নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু।

আস সালাম - আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক

উম্মু আবদুল্লাহ

তোমরা মুসলিম হয়ে আমাকে ধন্য করেছ, তা মনে করো না। বরং আল্লাহ ঈমানের পথে পরিচালিত করে তোমাদের ধন্য করেছেন। (হুজুরাত:১৭)

উম্মু আবদুল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইতিহাস বিকৃতির দায় নিয়ে সুলতান সুলেমান

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:২৫




ব্যস্ত জীবনে সময় বের করা অত্যন্ত দুরূহ। কিন্তু উপায় নেই। দুকলম হলেও লিখতে হবে।

বিষয়বস্তু হল: ম্যগনিফিসেন্ট সেনচুরি। বাংলায় সুলতান সুলায়মান। যা দীপ্ত টিভিতে ধারাবাহিক ভাবে দেখানো হচ্ছে।
এই সিরিয়ালের ইতিহাস বিকৃতি মোটামুটি ভাবে প্রমানিত। সিরিয়ালটির নির্মাতারাও তা অস্বীকার করেন নি। কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সুলায়মানের পরিচয় একদম নূতন একজন বলে সিরিয়ালটির ইতিহাস বিকৃতি বাংলাদেশের সাধারন মানুষের কাছে তেমন পরিচিত নয়। এক সাইটে একজনকে দেখলাম ইবরাহিম পাশাকে ধুয়ে ফেলছে নিগারের সাথে সম্পর্ক করার জন্য। নাসু এফেন্দিকে নিন্দা করছে ইবরাহিম নিগারকে সহায়তা করার জন্য। অথচ আসল সত্য হচ্ছে - নিগার এই সিরিয়ালের একটি কাল্পনিক চরিত্র মাত্র - বাস্তবতার সাথে এর নেই কোন যোগসূত্র। বাস্তবের রিসার্চ বরং উল্টোটাই বলে - ইবরাহিম এবং তার স্ত্রীর সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত চমৎকার।

সুলতান সুলায়মান পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে ক্ষমতাশালী শাসকদের একজন। ক্ষমতাবান হবার পাশাপাশি তিনি প্রজাবৎসল এবং ন্যায় পরায়ন। প্রজাবাৎসল্যে ধর্ম বর্নের কোন ভেদাভেদ তিনি করেন নি, যদিও সেসময়টাতে অন্যান্য রাজ্যে নানারকম ভেদাভেদ করা হত। সততা এবং ন্যায়পরায়নতার বিষয়গুলোতে তিনি কখনও আপোষ করেন নি। এই কারনে তুর্কী এবং পশ্চিমা ইতিহাসবিদগন একমত হয়ে তাকে "ম্যাগনিফিসেন্ট" উপাধি দেন। সুলায়মানের সুশাসন ইতিহাস স্বীকৃত একটি বিষয় এবং এ নিয়ে দ্বিমত পোষনের তেমন কোন অবকাশ নেই।

কিন্তু "ম্যাগনিফিসেন্ট সেনচুরি" নামক সিরিয়ালটি দেখার পরে অবশ্য মানুষ জনের মনে প্রশ্ন উঠতে পারে সুলায়মান আসলে কতটুকু "ম্যাগনিফিসেন্ট"? এর কারন এই সিরিয়ালে সুলায়মানকে অনেক ক্ষেত্রে সঠিক ভাবে উপস্থাপন করা হয় নি। খুব সংক্ষেপে আমি "সুলতান সুলায়মান" সিরিয়ালের কয়েকটি ইতিহাস বিকৃতি উল্লেখ করছি:

১। অটোম্যান সাম্রাজ্য হারেম নির্ভর এবং এর পৃষ্ঠপোষক। মধ্যযুগের প্রচলিত হারেম প্রথা অটোম্যান সাম্রাজ্যে প্রায় ১৯০৮ শতক পর্যন্ত চালু থাকে। পরবর্তীতে তুর্কীদের সমালোচনার কারনে এবং দাস প্রথা বিলুপ্তির সাথে সাথে হারেম প্রথাও লোপ পায় (যা অন্য ইতিহাস)। অটোম্যান সাম্রাজ্য বেশ কিছু কারনে এই হারেম কেন্দ্রিক বহুগামিতাকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিল। সুলতান যাতে কোন একক নারীর দ্বারা বিভ্রান্ত না হতে পারেন এবং সুলতানের যাতে উত্তরাধিকার নিশ্চিত হয়।

সুলতান সুলায়মানের হারেমের নারীদের মধ্যে তার মূল সংগিনী ছিলেন তিন জন: হুররেম, মাহিদেবরান এবং গুলফাম। এক পর্যায়ে হুররেমকে তিনি বিয়ে করেন। হুররেমকে বিয়ের পর সুলায়মানের জীবনে আর কোন নারী ছিল না। হুররেমই ছিল সুলায়মানের প্রকৃত জীবন সংগিনী। এই বিষয়টিকে এই সিরিয়ালে বিকৃত করা হয়েছে "ফিরোযে হাতুন" নামক এক কাল্পনিক চরিত্রকে এনে।

২। নিগার কালফার কাল্পনিক চরিত্র দিয়ে ইবরাহিম পাশার চরিত্র বিকৃতি।

৩। এর পরবর্তীতে দেখানো হবে, শাহ সুলতানা কর্তৃক আয়াজ পাশা খুন হন। কিন্তু এটাও ইতিহাস বিকৃতি। আয়াজ পাশা রোগে ভুগে মারা যান। তিনি খুন হন নি।

৪। এই সিরিয়ালে শাহজাদা মেহমেতকে খুন করেন মাহি দেবরান। এটাও ইতিহাস বিকৃতি। শাহজাদা মেহমেত রোগে ভুগে মারা যান।

৫। সরাই খানায় নাসু এফেন্দি এবং মালকুচোগলো বালি বের মদ্যপান। এটা অসম্ভব কারন সুলতান সুলায়মানের সময় মদ্য পান নিষিদ্ধ ছিল। পরবর্তীতে তার পুত্র সুলতান সেলিম মদ্যপানের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেন। সরাইখানায় নর্তকীদের এরকম প্রকাশ্য নাচও অসম্ভব।

এছাড়াও হারেম কেন্দ্রিক যেসব ঘটনা দেখানো হয় তার বেশীর ভাগই কল্পিত। সাদেকা/ভিক্টোরিয়া, নিগার কালফা, প্রিন্সেস ইসাবেলা, ফিরোযে হাতুন - এই সবই কাল্পনিক চরিত্র।

এই সিরিয়ালে যাদের চরিত্র বিকৃত করা হয়েছে তাদের একজন হলেন মালকুচোগলো বালি বে। বালি বে ছিলেন একজন অত্যন্ত সাহসী যোদ্ধা এবং বসনিয়ার সন্জক বে। আপনারা এই সিরিয়ালের বদৌলতে জেনেছেন মোহাক যুদ্ধের কথা। মোহাক যুদ্ধ ইতিহাসের দ্রুততম বিজয়ের যুদ্ধ। অটোম্যন বনাম হাংগেরীর রাজা লুই। ইতিহাসের পাতায় এই যুদ্ধ অদ্বিতীয় হয়ে রয়েছে "দ্রততম বিজয়ের যুদ্ধ" হিসেবে। এই মোহাক যুদ্ধের মূল সেনাপতি ছিলেন ইবরাহিম পাশা। আর বাকী দুইজন ছিলেন বালি বে এবং বাহরাম পাশা। হাংগেরীতে থাকার সময় অটোম্যান কমান্ডার বালি বে একটি মসজিদ তৈরী করেন (ছবিতে সেই মসজিদটি দেখুন)। দৃষ্টি নন্দন এই মসজিদটি অনেক দিন সবার অগোচরে ছিল। হাংগেরীতে ১৯৬৯ সালে তা পুনরায় আবিষ্কৃত হয় অটোম্যান প্রত্নতত্ত্ব হিসেবে। এখন এটি একটি মিউজিয়াম এবং নামকরা পর্যটন কেন্দ্র। ১৯৯৩ সালে এটি ইউরোপের সেরা "আর্কিটেকচারাল মারভেল" হিসেবে নির্বাচিত হয়ে নসট্রা পদক লাভ করে।



আর নাসুবন্দী এফেন্দি? তাকে তো বলা হয় মুসলমান "লিওনার্ডো দ্য ভিনসি"। সিরিয়ালের এই চরিত্র বিকৃতি বড়ই পীড়াদায়ক। নীচে নাসু এফেন্দির ছবি এবং তার আকা একটি শহরের ম্যাপ।





মন্তব্য ৩৭ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৩৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৫:৩৬

রডারিক বলেছেন: ধন্যবাদ সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য।

২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ ভোর ৬:২৭

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: সহমত

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৫৩

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:১৫

একজন সত্যিকার হিমু বলেছেন: ধন্যবাদ প্রকৃত তথ্যবহুল পোস্টের জন্য ।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৫৩

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও। অত্যন্ত সংক্ষেপে এই পোস্ট লেখা। অটোম্যান কমান্ডার/জেনারেলদের সাহসিকতা, বীরত্ব এবং ধর্মানুরাগ অত্যন্ত প্রানবন্ত। এক পারগালি ইবরাহিম পাশার অবদান নিয়েই তো পৃষ্ঠার পৃষ্ঠা লিখে ফেলা যায়। তিনি ইমাম আবু হানিফার কবর আবিষ্কারক। কিন্তু সিরিয়ালটিতে দুঃখজনকভাবে এইসব সাফল্য/অবদানের কথা খুব কমই এসেছে।

৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:২৮

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: দুঃখ পেলাম, কি দরকার ছিল ইতিহাস বিকৃতি করার?!!

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩১

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ব্যবসা আর কি!!!

৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:১২

রিফাত হোসেন বলেছেন: dorshok tante hobe to :)

৬| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫৬

এম এ মুক্তাদির বলেছেন: ei sob likhe ki ar ei okhadyo bostute dorsok Tana zabe ?

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: না টানা গেলে তো ভালই হত। কিন্তু প্রকৃত সত্য হল, এই সিরিয়ালটি তার নির্মানশৈলীর কারনে প্রায় প্রতিটি দেশে ব্লক বাস্টার হিট করেছে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: Click This Link

আপনার জন্যে নিউ ইয়র্ক টাইমসের লিংকটা দিলাম। হাজারো সমালোচনা সত্ত্বেও এই সিরিয়ালটির "আকাশচুম্বী রেটিং" নিয়ে লেখা হয়েছে। এছাড়া সিরিয়ালটি প্রচুর ব্যবসা করেছে। আরো জানতে চাইলে আমি আরো লিংক দিতে পারব।

না জেনে এরকম ফালতু মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকাটাই ভাল।

৭| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:২০

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমরা টিভিতে নির্মিত কোন সিরিয়াল যখন দেখি তখনই তো আমাদের ভাবা উচিৎ এটি সত্যে মিথ্যা মিশিয়ে বানানো।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:০১

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ইতিহাস নির্ভর সিরিয়াল দেখে দর্শক সেটা মনে নাও করতে পারেন।

ইতিহাস বিকৃতি থাকা সত্ত্বেও এটা মানতে হবে যে এই সিরিয়ালটি যথেষ্ঠ খেটেখুটে এবং পড়াশোনা করে তৈরী করা হয়েছে। ইতিহাস খ্যাত দুই জন ইবরাহিম পাশা এবং রুস্তম পাশার ব্যক্তি চরিত্র একদম সুনিপুন ভাবে তুলে ধরা হয়েছে যদিও অনেক ক্ষেত্রে বানোয়াট ঘটনার আশ্রয় নেয়া হয়েছে। রুস্তম পাশার বীরত্ব অসীম কিন্তু তা সত্ত্বেও তুর্কীদের কাছে তার ভাবমূর্তি নেতিবাচক কারন তিনি শাহজাদা মুস্তফা হত্যার সাথে জড়িত। অন্যদিকে ইবরাহিম পাশার নানা দোষত্রুটি সত্ত্বেও তিনি তুর্কীদের ভালবাসা পেয়েছেন। প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া ইবরাহিম পাশাকে তুর্কীরা আবার দাড় করিয়েছে আমাদের সামনে শুধু সেই ভালবাসার খাতিরে। এই সিরিয়ালটিতে সেরকম ভাবে এই দুইজনকে দেখানো হয়েছে।

৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:০৪

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এটা সিরিয়াল, এটার বাণিজ্যিক একটা উদ্দেশ্য আছে। সেখানে কিছু কাল্পনিক চরিত্র থাকবে। প্রেমের রসায়ন থাকবে। ইতিহাসের বিকৃতিও থাকবে। কারণ সেটি না হলে দর্শক সমালোচনা করবে না। আর সমালোচনা না করলে জনপ্রিয়তা পাবে না।

বাস্তবেও অনেক ইতিহাস বিকৃত হয়ে যায় আর এটা সিরিয়াল।

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ইতিহাস নির্ভর গল্পে ইতিহাসের প্রতি ন্যুনতম দায়বদ্ধতা থাকা উচিত। এই সিরিয়ালটিতে সেরকম হয় নি।

ইবরাহিম পাশাকে নিয়ে যেরকম পরকীয়া কাহিনী ফাদা হয়েছে তা যদি বাংলাদেশে ভাসানী ওসমানীদের নিয়ে করা হয় তাহলে কি তা বাংলাদেশী কেউ ভালভাবে নেবে? স্রেফ ইবরাহিম পাশা পাচশত বছর আগের ব্যক্তিত্ব সেজন্যে তার সম্পর্কে বানোয়াট গল্প বানিয়ে ব্যবসা করাটা কোনভাবেই উচিত হতে পারে না।

৯| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪৬

জাহিদুল ইসলাম ২৭ বলেছেন: সবই যদি সত্যি দেখানো হতো তাহলে এটা সিরিয়াল না হয়ে ডকুমেন্টরি হয়ে যেত।অনেক কিছু জানতে পারলাম এই লেখা থেকে ।সরাসরি প্রিয় তে।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০৫

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: সিরিয়ালটির সাথে জড়িতরাও এ ধরনের মন্তব্য করেছেন যে, "আমরা তো আর ডকুমেন্টারী বানাইনি। ঘটনা প্রবাহ তো উল্টো পাল্টা হতঐ পারে।" কিন্তু এই সিরিয়ালটিতে অনেক মৌলিক বিষয়কে ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

ইস্তাম্বুলের এক তুর্কী মেয়ের সাথে একবার আমার পরিচয় হয়েছিল। আমি তাকে বলেছিলাম এই ম্যাগনিফিসেন্টের কথা। এদিকে সে জানাল যে এই সিরিয়ালটি সে দেখেনি। বিকৃতির জন্য। হেরেমের নারীদের যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে তা মোটেও বাস্তব সম্মত নয়। তার নিজের সাবজেক্টও অটোম্যান ডাইন্যাস্টি। প্রতিষ্ঠিত ঐতিহাসিক বিষয়গুলোকে ভুলভাবে উপস্থাপনের কারনে এই মেয়েটির মত অনেক তুর্কীই সিরিয়ালটির উপরে বেশ বিরক্ত।

ধন্যবাদ আপনাকে। অটোম্যান আর্কিটেকচার পৃথিবীর অন্যতম সেরা বিষয়। এদিকে অটোম্যান ডাইন্যাস্টির মত গুরুত্ববহ বিষয়গুলো বাংলাদেশের মানুষ খুব কম জানেন। এই বিতর্কিত সিরিয়ালটির কদর বাংলাদেশে বাড়ার সেটাও একটি কারন।

১০| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৫৬

নতুন নকিব বলেছেন:



টিভি দেখা হয় না। সিরিয়াল টিরিয়াল কোন কিচ্ছুই না। তাই এই সিরিয়ালটির গঠন, চরিত্র, উপাদান, এক কথায় এর সার্বিক গাঁথুনি নিয়ে কথা বলা আমার উচিত হবে না- মনে করি। তবে যে কথাটি বলতে পারি, গত রমজান মাসে ইফতারির পূর্ব মূহুর্তে দু এক দিন ঘটনাচক্রে টিভি টিউন করার সুযোগ হয়, যে সময়ে এই সিরিয়ালটি চলছিল। তো এর ভক্ত মাতোয়ারা কিছু দর্শকের কাছ থেকে খুটিয়ে খুটিয়ে জেনে এর যে বিবরন অবগত হই তাতে অনায়াসে এটিকে মুসলিম জাতির আদর্শ তথা ইসলাম ধর্মের বিকৃতির অভিযোগ থেকে কোনক্রমেই রেহাই দেয়া যায় না।

আপনার লেখায় সিরিয়ালটির বিরুদ্ধে ইতিহাস বিকৃতির বিষয়টি উঠে এসেছে। এটাও এর অন্যতম আরেকটি নিন্দনীয় দিক। বিগত দিনের শক্তিমান অটোমান মুসলিম শাসক এবং সালতানাতের কেন্দ্রীয় পর্যায়ের চরিত্রগুলো নিয়ে ব্যবসার ধান্ধায় যারা এই জাতীয় প্রশ্নবিদ্ধ সিরিয়াল নির্মান করেছে - আমার মতে এদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে বিনাশ্রমে উপযুক্ত ডাল-ভাতের ব্যবস্থা করার প্রয়োজনীয়তা রাষ্ট্রীয়ভাবে তুরস্ক উপলব্দি করতে পারে।

বিবরনে যতটুকু জেনেছি, ইসলামের অন্যতম ফরজ হুকুম পর্দাকে এখানে একরকম ছুঁড়ে ফেলে দেয়া হয়েছে। উপরন্তু পর্দা প্রথা পালনে সুলতানের পারিবারিক ইসলামী ঐতিহ্যকেও ধূলিস্যাত করেছে বানিজ্যলোভী চক্রটি। এসব নানান অসঙ্গতি আর ইতিহাস বিকৃতির অসংখ্য দায় এড়িয়ে এটির নির্মাতাচক্র কিভাবে ছাড় পেতে পারে- আমার জানা নেই।

গুরুত্বপূর্ন বিষয় আলোকপাতে আনায় অভিনন্দন।

এই প্লাটফর্মের পুরনোদের মধ্যে আপনি অন্যতম।

ভাল থাকবেন।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:৩৭

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: স্টুডিওতে মানুষ গিয়ে পচা ডিম ছুড়লেও আইনী ব্যবস্থা নেয়া হয় নি। মনে হয় তুরষ্কে সেরকম আইন নেই। সুলায়মান এবং অটোম্যান সম্পর্কে যাদের খুব ভাল ধারনা নেই তারা এই সিরিয়াল দেখলে প্রকৃত ধারনা পাবেনা। বরং উল্টো ধারনা পেতে পারে।

১১| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৫

নতুন নকিব বলেছেন:


উত্তরে প্রীত।

অনেক অনেক শুভ কামনা। ভাল থাকবেন নিরন্তর।

২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪৫

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আপনিও ভাল থাকুন। মাঝে মাঝে নেট খুব ডিস্টার্ব করে। মন্তব্যের জবাব দিতে দেরী হবার এটাও একটি কারন।

১২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ১০:১৮

আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: ইব্রাহিম পাশা ও শাহজাদা মুস্তফার মৃত্যুকে টার্কি ঐতিহাসিকরা অটোমানদের ট্রাজেডি হিসাবে বিবেচনা করে থাকে

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:০৯

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: অবশ্যই ট্রাজেডি। ইবরাহিম পাশার না হয় দায় ছল, কিন্তু মুস্তফা সম্পূর্ন নির্দোষ। এবং মুস্তফা অসাধারন যোগ্যতা সম্পন্ন এবং ধর্মভীরু ছিলেন।

১৩| ১৯ শে মে, ২০১৭ দুপুর ২:৩২

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সঠিক তথ্য জানানোর জন্য ধন্যবাদ।

২০ শে মে, ২০১৭ রাত ১০:০৫

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকেও।

১৪| ২৮ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৭

স্বতু সাঁই বলেছেন: হায় রে খোদা! তুই কোথায়? কার কথা বিশ্বাস করি?!

২৮ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: শুধু নিজেকে বিশ্বাস করুন। ধন্যবাদ।

১৫| ২৮ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৫

স্বতু সাঁই বলেছেন: যে যেভাবে শান্তনা পেতে চায়। এই আর কি?!

১৬| ২৮ শে জুন, ২০১৭ রাত ১১:৫৯

স্বতু সাঁই বলেছেন: তাহলে তো কারও কথা শুনার প্রয়োজন পড়ে না।

২৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: নিজের উপর সেরকম বিশ্বাস থাকলে অন্য কাউকে প্রয়োজন নেই। তবে অন্যদের কথা আমাদের মত সাধারন মানুষরা শোনে, সেটা নিয়ে ভাবে এবং তার পর ঠিক করে কোনটা বিশ্বাস করতে হবে।

১৭| ২৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ১০:১৮

স্বতু সাঁই বলেছেন: সাধারণ মানুষেরা কখনও ভাবেই না। তাই তাদের নিজস্ব ভাবনা বলে কিছু থাকে না। অন্যের ভাবনার উপর তাদেরকে নির্ভর করতে হয়।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪২

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: এক সময় তারাও ভাবতে শিখবে.............।

মানুষ স্বভাবগত ভাবে কৌতুহলী এবং চিন্তাশীল প্রানী।

১৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০১

জাহিদ হাসান বলেছেন: আমি এক প্রকার বাধ্য হয়েই সুলতান সুলেমান নিয়মিত দেখি। একদম প্রথম থেকেই।
কারন আম্মু ও ছোটবোন এর পাগল।তারা এর কোন পর্বই এরা মিস দেয় না।
কিন্তু এই সিরিয়ালের বেশিরভাগ দৃশ্যই খুব লজ্জাকর। নোংরামীতে ভর্তি একটা সফটপর্ণ সিরিয়াল। একের পর এক অ্যাডাল্ট-দৃশ্য দেখানো হচ্ছে। দাসীদের সাথে সুলেমান, শাহজাদা, উজির-উমরাদের সাথে বাজে মেয়েদের অন্তরঙ্গতা,সরাইখানার নোংরামী, গোসলখানার দৃশ্য, দাসীদের উদ্দাম নাচ -আরও কত কি।
ইতিহাসের মস্ত বিকৃতি এই সিরিয়ালটি। কোন বাধা ছাড়াই চলছে এই রক্ষনশীল বাংলাদেশে। মুসলিম জাতির গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস জানার নামে আমরা কোন যাচাই-বাছাই ছাড়াই এগুলো গিলছি।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: সিরিয়ালটি পশ্চিমে ব্যবসা করার উদ্দেশ্যে নির্মিত।

যতসব নোংরামি দিয়ে সিরিয়ালটি ভর্তি। দীপ্ত টিভি কিছুটা সেন্সর করেছে, তারপরেও ভয়ানক অবস্থা।

আরো অনেক বেশী সেন্সর করা উচিত ছিল।

১৯| ০২ রা জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৯

জাহিদ হাসান বলেছেন: দীপ্ত টিভি কিছুটা সেন্সর করেছে, তারপরেও ভয়ানক অবস্থা।

এই কথাটি সত্য। এত সেন্সর করার পরেও যদি অশ্লীলতা মুছে ফেলা না যায়,তাহলে সেই সিরিয়াল ডাবিং করে চালানোর কি দরকার?

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:১৮

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আপনার কথায় যুক্তি রয়েছে।

এই সিরিয়ালটি নিয়ে অনেক হৈ চৈ হয়েছে। যা নিয়ে হৈ চৈ হয়, তার প্রতি মানুষের একটি স্বাভাবিক আকর্ষন থাকে। এছাড়া অটোম্যান ডাইন্যস্টি এখনও পৃথিবীর মানুষকে সবচেয়ে বেশী টানে। দেখুন, আপনি আমিও কিন্তুূ এই সিরিয়ালটি দেখছি। বিশেষত আমাদের মত মানুষরা যেখানে অটোম্যান ডাইন্যাস্টির বিষয়ে খুবই কম জানে, তাদের কাছে সিরিয়ালটির আবেদন থকবেই। টিভি চ্যানেলগুলো সেই সুযোগ লুফে নেবেই।

আরো বেশী সেন্সরশিপ দিয়ে সিরিয়ালটিকে গ্রহনযোগ্য করাটাই ছিল জরূরী। তাতে করে বাংলাদেশের মত দেশে এর জনপ্রিয়তা আরো বাড়ত।

০২ রা জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:২৫

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আরেকটি কথা। অন্ততপক্ষে বাংলাদেশের মানুষ অশ্লীলতার জন্য এই সিরিয়ালটি দেখে না। বরং সিরিয়ালটি অশ্লীলতা মুক্ত থাকাটাই বাংলাদেশের মানুষ বেশী ভালবাসে। সেকারনে হলেও দীপ্ত টিভির আরো বেশী সেন্সর করা উচিত। দাসীদের সাথে শাহজাদা/সুলতানের ঘনিষ্ঠতা এইসব দৃশ্য খুবই বিরক্তিকর - এগুলো একেবারেই কাটছাট করা উচিত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.