নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I n c o g n i t o

যতোবার আমি শান্তি খুঁজেছি, ঠিক ততোবার আমার মাথায় শুধু একটি চিন্তাই এসেছে। সেটা হচ্ছে একটা ড্রিল মেশিন দিয়ে মাথার খুলিটা ফুটো করে দেওয়ার চিন্তা।

ইনকগনিটো

যতোবার আমি শান্তি খুঁজেছি, ততোবার শুধুমাত্র একটা চিন্তাই আমার মাথায় এসেছে। সেটা হচ্ছে একটি ড্রিল মেশিন নিয়ে নিজের মাথার খুলিটা ফুটো করে দেওয়ার চিন্তা।

ইনকগনিটো › বিস্তারিত পোস্টঃ

ওঁ

০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ১১:৩৮

বহুদুর থেকে কোন আওয়াজ ভেসে আসে শান্ত স্বরে- পাঠ করো। প্রসারিত হবে আকাশ তখন, দক্ষ মরুভুমির ন্যায়। দেখো, মাথার উপরে সাতটি তারা ঘুরে বেড়াচ্ছে কোনো স্তবকের অপেক্ষায়; উচ্চারন করা মাত্রই ওরা নিচে নেমে আসবে কোনো নামহীন সাদা ফুল হয়ে- যার গন্ধে গন্ধে জমা থাকে রহস্য। তুমি তো অলৌকিকতায় বিশ্বাসী নও, তবু নিঃশব্দেও পালকের ছায়া খোঁজো। ওরা পতিত হয় কোনো আপেল বাগানে-আলোক বিচ্ছুরিত এক অপার্থিব পাখির জৌলুসমাখা দেহ থেকে; তারপর ধীরে ধীরে ম্লান হতে থাকে ভূমির ওপর।



এই পুরো ঘটনাই ঘটে মধ্যরাত্রিতে। বস্তুত, প্রাচীন কোনো পুস্তক পাঠের জন্য নির্দিষ্ট প্রহর আছে। এসো- জ্যোৎস্নালোকিত বারান্দায় এসে হাঁটু মুড়ে প্রার্থনা করো প্রহরের; কারণ নক্ষত্ররশ্মিতেও জমা থাকে অস্ফুট অভিমান। যদিও আমরা পৃথিবীর পথে ভিক্ষুক; তবে প্রকৃত ভিক্ষার জন্য জ্ঞান থাকা জরুরী। এভাবে একদিন সব পথ শেষ হয়ে যায়। রাত্রি গভীর হলে উপরে চেয়ে দেখো- তুমি দেখতে পাবে কিছু অশ্বরথ; অর্ধবৃত্তাকার পথে প্রদক্ষিণ করে যারা। তবে কখনও তাদের ধূমকেতু ভেবে বোসো না। নিবিষ্ট হও কোন গভীর ধ্যানে, কারণ যতক্ষণ পর্যন্ত না চন্দ্রালোক ওই মলাট স্পর্শ করে, তোমাকে নৈঃশব্দের সুরই শুনতে হবে।



প্রহর এসেছে বুঝবে- যখন তুমি ঘ্রাণ পাবে প্রাচীন কোনো কাঠের। মৃত্যুও নেমে আসবে তোমার খুব কাছে তখন। বারান্দায় কারও সমাধি আছে অবশ্যই, কিন্তু সেটা মুখ্য নয়। পুস্তক খোলার আগে আত্মার বিশুদ্ধি দরকার। মনকে পুরোপুরি দূরীভূত করো প্রাচীন মলাটে। পৌরাণিক অক্ষর দিয়ে পুস্তকে লেখা আছে পৃথিবীর অনেক গোপন রহস্য।



তৃতীয় পাতা থেকে পাঠ শুরু করবে। যখন গিয়ে পঞ্চম পাতায় ঠেকবে তখন দেখবে একপাল হরিণ- তৃষ্ণা মিটিয়ে পার হয়ে যাচ্ছে কোনো জলাশয়। সপ্তম পাতায় পাবে এক জ্বলন্ত ডুমুর বাগান; ওখানে তুমি পাবে একটা বাঁশি। এগারো পাতায় এসে হঠাৎ করে উড়তে শুরু করবে পৃথিবী।



পুস্তকের শেষ পাতায় কী আছে কেউ জানে না। এমন নয় যে, অচিরেই প্রহর থেমে যায়। কিন্তু আমাদের সবার মনে কিছু অদ্ভুত বিষণ্ণতা থাকে। সেই বিষণ্ণতা নিয়ে আমরা আসলে কেউই শেষ পাতা পর্যন্ত পৌছুতে পারি নি। আমরা দেখি, আমাদের পাতারা উড়ে যায় বন ছেড়ে। অদ্ভুত বিষণ্ণতা নিয়ে- এমনকি ঝোলা কাঁধে নিয়ে আমাদের আত্মা। পড়ে থাকে আমাদের দেহ- যেভাবে অপার্থিব কোনো পাখি তার পালক ফেলে যায় এই পার্থিব জগতে।



যেহেতু আমাদের প্রত্যেকের মাঝে ঈশ্বরের বসবাস, সেহেতু আমাদের বিচরণ সর্বত্র। তবুও আমাকে যদি খুঁজতেই হয় তবে পুস্তকের প্রাচীন কোনো স্তবকে খুঁজে নিও।







(পূর্বে বিভূঁই এ প্রকাশিত)

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:০১

লেখোয়াড় বলেছেন:
অপার্থিব আর আধ্যাতিকতা আর মানুষের বিশ্বাস কিসব ভাবনা।
আচ্ছা, মানুষ যদি নাই-ই থাকে তো এসব দিয়ে কি হবে।

লেখাটি অনেক সুন্দর।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২৮

ইনকগনিটো বলেছেন: মানুষ নেই, এ তো হতে পারে না। মানুষ এসেছে বলেই- আত্মা এসেছে, এসেছে মন। চিন্তা এসেছে; দর্শন।

মানুষ, একটা কাঠামো হয়ে তাদের ধারণ করে।


ধন্যবাদ, লেখোয়াড়।

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: মুগ্ধপাঠ্য !
মুক্তগদ্যে আপনি বরাবরই অনবদ্য !

০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:২৩

ইনকগনিটো বলেছেন: সময় নিয়ে পড়বার জন্য ধন্যবাদ, স্বপ্নবাজ অভি।

ভালো থাকা হোক নিরন্তর।

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:২৬

ডি মুন বলেছেন: বাহ, সুন্দর।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪৮

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৪১

হাসান মাহবুব বলেছেন: পুরাই পিনিকাল ভাব।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:৫৩

ইনকগনিটো বলেছেন: আক্রান্ত!

৫| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:৪০

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: অসাধারণ হয়েছে ---

১০ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২১

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:৪১

কালের সময় বলেছেন: ভাল লাগল পড়ে

১০ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:২৩

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ১০ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১:৩৮

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অসাম ম্যান!!! জাস্ট অসাম!

১১ ই আগস্ট, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৯

ইনকগনিটো বলেছেন: থ্যানক্স ম্যান :) এ লট!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.