নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I n c o g n i t o

যতোবার আমি শান্তি খুঁজেছি, ঠিক ততোবার আমার মাথায় শুধু একটি চিন্তাই এসেছে। সেটা হচ্ছে একটা ড্রিল মেশিন দিয়ে মাথার খুলিটা ফুটো করে দেওয়ার চিন্তা।

ইনকগনিটো

যতোবার আমি শান্তি খুঁজেছি, ততোবার শুধুমাত্র একটা চিন্তাই আমার মাথায় এসেছে। সেটা হচ্ছে একটি ড্রিল মেশিন নিয়ে নিজের মাথার খুলিটা ফুটো করে দেওয়ার চিন্তা।

ইনকগনিটো › বিস্তারিত পোস্টঃ

।।--লস্ট এন্ড ফাউন্ড--।।

৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:০৩







দ্যা মিথ



"এই পাথরের মূর্তিটার একটা বিশেষত্ব আছে।’‘

"কি সেটা?"

’‘জানি না।’

"তাহলে?"

"দেখে মনে হলো।"





আমি নুবি এর দিকে তাকিয়ে হেসে ফেললাম। এই মেয়েটা বড় বেশি কল্পনাপ্রবন।



নুবি আমার দিকে তাকিয়ে বললো- "হাসছো কেন?“

"তোমার কথা শুনে।”

“আমার কথা শুনে মানে? আমি কি হাসির কিছু বলেছি?”

“হাসির না হলেও ছেলেমানুষি।”



নুবি এবার রেগে গেলো। রেগে গেলেই সে চিৎকার করতে শুরু করে। তবে সেটা শুরু হয় আস্তে আস্তে এবং সময়ের সাথে সাথে তীব্র থেকে তিব্রতর হয়।



“জুড, তোমার সমস্যা কি জানো? তুমি নিজেকে মহা পণ্ডিত মনে করো। তোমার ধারনা, তুমি নিজে যা ভাবো, সেটাই ঠিক। বাকি সবার সব কথা ভুল।”

“আচ্ছা তো বলো, কেন তোমার মনে হলো যে এই পাথুরে মূর্তিটা অন্যরকম?”

"অনেকগুলো কারন।"

"দু একটা বলো।"

"এক নাম্বার কারন-তৈরির সময় মূর্তিটার সৌন্দর্যের ব্যাপারে কোন গুরুত্বই দেওয়া হয় নি।"

"যেমন?"

"তুমি খেয়াল করে দেখো ভালো করে। মূর্তিটা একটা ছেলে মানুষের। নাক, মুখ এবড়ো থেবড়ো। মুখটা চেনা যায় না ভালো করে। অবশ্য পুরনো পাথর, ক্ষয়ে যেতে পারে। মূর্তিটার উচ্চতা খুবই সাধারন। সাধারণত একজন শিল্পী কি করে? সে এমন একটা কিছু বানাতে চায় যা দেখে সবাই মুগ্ধ হয়ে একবার তাকায়। তোমার কি মনে হয় এই মূর্তিটা তেমন?"

" না, তেমন নয়। তবে হতে পারে, মূর্তিটা শুধুমাত্র একটা ভাস্কর্য হিসেবে তৈরি করা হয় নি। হতে পারে, মূর্তিটা আসলে বিশেষ কোন মানুষের স্মরণে তৈরি করা। হতে পারে না?"

"সে কে?"

"সম্ভবত এই ইন্সটিটিউট এর বিখ্যাত কেউ।"

"নাম ধাম তো নেই।"

"পুরনো মূর্তি। মুছে গেছে।"

"উহু। ভালো করে খেয়াল করে দেখো। নাম ফলকের কোন জায়গাই ছিলো না।"

"আচ্ছা। আর?"

"মূর্তিটা কোথায় বানানো হয়েছে, দেখেছো? চত্বরটাকে ডানে রেখে বাম পাশে। দেখে মনে হচ্ছে রাস্তার মধ্যেই অনেকটা। এটা কি মূর্তি বানানোর জায়গা হলো? দেখে মনে হচ্ছে না এখানে এটা বেমানান?"

"হু, তা কিছুটা।"



"তাছাড়া আরও একটা ব্যাপার আছে।"

"কি সেটা?"

"দেখে মনে হয়-"

"কি মনে হয়?"



নুবি চিন্তিত মুখে বললো- বুঝতে পারছি না।



আমি একটা হাই তুলে বললাম- "তোমার পর্যবেক্ষণ শক্তি ভালো। তবে পর্যবেক্ষণ শক্তি ব্যবহার করে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছনোর ক্ষমতা ভালো না। তুমি যা বলেছো, তা দিয়ে কিন্তু মূর্তিটার বিশেষত্ব প্রমানিত হয় না। বরং বলা যায়-একজন অপটু কারিগরের হাতে তৈরি করা মূর্তিটা খুবই সাধারন, এর মাঝে বিশেষত্ব বলতে কোন জিনিস নেই।"



বলেই আমি সম্মতি পাওয়ার আশায় অর্থপূর্ণ দৃষ্টিতে নুবি’র দিকে তাকালাম। কারো মতের বিপক্ষে কথা বলে আবার তার দিকে সম্মতি পাওয়ার দৃষ্টি দিলে তার মেজাজ খারাপ হওয়ার কথা। হলোও তাই। নুবি রাগে থমথম করছে। তার চোখ মুখ লাল হয়ে গেছে। এই মেয়েটা রাগ করলে আমার দেখতে ভালো লাগে।



নুবি বললো- "তুমি এই মুহূর্তে আমার চোখের সামনে থেকে সরো। তোমার সাথে কথা বলতে ভালো লাগছে না। অসহ্য।"

"কই যাবো?"

"জানি না।"

"আজ না আমাদের মিঃ ফ্রাঙ্ক এর কাছে যাওয়ার কথা ছিলো?"





নুবি চিৎকার করে উঠলো- "গেলেও তোমার সাথে যাবো না।"





আমরা এই শহরে এসেছি সপ্তাহ দুয়েক হলো। ছোট্ট ছিমছাম শহর, নাম স্নিগ। তবে ছোট হলেও স্নিগ বেশ বিখ্যাত, শহরটা অনেক প্রাচীন। তাছাড়া গোটা শহরটা পাহাড় দিয়ে পুরোপুরি পরিবেষ্টিত। মাঝে মাঝে মনে হয়, পাহাড়েরা অতন্দ্র প্রহরীর মতো সযত্নে ঘিরে রেখেছে শহরটিকে। চারিদিকে পাহাড় বলে শহরটিতে ঢুকবার একটা মাত্রই পথ। সেটি যেয়ে আবার মিশেছে ভালগ্রায়। ভালগ্রার সাথে স্নিগ এর সম্পর্কও বেশ ভালো। যেন পাশাপাশি থেমে থাকা দুই ভাই।



শান্ত শহর স্নিগ। ঠিক যেন ছবির মতো। লোকসংখ্যাও তেমন একটা বেশি নয়। বিস্তীর্ণ প্রান্তরের মাঝে দৃষ্টি দূর দিগন্তে মিলিয়ে যেতে যেতেও পাহাড়ে একসময় আটকে যায়। আর মাথার উপরে ভেসে বেড়ায় অজস্র সাদা মেঘের টুকরো। শুনেছি, স্নিগে বসন্তকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। এখনও বসন্ত চলছে। দেখে শুনে মনে হচ্ছে, ভুল কিছু শুনিনি। সময়ে অসময়ে এখানে বৃষ্টি নামতে দেখছি কয়েকদিন ধরে।





আমরা এখানে পড়তে এসেছি। আমি আর নু্বি। আমরা এসেছি বার্নিগ থেকে। এখানে আমাদের মতো আরও অনেকেই আছে, যারা আরও দূর দুরান্ত থেকে পড়তে এসেছে। বিদেশী শিক্ষার্থীরা, যারা স্নিগে আসে তাদের সবার আসার উদ্দেশ্য একটাই- সেটা হচ্ছে ঈনিয়ন। ঈনিয়ন স্নিগের বিখ্যাত আর্ট ইন্সটিটিউট। আর্টের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য যাকে বলে একেবারে তীর্থস্থান। লোকে বলে- ঈনিয়নে আসার সুযোগ যে সব শিক্ষার্থীরা পায়, তারা সব দিক থেকেই অনেক বেশি সৌভাগ্যবান। কারন হচ্ছে স্নিগ একটি ছবির মতো সুন্দর শহর। এখানে শৈল্পিক সত্ত্বার বিকাশ হয় খুবই দ্রুত। আর একটা হচ্ছে-ঈনিয়নের শিক্ষার মান; যেটার ধারে কাছেও অন্য কোন আর্ট ইন্সটিটিউট পড়েনা। তবে একটা ব্যাপার হচ্ছে- ঈনিয়নে প্রতিবছরই বিদেশী শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ পায় অন্যদের চেয়ে বেশি। এই কারনে ইন্সটিটিউট হিসেবে ঈনিয়ন এর সুখ্যাতিও সমস্ত পৃথিবী জুড়েই ছড়িয়ে আছে। আর প্রায় ছয়শরও বেশি বছর ধরে সে তার ঐতিহ্য রক্ষা করে আছে, এক চুল আঁচড়ও তাতে পড়েনি।





আমি ফিরে আসার পথে এইসব ভাবছিলাম। ডরমেটরিতে পৌঁছেছি মাত্র, এইসময় দেখি নুবি ফোন করেছে।



"আমি এখন মিঃ ফ্রাঙ্ক এর বাসায় যাচ্ছি।"

"ভেরি গুড। যাও।"

"যাও মানে? আমি একা কিভাবে যাবো?"

"হেঁটে হেঁটে।"



নুবি কিছুক্ষন থমকে থেকে বললো- "আমি তোমাকে ফোন করেছি।"

"তো?" আমি সরল গলায় বললাম।



নুবি কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না। আমি জানি সে কেন ফোন করেছে। সে আমাকে ছাড়া কোথাও চলতে পারে না। একটু আগে চিল্লাচিল্লি করেছে, এখন বলতেও পারছে না যে- আসো। এটা বলতে তার আত্মসম্মানে লাগছে। আমিও এমন ভাব করছি যে আমি কিছুই বুঝিনি। তার তো একা যাওয়ার কথা। একা যাওয়াই কি ভালো না?



মেঘ গুড়গুড় করছে। মনে হয় বৃষ্টি নামবে। এই অবস্থায় বের হওয়ার কোন মানেই হয় না।



নুবি বললো- "তুমি ৫ মিনিটের মধ্যে বের হও।"

"কেন? তুমি না একটু আগেই বললে আমার সাথে যাবে না?"

"মিঃ ফ্রাঙ্ক আমাদের একসাথে যেতে বলেছে।"

"এখন বৃষ্টি নামবে।"

"নামুক। আমি এখনই যাবো। তুমিও যাবে।"

"মিঃ ফ্রাঙ্ক কে যেয়ে বললেই তো হয় যে জুড আসেনি।"

"এতো বেশি কথা বলো কেন? যা বলেছি, তাই করো। ৫ মিনিটের মধ্যে আসো। আমি অপেক্ষা করছি।"



বলেই খট করে ফোন কেটে দিলো সে।





মিঃ ফ্রাঙ্ক এর বাসা এখান থেকে অনেক দূর। নেইভ পাহাড়ের কাছাকাছি। পাহাড়ি রাস্তা বলে এখান থেকে যেতে হয় হেঁটে হেঁটে। সময় লাগে, তবে এতো পথ হাঁটতে আসলে খারাপ লাগে না। বিশেষ করে আবহাওয়া চমৎকার থাকলে। আজ অবশ্য কথা ভিন্ন। এখন থাকার কথা কি সুন্দর একটা রোদেলা বিকেল। অথচ আকাশটা কেমন কালো হয়ে আছে। দেখে মনে হচ্ছে, ভারী একটা বৃষ্টি হবে আজ।



পথের মাঝে তেমন কোন ঘরবাড়িও নেই। থাকলেও অনেক দূরে দূরে, একটা দুইটা। বিশেষ করে মাঝ পথের এই জায়গায় তো একেবারেই নেই। আমি আকাশের অবস্থা দেখে দ্রুত পা চালানোর চেষ্টা করছি। নুবি আবার পাহাড়ি পথ হাঁটতে শেখেনি এখনও। এরই মাঝে পিছিয়ে পড়েছে সে।



"তাড়াতাড়ি পা চালাও। বৃষ্টি নামলে পথের মাঝে ভেজা ছাড়া আর কোন উপায় দেখি না।" আমি চেঁচিয়ে বললাম ওকে।



নুবি পড়ে যেতে যেতে নিজেকে সামলে নিয়ে দাঁত মুখ খিঁচিয়ে কিছু একটা জবাব দিলো। সেই জবাব আমার কান পর্যন্ত পৌঁছল না, শুধু মুখ নড়তে দেখলাম। এরই মধ্যে বাতাস বইতে শুরু করেছে।



আশে পাশে কিচ্ছু নেই। শুধু ডেসিমাসের বাড়িটা আছে, সেটাও এখান থেকে কিছুটা দূর, তবে দ্রুত হাঁটলে খুব সম্ভবত ১০-১৫ মিনিটে পৌঁছানো যাবে। আমি নুবিকে কষে একটা রাম ধমক দিতে যাবো, ঠিক এইসময় প্রবল বৃষ্টি শুরু হলো।



কি বড় বড় ফোঁটা! আর এমন জোরেই নেমেছে বৃষ্টি যে মনে হচ্ছে পুরো আকাশটা নিয়ে নিচে নেমে আসবে। এই বৃষ্টির হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করার কোনই উপায় নেই, স্রেফ দৌড়ানো ছাড়া। আমি সেটাই করছি, লক্ষ্য এখন ডেসিমাসের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া। নুবিও আর কোন উপায় না পেয়ে দৌড়াবার চেষ্টা করছে এখন। সব তো ওরই দোষ। কি দরকার ছিলো খামোখা এই আবহাওয়ায় ফ্রাঙ্ক এর বাসায় যাওয়া?



দৌড়াতে দৌড়াতে আমরা এসে হাজির হলাম ডেসিমাসের বাড়িতে। ততক্ষনে অবশ্য বৃষ্টিতে ভিজে দুজনেই ভেজা কাক হয়ে গেছি। তাড়াতাড়ি দরজায় কড়া নাড়তেই ডেসিমাস দরজা খুলে দিলো।



"কি ব্যাপার, তোমরা এখানে? অনেক ভিজে গেছো দেখছি। এসো, এসো, চলে এসো ভিতরে।"



ডেসিমাস ঈনিয়নের অনেক পুরনো একজন কেয়ারটেকার। তার কাজ মুলত ঈনিয়নের বাগানগুলোর দেখাশোনা করা। সে গাছ ভালোবাসে। আমার সাথে ডেসিমাসের সখ্যতা অন্যদের তুলনায় একটু বেশি। বাগানে কয়েকটা স্কেচ করতে গিয়ে তার সাথে পরিচয়। মানুষটা ছোটখাটো এবং হাসিখুশি। তার অন্যতম একটা গুন হলো, সে খুব গুছিয়ে কথা বলতে পারে। এবং কথাও বলে প্রচুর। তবে কেউই তাতে কখনো বিরক্ত বোধ করেনা, বরং সে এমনভাবে বলে, যে আগ্রহ ভরে শোনে।



"এতো ভিজলে কি করে?" বললো সে।



"আর বোলো না।" বললাম আমি। নুবিকে দেখিয়ে বললাম-"এনার হঠাৎ সখ হয়েছে মিঃ ফ্রাঙ্কের বাসায় যাবে। মিঃ ফ্রাঙ্কই অবশ্য আমাদের যেতে বলেছিলো। কোন এক পেইন্টিং এর দুর্লভ একটা বই দেখাবে না যেন কি। তা যেতে তো হবেই, এবং তা অন্য কোন দিনে না, আজকেই। বললাম, বৃষ্টি নামবে। সে তা শুনলো না। আমার আসার ইচ্ছা ছিলো না মোটেও। খালি একা একা এই ভীতু মেয়ে আসবে এতোদূর পথ-ভয় টয় পাবে, তাই নিয়ে এলাম আরকি।"



নুবিকে দেখে মনে হচ্ছে আমাকে কাঁচাই গিলে ফেলবে। তবে তার আগে সে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে যেটা করতে পারে সেটা হলো, সে চাইলেই আমার পিঠে দড়াম করে একটা থাপ্পড় বসাতে পারে। তার ভাবগতিকও বেশি সুবিধার ঠেকছে না। আমি লাফ দিয়ে দূরে সরে এলাম।



"আচ্ছা, আচ্ছা, যাই হোক।" ডেসিমাস আমাদের দিকে শুকনো তোয়ালে এগিয়ে দিলো। "মুছে নাও, আর আগুনের কাছে এসে বসো। বৃষ্টি বেশিক্ষন হবে না, থেমে যাবে একটু পরেই।"



"তোমাদের শহরটা এমন হতচ্ছাড়া আর উদ্ভট কেন! বলা নাই কওয়া নাই, যখন তখন বৃষ্টি নামে। একটু রয়ে সয়ে নামতে পারে না? কাল দেখলাম দুপুরে ঠা ঠা রোদ, তার মাঝেও বৃষ্টি হচ্ছে।"



নুবি এর কথা শুনে ডেসিমাস হেসে ফেললো।



"ও আচ্ছা, হ্যা। একটু অদ্ভুত বটেই। এখানে বৃষ্টির কোন ঠিক ঠিকানা নেই। তবে আশেপাশের কোন শহরে কিন্তু এমনটা হয় না। শুধু এই শহরেই। এই বৃষ্টি নিয়েই এখানে অনেক পুরনো একটা মিথ প্রচলিত আছে।



"কি সেটা?"





"স্নিগের এক তরুন কোন এককালে ভয়াবহভাবে কোন এক মেয়ের প্রেমে পড়েছিলো। কিন্তু মেয়েটা তাকে প্রত্যাখান করে। সে সম্ভবত অন্য একজনকে ভালোবাসতো। কিন্তু তার প্রতি তরুনটির প্রেম ছিলো অনেক গভীর। তার অবস্থা এতোটাই খারাপ হয়ে গেলো, যে তাকে না দেখে সে একদিনও থাকতে পারতো না। সবকিছু জেনেও সে মেয়েটির জন্য চুপচাপ অপেক্ষা করে যেতো। তার বিশ্বাস ছিলো, মেয়েটি একদিন অবশ্যই তার ভালোবাসা বুঝতে পেরে তার কাছে আসবে।



কিন্তু কোন এক কারনে তরুনটির একসময় স্নিগ ছেড়ে চলে যেতে হয়। যদিও সে জানতো মেয়েটাকে কিছু বলা অর্থহীন, তবু যাওয়ার আগে সে মেয়েটিকে বলে যায়, সে আবার ফিরে আসবে এবং তার জন্য একইভাবে অপেক্ষা করবে। মেয়েটা অবশ্য সেই কথায় কোন কর্ণপাত করলো না। সে তরুণটিকে একেবারেই ভালোবাসতো না।



তারপর, অনেক চড়াই বাধা উৎরিয়ে, অনেক কষ্ট করে একদিন তরুন আবার ফিরে এলো পুরনো স্নিগে। এসে সে আগের জায়গায় মেয়েটিকে খুঁজলো অনেক, কিন্তু কোথাও পেলো না। সে বুঝলো, মেয়েটার খুব সম্ভবত বিয়ে হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরেও, তার দেওয়া কথামতো সে ঠায় দাড়িয়ে অপেক্ষা করতে লাগলো দিনের পর দিন।



এভাবে অপেক্ষা করতে করতে সে পাথর হয়ে গেলো।



মেয়েটাও ঠিক সেই জায়গায় ফিরে এলো অনেকদিন পর। সে ভুল করেছিলো। যদিও সে আশা করেনি কেউ তার জন্য সত্যিই অপেক্ষা করবে, তবু সে বিস্ময়ভরা দৃষ্টিতে দেখলো- তার জন্য অপেক্ষা করতে করতে একজন পাথরে পরিনত হয়েছে।



মেয়েটা অনেক কাঁদলো। যে সত্যিকারের ভালোবাসাকে এতোদিন উপেক্ষা করেছে সে, তা সে ফিরে পেতে চাইলো। সে পাথরের মূর্তিটাকে জড়িয়ে ধরে প্রতিদিন কাঁদতো। কান্নার জল দিয়ে সে পাথরটাকে জাগাতে চাইতো। আর এইভাবে কাঁদতে কাঁদতে সে পরিণত হলো বৃষ্টিতে।



এই কারনেই স্নিগে বসন্তকালে এতো বৃষ্টি হয়, কারন তাদের প্রথম দেখা হয়েছিলো কোন বসন্তে; এবং তাই বৃষ্টি সেই পাথরকে কান্না মিশ্রিত ভালোবাসা দিয়ে ভিজিয়ে আবার জীবন্ত করে তুলতে চায়।"





নুবি নিঃশ্বাস বন্ধ করে গল্পটা শুনছিলো। শেষ হওয়ার পর দেখি একদম চুপ হয়ে গেছে সে। বোঝা যাচ্ছিলো তার মন কিছুটা খারাপ হয়েছে। ডেসিমাসের বাড়িতে সেদিন আর আড্ডা জমলো না।





"চলো, ফিরে যাই। বৃষ্টি থেমে গেছে আর এখন সন্ধ্যা হয়ে এসেছে। এই অবস্থায় মিঃ ফ্রাঙ্ক এর বাড়ি যাওয়া ঠিক হবে না।"



নুবি দেখলাম চুপচাপ মেনে নিলো। কোন উচ্চ বাচ্য করলো না।



পথে ফিরে আসতে আসতে নু বললো, "মিথটা আসলে সত্যি। তাই না?"

"কে বললো?"

"আমি জানি। কেন, ওই যে ওই পাথরের মূর্তিটা? ওইটাই সেই ছেলে। ছেলেটা নিশ্চয়ই ঈনিয়নের কোন ছাত্র ছিলো। আর মেয়েটাও।"

"যতোসব গাঁজাখুরি গল্প! কিসের সাথে কি মিলাচ্ছো? নুবি, তুমি কি রাত দিন গাঁজা টানো? আর টানো তো টানোই, যারা টানে তাদের কথাও বিশ্বাস করো।"



নুবি আমার দিকে অগ্নিদৃষ্টিতে একবার তাকিয়ে হনহন করে হেঁটে একা চলে গেলো। কিছু বললো না। বোধহয় বলার রুচি হয় নি কিছু।



আসলে ব্যাপারটা হচ্ছে, গাঁজাখুরি বললেও আমি জানি নুবি'র অনুমানটাই সত্যি। প্রতি রাতের শেষ দিকে ঝিরিঝিরি করে বৃষ্টি হতে আমি দেখেছি। ঈনিয়নে আসার আগেই আমি মিথটা জানতাম। আমি এও জানি, মূর্তিটা কার, সে কোথা থেকে এসেছিলো। তার নাম ছিলো -"রু"। সত্যি বলতে, আমার ঈনিয়নে পড়তে আসার কারন এটাই। নুবি সেটা জানেনা। আমি নুবিকে জানাতেও চাইনা যে আমি "রু" এর একজন বংশধর।



"রু" এর ডায়েরির একটা অংশ আমার কাছে আছে। সেটা তার ঈনিয়নে আসার আগের অংশ। আমি জানি, ঈনিয়নের কোথাও না কোথাও '"রু" এর ডায়েরির বাকি অংশটুকু লুকিয়ে আছে। সেটা আমার খুঁজে পাওয়া দরকার।



পাথর হয়ে যাওয়া মানুষটির পুরনো দিনগুলোর সব গল্প আমার যে এখনও অজানা।







(লস্ট এন্ড ফাউন্ড- প্রথম পর্বঃ দ্যা মিথ)

মন্তব্য ৭৩ টি রেটিং +২৩/-০

মন্তব্য (৭৩) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:০৮

সোহাগ সকাল বলেছেন: সেইদিনই পড়ছিলাম ফেবুতে। অনেক ভালো লাগছে! আমি ভাবছিলাম এইখানে পরের পর্বটাও দেয়া হইছে! /:)

৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:১১

ইনকগনিটো বলেছেন: আমি অনেকদিন পর পর গল্প লিখি। -_-

২| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:১৩

রোজেল০০৭ বলেছেন: ২য় ভালো লাগা।

৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:১৭

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:২৭

ফারজানা শিরিন বলেছেন: অংশটা আমারও দরকার ।

খুঁজে পাওয়ার অপেক্ষায় ।

৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৪১

ইনকগনিটো বলেছেন: আমারও দরকার। খুজতেসি। :P

৪| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

দয়াল সাহেব বলেছেন: এক নি:শ্বাসে পড়লাম । ধন্যবাদ আপনাকে ।

৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৪২

ইনকগনিটো বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন।

৫| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫২

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: এক নি:শ্বাসে পড়লাম ।চমৎকার !

৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৭

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

ভালো থাকবেন অনেক।

৬| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ৯:৫৮

মামুন রশিদ বলেছেন: আমার খুব ভাল্লাগছে, ইনকগনিটো কথা রেখেছেন । আমি খুব করে চাইছিলাম এই মাসে আপনি একটা গল্প লিখুন । কেনো চাইছিলাম এটা পরে বলবো ।


আপাতত ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম । গল্প সম্পর্কে পরে বিস্তারিত মন্তব্য দিব ।

৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৭

ইনকগনিটো বলেছেন: কেন চাইছিলেন? কৌতূহলী হয়ে গেলাম তো!

মামুন ভাই জানাবেন কিন্তু অবশ্যই।

৭| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:০১

দেহঘড়ির মিস্তিরি বলেছেন: অসাধারণ :)
পরের পর্বের অপেক্ষায় :)

৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৩৮

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৮| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:১৯

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: সুন্দর গল্প। কথোপকথনে এক ধরণের কোমলতা খুঁজে পাওয়া গেল, যা 'ন্যাকা ন্যাকা' দোষ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত, এবং সেই কারণে বেশ ভালো লাগল। শেষের দিকে এসে মনে হচ্ছে রহস্যমূলক গল্প। ইন্টারেস্টিং লাগছে।

পরের পর্ব দেখা যাক।

৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৪০

ইনকগনিটো বলেছেন: সুন্দর ও গঠনমূলক মন্তব্য এবং বিশ্লেষণী ধরনের মন্তব্যের জন্য আপনি আসলে সামহোয়্যার থেকে একটা পুরষ্কার আশা করতে পারেন। বুঝছেন?


অনেক ধন্যবাদ! শঙ্কু সাব।

৯| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৪৫

নির্লিপ্ত স্বপ্নবাজ বলেছেন: ভাল্লাগছে ভাইয়া
পেলাচ লন

৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:১০

ইনকগনিটো বলেছেন: এখন ধইন্যা লন।

১০| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:২২

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: স্নিগ শহরের বর্ণনা ভালো লাগছে । ছিমছাম ভাবে বলা শহরের সব কিছু যেন দেখছিলাম ( ইদানীং কি জানি হইছে কোন বর্ণনা পড়লেই দেখে ফেলি :( )

রু, নুবি , জুড নামগুলো সুন্দর !

পরের পর্ব কবে দিবা ?

৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:২৫

ইনকগনিটো বলেছেন: পরের পর্ব জানি না। আবার দুই মাস পর। :P

এইটাই তো কমপ্লিট একটা ছোট গল্প। আবার পরের পর্ব কি? :-/ :-/ ইশ লেখাটা ভুল হইয়া গেছে যে এইটা প্রথম পর্ব। :-P


পাঠের জন্য ধইন্যা।

১১| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:২৪

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: বাহ খুব ভালো লাগলো দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম ।


সপ্তম ভালোলাগায় পোষ্ট প্লাসায়ীত হলো ।

৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:২৬

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ, ঘুড্ডির পাইলট।

ভালো থাকা হোক নিরন্তর।

১২| ৩০ শে মে, ২০১৩ রাত ১১:৪৫

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: কমেন্টের আগে একটা ছোট স্মৃতিচারন করি। আমার বই পড়ার নেশা ছিল। নানা রকম বই পড়তাম। এক সময় সেবা প্রকাশনীর বই পড়ার নেশা ধরল। আমি টিফিনের টাকা জমিয়ে বই কিনতাম। বাজারে অনেক সুন্দর সুন্দর বই ছিল যেগুলো হয়ত প্রথম খন্ড প্রথম বের হয়েছে, কিন্তু দ্বিতীয়খন্ড আগামী মাসে বা পরে বের হবে। আমি সেগুলো কখনই কিনতাম না। কারন একটা গল্প অর্ধেক পড়ে বাকিটার জন্য অসহায় ভাবে অপেক্ষা করব, এটা মানতে আমার অনেক কষ্ট হত। আমি পরের মাসে ২টা খন্ডই এক সাথে কিনতাম। টিভিতে যখন টিপু সুলতাম, বহুব্রীহি, অয়োময় ইত্যাদি নাটক খন্ড খন্ড করে দেখাত তখন খুব অসহায় লাগত।


এই কষ্টটা অনেকদিন পর পাচ্ছি আপনার লেখা পড়ে। ভালো একটা লেখা অর্ধেক পড়ে বাকি পর্বের জন্য অপেক্ষা করা আসলেই খুবই মর্মান্তিক। সুতরাং দ্রুত পোষ্ট করুন, তার জন্য অপেক্ষায় রইল।

৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:০৩

ইনকগনিটো বলেছেন: ইশ! কি কইলেন! ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল কৈরা ফেললেন তো! আচ্ছে দেখি, কতো তাড়াতাড়ি দেওয়া যায়।


সেই পর্যন্ত ভালা থাইকেন ভাই। :)

১৩| ৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:১৩

স্বপ্নবাজ বাউন্ডুলে বলেছেন: পরের পর্ব জলদি পোস্ট করেন :)

৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১২:৩৪

ইনকগনিটো বলেছেন: পরীক্ষা আমার। :-/ :-/ :-/

১৪| ৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১:১০

ফালতু বালক বলেছেন: ভালো লাগছে, খুব।
২য় পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম, হোক সেটা এক্সামের পরে। ;)

৩১ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:২৯

ইনকগনিটো বলেছেন: আচ্ছা, দেখা যাক।

ধন্যবাদ। পাঠের জন্য।

১৫| ৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১:২১

শশী হিমু বলেছেন: B-) B-)

৩১ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩১

ইনকগনিটো বলেছেন: B-) B-)

১৬| ৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ১:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: ভালো লাগসে। তবে টু বি অনেস্ট, কিছুটা বোরিংও লাগসে। ডায়লগ, চরিত্রদের নাম, প্রকৃতির বর্ণনা মনোটোমাস।

৩১ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:৩৯

ইনকগনিটো বলেছেন: গল্প যদি একটাই হতো, তাহলে ডেসক্রিপটিভ এলিমেন্ট গুলোর মাঝে অনেক ভেরিয়েশন আনা যেতো। কিন্তু গল্পটা যেহেতু অনেক বড়, এবং অনেকটা হয়তো উপন্যাস এর দিকে যেতে পারে, কিংবা উপন্যাস না হলেও একটা ট্রিলোজি, তাই এই বর্ণনাটা আসলে দিতেই হতো। কারন এটার সাথে ভবিষ্যতেও অনেক খুঁটিনাটি উঠে আসবে হয়তো।


চরিত্রদের নাম মনোটোনাস? :|| তব্দা খাইলাম।


এনিওয়ে, ধইন্যা!

১৭| ৩১ শে মে, ২০১৩ রাত ২:১৯

রাতুল_শাহ বলেছেন: বড় লেখা........প্রথমে ভাবলাম পড়ব?
তারপর পড়েই নিলাম।

সুন্দর আছে গল্পটা।

৩১ শে মে, ২০১৩ সকাল ৯:৪০

ইনকগনিটো বলেছেন: ধইন্যা, ব্রু।

ভালো থেকো।

১৮| ৩১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:১৪

রহস্যময়ী কন্যা বলেছেন: ভাইয়া গল্পটা অনেক ভালো লেগেছে।অসাধারণ।প্রিয়তে নিলাম।আির পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম :)

৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৪

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ, কন্যা।

ভালো থেকো অনেক।

১৯| ৩১ শে মে, ২০১৩ সকাল ১০:৩৮

মাসুম আহমদ ১৪ বলেছেন: ভাল লাগছে তবে মাঝেমাঝে মনোযোগ বিচ্ছন্ন হয়েছে

৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩

ইনকগনিটো বলেছেন: পাঠের জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২০| ৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:১৪

মেহেদী হাসান ভূঁঞা বলেছেন: ভাইয়া পরের পর্বটা তাড়াতাড়ি চাই।পরের পর্ব পড়ে বলব কেমন হইছে।

৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৩

ইনকগনিটো বলেছেন: আচ্ছা।

২১| ৩১ শে মে, ২০১৩ দুপুর ১:৪৪

সমুদ্র কন্যা বলেছেন: এমন গল্প পড়তে ভাল লাগে। কিন্তু দুই মাস ঝুলায় রাইখেন না প্লীজ। আর যদি দেরিই হয় তাহলে বরং সব লেখা শেষ হলে একবারে জানায়েন। তখন টাটকা টাটকা পড়বো :D

৩১ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

ইনকগনিটো বলেছেন: আচ্ছা সব লেখা শেষ হলে একসাথে দিবো নে।

ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।

২২| ৩১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪

ইলুসন বলেছেন: জোস! কালকেই একটা ভাল গল্প পড়লাম ব্লগে। আজকে এই গল্পটা পড়লাম। দিনটা ভাল হয়ে গেল। ব্লগে এখন আমার পছন্দমত কোন গল্প পড়ার জন্য তীর্থের কাকের মত অপেক্ষা করতে হয়।

৩১ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩১

ইনকগনিটো বলেছেন: সময় পাইনা তেমন ব্লগে আসার। নাইলে আরও লেখা যাইত।

গল্পও ভাল্লাগসে দেইখা ধইন্যা। :)

২৩| ৩১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৪:০৫

s r jony বলেছেন:

খুবই ভাল লাগল, নেট স্পিডের কারনে প্লাস অপশন দেখতে পারছি না এখানেই ++++++++++++++++ দিলাম

৩১ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।

২৪| ৩১ শে মে, ২০১৩ বিকাল ৫:৫৭

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: এই বিকেল বিকেল সন্ধ্যায় চমৎকার একটা গল্প পড়লাম, মিথ রহস্য একসাথে। খুব ভালো লাগলো ভাইয়া। পরের পর্বের অপেক্ষায় ভাইয়া।

৩১ শে মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ, মহামহোপাধ্যায়।

ভালো থাকা হোক।

২৫| ০১ লা জুন, ২০১৩ রাত ১২:৫৫

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
১৭ তম লাইক অপেক্ষায় রইলাম

০১ লা জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৩৪

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ কান্ডারী।

শুভকামনা।

২৬| ০১ লা জুন, ২০১৩ সকাল ১০:৫৭

আরজু পনি বলেছেন:

নতুন একটা ধারা পাচ্ছি....অনুবাদ না! তারপরও বিদেশী গল্পের স্বাদ

দারুণ হচ্ছে কিন্তু....

০১ লা জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৯

ইনকগনিটো বলেছেন: প্রেরণা জাগানোর মতো মন্তব্য।

অনেক ধন্যবাদ, প্রিয় আরজুপনি। :)

২৭| ০১ লা জুন, ২০১৩ সকাল ১১:২১

সমানুপাতিক বলেছেন: খুব সুন্দর! ২য় পর্ব তাড়াতাড়ি দেবেন আশা করি ।
আপনার লেখার স্টাইলটা চমৎকার । পাঠকের আগ্রহ ধরে রাখতে পারেন ।

০১ লা জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৪৭

ইনকগনিটো বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ, সমানুপাতিক।

ভালো থাকবেন। শুভকামনা।

২৮| ০২ রা জুন, ২০১৩ রাত ১:২২

নস্টালজিক বলেছেন: কগনিটো, লেখাটা পড়ছিলাম আর আমার লাস্ট কমেন্টের কথা ভাবছিলাম! হাসছিলামও....

সিমপ্লি স্টানিং! এত সুন্দর ঝরঝরে লিখসো!


মুগ্ধপাঠ!



শুভেচ্ছা নিরন্তর!

০২ রা জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

ইনকগনিটো বলেছেন: না, না ভাইয়া, আপনার শেষ মন্তব্যটা খুবই সঠিক ছিলো। কবিতাটা আসলেই ভালো লাগার মতো ছিলো না। ঠিকই তো বলসেন।

এটা ভালো লেগেছে শুনে খুব ভালো লাগলো।

ভালো থাকবেন সবসময়। ধন্যবাদ অন্তঃস্থল থেকে।

২৯| ০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ১:৪৭

নাজিম-উদ-দৌলা বলেছেন: পড়েছি অনেক আগেই, কিন্তু কমেন্ট করতে পারিনাই। এই বাংলালায়ন নিয়ে আছি মহা যন্ত্রণায়। দু দিন পর পর লগ ইন করা যায় না ব্লগে, গত তিন দিন একনাগারে চেষ্টার পর অবশেষে আজকে লগ ইন হইসে!

শুরুটা জোস হইসে, অপেক্ষায় আছি, পরের পার্ট কবে দিবেন?

০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ৯:১৩

ইনকগনিটো বলেছেন: সময় পাইনা তেমন। পাইলেও লিখতে ইচ্ছা করে না অনেক সময়। অদ্ভুত রোগ। দেখি কবে লিখি। আছি বড় ঝামেলায়, ভাই।

খুব ভালো লাগলো, কষ্ট করে এসে পড়লেন। ভালো থাকবেন অনেক।

শুভকামনা।

৩০| ০৩ রা জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫

শরৎ চৌধুরী বলেছেন: স্মুথ! টোটালি। ++++।

০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫১

ইনকগনিটো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, ভাই।

ভালো থাকা হোক।

৩১| ০৩ রা জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৪

এরিস বলেছেন: ডিফরেন্ট টেইস্ট। প্রথম পর্ব পড়েই মুগ্ধ হয়েছি। বর্ণনা চমৎকার ছিল। বর্ণগুলো একের পর এক ছবি দেখিয়ে যাচ্ছিল। পরের পর্বের অপেক্ষায় আছি। প্লাস। ভালোলাগা জানবেন। (আগের কবিতায় আপনার নিজের ওই লাইনটা ছাড়া আর কিছু আমার মাথায় আসেনি। তাই সেটাই লিখেছি। কিছু মনে করবেন না। )

০৩ রা জুন, ২০১৩ রাত ৯:৫২

ইনকগনিটো বলেছেন: মনে করবো কেন?! আমার তো ভালো লেগেছে লাইনটা।


অনেক ধন্যবাদ এরিস। ভালো থাকা হোক। :)

৩২| ০৬ ই জুন, ২০১৩ সকাল ৯:১৭

অদৃশ্য বলেছেন:




ইনকগনিটো

প্রথমেই বলি যে কেউ মনযোগ দিয়ে গল্পটি পড়লেই ভেবে নেবে এটা একটি বিদেশি গল্পের অনুবাদ... এবং অনুবাদক তা অত্যন্ত সফল ভাবে সম্পন্ন করেছেন...

যদিও মনে হচ্ছে এটি আপনার একান্ত নিজস্ব সৃষ্টি... অত্যন্ত সুন্দর

লিখাটির কোথাও আমার বারতি কিছু মনে হয়নি... বরং প্রতিটি অংশেই ছিলো দারুন আকর্ষন... দারুন একটি প্লট... চমৎকার কথোপকথন... খুনসুটি... ভালোবাসাময় সম্পর্ক... চমৎকার স্নিগের দৃশ্য... সাবলিল বর্ননায় অত্যন্ত সুন্দর একটি গল্প...

অবশেষে সুন্দর গল্পটি কন্টিনিউ করবার জন্য একটি মিথ দাড় করানো ও তাতে রহশ্যের গন্ধ মেশানো... সব মিলিয়ে দূর্দান্ত

আপনার আগের গল্প পড়ে বুঝেছিলাম ভালো লিখেন আপনি... এই লিখাটি পড়ে সেই বিশ্বাসটুকু আরও দৃঢ় হলো...

এভাবেই লিখুন... এরকম লিখা সবসময়ই মনকাড়া...


শুভকামনা...

০৬ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৫২

ইনকগনিটো বলেছেন: মনোযোগ দিয়ে পড়বার জন্য ধন্যবাদ, অদৃশ্য ভাই।

হ্যা, এটাকে অনুবাদ এর মতো মনে হলেও এটা পুরোপুরি মৌলিক একটা লেখা।

আপনার সুন্দর মন্তব্যগুলো সবসময়েই আমাকে প্রেরণা যোগায়।


ভালো থাকবেন অনেক। শুভকামনা।

৩৩| ১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:১২

অনিক্স বলেছেন: পরের পর্ব কবে আসবে? :(
++++++++++

১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫

ইনকগনিটো বলেছেন: তা তো জানিনা

পাঠের জন্য ধইন্যা।

৩৪| ১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১:৩৯

মাহমুদ০০৭ বলেছেন: দেরি হোক সমস্যা নাই ,
ভাল লাগতাছে , ভাল একটা লিখা উপহার দেন । অপেক্ষায় আছি ।
ভাল থাকবেন ।

১১ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ২:৩৫

ইনকগনিটো বলেছেন: ভালো লাগলো আপনার মন্তব্য। আমিও সেটাই চিন্তা করছি।


ভালো থাকবেন।

৩৫| ১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩২

আরমিন বলেছেন: অফলাইনে আগেই পড়েছিলাম , লগিন সমস্যার জন্য কমেন্ট করতে পারিনি!

খুবই চমৎকার একটি লেখা!

২২তম প্লাস!

শুভকামনা নিরন্তর ! :)

১১ ই জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৮

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

ভালো থাকা হোক।

৩৬| ২৮ শে জুন, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

মাক্স বলেছেন: ++++++++
অনেকদিন পর আপনার প্রোফাইলে ঢুকলাম। অনেককিছুই মিস করেছি মনে হয়!

০৩ রা জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৭

ইনকগনিটো বলেছেন: বেশি কিছু মিস করেন নি। :)

৩৭| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৪০

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: অসমাপ্ত গল্পগুলো একেকটা অতৃপ্ত প্রেতাত্মা
অহর্নিশি হানা দেয় ঘুমে জাগরণে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.