নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের দর্শন

পৃথিবীটা এমন একটি জায়গা যেখানে সবাই সুখী হতে চায়। কিন্তু খুব কম ব্যক্তিই সুখ উপভোগ করতে পারে। আর তাই সুখের পিছনে না ছুটে যে অবস্থায় আছেন, সেই অবস্থায়ই জীবনটাকে উপভোগ করুন।

প্রবাসী ভাবুক

সকলে মিলিয়া সাজাব সুন্দর পৃথিবীকে।

প্রবাসী ভাবুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব কি?

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৫২

জলজ্যান্ত একজন মানুষকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধরে নিয়ে যাবে এবং পরক্ষণেই অস্বীকার করে বলবে যে তারা কিছু জানে না৷ এটা পৃথিবীর কোন বর্বর দেশেও কল্পনা করা কঠিন৷

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি ধরে না নিয়েও থাকে তারপরও তাকে খুঁজে বের করার দায়িত্ব সেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর৷ এটা যে একজন বা দুইজন ব্যক্তির ক্ষেত্রে ঘটছে তা নয়৷ এধরণের ঘটনা বর্তমানে যেন খুব স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে৷

কিছু কিছু ক্ষেত্রে জনসমক্ষে ধরে নিয়ে যাওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গ্রেফতারের কথা অস্বীকার করছে এবং দুইএকদিন লাশ পাওয়া যাচ্ছে অথবা বন্ধুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ আবার কোন কোন ক্ষেত্রে গুলিতে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ বলে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ আবার কোন ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে গণপিটুনিতে নিহত বলে চালিয়ে দিলেও দেহে ডজনেরও বেশি গুলির হদিস পাওয়া গেলেও গণপিটুনির কোন চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না৷

রাজনৈতিক কারণে হত্যাকাণ্ড বলে চালাতে গেলেও নিরপরাধ মানুষই বেশি স্বীকার হচ্ছে৷ এদিকে সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যে কোন ধরনের অপরাধ কার্যক্রমের দায়িত্ব নেওয়ার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মনের আনন্দে তাদের হত্যাকাণ্ডসহ যেকোন ধরনের অপরাধ কর্মকাণ্ড মনের আনন্দে করে যাচ্ছে৷

দেশের পুলিশ বাহিনীর বিরুদ্ধে আগে থেকে নিরপরাধ মানুষকে হয়রানির অভিযোগ থাকলেও বর্তমানে যেন মহানন্দে সেই কাজটি করার অনুমোদন পেয়ে গেছে৷ এখন পুলিশ যেকোন নিরপরাধ ব্যক্তিকে ধরেই ব্যক্তিভেদে নির্দিষ্ট অংকের অর্থ দাবী করছে এবং না হলে পেট্রোলবোমা হামলাকারী, সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত অথবা তাদের অর্থ যোগানদাতা হিসেবে মামলা করার হুমকী দিচ্ছে৷ এমনকি দরকষাকষিতে সমঝোতা না হলে ক্রসফায়ারের মত ঘটনা ঘটছে৷

দেশটা যেন একটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা নির্যাতিত রাষ্ট্রে পরিণত হচ্ছে৷ দেশের কেউ এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না৷ কারণ যে করবে সে নিজেই একই ফাঁদে পড়ে যাবে৷ এই পরিস্থিতি থেকে দেশে আবার কবে মুক্তি পাবে তার কোন নিশ্চয়তাই যেন নাই৷

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ২:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:

"জলজ্যান্ত একজন মানুষকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ধরে নিয়ে যাবে এবং পরক্ষণেই অস্বীকার করে বলবে যে তারা কিছু জানে না৷ "

-সমস্যা হলো, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কি "মানুষ" ধরেছে, না অন্য কিছু ধরেছে?

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:১৯

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: যদি পশুও ধরে সেটা তো তারা স্বীকার করবে৷ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হওয়ার কথা ছিল মানুষের বিশ্বস্ত বন্ধু৷ এখন মানুষ তাদের কথা মোটেই বিশ্বাস করে না৷ আর বন্ধু হওয়া তো দূরের কথা নিরপরাধ মানুষ ভয়ে তাদের থেকে যথাসম্ভব দূরত্ব বজায় রেখে চলে৷

২| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ৯:২৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: উদ্বেগজনক । এর উত্তরে বলা যায় সরকারে তাবেদারী করা ।জনমারুষের কথা ভাবার সময় তাদের কোথায় ?

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:১৬

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: জনমানুষের ভাষা তাদের বুঝার দরকারও নাই৷ কারণ সরকার জানে জনমানুষের ভোটের তাদের প্রয়োজন নাই৷ তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী থাকলেই চলবে৷ তাই এভাবেই চলতে থাকবে ধরে নেওয়া যায়৷

৩| ১৩ ই মার্চ, ২০১৫ সকাল ১০:১৩

ঢাকাবাসী বলেছেন: সরকার যা বলবে এরা তাই করবে, এর অন্যথা হবার উপায় নেই। এদের কাছে চাকরী টাকা আর আদেশই ফাইনাল। নীতি আদর্শ মানবিক গুনাবলী ওসব খায় না মাথায় দেয়?

১৩ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১০:১৯

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: নীতি আদর্শের অভাবেই রক্ষক হয়েছে ভক্ষক, সেবক হয়েছে অনিষ্টকারী, রাজনীতিবিদরা হয়েছে মিথ্যাবাদী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী হয়েছে আতঙ্কের নাম৷

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.