নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

I n c o g n i t o

যতোবার আমি শান্তি খুঁজেছি, ঠিক ততোবার আমার মাথায় শুধু একটি চিন্তাই এসেছে। সেটা হচ্ছে একটা ড্রিল মেশিন দিয়ে মাথার খুলিটা ফুটো করে দেওয়ার চিন্তা।

ইনকগনিটো

যতোবার আমি শান্তি খুঁজেছি, ততোবার শুধুমাত্র একটা চিন্তাই আমার মাথায় এসেছে। সেটা হচ্ছে একটি ড্রিল মেশিন নিয়ে নিজের মাথার খুলিটা ফুটো করে দেওয়ার চিন্তা।

ইনকগনিটো › বিস্তারিত পোস্টঃ

জ্যোৎস্না ফুল

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:৫৬





এভাবে প্রতিদিন বসে থেকে কিছুতেই লেখা হয়ে ওঠে না আমার। কতোদিন। প্রতিদিনই ভাবি লিখবো লিখবো। কিন্ত সেখানেও এক দোষ; বেজায় অলসতা। ভাবতেও ইচ্ছা করে না অতো। ভাবনাশূন্য হয়ে থাকতে ইদানীং খুব ভালো লাগে।

আগে এভাবে থাকলে নিজেকে লাগতো পানিহীন মাছের মতো। ডাঙায় তোলা। চোখ মুখ খুলে হাঁসফাঁস করছে শুধু। তারপর একসময় নিস্তেজ হয়ে পড়ে। আলোতেই মরে যায়। কতোটা বিপরীত জীবন! আর আমরা এভাবে হাঁসফাঁস করতে করতে মরে যাওয়ারও সুযোগ পাই না। আমাদের কেন যেন বেঁচে থাকতে হয়! আলো থাকুক, বা অন্ধকার। যেমন আমি বেঁচে আছি অন্ধকারে। হ্যাঁ অন্ধকারই তো। ওই একটা জিনিসই আমার আপন মনে হয়।

আমার অনেক কথা জমে আছে। অজস্র। মাঝে মাঝে পালক। মাঝে মাঝে ব্লেড। বলতে গেলে অবলীলায় একটা শহর শেষ হয়ে যায়! কিন্তু এই একটা বিস্ফোরণ আমি বুকে চেপে হেঁটে যেতে পারি রাত দিন।

এতো নির্লিপ্ততা আগে কখনও ছিল না আমার। যখন ছোটবেলায় বাড়ি ছেড়ে পড়তে গেলাম ঢাকায়। মা খুব কাঁদলো। কলেজে উঠেছি, কান্নাকাটি করা যায়? তবু সকাল বেলা কাঁদতাম মাঝে মাঝে প্রথম দিকে, লুকিয়ে লুকিয়ে। কি বোকা! এখন ভাবলে হাসি লাগে। মা অবশ্য এটা জানে না। লজ্জায় বলি নি।

সেই আমি আবার ফিরে এসেছি এখানে, এতোগুলো বছর পর। কিন্তু বদলে গেছি অনেক। আমি আর এখন খুব পাতলা আবেগে কেঁপে উঠি না, কোনো আবেগেই কাঁপি কি না সন্দেহ! সব শালা সিস্টেমের দোষ! আমাকে পুরোপুরি একটা মেশিন বানিয়ে দিলো। ওটা হাসে না। কাঁদে না। নিজের মাঝে সমুদ্রের মতো কথা বাঁধ দিয়ে আটকে রাখতে পারে শুধু।

অনেক কিছু বদলে গেছে। বদলে গেছে আমার পুরনো শহর। এখানে খেলার মাঠটা আর নেই। আমাদের পুকুরটাও নেই। অথচ ছোটবেলায় এই পুকুরেই থাকতাম পুরো এক বেলা। দেবাশিস ছিলো, শুভাশিস ছিলো, ওদের সাথে। চোখ লাল করে চোরের মতো ঘরে ফিরতাম। মনে আছে, একবার আম গাছের ডাল দিয়ে পুকুরে লাফ গিয়ে পা হড়কে পড়ে গেলো দেবাশিস। আর পড়লো তো পড়লো, চোখটা পড়লো একটা খাড়া হয়ে থাকা কাঁটার উপর। বিকেলে বাড়ি গিয়ে দেখি- সাদা ব্যান্ডেজ। ফলাফল, পুকুরে গোসল আর ছেলেদের লাফ-ঝাঁপ একদম বন্ধ।

অবশ্য তা মাত্রই কয়েকদিন। বর্ষা আসতে না আসতেই আমগাছটা পড়ে গেলো। লাফ দিতে দিতে মাটি আলগা হয়ে গিয়েছিলো।

এ সব ভুলে গেছি। কিচ্ছু মনে নেই। কবে ভুলে গেলাম, তাও মনে নেই। মনে করতে চাইলে এখন চারপাশ নিয়ন বাতির আলোতে হলদেটে হয়ে আসে। ঢাকার রাতের রাস্তা। এই তো, কদিন আগেও বনানীতে রিকশা করে গেলাম। সেটার কথা মনে আছে।

ঢাকার জীবনের সাথে আমি কি ঠিক মানিয়ে নিতে পেরেছিলাম? প্রশ্নটা মনে এলেই হঠাৎ নিজেকে আবিষ্কার করি বসুন্ধরা সিটির জৌলুসময় বিপণী বিতানগুলোতে কিংবা সিঁড়িতে মোমের মতো, তীক্ষ্ণভাবে নখ দেখতে থাকা অপ্সরাদের পাশে। ওরা যে কী সুন্দর! না, আমি এখানের কেউ নই। তাহলে আমি কে? টি.এস.সি অথবা মুক্তমঞ্চের কোনো দেয়ালে পা ঝুলিয়ে বসে বসে বাদামের খোসা ছাড়ানো কেউ? নাকি হলের অলস বিকেলে 'আমার এখন কি করার আছে' ভাবতে থাকা কোনো উদ্দেশ্যহীন একজন? হতেও পারি। তবে এটা ঠিক- ঢাকা আমার দীর্ঘদিনের পরিচিত, কিন্তু আপন নয়। আমাদের মতো মানুষদের সাথে তার সম্পর্ক কেমন যেন! অদ্ভুত। ছেড়ে আসার সাথে সাথেই সব সম্পর্কের হিসাব নিকাশ চুকে যায়।

বিকেলগুলোও আমার আপন হয় না কখনো। কখনোই। না আগের, না এখনকার। এখন মাঝে মাঝে শেষ বিকেলে কাকঘুম ভেঙে গেলে এস মা’র পাশে বসি। চা খেতে খেতে টুকটাক কথাবার্তা বলি। বেশি কথা বলতে ইচ্ছা করে না। তবু মা’র যে এতো প্রশ্ন! রুকু ভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষা দিবে এবার। এই নিয়ে মা’র চিন্তার অন্ত নেই। থাকবে কোথায়, খাবে কী?

সবাই তো পড়ছে। হোস্টেলে থাকছে।
তবুও। সবাই তো সব কিছু পারে না।
কী যে বলো, মা! ঢাকা ভার্সিটির লাইফ তুমি দেখেছো? উচ্ছলতায় ভরা দিন। ক্যাম্পাসের অফুরন্ত আড্ডা, সন্ধ্যায় হলমেটদের সাথে ঘুরে বেড়ানো; চা। ঘাসে ঘাসেও আনন্দ ওখানে।
তুই কীভাবে জানিস?
ও মা, আমি যাই তো মাঝে মাঝে। কলাভবনের দিকে। তখন দেখি।
চুন্নুর মেয়েটাও তো কলাভবনে পড়ে।
জানি।
দেখা টেখা হয় না?
নাহ।

ঢাকা শহরে আমার মতো নিতান্ত গোবেচারা গোছের ছেলেদের কখনও প্রেমিকা থাকে না। তবু মা মাঝে মাঝে সন্দেহ করে। রুকুর সাথে ইদানীং খুব একটা কথা হয় না, ওর পরীক্ষা। তবু টুকটাক দু একটা কথা হলেই ইনিয়ে বিনিয়ে কারো না কারো কথা জিজ্ঞাসা করবেই। যারা আমার পরিচিত। কিন্তু কখনোই প্রেমিকা নয়।

রুপাও বিশ্বাস করে না। সেদিনও যেমন নাদিয়ার কথা শুনে রাগ করেছিলো অনেক। অথচ এটাই খুব বেশি স্বাভাবিক যে, আমি একা। আমি কী করে কোনো সুতোয় নিজেকে গাঁথবো? সম্ভব?

কেন সম্ভব নয়?
কীভাবে সম্ভব রুপা? তুমি আমাকে চেনো না?

রুপা এটা শুনে চুপ করে থাকে। আমি জানি, কেন। এটা ওর নিজের অস্তিত্বেও কাঁপন ধরায়, এ কারণেই। ঠিক যেমনিভাবে আমি আমার আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে ভুগি। এ পারসন অফ নো প্লেস টু গো। বোহেমিয়ানদের আবার আইডেন্টিটি কি? আমি কোথায় যাবো?

এই শহরকেও আমার আপন মনে হয় না। মনে হয়, নতুন; চিনি না। মাঝে মাঝে স্বপ্নে আমাদের আগের বাড়িটা দেখি। সবুজ পুকুরটা দেখি, টলটলে। ঘুমের মধ্যে ভুলেও এখনকার বাসার কথা মনে পড়ে না। এই নতুন ভাড়া বাসায় কোনো পুরনো গন্ধ নেই। আমার ঘরে লেগে থাকা সেই অন্ধকারও নেই। সেই অন্ধকারের অভাবে আমি অনেকদিন গল্প লিখি না। আমি কীভাবে বেঁচে আছি?

এ ভাবে, খুব নির্বিকারভাবে আমাদের দিনগুলো পার হয়ে যায়। কয়েকটা স্থির চিত্রের মতো। কোনো নড়ন চড়ন নেই। বারবার দেখি। বাবা সারাদিন দাবা খেলে একা একা। রুকু বই খুলে বসে থাকে। মা কাজ করে, ঘর ঝাঁট দেয়; সংসার সামলায়। কেন কাজ করে? দিন পার করতে হবে বলে বোধহয়। এর চেয়ে বেশি কিছু তো মনে হয় না।

আমি শুয়ে বসে থাকি। নিজেকে গাছ গাছ লাগে। মাঝে মাঝে রোদে গিয়ে বসি। কিন্তু মা আমাকে এভাবে দেখতেই চায় না। খুব জ্বালাতন করে সারাদিন। আগে তো চুল-দাড়ি কাটতি, এখন তো শেভও করিস না। যে কুঁড়ের কুঁড়ে! বোঝো।

আমি ফিরে এসেছি আবার ঠিক। কিন্তু ফিরে এসে আমি আমার নিজেকেই খুঁজে পাচ্ছি না এখানে আর। নিজেকে কোথায় খোঁজা উচিৎ আমার? নিয়ে আসা একটা সার্টিফিকেট, ব্যস্ততা আর কাজের মাঝে? আমি জানি না। আমার কাছে জীবনের সংজ্ঞা সম্পূর্ণ ভিন্ন ছিলো। সেই জীবনের সংজ্ঞা সবার কাছেই ভুল। বাবার কাছে ভুল। মায়ের কাছেও। আকাশচুম্বী প্রত্যাশা নিয়ে তারা বসে আছে- ডাক্তারি পাশ করে ছেলে ফিরে এসেছে। সকালে চাকরী করবে, রাতে নিশ্চয়ই কোথাও প্র্যাকটিস শুরু করবে। কোথায় চেম্বার দেওয়া যায়- তা নিয়ে আমার চেয়ে বেশি চিন্তিত আমার বাপ। একরাশ স্বপ্ন তাদের। আর এর মাঝেই আয়নায় দেখতে শুরু করেছি- একটা যন্ত্র। দুমড়ানো মুচড়ানো।

আসলেই তো। এভাবে কয়দিন? এটাই তো খুব স্বাভাবিক। বাপ মা তো বসিয়ে বসিয়ে খাওয়ানোর জন্য পড়াশুনা করায় নি। কবিতা? ছো! ঘাড়ে রেস্পন্সিবিলিটি নাও, বাপু। কিসের জন্য অপেক্ষা করছো?

আমাদের এই সংসারে কিছুই বদলাবে না। বাবার দাবা খেলা বদলাবে না। মা’র সারাদিনের খাটা-খাটনি। বদলাবে না। কবে আমরা নিজেদের বাড়ির কাজ করবো; আগের জায়গায় ফিরে যাবো, তাও জানি না। রুকুটা চলে যাবে কোথাও না কোথাও; পড়তে। এই সংসারে নতুন কেউ আসবে না। শুধু আমাকেই বদলে যেতে হবে, অনেক। আমি আর কখনো কবিতা লিখবো না।

তাই আমাকে ভাবনাশূন্য হয়ে থাকতে হয়। ভাবতে গেলে মনে হয়- যদি সবকিছু ছেড়ে ছুড়ে চলে যেতে পারতাম। অনেক দূরে। চোখ বন্ধ করলেই কল্পনায় আমি হাঁটতে থাকি। একটা ঝুলি থাকে কাঁধে। গল্পের। কিন্তু বেশিদূর যেতে পারি না। আমার পা ভারী হয়ে আসে। প্রত্যাশা নামের চুম্বক আমাকে টেনে ধরে রাখে খুব।

কেউ জানে না। শুধু রুপা জানে। এসব যখন বলি, ও চুপ করে শোনে। কিছু বলে টলে না। এই কারণেই রুপাকে আমার এতো ভালো লাগে। ও কারো মতোই না। অন্য সবার মতো 'সব ঠিক হয়ে যাবে' বলেই একটা সদ্য জীবন প্রাপ্ত কনভারসেশন শেষ করে দেয় না।

অন্ধকারে আমার খুব রুপার গা ঘেঁসে বসতে ইচ্ছা হয়। অবশ্য রুপা এম্নিতেও এমন। কেমন যেন একটা অন্ধকার তাকে ঢেকে রাখে প্রায়শই। সেই অন্ধকার থেকে সে কখনোই আলোতে আসে না। আমাকে কাছে ডাকে শুধু। অথচ দেখো, আমাদের কি এফোঁড় ওফোঁড় জীবন! তোমার কষ্ট আছে রুপা? জিজ্ঞাসা করতে ভয় পাই। আমি জানি, হয়তো তোমার অনেক বেশি কষ্ট। ভালো লাগে না কষ্টের কথা শুনতে। একদমই না। এরচেয়ে মুখোমুখি চুপচাপ বসে থাকা ভালো।

আমাদের নদী এভাবেই বয়ে চলে। শান্ত, স্রোতস্বিনী নদী। অন্ধকারে শুধু ছলছল শব্দ পাই। আর কেমন একটা ঘ্রাণ। রুপার চুলের? আমাকে আরও অসাড় করে দেয়। শুধু- বেঁচে আছি, এটাই তখন জীবন।

আমার তখন রুপাকে একটা কবিতা মনে হয়। ঘুটঘুটে অন্ধকারেও ফুটে থাকতে দেখি একটা জ্যোৎস্নার ফুল।

রূপার অস্তিত্ব আসলে কোথায়? জীবনের খুব গভীর-গোপন প্রকোষ্ঠ থেকে যে ছায়া উঠে এসে আমার পাশে বসে, তার নাম রূপা। রুপা তাই আমার কাছে থেকেও আমার কাছে নেই। আবার রুপা না থেকেও আমার পাশে আছে। আমি জানি, এই জীবনে রুপাকে পাওয়া সম্ভব না। এই জীবনে কাউকে ভালোবাসার মতো এতো বিলাসিতা মানায় না। এই জীবন কবিতার জীবনও না। কিন্তু আমি কোনোভাবেই এই জীবনে আমার দায়বদ্ধতা এড়াতে পারি না। আমি জানি, আমার বাবা-মা স্বপ্ন দেখে। আমি জানি, আমার বাবা-মা কেন স্বপ্ন দেখে। সময়ের সাথে অনেক কিছুই বদলে গেছে ঠিক, কিন্তু কিছুই বদলায় নি। আরও একটা বড়সড় পরিবর্তন দরকার। খুব তাড়াতাড়ি।

তবে কবিতা কি আমাকে ছাড়বে? নিশ্চয়ই ছাড়বে। কবিতা আমার আপন কেউ নয়। ছিলো না কখনো।

একদিন সব হিসাব নিকাশ মিটিয়ে আমিও সবকিছু ছেড়ে ছুড়ে চলে যাবো। অনেক দূরে। রুপা, তুমি দেখো।

মন্তব্য ২১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:২৬

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: এরকম গভীর অনুভব নিয়ে কিছু লিখতে পারলে খুব ভাল লাগবে আমার।

ভাল থাকুন, ইনকগনিটো। শুভকামনা রইল।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৪

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে, শঙ্কু সাহেব।

শুভেচ্ছা।

২| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪০

নীলপরি বলেছেন: ভালো লাগলো ।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:৪৫

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২২

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: তখন রুপাকে একটা কবিতা মনে হয়। ঘুটঘুটে অন্ধকারেও ফুটে থাকতে দেখি একটা জ্যোৎস্নার ফুল।+

পোষ্টে ভালোলাগা রইল ।

ভালো থাকবেন :)

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:২৮

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকুন আপনিও।

৪| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:০৭

সোনালী ডানার চিল বলেছেন:
দারুণ প্রকাশ।
লেখায় খুব ভাল লাগা রইল।

শুভরাত্রি!!

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৬

ইনকগনিটো বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ, কবি। ভালো থাকা হোক প্রতিক্ষণ। শুভকামনা।

৫| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ভোর ৫:১৯

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:

এই সংসারে নতুন কেউ আসবে না। শুধু আমাকেই বদলে যেতে হবে, অনেক। আমি আর কখনো কবিতা লিখবো না।

দারুণ লাগলো ! ++

কলম ধরুন আরও শক্ত বন্ধনে ! ধন্যবাদ ।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৭

ইনকগনিটো বলেছেন: স্বপ্নচারী গ্রানমা


অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও। :)

৬| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৫৭

একজন ঘূণপোকা বলেছেন:
মুগ্ধ পাঠ।


৩য় ভালো লাগা :)

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১১:২৭

ইনকগনিটো বলেছেন: কৃতজ্ঞতা নেবেন। শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইলো।

৭| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২

কলমের কালি শেষ বলেছেন: লেখাটি বড় হলেও পড়ে ভাললাগাতে বড় মনে হয়নি । :)

জীবনটা এমনই তবে সবার উপলব্ধিতে ভিন্নতা আছে । যেমন কারো কাছে আপনার গল্পে পার হওয়া যান্ত্রিক জীবনটাকে ভাল লাগে আবার কারো কাছে আপনার ফিরে যাওয়ার ইচ্ছার জীবনটাকে ভালো লাগে । বিপরীতমুখিতা না থাকলেতো সবকিছুই একগেয়ে লাগবে ।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৩

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান উপলব্ধির জন্য।

৮| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৪:০৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: গভীর অনুভবের লেখা। ভালো লাগলো।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৫

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ হামা ভাই।

৯| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৫

সাদরিল বলেছেন: এভাবে প্রতিদিন বসে থেকে কিছুতেই লেখা হয়ে ওঠে না আমার। কতোদিন। প্রতিদিনই ভাবি লিখবো লিখবো। কিন্ত সেখানেও এক দোষ। বেজায় অলসতা। ভাবতেও ইচ্ছা করে না অতো। ভাবনাশূন্য হয়ে থাকতে ইদানীং খুব ভালো লাগে


আমার নিজের বর্তমান পরিস্থিতি.

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৬

ইনকগনিটো বলেছেন: :D :D :D

১০| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ১:৩১

hasin82 বলেছেন: ফেসবুকে আগেই পড়েছি! পড়ে আবারো ভালো লাগলো!

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৭

ইনকগনিটো বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ১০:২৬

আলম দীপ্র বলেছেন: অসাধারণ লেগেছে ভাই । অনেক পরে মন দিয়ে পড়লাম !

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.