নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের দর্শন

পৃথিবীটা এমন একটি জায়গা যেখানে সবাই সুখী হতে চায়। কিন্তু খুব কম ব্যক্তিই সুখ উপভোগ করতে পারে। আর তাই সুখের পিছনে না ছুটে যে অবস্থায় আছেন, সেই অবস্থায়ই জীবনটাকে উপভোগ করুন।

প্রবাসী ভাবুক

সকলে মিলিয়া সাজাব সুন্দর পৃথিবীকে।

প্রবাসী ভাবুক › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেশের উন্নয়নে আরেকটি সংশোধনী করলে কেমন হয়!

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৭

এটা সম্পূর্ণ আমার নিজস্ব মতামত৷ অন্য কারও এব্যাপারে আমার মতের সাথে মিলবে এমন কোন কথা নাই৷ এর আগে সরকার নিজের সুবিধার্থে জনমত উপেক্ষা করে বা জনমত যাচাইয়ের তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন আইন সংশোধন করেছে৷ এর মধ্যে আছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল, আইসিটি আইন, মামলার রায়প্রাপ্ত আসামীর সাজাবৃদ্ধির জন্য বিশেষ আইন ইত্যাদি৷ সুতরাং দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আরেকটি আইন সংশোধন করা মনে হয় অতি গুরুত্বপূর্ণ৷

এই ব্লগেই অনেকে দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সীমিত গণতন্ত্রের পক্ষে৷ যদিও সীমিত গণতন্ত্রের সংজ্ঞা আমার মোটা মাথায় ঢোকে না তাই আমি সহজ কথায় বুঝি বর্তমান সরকার দীর্ঘদিন বা বারবার ক্ষমতায় থাকার জন্য যে গণতন্ত্র তাকেই হয়ত তারা সীমিত গণতন্ত্র হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে চায়৷ আর সীমিত গণতন্ত্রের প্রবক্তাদের সাথে সামঞ্জস্য হবে বলে মনে করি আমার এই ধারণাটি৷

আমরা দেখেছি, দেশের বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার প্রধান(বাফুফে ব্যতীত- ফিফা বাংলাদেশ সরকারের তুলনায় হয়ত বেশি শক্তিশালী তাই তারা এসব মানতে চায় না বা সরকার তাদের বাধ্য করতে পারে না) সরকার মনোনীত ব্যক্তি৷ এখানে সরকারের যুক্তি সংস্থা প্রধান সরকারী মনোনীত হওয়ায় সরকারের সাথে সহজে যোগাযোগ রক্ষা করে উক্ত ক্রীড়া উন্নয়নে আর্থিক, কারিগরি ইত্যাদি বিষয়ে সরকারী সহযোগিতা পেতে সুবিধা হয়৷

এবার আসি মূল আলোচ্য বিষয়ে৷ সামনে পৌরসভা নির্বাচন৷ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আমার মত কারও মনে কোন সন্দেহ আছে বলে মনে হয় না৷ গত জাতীয়, উপজেলা ও সিটি নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি হবে এটা প্রায় সবাই ধরে নিয়েছে৷ সাধারণত সরকারী দলের প্রার্থী সবখানে জয়ী হবে এটা ধরে নেওয়া যায়৷ যদি বিপক্ষ দলের কেউ জয়ী হয়ও তারা কিছুদিন পর বিভিন্ন অযুহাতে বহিষ্কার হবে এটা নিশ্চিত৷

নির্বাচন হল জনগণের পছন্দানুযায়ী প্রতিনিধি বাছাই প্রক্রিয়া৷ সেটা যেহেতু হবে না সেহেতু নির্বাচন না করে নির্বাচন বাবদ বরাদ্ধকৃত অর্থ দেশের উন্নয়নমূলক কাজে ব্যয় করা সম্ভব হত৷ এতে দেশের উন্নয়ন ঘটত৷ কিন্তু নির্বাচনের কারণে হানাহানি, অর্থের অপচয়সহ নানা ধরণের জনসমস্যামূলক কাজ ঘটবে৷

নির্বাচনের ফলাফল আগে থেকে যেহেতু নির্ধারিত সেহেতু নির্বাচন না করেই সরকার তাদের মনোনীত প্রার্থীদের জয়ী ঘোষণা করলেই নির্বাচনী ঝামেলা এড়ানো সম্ভব হত৷ সরকারের বিরোধীতা করার মত দুঃসাহস বর্তমানে কারও নেই৷ এমনকি সরকারের কাজের সমালোচনা করলেই তাকে গ্রেফতার করা হয় সেহেতু এটা নিয়ে কারও সমালোচনার সুযোগও ছিল না৷

এদিকে সরকার মনোনীত হওয়ায় ক্রীড়াসংস্থাগুলোর প্রধানদের মত সরকারী অনুকম্পায় এলাকার উন্নয়নে সহজেই ভূমিকা রাখতে পারবে৷তাছাড়া নির্বাচন হলেও সরকার মনোনীত ব্যক্তিই মেয়র হবে৷ তাহলে নির্বাচন বাবদ সরকারী কোষাগার খালি করার কোন মানে হয় না৷ তাই দেশের উন্নয়নের কথা চিন্তা করে হলেও দেশপ্রেমিক জনগণের নির্বাচন না করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ করা উচিত৷

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৬

অগ্নি সারথি বলেছেন: সহমত। এবার পৌরসভা নির্বাচনী বাজেট ধরা হয়েছে ১০০ কোটি টাকা। যার অর্ধেকই দেখানো হয়েছে আইন শৃংখলা বাহিনীর পেছনে ব্যয় আর বাকীটা ব্যালট পেপার ও অন্যান্য। বিষয়ডা বুঝলাম না, আইন শৃংখলা বাহিনী তো আর ভাড়া করা হচ্ছে না। তারা রাষ্ট্রের একটা নিয়মিত বেতন কাঠামোর অংশ। তাদের জন্য এত খরচ কিভাবে হয়? আর হলেও এটা কমানোর কোন ব্যবস্থা কেন গ্রহন করা হল না?

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:১১

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: ভাইজান, এইসব বিষয়ে প্রশ্ন করা আর না করা সমান কথা৷ এসবের উত্তর কখনও কেউ দিবে না৷ তবে এই সব নির্বাচনগুলোর সবই আমার কাছে অর্থহীন মনে হয়৷ অর্থহীন বলতে আসলে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়াটা যেহেতু জনগনের ইচ্ছার উপর নির্ভর করেনা বরং সরকারের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে সেহেতু এত অর্থের অপচয়ের কোন মানে হয় না৷ তাছাড়া নির্বাচন না করে সরকার মনোনীত কেউ দায়িত্ব নিলে এলাকার জন্য যতটুকু কাজ করত নির্বাচিত হয়ে তার চেয়ে একটুও বেশি কাজ করবে না৷

২| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৪

অগ্নি সারথি বলেছেন: দুঃখিত। আর একটা বিষয় ভূলে গিয়েছিলাম। আজ সকালে যখন নিউজ দেখছিলাম তখন আমার মনেও একই প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছিল যে, প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়াটা যেহেতু জনগনের ইচ্ছার উপর নির্ভর করেনা বরং সরকারের ইচ্ছার উপর নির্ভর করে সেহেতু এত অর্থের অপচয়ের কোন মানে হয় না৷

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৪

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: জি, ভাইজান৷ আপনাকে ধন্যবাদ৷

৩| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সবই যদি লীলায় চলে এই সামান্যে আর বদনামের ভয় কি ;)

ফাকতালে দেশের কত কত অর্ত সাশ্রয়! আর আপনাদের বাহিনীর পিছেন শতকোটি ব্যায় করার বৈধতার জন্য যদি হয়- শো-ডাউন.. সেটাই বা ঠেকাবে কে? কে জানতে চাইবে- নির্বাচনের এত খরচের জবাব দাও!!!!
তো কেউই যখন নাই- শুধু ভয় না করে- ডিজিটাল ভ্যায় দেখিয়ে বাকী কাজ সেরে নিননা! জনগনেরও আর কষ্ট করার দরকার হবে না। ৫ জানুয়ারীর মতো ঘরে বসে খিচুরী সাথে খবরের তাজা ভাজা দিয়ই না হয দিনটা পার করে দেবে! বউ বাচারাও এক দিন কাছের মানুষকে কাছে পাবে!! তাদের আত্মার কত কুটু কুট দোয়া পাবেন ভাবুন!!! :P

"সহজ কথায় বুঝি বর্তমান সরকার দীর্ঘদিন বা বারবার ক্ষমতায় থাকার জন্য যে গণতন্ত্র তাকেই হয়ত তারা সীমিত গণতন্ত্র হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিতে চায়৷ ---আপনার এই বুঝটা খুব পছন্দ হইছে :) =p~

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:৩৫

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: লেখাটি পাঠের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ বিদ্রোহী৷ অন্তত একটি বিষয় হলেও পছন্দীয় হয়েছে জেনে আনন্দিত হলাম৷

আমার মনে হয় কেউই বিশ্বাস করে না এই নির্বাচন অর্থবহ৷ জনমত কি হবে সেটাও যেমন সবার জানা তেমনি নির্বাচনের ফলাফল কি হবে সেটাও জানা৷ সুতরাং এই নির্বাচন বাগাড়ম্বর ছাড়া কিছু নয়৷

৪| ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১১:২৮

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষন করছেন ধন্যবাদ ।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪৪

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ৷

৫| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: গণতন্ত্রের সংজ্ঞা আমার মোটা মাথায় ঢোকে না[/sb , আমারও না।। শুধু বুঝি ক্ষমতাসীনদের যাবতীয় কার্যকলাপই গনতান্ত্রিক।। বাকীসব ভূয়া।।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪৪

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: সহমত সচেতন ভাই৷

৬| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪৭

তিক্তভাষী বলেছেন: আওয়ামীলীগ এ বিশ্বের একমাত্র গণতান্ত্রিক দল!

জনতার ভোটদানের অধিকার আর ভোটের মর্যাদার সুরক্ষার্থেই তারা সেটি স্বীয় দখলে রাখার ব্যবস্থা করেছে যাতে পাপী বিরোধী দলগুলো অবুঝ জনগণকে ফুসলিয়ে এর অসদ্ব্যবহার না করতে পারে। তারপরেও যদি বিরোধী কেউ নির্বাচিত হয়েই যায় তাকেও নানা অজুহাতে বরখাস্ত করে গণতন্ত্রের ধ্বজ্বা সুউচ্চ রাখার বিষয়ে আওয়ামীলীগ বদ্ধ পরিকর!

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ৩:৪৮

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: জি, ভাইজান৷ এই উদ্দেশ্যেই আমার এই লেখা৷ শুধু নির্বাচন না করে গণতন্ত্রকে সযতনে তুলে রাখলেই ভাল হয়৷ কারণ ব্যবহারিক প্রয়োগে এটার অসম্মান হতে পারে৷

ধন্যবাদ তিক্তভাষী ভাই৷

৭| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৪

প্রামানিক বলেছেন: চমৎকার বিশ্নেষণ। ধন্যবাদ

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৩৩

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ প্রামানিক ভাই

৮| ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৪:৪০

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: নির্বাচন কেমন হ দেখার অপেক্ষা রইলাম। নিরপেক্ষ হইলে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম দফার অবস্থা হওয়ার কথা।

আর আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পিছনে যে অত্থ ব্য্যের কথা বললো, ওইটা প্রধানত যাতায়াত আর থাকা খাওয়ার খরচ। নির্বাচন উপলক্ষ্যে সরকার যানবাহন ভাড়া করে, সরকারী কর্মচারীরা রাতদিন ডিউটি করার জন্য আলাদা ভাতা পায়, এইটা সেই খরচ, এইখানে কারচুপির কিছু নাই। কাওচুপি যা হওয়ার ভোটের সমুই হয়, সুক্ষ কিংবা স্থুল।

০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৩

প্রবাসী ভাবুক বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ নদী ভাই৷ নির্বাচন উপজেলা নির্বাচনের প্রথম দফার মত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই ক্ষীণ৷ সরকার চাইলেও স্থানীয় আওয়ামী নেতাকর্মীরা সেটা চাইবে না৷ আর বিপক্ষ দলের সেই শক্তি নেই যে প্রতিহত করে৷ আর হলেও অবশেষে বিপক্ষ দলের জয়ী মেয়ররা কিছুদিনের মধ্যে নানা অযুহাতে বহিষ্কৃত হবে৷

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.