নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের দর্শন

পৃথিবীটা এমন একটি জায়গা যেখানে সবাই সুখী হতে চায়। কিন্তু খুব কম ব্যক্তিই সুখ উপভোগ করতে পারে। আর তাই সুখের পিছনে না ছুটে যে অবস্থায় আছেন, সেই অবস্থায়ই জীবনটাকে উপভোগ করুন।

প্রবাসী ভাবুক

সকলে মিলিয়া সাজাব সুন্দর পৃথিবীকে।

প্রবাসী ভাবুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

'সংলাপ' শব্দটি একটি গালি!

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:১৯

সংলাপ শব্দটিকে আমাদের সরকারের নিকট হয় গালি বলে বিবেচিত হয়৷ তা না হলে আতঙ্কজনক শব্দ বলে মনে হয়৷ আর এজন্যই যারা সংলাপের কথা বলে বা সংলাপের আহবান জানায় সরকার তাদেরকে বিভিন্ন নোংরা বিশেষণে বিশেষায়িত করে৷ তার সর্বশেষ উদাহরণ হল নাগরিক সমাজের সদস্যরা 'এক এগারোর কুশীলব৷'



বর্তমানে দেশের যে পরিস্থিতি তার সবচেয়ে সহজ ও নিরাপদ সমাধান হল সংলাপের আয়োজন৷ সেই কাজটিকে সরকার যে করেই হোক এড়িয়ে যেতে প্রস্তুত৷ কিন্তু কোনভাবেই এড়ানো সম্ভব হবে বলে মনে হয় না৷ কারণ দেশের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে যেদিকে যাচ্ছে তাতে সরকারের পক্ষে দেশ পরিচালনা কঠিন হয়ে পড়ছে৷



সরকার মনে করেছিল বিএনপিকে খুব সহজেই ধ্বংস করে ফেলা যাবে৷ এজন্য বিএনপিকে টুকরো টুকরো করে ফেলতে সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থা সেই ২০১৪ এর নির্বাচনের আগে থেকেই বিএনপির বিভিন্ন বড় বড় নেতার সাথে যোগাযোগ করিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে দল থেকে বের করে আনার প্রচেষ্টাকে সফল করতে পারে নাই৷ আর তাই বিএনপিকে ভাঙ্গার চিন্তা বাদ দিয়ে দেশের চলমান অস্থিতিশীলতা নিয়ন্ত্রণে মনোনিবেশ করতে হচ্ছে৷



ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থেকে শুরু করে সরকারের শীর্ষস্থানীয় মন্ত্রী এমপিরাও 'শ্যুট অ্যাট সাইট' 'এনকাউন্টার' শব্দগুলো ব্যবহার করে অবস্থার কোন উন্নতি ঘটাতে পারে নাই৷ এমনকি প্রধানমন্ত্রী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যেকোন একশানের দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষনা দিয়েও কোন ফল হচ্ছে না৷ এদিকে চারিদিকের সংলাপের চাপ সরকারকে পুরোপুরি কোনঠাসা করে ফেলেছে৷



সংলাপ শব্দটি শুনলেই সরকারী নেতাকর্মীদের মাঝে এক অজানা আতঙ্ক ভর করে বসে৷ কোন মানুষকে গালি দিলে সে যতটা না কষ্ট পায়, সরকার সংলাপের কথা শুনলে তার চেয়ে অনেক বেশি রাগে-ক্ষোভে ফুঁসতে ফুঁসতে উক্ত ব্যক্তিকে আক্রমণ করে৷ 'সংলাপ' শব্দটি সরকারের নিকট একটি ধীরে ধীরে একটি অশ্লীল শব্দে পরিণত হচ্ছে৷

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: সহমত।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫২

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ৷

২| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:

সংলাপ(ডাইয়ালগ), নেগোসিয়েশন, কম্প্রোমাইজ এগুলো হলো পশ্চিমের রাজনীতির পরিভাষা; শব্দগুলো ছোট, কিন্তু এদের অর্থ ব্যাপক, এদের প্রয়োগ ব্যাপক; বাংগালী রাজনীতিতে এগুলোকে প্রয়োগ করার মত অবস্হায় রাজনীতি নেই।

সংলাপের রূপরেখা সৃস্টি করার মতো রাজনীতিবিদ নেই।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৫

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: কিন্তু তারপরও ঐ সংলাপ ছাড়াও অন্য কোন সহজ সমাধানও আছে বলে মনে হচ্ছে না৷ পরিবেশ পরিস্থিতি থাকুক আর না থাকুক সেই পরিস্থিতি তৈরি করার মানসিকতা নিয়ে এগোলেই দেশ ও জনগণের জন্য মঙ্গলজনক হবে৷

৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

সংলাপের রূপরেখা সৃস্টি করার মতো রাজনীতিবিদ নেই।

কার সাথে কার সংলাপ, আওয়ামী vs বিেনপি, ১৪ দল vs ২০ দল, সরকার vs বিএনপি, সংসদীয় কমিটি vs বিএনপি, নির্বাচন কমিটি vs বিএনপি?

এগুলো নিয়ে বিেনপি'র কেহ এগিয়ে আসেনি; সবাই পালিয়ে আছে; খালেদা জিয়াকে সাপোর্ট করছে; কেমনে কি?

লাথি খাওয়া প্রেসিডেন্ট এর কথায়, বেগাবন্ড মান্নার কথায় কে বসবে?

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৬

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: তারপরও উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকেই৷ বিএনপির বড় নেতারা কেন পালিয়ে বেড়াচ্ছে বা কর্মীর কেন রাস্তায় নামছে না সেটা আমি আপনি সবাই বুঝি৷

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এর আগে কখনোই রাস্তায় নামলেই গুলি করে নির্বিচারে হত্যা করার রীতি ছিল না৷ আগে কোন কোন ক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেলে সর্বোচ্চ রাবার বুলেটের ব্যবহার করত৷

কিন্তু এখন রাস্তায় নামারও প্রয়োজন হয় না৷ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে বিএনপি বা শিবির কর্মী বলে চালিয়ে দিলেই তিরস্কারের বদলে পুরষ্কৃত হয়৷

৪| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:০৫

রামন বলেছেন:
যখন সংলাপের উদ্দেশ্য হয় ' তাল গাছটি আমার' তখন সেটা সংলাপ না হয়ে হয়' অপলাপ।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:১৮

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: তালগাছটা কার সেটা জনগণকে নির্ধারণ করতে ছেড়ে দিলেই সেটা হবে যথোপযুক্ত৷ তবে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্য এবং দেশ ও জনগনের প্রতি মমতা থাকলে সংলাপটা অনেক জরুরী৷

এমন পরিস্থিতিতে কঠোরতা সন্ত্রাসকে নির্মূল করে না৷ বরং উস্কে দেয়৷

৫| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

"লেখক বলেছেন: তারপরও উদ্যোগ নিতে হবে সরকারকেই৷ বিএনপির বড় নেতারা কেন পালিয়ে বেড়াচ্ছে বা কর্মীর কেন রাস্তায় নামছে না সেটা আমি আপনি সবাই বুঝি৷ "

- মওদুদ, ড: মইন খান, হান্নান শাহ সোজাসুজি প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারী আশরাফের সাথে দেখা করতে পারেন, কেহ কিছু বলবে না

যারা চোখ বন্ধ করে খালেদা জিয়াকে সাপোর্ট করছে, তারা ভুল করছে; তারা নিজেরাই ভয়ে পালিয়ে আছে।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৬

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: খালেদা জিয়া আন্দোলন শুরুর আগেই গত ডিসেম্বরে ৭ দফা প্রস্তাব দিয়েছিল যেখানে সংলাপই ছিল মূল প্রস্তাব৷ কিন্তু সরকার ভিত্তিহীন প্রস্তাব বলে উড়িয়ে দিয়েছিল৷ এখন পর্যন্ত বিএনপি সংলাপের আহবান জানিয়ে আসছে এবং আলোচনা শুরু হলেই অবরোধ তুলে নেওয়া হবে৷ আর সরকার কোন অবস্থাতেই আলোচনায় রাজি নয়৷ আর এটা ভাববার কারণ নেই যে, বিএনপি আশরাফ সহ আরও নেতার সাথে যোগাযোগ করে নাই৷ সরকার কোন অবস্থাতেই আলোচনায় রাজি নয়৷

৬| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:৪৭

ঢাকাবাসী বলেছেন: এখানে প্রেসিডেন্ট, আশরাফ, মঈন খান, হান্নান শাহ দের সাধ্য নেই এক ইন্চি আগায়। সবকিছু নির্ভর করছে একটিমাত্র মানুষের.... বাকিটা বুঝে নিন।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৫

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: সেই একটি লোক মুখে বলেন, "আমি প্রধানমন্ত্রীত্ত্ব চাই না, এদেশের মানুষের শান্তি চাই৷" অথচ মুখে যা বলছেন ঠিক তার বিপরীত কাজ করছেন৷

৭| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২

চলতি নিয়ম বলেছেন: লেখক বলেছেন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে এর আগে কখনোই রাস্তায় নামলেই গুলি করে নির্বিচারে হত্যা করার রীতি ছিল না৷ আগে কোন কোন ক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেলে সর্বোচ্চ রাবার বুলেটের ব্যবহার করত৷


এখনো তাই করা হচ্ছে। পেট্রোল বোমা দিয়ে সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে মারার শাস্তি তার চেয়েও ভয়ঙ্কর হওয়া উচিত।

১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০৪

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: এভাবেই সাধারণ মানুষ পেট্রোল বোমায় মরার চেয়ে সমঝোতা হওয়াটাই যে অনেক ভাল৷ তাহলে সেটা বাদ অন্য পথে হেটে মানুসের মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি না করে সংলাপটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ যদি তার ফলে আর একজন নিরীহ মানুষ না মরে৷

৮| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৭:৫৬

চলতি নিয়ম বলেছেন: পেট্রোল বোমা মেরে যদি সরকার কে সমঝোতায় আসতে বাধ্য করা যায় তাহলে ভবিষ্যতে কি হতে পারে কোনো ধারণা আছে ??

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১০:৫৭

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: গত একটি বছর কিন্তু সরকারকে আহবান জানিয়েছিল সমঝোতার জন্য৷ সরকার মোটে পাত্তাই দেয়নি৷ দেশের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী মূলতঃ রাজনৈতিক সংকট৷ এখন এ অজুহাত সে অজুহাত দিয়ে কিভাবে সংলাপ এড়ানো যায় সেই চিন্তা৷ এর আগেও অস্ত্র হাতে যারা যুদ্ধ করেছিল তাদের সাথেও পার্বত্য শান্তি চুক্তি হয়েছিল৷ তাহলে এখন কেন নয়?

৯| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:১৬

যোগী বলেছেন:
সংলাপ হলে ভবিষৎ রাজনীতি চলে যাবে পেট্রল বোমাবাজ দের হাতে। তারা বোমা মেরে যা খুশি তাই আদায় করতে চাইবে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:০৭

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: তাহলে উপায় কি? এত বড় একটি রাজনৈতিক দলকে জোর প্রয়োগ করে থামিয়ে দিবে৷ জোর প্রয়োগ করতে গিয়ে এবং শান্তি পূর্ণ কর্মসূচী পালনের সুযোগ না দেওয়াতেই তো বর্তমান পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে৷ শান্তি পূর্ণ কর্মসূচীর পথ যখন রুদ্ধ হয় তখন সন্ত্রাসের উদ্ভব ঘটে৷ জোর প্রয়োগ করে এত বড় একটি সংগঠনকে থামিয়ে দেওয়ার চিন্তা আর বোকার স্বর্গে বাস করা সমান কথা৷

সমঝোতা করতে যত দেরি করবে ততই প্রাণহানির ঘটনা তারপরেও সেই প্রাণহানি নিয়ে রাজনীতি করতে সুবিধা হবে৷ কারণ নিজেদের কেউ তো আর মরছে না৷ মরছে শা*র আমজনতা৷ যদি সমঝোতা না করে কোন আপত্তি নাই৷ যে উপায়ে পারুক থামিয়ে দিক৷ তবে আর একটা প্রাণহানি যেন না ঘটে৷

১০| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:১২

যোগী বলেছেন:
টেনশনের কোন কারন নাই বন্দুক যুদ্ধের মাধ্যমে সকল সন্ত্রাসীদের নরকে পাঠানো হচ্ছে। জ্বালাও পোড়াও তাতেই কমে যাবে।

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ১১:৩০

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: হত্যার বিকল্প বিনাবিচারে হত্যা কোন সভ্য দেশে হতে পারে না৷ এটা হতে পারে আফ্রিকার জঙ্গলে বসবাসকারী জংলী যাদের কোন বৈধ বা সাংবিধানিক বিচার ব্যবস্থা নাই৷ তারা এক গ্রুপের একজনকে হত্যার পর প্রতিশোধের নেশায় অন্য গ্রুপের আরেকজনকে বা তারও বেশি হত্যা করতে উদ্ধত হয়৷

যারা এই ব্যবস্থাকে সমর্থন করছে তাদেরকেও পেট্রোল বোমায় পুড়িয়ে মেরে বলা হোক চিন্তা কর না তোমাকে যারা পুড়িয়ে মারতেছে তোমাকে উদ্ধার করব না তবে তোমার হত্যাকারীকেও ক্রসফায়ারে হত্যা করব৷ তুমি শান্তিতেই মরতে পার৷

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.