নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের দর্শন

পৃথিবীটা এমন একটি জায়গা যেখানে সবাই সুখী হতে চায়। কিন্তু খুব কম ব্যক্তিই সুখ উপভোগ করতে পারে। আর তাই সুখের পিছনে না ছুটে যে অবস্থায় আছেন, সেই অবস্থায়ই জীবনটাকে উপভোগ করুন।

প্রবাসী ভাবুক

সকলে মিলিয়া সাজাব সুন্দর পৃথিবীকে।

প্রবাসী ভাবুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

সবকিছুই কি জনগণের চোখে ধুলো দেওয়া নাটক!

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৪

আমাদের প্রধানমন্ত্রী দেশ ও জনগণের কল্যাণে অনেক সচেতন। আর তাই হয়ত তিনি আগের থেকে সরকারী কাজে বা দায়িত্বে যারা নিয়োজিত আছে তাদের বলে রেখেছেন যে তার নির্দেশ ছাড়া যেন কোন কাজ করা না হয়। তাই তো দেখি পুলিশ-র‍্যাব তার কথা ছাড়া খুনের আসামী ধরে না। নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ তার নির্দেশ ছাড়া অবৈধ পথে যাতায়াত বন্ধের নির্দেশ দিতে পারে না। পরিবেশ সংরক্ষণ অধিদপ্তর সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে গেলেও তার নির্দেশ ছাড়া কোন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে না। মোট কথা যে কোন সংস্থা বা বাহিনী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া কিছুই করতে পারে না।



আমাদের প্রধানমন্ত্রীর এমন উদ্যোগ দেশপ্রেমেরই বহিঃপ্রকাশ। তিনি নির্দেশ দেন বটে। তা খুব বুঝেশুনে। নির্দেশ যখন দেন তখন তার নির্দেশ পেয়ে কাজের গতি বাড়লেও যে ক্ষতি হবার তা আগেই শেষ হয়ে যায়।



নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় তিনি খুনিদের ধরতে নির্দেশ দিলেন। প্রধানমন্ত্রী হত্যাকাণ্ড ঘটার পর কয়েকদিন সময় নিয়ে এমন সময় হুকুম দিলেন যখন অপরাধী নিশ্চিত ভাবে পালিয়ে গেছে। অর্থাৎ হয়ত প্রধানমন্ত্রী খুনির পালানো নিশ্চিত করতেই হুকুম দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতেছিলেন।

সুন্দরবনে জাহাজডুবি হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিলেন পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ঐরুটে চলাচল বন্ধ রাখতে। কিন্তু যখন নির্দেশ দিলেন তখন দুর্ঘটনা ঘটেই গেছে।

এবার তিনি নির্দেশ দিলেন জাহাজডুবির ফলে ছড়িয়ে পড়া তেল দ্রুত অপসারণের। কিন্তু এর আগেই ছড়িয়ে পড়েছে তেল সুন্দরবনের সর্বত্র।



প্রধানমন্ত্রী নির্দেশই যখন দিবেন সাথে সাথে দিতে ক্ষতি কি? নাকি ক্ষতি হবার পর লোক দেখানো নাটক আর কি! আর যেসব সংস্থা বা বাহিনী এসব দায়িত্বে রয়েছে তাদের আসল কাজটা কি? সবই যদি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের অপেক্ষা করতে হয় তাহলে এত জনবল রেখে ও তাদের বেতন দিয়ে কি হবে? সারা দেশে প্রতিটা কাজের জন্য একটি টীম থাকলেই যথেষ্ট। যারা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে সেই কাজের জন্য প্রস্তুত হবে।



জানি না দেশে আসলে হচ্ছেটা কি! সবকিছুই কি সাজানো নাটক না জনগণকে শুধুই ধোঁকা দেওয়া।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১০

নিলু বলেছেন: আমরা শুনেছিলাম প্রবাদে যে কুমড়ার চেয়ে বীচিই বড় তাই এটাও আপনাকে ভাবতে হবে । বর্তমানে যারা দেশ চালাচ্ছে তারা মনে করে সাজানো / গোছানোই স্বাভাবিক নিয়মেই চলছে এবং এ কথার আমার / আপনার মত অনেক জনগণেরই সমর্থন রয়েছে বোধ হয় ।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৭

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: আসলে যারা দেশ চালাচ্ছে তারা এটা ভাববে যখন নিজেদের বিবেককে বিসর্জন দিবে। কোন বিবেকবান মানুষ সামান্য চিন্তা করলেই বুঝতে পারবে যে দেশের কোন কিছুই সঠিক ভাবে চলছে না। হত্যার অপরাধে আসামীকে গ্রেফতার করার মত গুরুত্ব কাজটির জন্যও যখন উপরের নির্দেশের অপেক্ষা করতে হয় সেখানে মানুষের নিরাপত্তা কি অবস্থায় থাকে এটা না বললেও চলে।

২| ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১০:১৬

ঢাকাবাসী বলেছেন: কোন মন্তব্য করার সাহস নেই আমার।

১৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১১:৪৯

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: মন্তব্য তো দূরের কথা। মুখ হা করতে গেলেও চিন্তা ভাবনা করেই করতে হবে। কারণ তাতেও যদি কোন ষড়যন্ত্রের গন্ধ খুঁজে পাওয়া যায়।

৩| ১৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ সকাল ৯:২১

নিলু বলেছেন: সংখাগরিশঠ জনগন যদি আমরা সত্য/ সঠিক কথা বলতে অভভাস্থ হতাম তাহলে ভয়ের কোন কারন ছিলোনা বোধ হয়, এখন আমরা যে যার কথাকেই বাস্তবায়ন করতে চাচ্ছি সেটা সত্য হউক আর মিথ্যা হউক । সুতারাং এখন তো অনেকেই কথা বলেই যাচ্ছে যেন কথা মালার ঝুড়ি

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ বিকাল ৫:০০

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ সত্য ও সঠিক বলতে প্রস্তত৷ কিন্তু তাদের কথা শুনবে কে? বিচ্ছিন্ন ভাবে একেকজন কিন্তু বলতে পারে না আর বললেও কেউ শুনবে না৷ এজন্য প্রয়োজন কোন সংগঠন৷ সেই ধরনের জনগণের কাছে বিশ্বস্ত সংগঠনের অভাব রয়েছে দেশে৷

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.