নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

[email protected]

স্ণরণ শেখ

আমি অপূর্ণ, আমি বাঙালি, আমি মানুষ

স্ণরণ শেখ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টার পক্ষে ও বিপক্ষে

০৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১২


স্পষ্টত বাংলাদেশ আজ ২ ভাগে বিভক্ত। জাফর ইকবাল হত্যাচেষ্টার পক্ষে ও বিপক্ষে। এখন সবচেয়ে মৌলিক প্রশ্ন, যে প্রশ্নে আমি নিজেই হতভম্ব। তা হলো,"কী করে মানুষ অন্য মানুষের উপর হামলার পক্ষে যায়?"
একজন দুইজন নয়। হাজার হাজার মানুষ জাফর ইকবালের মৃত্যু কামনা করে তাও বেআইনী উপায়ে। একটা মানুষ যখন নিজেকে খুন জখম এর পক্ষপাতী বলে পরিচয় দেয়, অন্যায় এর পক্ষে গিয়ে রাজপথে আন্দোলন করে, আমি তার উপর ব্যক্তিগত ভাবে রাগ হতে পারিনা। আমি শুধু হা হয়ে থাকি। অবাক হয়ে ভাবি, অন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্যেও আন্দোলন হতে পারে!!
আমার সবসময়ই ধারণা ছিল, মানুষ নিজের বিশেষ সুবিধা ছাড়া কখনো ভালো এবং সত্যের বিপক্ষে অবস্থান করেনা, অন্তত করা উচিত না। কিন্তু গত কয়েক বছরে আমার ধারণা পাল্টাতে বাধ্য করেছে ওরা।

আমার মনে আছে ছোট বেলায় ইরাক যুদ্ধ দেখেছি টিভিতে। আমি, আমার পরিবার সহ বাংলাদেশের প্রায় সবাই ইরাকিদের জন্য সহানুভূতিশীল ছিলাম। আমরা দরিদ্র দেশ অন্যদিকে জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন (ন্যাম) এর সদস্য। তাই দেশের প্রতিটা মানুষের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ইরাক আমাদের থেকে তেমন কোন সাহায্য পায়নি। একইভাবে ফিলিস্তিন, লিবিয়া, সিরিয়া তে যখন ছোট ছোট বাচ্চাদের পর্যন্ত রক্তাক্ত করা হয়, নরপিশাচেরা গর্ভবতী মায়েদের পর্যন্ত ছাড় দেয় না, এই বাংলাদেশের হিন্দু-মুসলিম, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-নাস্তিকেরা সবাই কষ্ট পায়। চলমান রোহিঙ্গা সঙ্কটে আমরা দেখতেই পেয়েছি, রোহিঙ্গাদের সাহায্য করতে যেমন সাহায্য করেছে মসজিদ গুলো, তেমনি মন্দির থেকেও ত্রাণ পাঠানো হয়েছে। প্রবারণা পূর্ণিমা পালন না করে দেশের বৌদ্ধরা সব টাকা পাঠিয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। শিখরা গুরুনানকের দরবার থেকে সাহায্য পাঠিয়েছে। গণজাগরণ মঞ্চও বসে ছিল না। এই বিষয় স্পষ্ট যে বিশ্বের যেখানে যখন মুসলিম গণহত্যা হয়েছে, স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের মানুষ একজোট হয়ে গণহত্যার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
কিন্তু যখনই প্রশ্ন এসেছে বিশ্ব মানবতার, এই দেশের কিছু সুবিধাবাদী কাঠমোল্লারা আমাদেরকে ইসলামের দোহাই দিয়ে প্রতারিত করেছে। গতবছরের আগস্টে টেক্সাসে হারিকেনে ১২০০ এর বেশি মৃত্যু হয়েছিল। আমার বাবা নিউজ দেখে বলছিলেন, আহারে আহারে। কিন্তু কয়েক ঘন্টা পরই তার বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়ার পর তার মতামত পালটে যায়। খ্রিস্টান যখন মরেছে, ভালোই হয়েছে।
২০১৬ সালে ইসরাইলে যখন দাবানল হল, আমি দেখলাম বাংলাদেশে যেন উৎসব শুরু হল। সবাই দাবানলে খুশি। সেখানে শুধু ইহুদি নারী পুরুষই কি পুড়েছিল? ২ মাসের নিষ্পাপ শিশুরা দগ্ধ হয়নি? সে তো ইহুদি ছিল না। তার মৃত্যতে আমাদের নাচতে হবে?
নেপালের ভূমিকম্পেও নিউজ পোর্টালের কমেন্টগুলো চেক করে অবাক হতে হয়। মন্দিরের দেশে গজব পড়েছে, মালাউনরা মরেছে তাই সবার খুব খুশি লাগছে মনে।

আমরা ছোটবেলা থেকেই পাঠ্যবইয়ে মানবতার গল্প-কবিতা পড়ে বড় হই। কিন্তু আমাদের হুজুর সমাজ আমাদের শেখায় এই মানবতা শুধু মুসলিম দের বেলায়। সাধারণ মানুষ যদি কোন কারণে বিধর্মীর মৃত্যতে শোক প্রকাশ করে, তাদেরকে লাল সালুর মত ব্রেইন ওয়াশ করে বোঝানো হয় বিধর্মীরা অমানুষ। মরেছে ভালো হয়েছে।
এটাই কি ইসলাম? বিশ্ব মানবতার শান্তির প্রতীক ইসলাম এর কি এই রূপ দিয়েছিলেন আল্লাহ? আমার বিশ্বাস হয়না আল্লাহ এই ধর্ম আমাদের দিয়েছেন। আল্লাহ আমাদের দিয়েছেন কুরআন ও একজন মহাপুরুষের আদর্শ। সেসব ছেড়ে যদি আমরা ফাজায়েলে আমল নিয়ে বসে থাকি, অবস্থাতো এমন হবেই। এটাই পার্থক্য ইসলাম ও বাংলাদেশি ইসলামের। আল্লাহ আমাদের মদিনা ও সত্যিকারের ইসলামের পথে পরিচালিত করুন।

আর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তার উপর হামলার পক্ষপাতী হওয়া আর ইসরাইলে দাবানলে খুশি হওয়া কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। যে চেতনা আমাদের দেশের মুসলমানের একতরফা মানবতার ইন্ধন জুগিয়েছে, সেই চেতনাবলেই আজ তারা জাফর ইকবালের মৃত্যু চায়। অধিকাংশ লোকই এমন যে তারা জানেই না জাফর ইকবাল লোকটা কে! জীবনে কী ত্যাগ স্বীকার করেছেন জাফর ইকবাল। তারা শুধু হুজুরদের মুখে নাস্তিক শব্দটা শুনেছে, আর কিছু শোনার প্রয়োজন নেই। এবার জাফর ইকবালের কল্লা চাই।

কিন্তু জাফর ইকবাল কি কোনদিন বলেছিলেন, আমি নাস্তিক? নাকি তার লেখা কোনভাবে বাস্তুবাদের সাথে সম্পর্কিত?
লোকে প্রশ্ন করে জাফর কেন মুক্তিযুদ্ধ করেনাই? এতো যখন দেশপ্রেম, যুদ্ধ করলো না কেন?

১৯৭১ এ তার বাবা শহীদ ফয়জুর রহমান, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নেন। তার দাম তাকে দিতে হয়েছে দেলোয়ার হোসেন সাইদীর সাহায্যে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে প্রাণ দিয়ে। জাফর ইকবালের মা বিশ্বাস করেন নি, কেউ তার স্বামীর মত ভালো মানুষকে হত্যা করতে পারে। তখন জাফর ইকবাল ও হুমায়ূন আহমেদ কে নিজের বাবার কবর খুড়ে, নিজের বাবার সেই বিভৎস লাশের চেহারা দেখতে হয়েছিলো।
তখনও সাইদীর লোকজন ফয়জুর রহমানের পরিবারকে হত্যা করার জন্য খুজছে। ৬ সন্তানের জননী আয়শা ফয়েজ তখন কী করবেন, কোথায় যাবেন তা আমি ভাবতে পারিনা। শুধু মনে হয়, সেই জায়গায় আমার মা থাকলে কী করতেন? এতগুলো বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে কোথায় পালাতেন?
৩ ভাই, ৩ বোন আর মা এই ৭ জনের দল নৌ পথে এদিক সেদিক পালিয়ে বেড়াতে থাকে, সাথে শুধু শুকনো চিড়া। যারা আজ প্রশ্ন করে জাফর ইকবাল কেন মুক্তিযুদ্ধ করেন নি, তারা কি একটা বার ভেবে দেখেছে মা আর ছোট ভাইবোনদের নিয়তির হাতে ফেলে যুদ্ধে যাওয়ার পরিণাম কী হতো! মা যখন কেদে কেদে অন্ধ হতে বসেছেন, ৩ টি বোন আর ১ টি ছোট ভাইয়ের যখন খাবার জুটছে না, তখন মা ও পরিবারকে ত্যাগ করা কি তার উচিত ছিল?
যুদ্ধের পরের বছর জাফর ইকবাল ঢাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। ৭৬' সালে মাত্র ২ নম্বরের ব্যবধানে তিনি মেধা তালিকায় ২য় স্থান পান। দরিদ্র জাফর ইকবাল মেধাবলে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেন। ক্যালটেকে পড়াশুনা শেষে বেল কমিউনিকেশন রিসার্চে চাকরি করেন। চাইলেই বাকি জীবনটা মোটা বেতনে চাকরি করে কাটেতে পারতেন। কিন্তু দেশের সেবার উদ্দেশ্যে সব লোভ ছেড়ে এখানে বাংলাদেশে কোপ খেতে আসেন। সেই ৯৫ সালেই মৌলবাদীরা তাকে 'মুরতাদ' নাম দেয়। কেন সে মুরতাদ এই প্রশ্ন মৌলবাদীদের করা হলে তার উত্তর তারা দিতে পারবেনা। কিন্তু তাদের মনের কথা এই, "জাফর ইকবাল বেচে থাকলে যুদ্ধাপরাধীর বিচার চাবেই, সুতরাং তাকে আগেই শেষ করে দেওয়া হোক"। যুদ্ধাপরাধীর বিচারের ভয়ের ধারাবাহিকতাই আজ জাফর ইকবালের উপর ছুরিকাঘাত।

যে ঘাতক জাফর ইকবাল কে মেরে ফেলতে চাইলো, সেই ঘাতককে বাচাতে মুমূর্ষু অবস্থাতেও জাফর ইকবাল সবাইকে বলে গেলেন, তাকে যেন না মারা হয়। এটাই পার্থক্য মানুষ ও অমানুষে।
ঘাতকের মতে নাস্তিক হবার কারণে ছুরিকাঘাত, অথচ জাফর ইকবাল নাস্তিক নন। যদি নাস্তিক হওয়া অপরাধই হয়, আর নাস্তিকতার শাস্তি মৃত্যুদন্ড হয় তবে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে কেন কোপানো হচ্ছেনা? রাশেদ খান মেনন এমপি বা সাবেক মন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়াকে কেন কোপানো হয় না? দেওয়ানবাগী পীর বা হাসানুল হক ইনুকে কেন ছুরিকাঘাত করা হয়না? এরা সবাই তো নাস্তিক। এদের কেউ মৃত্যু চায়না কেন?
উত্তর খুব সহজ। নাস্তিকতা বা আস্তিকতার জন্য কখনোই কাওকে কোপানো হয়না। যখন যেখানে যে কেউ বাংলাদেশের অগ্রগতির জন্য কাজ করবে, যখন কেউ ভন্ড পীর ও কাঠমোল্লাদের ব্যবসা বন্ধ করবে, যখন কেউ বাংলায় কুরানের অর্থ পড়ার উপর জোর দিবে ও বই পড়াতে মানুষকে উৎসাহ দিবে তাকেই শেষ করে দিতে হবে। আর এ কথা সবাই জানে জাফর ইকবাল সাহেব, বাংলাদেশে তরুণ ও কিশোর পাঠক তৈরী করতে কতটা ভূমিকা রেখেছেন। সবাই জানে কার হাত ধরে বাংলাদেশের শিশু কিশোর বিজ্ঞান মনস্ক হয়েছে। কার হাত ধরে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডে পুরস্কার ছিনিয়ে এনেছে। দেশের জন্য ত্যাগ স্বীকার করার পরিণাম বঙ্গবন্ধু ও শহীদ জিয়া আগেই প্রমাণ করেছেন, ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর হামলা ইতিহাসের পুনরাবৃত্তির স্মারক মাত্র।

মন্তব্য ৪১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:০৩

জাহাঙ্গীর কবীর নয়ন বলেছেন: অদ্ভুত উটের পিঠে চলিছে স্বদেশ। উটটার কিন্তু দাড়ী আছে, গা থেকে সৌদি আতরের গন্ধও আসে। এখনও সময় আছে, জাতির স্বার্থে উটটাকে জবাই করতে হবে। নইলে আরও বড় বিপদ সামনে।

০৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২৪

স্ণরণ শেখ বলেছেন: শান্তির পথে বিঘ্ন ঘটায় এমন প্রতিটি বস্তুই ত্যাজ্য। ধন্যবাদ আপনাকে।

২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১১

কানিজ রিনা বলেছেন: এরা শুধু ইসলামকে নয় এরা গোটা মুসলিম
জাতীকে কলংক মেখে দিয়েছে এরা
কোরআনের শিক্ষায় শিক্ষিত না। কারন
ইসলামের কোরয়ান হাদীসে কোথাও এভাবে
খুন করার কথা লেখা নাই। সত্যিকার
মুসলিম কখনও খুনে বিশ্বাস করেনা এই
অজ্ঞ অশিক্ষিত নামধারী মুসলিম কখনই
ইসলামের সম্মান বয়ে আনতে পারেনা।
ছেলেটাকে দেখেত মনে হচ্ছে অশিক্ষিতর
হাড্ডি। একজন লেবার। কোত্থেকে এতবড়
সাহস পেলো এরহস্য উৎঘাটন হওয়া জরুরী।
নাস্তিক হলে তাকে খুন করতে হবে এই
সাহস এরা কোথায় পায়। সত্যি বিশ্বাস হয়না
আমরা কি স্বাধীন দেশে বাস করি।
আমাদের দেশটা কি আসলেও স্বাধীন?
ধন্যবাদ সুন্দর বিশ্লেশনের জন্য।

০৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

স্ণরণ শেখ বলেছেন: আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।

৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১২

রাফিন জয় বলেছেন: সেইভ করলাম

০৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

স্ণরণ শেখ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩

শামছুল ইসলাম বলেছেন: অসাধারণ পোস্ট ।
+

০৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

স্ণরণ শেখ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১৪

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: ভাই আজকের এই বিভক্তির জন্য আমাদের তথাকথিত প্রগতিশীল এবং স্যার জাফর ইকবাল সাহেবেরও অবদান কম নয়। আপনার চোখে পড়েছে কি না জানিনা, গতবছর জাফর স্যার সম্পাদিত "কিশোর আলোয়" গরুকে ‘সবচেয়ে সেরা জীব এবং গরুর গোস্ত খাওয়া মুসলিমদের নিম্ন প্রজাতির প্রাণী হিসেবে অভিহিত করে কার্টুন প্রকাশ হয়। তারপর থেকে কাঠমোল্লারা এটাকে চমৎকারভাবে উপস্থাপন করছিলো।
এছাড়াও জাফর স্যারের বিতর্কিত কিছু প্রবন্ধ উনাকে ইসলাম বিদ্বেষী হিসেবে পরিচিত করেছে।

০৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২১

স্ণরণ শেখ বলেছেন: বেয়াদবি মাফ করবেন। তবে আপনার উপস্থাপিত তথ্য প্রমাণ দেখে হাসি পাচ্ছে। আমি সত্যিই দুঃখিত। যাইহোক,
প্রথমত, ডক্টর মুহম্মদ জাফর ইকবাল "কিশোর আলো" পত্রিকার সম্পাদক নন, সেই কাজ আনিসুল হকের।
দ্বিতীয়ত, গত ২ বছরে জাফর ইকবালের আকা কোন কার্টুন প্রকাশিত হয়নি।
তৃতীয়ত, আপনি সেইসব "বিতর্কিত কিছু প্রবন্ধ" এর নাম উল্লেখ করছেন না, সম্ভবত আপনি নিজে পড়েন নি এমন কোন প্রবন্ধ। আন্দাজে ঢিল ছুড়ছেন বা সবই শোনা কথা বা সংক্ষেপে গুজব।

ফি আমানিল্লাহ।

৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৩০

পলাশবাবা বলেছেন: মুক্তিযুদ্ধের সময় জনাব জাফর ইকবাল সাহেবের বয়স ছিল ১৯। কিন্তু উনি যুদ্ধে যাননি । উনার বড় ভাই হুমায়ুন আহমেদ সাহেবের বয়স ছিল ২৩ ।তিনিও যুদ্ধে যাননি। উনাম বাবাও যুদ্ধকালী সময়ে ইপিআর র ডিউটিরত অবস্থায় মারা যান। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত পাকিস্তান সরকারের চাকরি করেছেন।

আরো বিস্তারিত পাবেন বংগবীর কাদের সিদ্দীকির সাক্ষারকারে। ইউটিউবে পাবেন। টাইটেল সম্ভবত "জাফর ইকবালের পিতার ফাঁসি চাইলেন বংগবীর কাদের সিদ্দীকি"

এমন একজন মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে কচলা কচলি করতে দেখলে তাকে প্রথম শ্রেণীর হিপোক্রেট মনে হয়।

হত্যাচেষ্টা কখনোই গ্রহনযোগ্য নয়। যেমন গ্রহনযোগ্য নয় উনার মত একজন উচ্চশিক্ষিত মানুষের হিপোক্রেসি।





০৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১

স্ণরণ শেখ বলেছেন: আপনার প্রদত্ত তথ্যে ভুল আছে, জনাব। জাফর ইকবালের বাবা কখনোই ইপিআর এর চাকরি করেন নি। তিনি ছিলেন পাকিস্তান পুলিশের কর্মকর্তা। ২৫শে মার্চ ঢাকায় গণহত্যা শুরু হলে মার্চ মাসেই শহীদ ফয়জুর রহমান পিরোজপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ট্রেনিং কর্মসূচির সূচনা করেন। ট্রেনিং এর জন্য তিনি নিজের অফিসে থাকা অস্ত্রগুলো দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করেন। নিজের পরিবারকে তিনি পিরোজপুরের প্রত্যন্ত এক অঞ্চলে লুকিয়ে রাখেন। ৪ মে পাকিস্তান সেনাবাহিনী খবর পায় সরকারি কর্মকর্তা মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্য করছেন। তাকে মারতে হবে। ফয়জুর রহমান জেনে গিয়েছিলেন মিলিটারি তাকে খুজে বের করবেই। তাই ৪ মে তারিখেই মুক্তিযোদ্ধা ট্রেনিং ক্যাম্প ছেড়ে তিনি পরিবারের সাথে দেখা করতে যান। সেখানেই নিজের শেষ অস্ত্রটা হুমায়ূন আহমেদ কে দিয়ে আসেন। অফিসে ফিরে দেখেন তার জন্য মিলিটারি অপেক্ষা করছে। পরে ফয়জুর রহমান কে বেধে নিয়ে নদীর পাড়ে বেয়নেট দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশ সরকার এজন্য তাকে স্বাধীনতা পুরস্কার যা কিনা সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা দেয়।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদদের আত্মত্যাগ নিয়ে আপনার মনে কি সন্দেহ আছে? আমি আশা করবো নেই। বাকিটা আপনার বিষয়।

কাদের সিদ্দিকীর ভিডিওর কথা যখন আনলেন তখন সেই ভিডিওর লিংক দিতে কুন্ঠিত বোধ করলেন কেন? লিংক দিন। আমরা জনগণ দেখি, কাদের সিদ্দিকী কী এমন কথা বলেছেন যা শহীদের পবিত্রতা কে প্রশ্নবিদ্ধ করে! যদি কাদের সিদ্দিকী, যিনি একজন বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব (!) তথ্য প্রমাণ উপস্থাপন করে ফয়জুর রহমান এর মুক্তিযুদ্ধে ত্যাগ কে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারেম তবে শুধু আমি না। বাংলাদেশ সরকার আপনাকে ৫ লক্ষ টাকা দিবে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্তের ভন্ডামি ধরিয়ে দেবার জন্য।

একজন মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে কচলা কচলি করতে দেখলে তাকে প্রথম শ্রেণীর হিপোক্রেট মনে হয়। শিক্ষিত মানুষের মুখে 'কচলা কচলি' কথাটা কেমন শোনায় সেই প্রশ্ন আপনার জন্যই রেখে গেলাম। আর আপনি কোন 'কচলা কচলি' দেখলেন যাতে জাফর ইকবাল কে হিপোক্রেট মনে হচ্ছে, সেই বিষয় তো পরিষ্কার করলেন না।

৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮

তাওহিদ হিমু বলেছেন: অনেক সুন্দর কথা বলেছেন। আমি এগুলোই বলতে চাচ্ছিলাম। কোনো দলের কর্মী না হয়েও গতকাল নানান দলের বেশ কয়েকটি প্রতিবাদী মিছিল-সমাবেশ-মানববন্ধনে গিয়েছিলাম শুধুমাত্র জাফর ইকবালের প্রতি ভালবাসার কারণে, একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে। হামলার পর থেকেই বারবার মনে পড়ছিল কৈশোরে তার বই পড়ে কী নিদারুণ সৌন্দর্যের দেখা পেয়েছিলাম কল্পনায়। এযুগের জ্ঞানী তরুণের বেশিরভাগই কৈশোরে জাফর ইকবালের মুগ্ধ পাঠক ছিল। তার হাত ধরে লাখ লাখ তরুণ আলোকিত জীবনের খোঁজ পেয়েছে।

"অধিকাংশ লোকই এমন যে তারা জানেই না জাফর ইকবাল লোকটা কে! জীবনে কী ত্যাগ স্বীকার করেছেন জাফর ইকবাল। তারা শুধু হুজুরদের মুখে নাস্তিক শব্দটা শুনেছে, আর কিছু শোনার প্রয়োজন নেই। এবার জাফর ইকবালের কল্লা চাই।"

০৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২

স্ণরণ শেখ বলেছেন: আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

স্বপ্নবাজ তরী বলেছেন: https://www.youtube.com/watch?v=FDoTAm-XM3Q

০৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

স্ণরণ শেখ বলেছেন: খেয়াল করুন, কাদের সিদ্দিকী তার ভিডিওতে বার বার হয়তো শব্দটা ব্যবহার করছেন। ভিডিওর ২ মিনিট ২৮ সেকেন্ডে তিনি বললেন, "ফয়জুর রহমান ২৫ মার্চের গন্ডগোলে ভয় পেয়ে অন্য সব অফিসারের মত গ্রামে পালিয়েছেন।" অথচ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নথিপত্রে এ বিষয় স্পষ্ট যে ফয়জুর রহমান ২৫ শে মার্চের অনেক আগে থেকেই পিরোজপুরে কর্মরত ছিলেন। বোঝাই যাচ্ছে কাদের সিদ্দিকী কতটা কম জানেন ফয়জুর রহমান বিষয়ে।
তিনি আয়শা ফয়েজের লেখার কথা উল্লেখ করলেন কিন্তু কোন বই এর কোন লেখা তা তিনি সুকৌশলে এড়িয়ে গেলেন।
৪ মিনিট ২৫ সেকেন্ডে কাদের সিদ্দিকী জাফর ইকবাল কে সাংবাদিক পরিচয় দিলেন যা জাফর ইকবাল নন। স্পষ্টত কাদের সিদ্দিকী জাফর ইকবাল বিষয়ে খুব কম জানেন।

আর কাদের সিদ্দিকী তো কম ক্ষমতাবান লোক না। তিনি যখন জানেনই ফয়জুর রহমান একজন ভুয়া শহীদ। তিনি আদালতে কেন গেলেন না? তার কি দায়িত্ব ছিল না, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে ধরিয়ে দেওয়া? আসলে তিনি নিজেই জানেন তার কাছে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ নেই।

৯| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: যারা ইনিয়ে-বিনিয়ে কিংবা সরাসরি
ডক্টর মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারকে হত্যার চেষ্টা সমর্থন করেছেন,
আপনাদের বাবা-মা আপনাদের জম্ম দিয়ে ভুল করেছে !

০৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:১৩

স্ণরণ শেখ বলেছেন: সমর্থন।

১০| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:২১

তাওহিদ হিমু বলেছেন: যারা জাফর ইকবালের উপর হত্যাচেষ্টা হলো দেখে খুশি হয়েছে বা মন খারাপ করে নি, তারাও খুনি ফয়জুরকে হত্যা করতে পাঠানোর জন্য দায়ি। তাদের দোষ হলো, তারা কোনোকিছু না জেনে, না বুঝে, না ভেবে, না পড়ে অযথা ঘৃণা ছড়িয়ে গেছে জাফর ইকবালের বিরুদ্ধে, যার ফলে ফয়জুরের মত গরিব অশিক্ষিত মা-বাবার বিকৃতমস্তিষ্ক ছেলেরা ব্রেইনওয়াশড হয়েছে এবং তারপর খুন করতে গেছে। হত্যাচেষ্টার সমর্থকেরা আলঙ্কারিকভাবে খুনি।
শত ধিক সেই আদর্শকে, যে আদর্শে দীক্ষিত হওয়া লোকেরা মানুষ জবাই করতেও কুণ্ঠাবোধ করে না।

০৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:২৮

স্ণরণ শেখ বলেছেন: অথচ ফয়জুর ঠিকই শাস্তি পেল। যারা এই ফয়জুর কে ফয়জুর বানালো তাদের শাস্তি হবেনা।

১১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

পলাশবাবা বলেছেন: ওপোস আমার ভুল। অনেক আগে সাক্ষাতকারটা শুনেছিলাম । ভুল হয়েছে। ।

সাক্ষাতকারটার টাইটেল "লেখক হুমায়ূন আহমেদের পিতার ফাঁসি চাইলেন কাদের সিদ্দিকী"

ইউটিউবে সার্চ করে নেন ভাই। পাবেন। এখনো আছে। শোনেন। নিজে শোনেন।। অপরকে শোনান।

আমার প্রাপ্য ৫ লাখ টাকা আপনাকে দিয়ে দিলাম। মুড়ি খান।

০৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫৪

স্ণরণ শেখ বলেছেন: খেয়াল করুন, কাদের সিদ্দিকী তার ভিডিওতে বার বার হয়তো শব্দটা ব্যবহার করছেন। ভিডিওর ২ মিনিট ২৮ সেকেন্ডে তিনি বললেন, "ফয়জুর রহমান ২৫ মার্চের গন্ডগোলে ভয় পেয়ে অন্য সব অফিসারের মত গ্রামে পালিয়েছেন।" অথচ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নথিপত্রে এ বিষয় স্পষ্ট যে ফয়জুর রহমান ২৫ শে মার্চের অনেক আগে থেকেই পিরোজপুরে কর্মরত ছিলেন। বোঝাই যাচ্ছে কাদের সিদ্দিকী কতটা কম জানেন ফয়জুর রহমান বিষয়ে।
তিনি আয়শা ফয়েজের লেখার কথা উল্লেখ করলেন কিন্তু কোন বই এর কোন লেখা তা তিনি সুকৌশলে এড়িয়ে গেলেন।
৪ মিনিট ২৫ সেকেন্ডে কাদের সিদ্দিকী জাফর ইকবাল কে সাংবাদিক পরিচয় দিলেন যা জাফর ইকবাল নন। স্পষ্টত কাদের সিদ্দিকী জাফর ইকবাল বিষয়ে খুব কম জানেন।

আর কাদের সিদ্দিকী তো কম ক্ষমতাবান লোক না। তিনি যখন জানেনই ফয়জুর রহমান একজন ভুয়া শহীদ। তিনি আদালতে কেন গেলেন না? তার কি দায়িত্ব ছিল না, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাকে ধরিয়ে দেওয়া? আসলে তিনি নিজেই জানেন তার কাছে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ নেই

আর আপনি ভদ্র ঘরের সন্তান। ভদ্র ভাবে কথা বলুন। ব্যবহারে বংশের পরিচয়।

১২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:১৪

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন:
প্রাথমিক যুগে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্রমাগত আক্রমণের জন্য মুসলমানদের আত্মরক্ষার্থে যুদ্ধ করার অনুমতি দেয়া হয়েছিল। জিহাদের অর্থ যুদ্ধ নয়, সংগ্রাম। কিন্তু মুসলমানদের প্রতিশ্রুত মসীহ ও ইমাম মাহদী (আ)-এর আসার সাথে সাথে অস্ত্রযোগে যুদ্ধ হারাম ঘোষিত হয়ে গেছে। কারণ এটা অস্ত্রের ধারণের সময় নয়। মুসলমানদের দায়িত্ব এখন বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা।
কিন্তু মুসলমানেরা নিজেদের ভেতরেই খন্ডবিখন্ড হয়ে মারামারিতে লিপ্ত। প্রতিশ্রুত মসীহ ও ইমাম মাহদী (আ)-কে তারা অস্বীকার করেছে, অস্বীকার করেছে শান্তি কায়েমের আদেশকে। তাই তাদের মাঝে দিনদিন চরমপন্থার বিকাশ ঘটছে। এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় হচ্ছে যুগখলীফার হাতে বয়'আত করা।
আল্লাহ চরমপন্থী, কট্টরপন্থী, ধর্মব্যবসায়ী ও জঙ্গিদের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচায়ে রাখুন। আমীন।

০৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১০:৫৪

স্ণরণ শেখ বলেছেন: আমিন।

১৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:১৯

নাঈমুর রহমান আকাশ বলেছেন: আমি নিজের কিছু অভিজ্ঞতা বলি।
ব্লগে আমার আসার প্রায় একবছর হতে চললো। আমি একজন ভিন্নমতাবলম্বী মুসলমান, সুতরাং আমার আদর্শের সাথে সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্রেণীর মুসলিম আলেমদের বিরোধ থাকাটা আমার কাছে নতুন কিছু নয়। আমি গঠনমূলক আরৈাচনা ও প্রশ্নত্তোর আশা করতাম শুরুতে। কিন্তু আমার ভূল ভাঙতে দেরী নেয়নি। ব্লগে একশ্রেণীর ধর্মব্যবসায়ী আমার পেছনে লাগে। আমিার প্রথম পাতা থেকে দূরে থাকা ব্লগটাতে যে তাদের কেন আক্রোশ তা আমি বুঝতে পারিনি প্রথম।
সাধারণত, তারা যে ভাষা ব্যবহার করতেন, সেটাতে উত্তর দেয়া ভদ্রলোকের পক্ষে সম্ভব নয়। আমি তাদের নিচুশ্রেণীর লোকেদের মতোই ধরে নিয়েছিলাম। আমার পেছনে লেগে তারা অনেকটা এমন কথাবার্তা বলতেন:

আমার পোস্টে একবার জনৈক ব্যক্তি পুরোপুরি আক্রোশপূর্ণ হামলা করেন:

এটা কেবল নমুনা। তিনি এই কাজ মারাত্মকভাবে করেছেন। কীভাবে একজনের এতো আক্রোশ থাকতে পারে আমার জানা ছিলো না।
আমি এটা বেশ কয়েকজন ব্লগারকে জানানোর চেষ্টা করি। কেউ আমলে নেননি। ব্যপারটা এমন, ভিন্নমতাবলম্বীরা এমন জিনিসের শিকার হওয়াটা অতি স্বাভাবিক।
আমার বিরুদ্ধে লেখা পোস্টগুলো একটু খুঁজলেই পাওয়া যাবে। জনৈক বিশিষ্ট আলেম আমাকে নিয়ে পাঁচ পর্বের সিরিজ বানিয়েছিলেন। যদিও আমার বেশীরভাগ সময়ে ব্লগে প্রদত্ত সময় সপ্তাহে একঘন্টারও কম। তাদের অফুরন্ত সময় তারা এসবে লাগাচ্ছেন, তাদের ইচ্ছা।


আজকে নতুন একটা মুখ দেখলাম:

এরা যদি একই ব্যক্তির মাল্টি হয়ে থাকেন তবে সমস্যা এখানে, তিনি একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়েও চিকিৎসা ছাড়া আপনার আমার মাঝে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তবে যদি ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তি হন তবে বুঝতে হবে। জাফর ইকবাল স্যারের ওপরে হামলাটা যেমন পরিকল্পিত, এরাও আরও অনেক পরিকল্পনার সাথে যুক্ত।

হাস্যকর ব্যপার (এবং একই সাথে দুঃখের), এরা সবাই বেশ যশমান ব্লগার। 'আমিন' জাতীয় পোস্ট নিয়মিত লিখে প্রচুর লাইক, কমেন্ট নেন। সেখানে তাদের ব্যবহার, ভাষা কিন্তু সংযত। কিন্তু এখানে? আমি জানিনা তারা আসলে কি, অন্তরের খবর কেবল আল্লাহ বলতে পারেন। তবে এই কয়টা উদাহরণ তাদের ভদরতার মুখোশের আড়ালে থাকা চরমপন্থী মুখটা কি চিনিয়ে দিতে যথেষ্ট নয়?

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:১১

স্ণরণ শেখ বলেছেন: আমাদের দেশের মানুষ একসাথে সব কিছু করতে চায়। তারাই ব্লগার হবেন, তারাই রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকবেন, তারা ধর্মের বুলি আওড়াবেন আর একই সাথে গালি গালাজ করবেন। তারা সর্বেসর্বা। অন্যান্য জাতিতে প্রত্যেক মতবাদীর আলাদা আলাদা স্থান থাকে। পরিবেশ থাকে। প্রটেস্টান্ট রা ক্যাথলিক দের ঘাটায় না, বৌদ্ধরা তাও দের ঘাটায় না। যার যার মতামত তার কাছে সত্য। আমাদের ক্ষেত্রে এই সত্য প্রয়োগ হয় না। সংখ্যালঘু বলে এই দেশে কিছুই থাকতে পারবেনা, এই বিশ্বাস নিয়ে বাচে এদেশের মানুষ। কারো মতামতে কোন বৈচিত্র্য থাকবে না, বৈচিত্র্য প্রকাশেও আমরা কোন সুযোগ দিবোনা।

আর সরকার ভোটের লোভে এদের বিচার না করে আশকারা দিয়ে ফেলেছে। এর দাম দিতে হচ্ছে আমাদের।

১৪| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১:৫১

চুলবুল পান্ডে বলেছেন: নাঈমুর রহমান আকাশর ব্যাপারটা এতদিনে বুঝলাম। সামু যে কাদিয়ানীকুত্তা যারা মুসলিমদের মধ্যে ফেতনা সৃষ্টি করে এদের প্রমোটকরে এটা ওপেন সিক্রেট।

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:০২

স্ণরণ শেখ বলেছেন: শিক্ষিত মানুষের কাছ থেকে ভদ্রতা কাম্য।

১৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯

আবু সায়েদ বলেছেন: জাফর স্যার ও হুমায়ুন স্যার মুক্তিযুদ্ধে শরীক হোল না কেন? নাকি করেছিল? তথ্য-ভিত্তিক জবাব দিলে খুশি হব।

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০০

স্ণরণ শেখ বলেছেন: আমার জবাবের চাইতে বরং যদি জাফর ইকবাল ও হুমায়ূন আহমেদ আপনার প্রশ্নের জবাব দিতেন তাহলেই বেশি ভালো হতো।
'জোছনা ও জননীর গল্প - হুমায়ূন আহমেদ' ও 'মুহম্মদ জাফর ইকবালের সাক্ষাৎকার - জব্বার হোসেন' এই বই দুটোতে উত্তর দেওয়া আছে। তবে আপনি পরীক্ষার আগেই যদি ফলাফল নির্ধারণ করে রাখেন তবে কোন কিছুতেই লাভ নেই। নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে বই পড়ুন বা সরাসরি একদিন জাফর ইকবালের সাথে দেখা করুন। আশা করি আপনার ভালোই লাগবে।

১৬| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:১২

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আমাদের দেশে ধর্মীয় শব্দগুলো ছাম্বাদিক, ছাগু আর পাঁঠাদের কল্যানে ম্যাংগোপিপলের কাছেও এখন ভিন্ন অর্থ বহন করিতেছে ! তাই, কয় অক্ষর ধর্মীয় জ্ঞান লইলেই ইহারা ছাগুদের "মৌলানা" বলে, "হুজুর " বলে, গ্রাম্য সালিশের বিচারকে 'ফতোয়া' বলে !

প্রথমে জানিতে হইবে "হুজুর" "মৌলানা " "ফতোয়া " শব্দের অর্থ কি ? কাহাদেরকে 'হুজুর' বলে? 'হুজুর' হইতে গেলে কয় বৎসর পড়িতে হয়, কি কি জ্ঞান ও গুন থাকিতে হয় ! শুধু দাড়ি রাখিলেই যদি 'হুজুর' বলা যাইতো তাহা হইলে নরাধম মোদিও হুজুর ! টুপি রাখিলেই যদি হুজুর বলা যাইতো তাহা হইলে নেহেরুও 'হুজুর'! নাহ, হুজুর সবাই নহে, ফয়জুরতো নহেই !

না জানিয়া গড় সাপ্টা সবাইকে 'হুজুর' বলিলে উহা পাঁঠাদের মতোই ছাগু সম্প্রদায়কে তাক করিয়া ইসলামকে গুলি করা হইবে !

যাহারা জাফর ইকবালের হত্যা প্রচেষ্টাকে সমর্থন করিতেছে, ইহাদের পিউবিক হেয়ার গজায় নাই ! এই সমস্ত আবালদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াই উচিত ! একই সাথে যেসমস্ত পাঁঠা এই অপকর্মকে ব্যবহার করিয়া ধর্মের অবমাননা করিতেছে ইহাদেরও বিচি অপসারণ করা উচিত ! এইখানেই বাক স্বাধীনতার অপব্যবহারের কথা আসিয়া যায়। ফিল্টার করিলে উভয় সম্প্রদায়েরই বিষ্ঠা পরিষ্কার করা উচিত ! শুধু একটারে দৌড়ের উপর রাখা সমর্থন করিনা ! দুই দলরেই গদাম!

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০১

স্ণরণ শেখ বলেছেন: আইনের চোখে সবাই সমান। সে মুসলিম হোক, দাড়ি টুপি ধারী নামেমাত্র মুসলিম হোক অথবা নাস্তিক। আইন অমান্য করলে শাস্তি তার প্রাপ্য।

১৭| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:৪১

তারেক ফাহিম বলেছেন: ভাল করে না জেনে মন্তব্য কিংবা অাঘাত করা ঠিক না।

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০৩

স্ণরণ শেখ বলেছেন: ঘাতক ফয়জুর র‍্যাব কে জানিয়েছেন, তিনি জাফর ইকবালের কোন লেখা পড়েন নি, শুনেছেন যে জাফর ইকবাল ধর্মের নামে কটুক্তি করেন ও ইসলাম বিরোধী লেখা লেখেন।

১৮| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫

বারিধারা ২ বলেছেন: এখানে সাঈদীর নাম কেন আসলো? আশির দশকের আগে সাঈদীকে তো কেউ চিনতোইনা। সাঈদীর লোকজন জাফর ইকবালের বাবাকে হত্যা করেছে - এই উদ্ভট তথ্য লেখক কোত্থেকে আবিস্কার করলেন? যেখানে হুমায়ূন আহমেদ নিজে লিখেছেন তার বাবা কিভাবে নিহত হয়েছেন! নিজের ছেলের চেয়েও কি এইসব ভন্ড ইতিহাসবিদেরা বেশি জেনে ফেলেছে?

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০৫

স্ণরণ শেখ বলেছেন: আপনার ইচ্ছা থাকলে আপনি চাইলেই ইন্টারন্যাশনাল অপরাধ ট্রাইবুনাল ২ এর রায়কে চ্যালেঞ্জ করে চেম্বার জজে যেতে পারেন। কার বিচার কী হবে তা ঠিক করবেন মহামান্য আদালত। আপনি, আমি বা হুমায়ূন আহমেদ আদালতের উর্ধ্বে নন।

১৯| ০৬ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: একটা স্বাধীনদেশে এদৃশ্য দেখে শিউড়ে উঠলাম।ইসলাম মানে শান্তি। তবে এরা কারা?

০৬ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:০৬

স্ণরণ শেখ বলেছেন: ধর্মের পোশাক পরা অধার্মিক।

২০| ০৮ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:২৫

পলাশবাবা বলেছেন: আচ্ছা বংগবন্ধু ২৫ মার্চ ১৯৭১ এ অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। তো এরপরও ফয়জুর রহমান সাহেব নিশ্চয়ই পাকিস্তান পুলিশে ৪ মে কি করছিলেন ? আর মারা গেলেন তো আরো পরে। সারা দেশের পুলিশের অস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে চলে আসে এপ্রিলে। .। অস্ত্র দিয়ে অফিসে বসে ছিলেন কিসের আশায় ? বিষয়টা কনফিউজিং।

ব্যবহার বংশে পরিচয়। কথাটা আসলে ঠিক না। প্রতিটা মানুষ ইউনিক। একটা মানুষকে দিয়ে আপনি অন্য মানুষকে চিনতে পারবেন না। লোকাল বাসে লেখা থাকলেই সেটা লজিক্যাল হবে তা ঠিক না। আপনার বাবা মা আপনাকে লেখা পড়া শিখিয়েছেন বাসের লেখা অন্ধ ভাবে বিশ্বাস করার জন্য না। উনাদের পুরো টাকাটা পানিতে গেছে বোঝা যাচ্ছে। আপনার পেছনে টাকা খরচ করাটা উনাদের ভুল ছিল। আগে জানলে হয়ত উনারা এই ভুল করতেন না।

যাই হোক শিক্ষিত ভদ্রলোকের ব্যবহৃত শব্দ মালা টাইপ কোন বই আছে। জানা থাকলে নামটা শেয়ার করবেন প্লিজ।

নাঈমুর রহমান আকাশঃ ভিন্নমতাবলম্বী মসুলমান ??? ঈডা কি ভাই। লোল

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪

স্ণরণ শেখ বলেছেন: আমি হলপ করে বলতে পারি আপনি শহীদ ফয়জুর রহমান বিষয়ে তথ্যগত ভাবে কিছুই জানেন না এবং এ নিয়ে বই তো দূরে থাক, কোন আর্টিকেলও পড়েন নি। যাইহোক, আগে পুরো ব্যাপারটা সহজ ভাবে নিন এবং নিজে নিরপেক্ষ হন। আমার সাথে এই কিবোর্ড যুদ্ধে জিততে চাচ্ছেন, এই তো? ঠিকাছে, আপনি জিতেছেন এবং হেরেছি।

তবুও আপনি নিজে আগে নিরপেক্ষ ভাবে চিন্তা করা শিখুন। আমি আপনাকে জ্ঞান দিচ্ছি এমন কিছু না ভেবে, আমার মন্ত্যবের যতটুকু গ্রহণযোগ্য তা গ্রহণ করুন।
মনোবিজ্ঞানের ভাষায় আমরা একটা কথা প্রায়ই বলি, prejudice বা পূর্বসংস্কার। ব্যাপারটা এমন যে, একটা নির্দিষ্ট বিষয়ে প্রায় কিছুই না জেনে তার বিষয়ে মত পোষণ করা। অথবা কোন বিষয় যাচাই এর আগেই তার বিষয়ে আগে থেকেই একটা ধারণা পোষণ করা এবং পরে সেই ধারণার পক্ষেই সব যুক্তিকে খোজা। ধরে নিন, আমার দুই ছাত্র মারামারি করেছে। একজন কে আমি আগে থেকেই পছন্দ করিনা। তাই কিছু না জেনেই আমার মস্তিষ্ক একটা প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়ে নিবে যে সব দোষ ঐ ছেলেটারই। তারপর ঘটনার তদন্তে আমার চোখে শুধু সেইসব যুক্তিই চোখে পড়বে যেগুলো ঐ ছাত্রের দোষ কে ইঙ্গিত করে। শুধুমাত্র পূর্বসংস্কারের জন্য ছেলেটার দোষ থাকুক বা নাই থাকুক, আমি তাকে দোষী সাব্যস্ত করবো।

আপনিও এই পূর্বসংস্কারের ধারক। আমরা সবাই তুচ্ছ মানুষ। সাধারণ এই সত্য মেনে নিতে দোষ নেই। আপনি জাফর ইকবাল কে পছন্দ করেন না। তা সে যত কিছুই করুক বা আকাশ থেকে ফেরেশতা নেমে এসে তার স্তব করুক, আপনার পূর্বসংস্কার আপনাকে নির্দিষ্ট ঘৃণার গন্ডিতে আটকে রাখবে। পূর্বসংস্কারের সূত্র ধরেই এখন আপনি শুধু জাফর ইকবাল না, হুমায়ূন আহমেদ, আয়শা ফয়েজ, ইয়াসমিন ইকবাল, ইয়েশিম ইকবাল, শহীদ ফয়জুর রহমান সবাইকে খারাপ ধরে নিবেন।
ভাই দেখুন, আমি আল্লাহ না, আমার কথায় ভুল থাকতে পারে। একই কথা আপনার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আপনিও আল্লাহ না, ভাই। আপনার কথায় ভুল থাকতে পারে, আপনার জানায় ভুল থাকতে পারে। আমার এবং আপনার কথাগুলো নিজে একবার নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি যাচাই করুন। আমি বলছি বলে করবেন তা না, আপনার সত্যান্বেষণের স্বার্থেই আপনাকে নিরপেক্ষ বিচারকের মত সব যাচাই করতে হবে। নিরপেক্ষ চোখ দিয়ে তাকালে আপনি দেখবেন, বঙ্গবন্ধু কখনোই ২৫ শে মার্চ অসহযোগের ডাক দেন নি। তিনি ২৫ শে মার্চ রাতে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। আর আমি আগেও বলেছি, সেই মার্চ মাসেই ফয়জুর রহমান মুক্তিযোদ্ধাদের সংগ্রহ করা শুরু করেন, তাদের ট্রেনিং দেওয়া শুরু করেন। সেটা যে ২৬ মার্চ সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছিল তা না। ২৬ মার্চ থেকেই পাকিস্তান বেতারের নিয়ন্ত্রণে ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী। বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হয়েছেন এবং স্বাধীনতার ঘোষণা করেছেন এমন খবরে পিরোজপুর সহ বরিশালের সবাই সবাই দিধান্বিত ছিল যে এটা সত্য না গুজব। কিন্তু মেজর জিয়ার ঘোষণায় যখন সমগ্র বাংলাদেশের সবাই জেনে গেছে বাংলাদেশ স্বাধীন, ফয়জুর রহমান ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেন। আপনি বলছেন ৪ মে তারিখ পর্যন্ত তিনি কেন পাকিস্তান সরকারের চাকরি করছিলেন। আপনি একটু বাস্তবিক ভাবে ভাবুন, ২৮ শে মার্চ যখন সারা দেশে ডাক ব্যবস্থা অচল, ঢাকার সাথে যোগাযোগের সব পথে কড়া নজরদারি, সেই জরুরি অবস্থায় ফয়জুর রহমানের কি ইস্তফা দিতে ঢাকা যাওয়া উচিত ছিল নাকি মুক্তিযুদ্ধ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ দেওয়া উচিত ছিল?
অন্যদিকে তার হাতে যে গুটি কয়েক রাইফেল ও পিস্তল ছিল, পদত্যাগ করলে সেসব হারাতে হতো। ভারত তখনও আমাদের অস্ত্র সাহায্য করতে শুরু করেনি, সেই মূহুর্তে মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে কুড়াল কাস্তে প্রয়োজন নাকি আগ্নেয়াস্ত্র? ফয়জুর রহমান চাকরি থেকে পদত্যাগ করলে পিরোজপুরের মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র পেতো না, অন্যদিকে পাকিস্তান প্রশাসকের সন্দেহের তালিকায় নাম এসে যেতো।
আপনি লিখেছেন,"তো এরপরও ফয়জুর রহমান সাহেব নিশ্চয়ই পাকিস্তান পুলিশে ৪ মে কি করছিলেন ? আর মারা গেলেন তো আরো পরে।"
আপনিই ভেবে দেখুন যাকে নিয়ে এত তর্ক হচ্ছে তার মৃত্যু তারিখটা পর্যন্ত আপনি জানেন না। কিন্তু তবু জেদ ধরে বসে আছেন শহীদ ফয়জুর রহমান রাজাকার। আপনার প্রশ্নের উত্তর হল, "৪ মে উনি মারা গিয়েছিলেন, মারা গেলেন তো আরো পর এই কথা আপনার বলা ভুল হয়েছে"
আপনি লিখেছেন," সারা দেশের পুলিশের অস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে চলে আসে এপ্রিলে। .। অস্ত্র দিয়ে অফিসে বসে ছিলেন কিসের আশায় ?"
আমাকে কোন প্রমাণ দিতে পারেন সারাদেশে কয়টা অস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে চলে আসে? জানি পারেন না। কারণ এমন কোন প্রমাণই নেই। এপ্রিল মাসে সারাদেশব্যাপী মুক্তিযোদ্ধারা মিলিটারির মার খাচ্ছিলো, কারণ মাত্র ১ মাসে কৃষক শ্রমিক জনতা প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনীর সাথে যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত ছিলনা। ভারত তখন ভালোভাবে মুক্তিযোদ্ধা ট্রেনিং শুরুই করেনি, অস্ত্র দেওয়া তো পরের কথা। থানা ২-৪ টা বাদে তখনও কিছুই লুট হয়নি। তখন পাকিস্তান সেনাবাহিনী মাত্র থানা গুলোতে গিয়ে ক্যাম্প করা শুরু করেছে। আর আপনি বললেন, ফয়জুর রহমান অফিসে বসে কী করছিলেন!
ফয়জুর রহমান ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিলের মধ্যে মাত্র ২ বার অফিস গিয়েছেন। প্রথমবার সব অস্ত্র সংগ্রহ করে মুক্তিযোদ্ধাদের দিতে এবং দ্বিতীয়বার মারা যেতে। উনি জানতেন তার মরণ হবেই, তাই ভয় পান নি। দেশের জন্য একদম প্রথমদিকে যে সন্তানেরা প্রাণ দিয়েছিল তার সারিতেই য়াছেন শহীদ ফয়জুর রহমান।

২১| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৩৮

চুলবুল পান্ডে বলেছেন: ফাফর লুইচ্চা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.