ধীর পায়ে এদিকেই আসছে। আমি তার পদচারনার শব্দ পাচ্ছি। আমাকে দেখে একটু থমকে দাঁড়ালো বুঝি। আমার বুকটা ছলাৎ করে ওঠে। যার কথা চিরকাল ভেবে এসেছি, সে এইমুহূর্তে আমার পিছে দাড়িয়ে আছে। আমার খুব পিছে তাকাতে ইচ্ছা করছে, আবার তাকাতে ইচ্ছা করছে না। পিছে তাকালেই আমার সুন্দর অপেক্ষাটির অবসান হবে। অপেক্ষা বড় মধুর জিনিস। অপেক্ষার মাঝে যে কতো ভালোবাসা মিশে আছে, তা কি সে জানে?







এতো দূর থেকে আমার জন্য এসেছে সে, যদিও তাকে দেওয়ার মতো আমার কাছে কিছুই নেই। আছে শুধু একটা নীল গোলাপ। হাতে একটা নীল গোলাপ নিয়ে তার জন্য অপেক্ষা করতে আমার ভালোই লাগছে।







মন্তব্য ৮৭ টি রেটিং +২৪/-০

মন্তব্য (৮৭) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫১

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভালও লাগল। গল্পের ট্রানজেকশনগুলো আমার ভাল লেগেছে।

০৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০১

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন।

২| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:০২

সপ্নাতুর আহসান বলেছেন: ভাল লেগেছে। বিশেষ করে গল্পের টারনিং পয়েন্টগুলো খুব সুন্দর।

০৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:১০

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ।


ভালো থাকবেন।

৩| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২২

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: চমৎকার। প্লাস থাকল। থিসিউস নামটা ব্যবহারের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ।

০৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬

ইনকগনিটো বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ, কষ্ট করে গল্পটা পড়ার জন্য।

৪| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:২৮

বৃতি বলেছেন: গল্পটা দু'বার পড়লাম । অসাধারণ!

০৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৩২

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ, এবং আন্তরিক ধন্যবাদ।

দু'বার ধন্যবাদ দেওয়া হলো।


ভালো থাকবেন।

৫| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১

ভুল উচ্ছাস বলেছেন: ক্যানো জানি মনে হচ্ছিলো একাত্তরের দিন গুলি থেকে রুমিকে জোর করে ফিরিয়ে আনা হয়েছে আর তার জবানবন্দী নিয়েছে কেউ একজন অথবা রুমির ব্যাক্তিগত ডায়েরী থেকে কেউ পাতা চুরি করে এনেছে। অসাধারন লিখেছো ডাক্তার। আমি মুগ্ধ।


কিন্তু শেষ বেলায় এসে একটু বেমানান লেগেছে অবশ্য পুরো গল্পে এটুকু অসঙ্গতি ধর্তব্যের মধ্যেই পড়ে না। পিছে নয় ওখানে পিছনে লিখলে পড়তে মাধুর্যময় লাগবে।



আর এই গল্পটা আমার প্রিয়তে থাকবে। ভালো থেকো। :)

০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০৮

ইনকগনিটো বলেছেন: আমার কাছে অবশ্য পিছে শব্দটি খারাপ লাগছে না।


সুন্দর মন্তব্যটির জন্য অনেক ধন্যবাদ, ভুল উচ্ছ্বাস।


ভালো থাকা হোক।

৬| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৮

স্নিগ্ধ শোভন বলেছেন:
অনেক অনেক ভালোলাগা।

++++++

০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০৯

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ।


ভালো থাকবেন।

৭| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:০৯

মুনসী১৬১২ বলেছেন: ভালো লাগা

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:২৩

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

৮| ০৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৬

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: অনেক ভালোলাগা এবং প্রিয়তে.....:)

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪১

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ, রহস্যময়ী।

ভালো থাকা হোক। শুভকামনা আপনার জন্য।

৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:০৩

তানিয়া হাসান খান বলেছেন: খুব সুন্দর। +++++++++++++

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২৩

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ, তানিয়া হাসান।


শুভকামনা রইলো। ভালো থাকুন প্রতিদিন।

১০| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২১

স্বপনবাজ বলেছেন: এক কথায় অসাধারণ !

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৩১

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন।

১১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন:

"গোলাপ এর রং কি? লাল নিশ্চয়ই। লাল না হয়ে নীল গোলাপ হলে দৃশ্যটা আরও বেশি সুন্দর হতো। নীল গোলাপ অপার্থিব একটা ভালোবাসার প্রতীক। দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার, পৃথিবীতে নীল গোলাপের কোন অস্তিত্ব নেই। এখানের ভালোবাসার রং লাল। টকটকে লাল। ঠিক যেন রক্তধারার মতো......."

অসম্ভব রকম ভালো লাগলো। গল্পটা কেমন যেন একটা ঘোরের মধ্যে ফেলে দিয়েছিল আমাকে।

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪১

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ, বাউন্ডুলে। শুনে খুব ভালো লাগলো যে আপনার ভালো লেগেছে।


ভালো থাকবেন।

১২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ২:৩৪

মাক্স বলেছেন: পোস্ট পাবলিশ করার পরপরই দেখসি। কিছু কিছু লেখা আয়েশ করে আধশোয়া হয়ে পড়তে হয়। তাই তখন পড়ি নি।

এখন পড়লাম এবং বরাবরের মতই মুগ্ধ হলাম।
ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম।

অঃটঃ আপনার কলেজ কি নটর ডেম ছিল?

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫০

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ, মাক্স ভাই। আপনার মুগ্ধতা আমাকে কিছুটা তৃপ্তি এনে দিলো।


হ্যা, আমি নটর ডেম এর। কি করে বুঝলেন?

১৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:০০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: খুব মচৎরকা স্টপো.....আপনার লিখা দারুন এনজয় করলাম....ভাল হয়েছে্

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫

ইনকগনিটো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, সেলিম আনোয়ার ভাই।


ভালো থাকবেন সারাক্ষন। শুভকামনা।

১৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৫৩

আদিত শরীফুল বলেছেন: লেখাটি ভাল হয়েছে। ব্লগারকে ধন্যবাদ।
http://www.pressbarta.com

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫

ইনকগনিটো বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

১৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:২৭

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: শেষ পর্যন্ত ধরে রাখতে পেরেছেন - তাই গল্প লেখক হিসাবে আপনি সার্থক

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৫

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ।


ভালো থাকা হোক।

১৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৫

জাকারিয়া মুবিন বলেছেন:
গল্প ভাল লেগেছে.......

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২

ইনকগনিটো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

১৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৪

মাক্স বলেছেন: আমি বুঝি নাই পরিচিত একজন বলল!
ভালো থাকবেন।

০৯ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২

ইনকগনিটো বলেছেন: আপনিও কি নটর ডেম ছিলেন নাকি?

১৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

মাক্স বলেছেন: জি আমিও ঐ বিখ্যাত কলেজের(07) কুখ্যাত স্টুডেন্ট ছিলাম!

১০ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৮:৩১

ইনকগনিটো বলেছেন: নটর ডেম এর কুখ্যাত স্টুডেন্ট হওয়া ভাগ্যের কথা। B-) B-)

১৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:৪২

শুকনোপাতা০০৭ বলেছেন: খুব সুন্দর গল্প :) অন্যরকম..

১০ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪০

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ, ভাই।

ভাল থাকবেন। শত পোস্ট এর শুভেচ্ছা।

২০| ০৯ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪৫

হাসান মাহবুব বলেছেন: চমৎকার গল্প। দুটো সিগমেন্ট মিলে একটা পূর্ণভাব প্রকাশ করা কঠিন ছিলো। সেটা সার্থক হয়েছে।

১০ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:৪৪

ইনকগনিটো বলেছেন: গল্পটা আসলে শুধুমাত্র ওই জিনিসটার জন্যই লেখা।





ধন্যবাদ, ভ্রাতা।

২১| ১০ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৩

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
সুন্দর গল্প, চমৎকার গদ্যের বিস্তৃর্ণতা আমাকে মোহিত করেছে।
শুভকামনা রইল আপনার জন্যে............................

১০ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১

ইনকগনিটো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, বন্ধু।

ভালো থাকা হোক, রইলো অনেক অনেক শুভকামনা।

২২| ১০ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৮

রেজোওয়ানা বলেছেন: মুগ্ধ!!

১০ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৫

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ, আপু :)

আপনাকে দেখে ভালো লাগলো।

২৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:১৫

আত্নভোলা বলেছেন: ডাকতারের জয় হোক! মুগ্ধতা।

১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৩৯

ইনকগনিটো বলেছেন: আস্তে কন! সবাই শুইন্যা ফালাইবো। তারপর, গালি শুরু হইবো।

ব্লগে মানুষ ডাক্তারদের গালি দিতে খুব ভালোবাসে। :)

২৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:৪৮

ফালতু বালক বলেছেন: গল্পে মুগ্ধতা।
++++++

১১ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১৯

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ, বালক।

ভালো থাকবেন।

২৫| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১

সাদা মেঘ কালো ছায়া বলেছেন: গল্প টা অনেক অনেক ভালো লেগেছে। :)

১১ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১৭

ইনকগনিটো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।


ভালো থাকবেন।

২৬| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫৪

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
উপস্থিত স্যার! পরে পড়মু।

১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০০

ইনকগনিটো বলেছেন: ম্যালাদিন পর!

কই ছিলেন মিয়া?

২৭| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:২০

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
আর কইয়েন না!! গত একমাস এক অদ্ভুতুরে কান্ড দেখলাম! বাসায় নেট কানেকশন পাচ্ছিলাম না! এরচে অবাক করা বিষয়, গ্রামে গিয়ে নেট কানেশন পেলাম। এখন থেকে রেগুলার দেখতে পাবেন আশা করি।

আপনি এই কয়দিনে ম্যালা পোষ্ট দিসেন দেখতাসি!! আমি কয়দিন লাগায়া পড়মু!

১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:০৫

ইনকগনিটো বলেছেন: ওয়েলকাম ব্যাক! :P

২৮| ১১ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:৩৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: কেউ কেউ একই ধারার গল্প লিখে যান, কিন্তু তাঁদের লেখনী, কল্পনাশক্তি এবং নিজের সৃষ্টির প্রতি আন্তরিকতা তাঁদের বারবার এগিয়ে দেয়। সোজা কথায়, একঘেয়েমি আনে না। আপনি সেই কাতারের অনুসারী।

গল্পটা একটু এক্সপেরিমেণ্টাল লাগল। তবে পড়তে দারুণ লেগেছে। কতগুলো লাইন জঘন্য ভালো। অন্য লেখকের বাহবা (এবং একটু ঈর্ষা) পাবার যোগ্য।

চলুক।

১২ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪

ইনকগনিটো বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা পেয়ে খুব ভালো লাগছে@ প্রোফেসর শঙ্কু।

ধন্যবাদ, প্রেরণা দেওয়ার জন্য। যে লিখে তার কাছে আসলে প্রেরণা অনেক বড় একটা জিনিস।


অনেক ভালো থাকবেন। অনেক ভালো।

২৯| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১:২৮

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
মুগ্ধ! অনেকদিন পর অসধারণ একটা গল্প পড়লাম।
শুভেচ্ছা ডাক্তার সাহেব।

১২ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

ইনকগনিটো বলেছেন: ধইন্যা, মিয়াভাই!

ভালো থাকা হোক।

৩০| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫০

বোকামন বলেছেন:








সম্মানিত লেখক,

আপনার লেখার শুরুতেই হারিয়ে গিয়েছিলাম ....
পোষ্ট শেষে আচমকা মনে হচ্ছে আপনাকে ধন্যবাদ দেয়া ছাড়া আমার কাছে আর কিছুই নাই .......

ভালো থাকবেন ....
খুব ভালো

১২ ই মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

ইনকগনিটো বলেছেন: সম্মানিত পাঠক,


আপনার দেওয়া ঐ ধন্যবাদটুকুই আমার কাছে আসলে অনেক বড় প্রাপ্তি। কারন ওটার সাথে সত্যিকারভাবেই কিছুটা ভালো লাগা লেগে আছে, সেটা আমার কাছে স্পষ্ট।


আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।


ভালো থাকবেন।
শুভকামনা।

৩১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:১৩

অদৃশ্য বলেছেন:




ইনকগনিটো

অর্ধেকটা পড়তে পারলাম আপাতত.... অন্যকোন সময় এসে পরের অংশটা শেষ করে যাব...

অর্ধেকটা পড়বার পর শেষ করাটা জরুরী হয়ে গেলো...

শুভকামনা...

১৩ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:১৮

ইনকগনিটো বলেছেন: আচ্ছা :)

৩২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০

ডানাহীন বলেছেন: ভয়কে নীল গোলাপের স্নিগ্ধ ঘোরে নিয়ে গেছেন .. চমৎকার কল্পনা ।

১৩ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৫

ইনকগনিটো বলেছেন: অনেকদিন পর।



ধন্যবাদ, ডানাহীন। ভালো থাকুন।

৩৩| ১৪ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৪২

মোঃ নুর রায়হান বলেছেন: অনেক কথা বলা যায় এই গল্পটি নিয়ে।
১। প্রথমে ভাবলাম নকশালীও ভাবধারা কি না?
২। পরে ভাবলাম সায়েন্স ফিকশন কি না?
৩। গল্পের মূলভাব বুঝতে বেশ কয়েকবার পড়তে হয়েছে আমাকে।

আপনার লেখার মান অনেক উঁচু।
অসাধারণ লেগেছে।

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২

ইনকগনিটো বলেছেন: যখন শুনি, কেউ বুঝার জন্য পড়েছে, আমার এতো ভালো লাগে ।


অনেক ধন্যবাদ ভাই। কৃতজ্ঞ থাকলাম। ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

৩৪| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৩:০২

অন্ধ আগন্তুক বলেছেন: দুটো আলাদা স্বাদের গল্পকে একটা টোনে মিলিয়ে কঠিন কাজ !

আপনি সেটা পেরেছেন ।

শুভেচ্ছা ইনকগনিটো !

দ্য ফাউন্টেনের শেষ দৃশ্যটা দেখেছেন । কেন যেন ঐ দৃশ্যটার কথা মনে পড়ল।

শুভরাত।

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৯

ইনকগনিটো বলেছেন: অনেকদিন পর দেখলাম আপনারে :)

দ্যা ফাউন্টেন দেখা হয়নাই। কিন্তু এইটা শুনার পর আগ্রহ লাগতেছে। দেখা লাগবে :)

আমার এই শেষ দৃশ্যটা এর সাথে একটা মিউজিক এর কোলাবোরেশন খুব মিস করি। সেটা হচ্ছে এনিগমা এর - দি ল্যান্ডিং।

অনেক ভালো লাগলো আপনাকে দেখে, ভালো থাকবেন আগন্তুক ভাই।

শুভকামনা।

৩৫| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: কবিতা নাকি গল্প দুটো মিলিয়ে যদি তুলনা করি বলব গল্পে আপনার দক্ষতা বেশ ভালো।

পাশাপাশি দুটো ভিন্ন ধারার গল্প হলেও মূল টোন মূলত একটাই লেগেছে আর তা হচ্ছে - অন্ধকার এবং বিষাদ এবং নৈঃশব্দ্য,

আমি বেশী মুগ্ধ হয়েছি রুমির লেখাটা পড়ে। ওর শাস্তির ধরন , ওর অন্ধকারে থেকে থেকে , নিজের সাথে যুদ্ধ করে করে যে অনুমানশক্তির তীব্রতা সব কিছুর বর্ণনা খুব স্বচ্ছ। মন এহচ্ছিল খুব কাছ থেকে দেখে এসব লেখা।

এর মাঝে বেশ কিছু প্রিয় ব্লগারের এবং লেখকের বই পড়া হয়েছে। সবই বিষণ্ণতায় ডুবে থাকা কিন্তু অদ্ভুত সুন্দর।

আবারও বিষণ্ণতায় আক্রান্ত হলাম। আপনার গল্পে অনেক অনেক মুগ্ধতা। কিছুদিন আগে ফেবুতে যে গল্প পড়েছিলাম ওটাও ভীষণ সুন্দর ছিল !!!

শুভকামনা থাকল

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২৪

ইনকগনিটো বলেছেন: আমি তো কবি নই, আমি আসলে একজন গল্পকারই। কারন, কবিতাও আসলে এক প্রকার গল্প।

আপনাকে দেখে ভালো লাগছে এখানে। একদিন সময় করে আপনার লেখাগুলিও ঘুরে পড়ে আসতে হবে।


ভালো থাকবেন অপর্ণা। শুভকামনা।

৩৬| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১২:৫৩

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: হেই!

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২৬

ইনকগনিটো বলেছেন: হেল্লু। B-)

৩৭| ১৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:২৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: গল্প , উপন্যাস যে যাই লেখুক না কেন আসলে আগে মনে হয় কবি হতে হয় , একটা কবি সত্তা থেকেই যায় ভেতরে।
ধন্যবাদ আপনার কমেন্ট এর জন্য। সামুতে আসলে আমার রেগুলার হওয়া হচ্ছে না । আপনিও ভালো থাকবেন, আপনার অন্য লেখাগুলো ও পড়ে দেখবো।

১৫ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৬

ইনকগনিটো বলেছেন: আচ্ছা। :)

৩৮| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৩৩

ভিয়েনাস বলেছেন: ২০ তম ভালো লাগা :)

১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৫১

ইনকগনিটো বলেছেন: আর আপনার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। :)



ভালো থাকবেন, ভিয়েনাস। জানি, অনেক ভালো আছেন।

৩৯| ১৬ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৮:০৫

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: তুমার গফ পইড়া জামাই ক্যাইত। প্রশঙসা শুনতে শুনতে কান ঝালাপালা! X(

১৭ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১১:২৬

ইনকগনিটো বলেছেন: কও কি!!! আবেগাপ্লুত হইয়া গেলাম। :!> :!> :!> :!>

৪০| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

অদৃশ্য বলেছেন:



দূর্দান্ত একটি গল্প পড়ে ফেললাম....

হতাশা কষ্ট ভালোবাসাগুলো অত্যন্ত চমৎকার ভাবে ফুটে উঠলো আমার কাছে... শুরু থেকেই শিহরিত হচ্ছিলাম...

ডার্করুমের ব্যপারটা খুবই নির্মমভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন.... প্রতিটি অংশেই দৃশ্য তৈরী হয়ে গেলো.... আমার গা শিরশির করছে এখনো...

বিশ্বস্ততা আর ভালোবাসাকে এমনভাবে উপস্থাপন করলেন যে.... ভেতরে তার তড়িৎ প্রভাব পড়ে গেলো...

সবদিক থেকে আমার কাছে এই গল্পটা..... দূর্দান্ত.... অপূর্ব.....

শুভকামনা...

২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:১৮

ইনকগনিটো বলেছেন: অদৃশ্য ভাই,

সময় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ। গল্পটি পাশাপাশি দুটি জগতের, একই ধাঁচে গড়া হয়তো একই জীবনের, কিন্তু ভিন্ন ভবিষ্যতের। হয়তো এই জগতের রুমী, আর ঐ জগতের নিঃসঙ্গ ছেলেটি একই মানুষ; যে ঐ জগতে অপেক্ষা করে চলে কোন একটি মেয়ের জন্য। হয়তো শান্তাই অন্য আরেকটা মেয়ে- ঐ জগতে বিচরন করে, শেষ পর্যন্ত তার সঙ্গীর সাথে দেখা হয়, যা হয়তো প্রথম জগতে হয় নি।

হ্যা, গল্পটাকে আসলে একটা ভালোবাসার গল্পও বলা যায়। খুব ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য।

কষ্ট করে আবার আসলেন, পড়লেন। আমি কৃতজ্ঞ। ভালো থাকবেন অনেক। আপনার ব্লগে যাওয়া হচ্ছে না অনেকদিন, আজ যাবো নিশ্চয়ই।

৪১| ২০ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:২২

লেখোয়াড় বলেছেন:
সার্থক লেখা।
শুধুই ভালো বলা যায়।
++++++++++++++

২০ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪৪

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ, লেখোয়াড় ভাই।

ভালো থাকা হোক।

৪২| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৮

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: দুটো সেগমেন্ট এক করা একটা গল্পে পাঠককে শেষ পর্যন্ত ধরে রাখা! অসাধারন লিখেছেন। +++++++++++++++

০২ রা এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১১:৫৭

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন।

৪৩| ২৪ শে মে, ২০১৩ রাত ৮:৩৬

মাহী ফ্লোরা বলেছেন: হেই! /:)

০১ লা জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১১

ইনকগনিটো বলেছেন: হেল্লু। B-)

৪৪| ২৭ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৯:২৫

আলম দীপ্র বলেছেন: গল্প পরে আনন্দ পেলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.