নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের দর্শন

পৃথিবীটা এমন একটি জায়গা যেখানে সবাই সুখী হতে চায়। কিন্তু খুব কম ব্যক্তিই সুখ উপভোগ করতে পারে। আর তাই সুখের পিছনে না ছুটে যে অবস্থায় আছেন, সেই অবস্থায়ই জীবনটাকে উপভোগ করুন।

প্রবাসী ভাবুক

সকলে মিলিয়া সাজাব সুন্দর পৃথিবীকে।

প্রবাসী ভাবুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুলিশ জনগণের এ কেমন বন্ধু!

০৯ ই জুলাই, ২০১৫ দুপুর ১:৪৮

বাংলাদেশে পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে প্রচার করলেও সজ্জন ব্যক্তিরা এই বন্ধু থেকে সর্বদা দূরে থাকতে চায়৷ একান্ত বাধ্য না হলে কেউ এই বন্ধুর নিকট যায় না৷ তবে অসৎরা এই বন্ধুদের সহযোগিতা নিয়ে অপকর্ম চালিয়ে যায়৷

পুলিশ বাহিনীর অনেক সদস্যের বিভিন্ন ধরনের অপরাধে জড়িয়ে পড়া থামছে না। মামলা তদন্তে ঘুষ নেওয়া, গ্রেপ্তার বা ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করার পাশাপাশি ছিনতাই-ডাকাতি, মাদক কেনাবেচা, ধর্ষণসহ বড় ধরনের অপরাধে পুলিশের জড়িয়ে পড়ছে৷

পুলিশের মতো র্যাবেও একই ধরণের সমস্যায় জর্জরিত৷

গত বছরের মার্চে একটি গোয়েন্দা সংস্থা ১০১ জন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করে বলে, তাঁরা বিভিন্ন ব্যক্তিকে আটকের পর টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছেন। এ তালিকায় পুলিশ সুপার থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত, এমনকি রাষ্ট্রপতি পদক (পিপিএম) পাওয়া কর্মকর্তারাও ছিলেন।

সম্প্রতি বরিশাল মহানগর পুলিশের ঘুষ আদায়ের তহবিল নিয়ে পুলিশ প্রশাসন বিব্রত। পদোন্নতির জন্য তারা রীতিমতো ব্যাংক হিসাব খুলে ঘুষের জন্য তহবিল করেছে।

গত ২০ জুন ফেনীর লালপুর এলাকা থেকে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) এএসআই মাহফুজুর রহমানকে ৬ লাখ ৮০ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে র্যাব। এই ইয়াবার মধ্যে কক্সবাজার পুলিশের জব্দ করা ১৩ পিস ইয়াবাও ছিল।

গত ১৭ জুন এক নারী পুলিশ কনস্টেবলকে ধর্ষণে জড়িত তাঁর সাবেক স্বামী এএসআই কলিমুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

১৪ জুন মোশাররফ হোসেন নামের আরেক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন তাঁর সাবেক স্ত্রী। মোশাররফ এখনো পলাতক।

রাজধানীর খিলগাঁও থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন বর্তমানে কারাবন্দী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র আবদুল কাদেরকে নির্মম নির্যাতনের ঘটনায় আদালত হেলাল উদ্দিনকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।

দেশের অন্যান্য স্থানের পাশাপাশি ঢাকা মহানগর পুলিশের বিরুদ্ধেও ছিনতাই, চাঁদাবাজি এবং আটক করে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বেশির ভাগ অভিযোগ এএসআই, এসআই ও পরিদর্শক পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে।

দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ ও পদায়ন পাওয়া পুলিশ সদস্যরাই এসব অপরাধ বেশি করছেন। এঁরা পদস্থ কর্মকর্তাদের কথাও শোনেন না।

পুলিশে দলীয়করণের কারণে অপরাধের বেশ কিছু ঘটনা ঘটছে, যা পুলিশের কাছ থেকে কেউ আশা করে না। কিন্তু পুলিশ যদি এভাবে অপরাধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে সাধারণ মানুষের দাঁড়ানোর কোনো জায়গা থাকবে না। এ জন্য পুলিশের যাঁরা দায়িত্বশীল, তাঁদের তৎপর হতে হবে। কারণ, আইনের শাসন না থাকলে সামাজিক কাঠামো ভেঙে পড়বে।

জনগণের শাসন তুলে দিয়ে বর্তমানে দেশে চলছে পুলিশের শাসন৷ সুতরাং এগুলো মেনে নিতেই হচ্ছে সাধারণ জনগণকে৷

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.