নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের দর্শন

পৃথিবীটা এমন একটি জায়গা যেখানে সবাই সুখী হতে চায়। কিন্তু খুব কম ব্যক্তিই সুখ উপভোগ করতে পারে। আর তাই সুখের পিছনে না ছুটে যে অবস্থায় আছেন, সেই অবস্থায়ই জীবনটাকে উপভোগ করুন।

প্রবাসী ভাবুক

সকলে মিলিয়া সাজাব সুন্দর পৃথিবীকে।

প্রবাসী ভাবুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাকশাল কেন গঠিত হচ্ছে না?

০৩ রা মে, ২০১৫ দুপুর ২:২০

আমাদের জাতির জনকের কন্যা কেন যে তিনি পিতার তরিকায় যাচ্ছেন না বুঝে পাই না৷ আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ছিলেন বিজ্ঞ ও দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ৷ তিনি তার শাসনামলের শেষ দিকে আওয়ামী লীগ বিলুপ্ত করে একদলীয় বাকশালী শাসনতন্ত্র কায়েম করেছিলেন যেখানে এক দেশ, এক দল, এক নেতা নীতি গ্রহণ করে তিনিই একক ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করেছিলেন৷

বঙ্গবন্ধুর এই নীতিটির কারণে দেশ নির্বাচন নামক ঝামেলা থেকে মুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল৷ অবশ্য অল্প সময়ের ব্যবধানে এই মহান নেতা পরপারে পাড়ি জমানোতে তার গঠিত বাকশাল টিকেনি৷ বর্তমানে বর্তমানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেমন বিএনপির আন্দোলনকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে বলে জনসম্পৃক্ততা নাই বলেন, বঙ্গবন্ধুর মিলাদেও নাকি তেমনি দশজন মানুষ উপস্থিত করা অসম্ভব হয়ে পড়েছিল৷ আসলে তিনি যে অজনপ্রিয় ছিলেন তা নয়, প্রাণভয়ে কেউ আসতে চায়নি৷ যেমনটি বিএনপির আন্দোলনে দেখা গেছে৷

নির্বাচনে দেশে প্রচুর খরচ৷ এই খরচ এড়ানোর অভিনব কৌশল গ্রহণ করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান৷ আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেহেতু পিতার আদর্শ বাস্তবায়নে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ সেহেতু নির্বাচনী খরচ এড়িয়ে সেটা দেশের ও দলীয় উন্নয়নে ব্যবহার করতে পারেন৷ আমরা নির্বাচনের ফলাফল সেহেতু আগের থেকে জানতে পারছি সেহেতু নির্বাচনের কোন কার্যকারিতা থাকার কথা নয়৷

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের মৃত্যুর পর সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক এতটাই ভর করেছিল যে প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করার সাহসও হারিয়ে ফেলেছিল৷ গুম, খুন হওয়ার ভয় থাকলেও এখনও অনেকে বিএনপির নাম প্রকাশ্যে নিতে পারছে৷ এজন্য বিএনপি সমর্থকদের অবশ্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত৷

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উচিত পিতার আদর্শ বাস্তবায়নে একদেশ, একদল, একনীতি গ্রহণ করে দেশকে নির্বাচনী খরচ থেকে মুক্তি দেওয়া৷ কারণ বলা তো যায় না নির্বাচন হতে হতে কোন কারণে বা বিদেশী চাপের ফলে নির্বাচনী ফলাফল বিএনপির পক্ষে যায় তাহলে বিএনপিপন্থীরা তো এখনও দলের হয়ে কথা বলতে পারছে কিন্তু আওয়ামী লীগের সমর্থকরা আওয়ামী লীগ শব্দদুটি মুখে উচ্চারণ করার লোক পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে৷

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০১৫ বিকাল ৩:৫২

ঢাকাবাসী বলেছেন: সহমত।

০৩ রা মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৩

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে৷

২| ০৩ রা মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: নাম দিয়া কি হইব? কাজ তো ঔটাই চলতাছে ;)


বরং নামে বদনামের ঝুকি থাকে! এখন বরং দেখেন সব পত্রিকা মিডিয়া চলতে দিয়াও দেখেন ৭২-৭৫ এর চেয়ে বেশি নিয়ন্ত্রনে আছে, আছে কি নাই? বলেন!
তো সব চালায় যেখানে সব নিয়ন্ত্রেন করা সম্ভব সেখানে বদনাম কামাইয়া লাভ কি? :P =p~ =p~

০৩ রা মে, ২০১৫ বিকাল ৫:১৭

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: তারপরও এই নির্বাচনের নামে দেশের কোটি কোটি টাকার অপচয় করার কোন মানে হয় না৷ অবশ্য আমাদের দেশের রাজনীতিবিদরা খরচ নিয়ে ভাবে না৷ ভাবে শুধু ক্ষমতা নিয়ে৷

৩| ০৩ রা মে, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৫

জাতি_ধর্ম_বর্ণ বলেছেন: "বিএনপির পক্ষে যায় তাহলে বিএনপিপন্থীরা তো এখনও দলের হয়ে কথা বলতে পারছে কিন্তু আওয়ামী লীগের সমর্থকরা আওয়ামী লীগ শব্দদুটি মুখে উচ্চারণ করার লোক পাওয়া যাবে কিনা সন্দেহ আছে"

আহারে!!!.................... কি যে বলেন ভাই, বিএনপি আর তার লোকজন কি অত অভদ্র? অত হিংস্র? অত খারাপ যে তারা আওয়মীলীগের মতো করবে?

বিদ্রোহী ভৃগু আর তার দল হলো ধোঁয়া তুলসীপাতা, তাদের কোন দোষ নেই??
তারা দেশটারে সোনা দিয়ে ভরাইয়া দেছেলো!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!

০৩ রা মে, ২০১৫ বিকাল ৫:১৫

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: ভাই আসল কারণ কিন্তু ভদ্র বা অভদ্রতার নয়৷ আসলে বিএনপি নেতাদের এই দেশ ছেড়ে পার্শ্ববতী কোন দেশে পালানোর সুযোগ নাই৷ মরুক, বাঁচুক, গুম হোক আর মার খাবে তাদের এই দেশেই থাকতে হবে৷

কিন্তু আওয়ামী, যুব, ছাত্রলীগের কথা বলার মত সব নেতাই ভারতে গিয়ে আত্মগোপনে থাকবে৷ দেখেন নাই শামীম ওসমান জয়নাল হাজারীর মত বিশাল পালোয়ানদেরও বিএনপি আমলে এদেশে খুঁজে পাওয়া যায় না৷ আর এবার ছোটবড় সব নেতাই বিএনপিকে যেভাবে হয়রানি করছে এদের কারোরই এদেশে থাকার পরিস্থিতি থাকবে না৷

৪| ০৩ রা মে, ২০১৫ বিকাল ৫:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাকশাল বুঝার মত অবস্হা খুব বেশী লোকের ছিল না; শেখ হাসিনা বাকশাল বিরোধী; তিনি বাবাকে অনুসরণ না করে জেনারেল জিয়াকে অনুসরণ করছেন।

আপনি বাকশাল কেন, অন্য কোন শাসনতন্ত্র কি বুঝেন?

০৩ রা মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৩

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: এক দেশ, এক দল, এক নেতা নীতির কোন শাসনতন্ত্রের মজা খোঁজার ইচ্ছা আমার নাই৷ বর্তমানে ঘোষণা ছাড়া কিছুটা সেই কায়দায় চলাতে জনগণের কথা বলার, ভোটের, সংবাদপত্রের কথা বলার অধিকার সংকুচিত হয়ে গেছে৷ আর বাকশালী ঘোষণা আসলে তো কি হতে পারে তা আমার চিন্তা করার ক্ষমতা নেই৷

৫| ০৩ রা মে, ২০১৫ বিকাল ৫:২২

দখিনা বাতাস বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভাই আসল কারণ কিন্তু ভদ্র বা অভদ্রতার নয়৷ আসলে বিএনপি নেতাদের এই দেশ ছেড়ে পার্শ্ববতী কোন দেশে পালানোর সুযোগ নাই৷ মরুক, বাঁচুক, গুম হোক আর মার খাবে তাদের এই দেশেই থাকতে হবে৷-------

B-) B-) B-) =p~ =p~ =p~
যুবরাজ আর কোকো জানি কোনখানে ক্যামনে আছিল?

০৩ রা মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: ঐসামর্থ কিন্তু সীমিত কিছু শীর্ষ নেতারই আছে৷ ছাত্র সংগঠন ও তৃণমূল পর্যায়ের কিন্তু নাই৷ আবার তারা যেখানে আছে সেখানে কিন্তু গা ঢাকা দিয়ে নাই৷ মিটিং, সভা সমাবেশে উপস্থিত হচ্ছে, বক্তৃতা দিচ্ছে৷ কিন্তু তৃণমূল পর্যায়ের কোন নেতা ভারতে গিয়ে থাকলে আত্মগোপনে থাকতে হবে যেমনটি বিএনপির বেশিরভাগ নেতাকর্মী বর্তমানে দেশেই থাকতে বাধ্য হচ্ছে৷

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.