নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু।

আস সালাম - আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক

উম্মু আবদুল্লাহ

তোমরা মুসলিম হয়ে আমাকে ধন্য করেছ, তা মনে করো না। বরং আল্লাহ ঈমানের পথে পরিচালিত করে তোমাদের ধন্য করেছেন। (হুজুরাত:১৭)

উম্মু আবদুল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কাশেম বিন আবু বকর

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৪৬

হৈ চৈ বাধিয়ে দিয়েছেন তিনি। কারন ডেইলী মেইল তাকে নিয়ে লিখেছে। দেশের পত্র পত্রিকায় যার নামে এক লাইন নেই, তিনি কিনা ডেইলী মেইলের রিপোর্টের বিষয় বস্তু হয়েছেন!

তিনি বাংলাদেশের সর্বাধিক বিক্রিত লেখকদের একজন। এটি চাট্টিখানি কথা নয়। যারা তার এই সাফল্যকে "চটি লেখক" বলে উড়িয়ে দিতে চান, তারা নিতান্তই হীনমন্যতায় ভুগছেন। কারন "চটি লেখক" রা স্বনামে লিখতে সাহস পান না, তাদের নিয়ে ডেইলী মেইল প্রতিবেদনও প্রকাশ করে না। সমাজের এক বিশাল অংশের মন ছুয়ে যাবার ক্ষমতা যিনি রাখেন তকে তুচ্ছ জ্ঞান করতে পারে শুধু আহাম্মকরাই। ডেইলী মেইল সেই আহম্মকদের একজন নয়। তাই স্বীকৃতি দিয়েছে তার সাফল্যকে। সমাজের এই অংশটি সাহিত্যের মূল স্রোতে ঠাই পায় নি। কিছু ক্ষেত্রে তাদের দেখা পেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখানো হয়েছে নেতিবাচক দৃষ্টিকোন থেকে। সেক্যুলারিস্টরা ধরেই নিয়েছে "ফুল কি, পাখী কি যারা চেনে না, তাদের নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই।"

"এএফপি বলছে, স্যেকুলার লেখকরা এমন এক দুনিয়ার গল্প বলেছে, যেখান থেকে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের প্রধান অংশের গ্রামীণ ও ধর্মীয় জীবনের অস্তিত্ব মুছে ফেলা হয়েছে। কাশেম এই শূন্যতার বিষয়টি অনুধাবন করে তার উপন্যাসের বাজার গড়ে
তুলেছেন।"


এই ব্লগে তার লেখালেখি নিয়ে কিছু আলোচনা হয়েছে। তা থেকে যা বুঝতে পারছি তা হল তার উপন্যাসের বিষয় বস্তু রক্ষনশীল মুসলিম পরিবেশ। উপন্যাসের নায়িকা বোরখা পড়েন আবার প্রেম প্রত্যাখ্যান করার মত চারিত্রিক দৃঢ়তা দেখাতে পারেন না। সেখানে তিনি দুর্বল।
ধর্মীয় অনুশাসনের কঠোর অনুশীলনের মধ্যে থেকেও আত্ম নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তার উপন্যাসের পাঠকরাও মূলত সেই পরিবেশ থেকে আসা। যারা উপন্যাসের কাল্পনিক জগতের মধ্যে হারিয়ে যেতে চায়, ক্ষনিকের জন্য নিজেকে নিয়ে যেতে চায় এক স্বপ্নের জগতে। যেখানে রোমান্স করতে হলে ইসলামকে বিসর্জন দিতে হয় না।

তারপরেও কিছু কথা বাকী থেকে যায়। কাশেম বিন আবু বকরের পাঠকের অভাব নেই, তার উপন্যাস হট কেকের মত বিক্রি হয়ে যায়। কিন্তু তিনি কি কালোত্তীর্ন সাহিত্যিক হবার যোগ্যতা রাখেন? এই প্রশ্নটি রাখছি, তবে তার জবাব আমার কাছে নেই। জবাব পেতে হলে তার বই পড়তে হবে। তাকে মূল্যায়ন করতে হবে তার সৃষ্টিশীলতা দিয়ে। অতীতে রোমেনা আফাজ নামে এক লেখিকা "দস্যু বনহুর" নামে এক মেগা সিরিয়াল লিখে তোলপাড় করে দিয়েছিলেন। আজ তিনি কোথায়? মিডল স্কুলে থাকতে যে বই আমাকে সম্মোহিত করে রাখতে, সে বই আজ দেখলে ছুড়ে ফেলতে ইচ্ছে করে।

কিন্তু কালোত্তীর্ন লেখক হতে গেলে যে সমস্ত সৃষ্টিই অসাধারন হতে হবে তা কিন্তু নয়। ইমদাদুল হক মিলনের উপন্যাস পড়তে বসে প্রেমের ঘ্যানঘ্যানানি দেখে বিরক্তের চোটে বইটাই ছুড়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু তার অন্য আরেকটি বই পড়ে স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিলাম যে তিনি শক্তিশালী লেখক। তবে এও সত্য যে লেখকের শক্তিমত্তাকে সাধারন কোন ইকুয়েশনে ফেলা যায় না। ব্যবসা সফল লেখিকা আগাথা ক্রিস্টির কথাই ধরা যাক। তার লেখালেখিতে চরিত্রগুলো মূলত এলিট সমাজের। অথচ সমাজের সর্বস্তরের পাঠকের কাছে তিনি পাঠক প্রিয়তা পেয়েছেন। বাইবেল এবং শেকসপীয়রের পরেই তিনি স্থান করে নিয়েছেন ব্যবসা সফল লেখিকা হিসেবে। তার উপন্যাসের চরিত্রগুলোর ভেতরের জটিলতাকে সফল ভাবে তুলে ধরে ধরেছেন বলে সাহিত্যিক হিসেবেও তিনি সব মহলের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পেয়েছেন। যার ফলে সার্বজনীন না হবার সীমাবদ্ধতা থাকলেও ক্রিস্টির অবস্থান এবং অবদানকে কারো পক্ষে অস্বীকার করা সম্ভব নয়।

কাশেম বিন আবু বকরের স্থান ইতিহাসে কোথায় হবে? তিনি কি রোমেনা আফাজের মত বিস্মৃতির অতল তলে একসময় হারিয়ে যাবেন? নাকি, ক্রিষ্টির মত সময়কে পরাজিত করে মানুষের হৃদয়ে নিজের আসন গেড়ে নেবেন?

সবাইকে শুভ কামনা।

মন্তব্য ২২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১১:৫৫

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: একটা জোম্বিকে প্রাণ দেয়ার অপচেষ্টা করছে যেন কারা!

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:০৮

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "জোম্বি" বলতে আপনি কি কাশেম বিন আবু বকরকে বোঝালেন? কিন্তু তার সাফল্যকে আপনি কি করে অস্বীকার করবেন? তিনি তো নিজের যোগ্যতা প্রমান করেছেন।

২| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:১২

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: জোম্বির ডেফিনিশন দেখে আসুন।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:২১

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: দেখলাম। কিন্তু "প্রান দেবার অপচেষ্টা" বিষয়টি বুঝতে পারছি না। প্রান তো দিয়েছেন তার পাঠকসমগ্র। সেই খানেই তো তার বিরোধী পক্ষ নাজেহাল।

৩| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১২:৫৫

মানবী বলেছেন: উপন্যাসের নায়িকা বোরখা পড়ে বলেই ‌কাশেম বিন আবু বকরকে নিয়ে এমন হৈচৈ কিনা বুঝতে পারছিনা!
এর আগে আর কোন উপন্যাসের নায়িকা বোরখা পড়েছে কিনা মনে করতে পারছিনা, তবে পড়েছে নিশ্চয়!

সম্পূর্ণ অজানা এক বিষয়ে এই পোস্ট পড়ে কিছুটা ধারনা পেলাম, স্পষ্ট ধারনা পেতে আরো পড়তে হবে।

আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে সম্পূর্ণ নাম না জানা এক লেখককে নিয়ে এধরনের হট্টগোল দেখে জানতে ইচ্ছে করছে তিনি উপন্যাস ইংরেজীতে লিখেছেন না বাংলায়! একটি মাত্র উপন্যাস নিয়েই সব আলোচনা না তাঁর লেখার সামগ্রিক স্টাইল!

ধন্যবাদ উন্মু আব্দুল্লাহ্।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:১৮

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। সিনিয়র ব্লগারদের মন্তব্য পেলে খুব বাড়াবাড়ি রকমের ভালো লাগে।

ব্লগে হৈ চৈ হচ্ছে নাম না জানা একজনকে নিয়ে বিদেশী মিডিয়ায় রিপোর্ট হবার জন্যে। আর হ্যা, ডেইলী মেইল ঐ রিপোর্টটি করেছে বাংলাদেশের ইসলামীকরনের স্বরূপ তুলে ধরার জন্য। রিপোর্টটি এখানে: Click This Link

সেক্যুলার সাহিত্যে গ্রামীন মূল্যবোধ এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ উপেক্ষিত। অথচ তারাই বাংলাদেশের প্রান। এদের কাছে পৌছুতে পেরেছেন আবু বকর কারন আবু বকরের উপন্যাসের চরিত্ররা ধর্মীয় মূল্যবোধ বিসর্জিত নয়। এই চিত্র বাংলাদেশের ইসলামীকরনকে তুলে করছে। যা আশংকা মুক্ত নয়। কারন কন্যা শিশুর স্কুল ভর্তি কিংবা লিংগ সমতাসহ যেসব ইস্যুতে বাংলাদেশ এগিয়ে গিয়েছে সেগুলো হয়তবা ঝুকির মধ্যে পড়তে পারে। ডেইলী মেইলের রিপোর্টের মূল অংশ এটাই।

৪| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:২৭

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: একই বিষয় নিয়ে বেশী পোস্ট হয়ে যাচ্ছে। তিনি যদিও একটা বিশেষ শ্রেণীর পাঠক সৃষ্টি করেছেন তারপরও তিনি বিশাল এক শ্রেণীর কাছে হাস্যকর হয়ে গিয়েছেন ইসলামকে ব্যবহার করার কারণে। একদিকে মুক্তমনারা হাসাহাসি করছে এটা নিয়ে আর অন্যদিকে সাধারণ মুসলমান রাও যারা বেশী ধার্মিক না হলেও প্রেম ভালোবাসার সাথে ইসলামের সহাবস্থান সমর্থন করতে পারছে না। একই আমরা(মুসলমান) গান শুনি, সিনেমা দেখি সব গুনাহর কাজ করি কিন্তু আমরা এগুলো উপন্যাসের মাধ্যমে হলেও হালাল করার চেষ্টাকে সমর্থন করতে পারি না।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১:৪৩

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: বাংলা ব্লগের ধর্ম এটাই। বাংগালী হুজুগে টাইপের। এখন দেখবেন একলাফে কাশেমের বই বিক্রি আরো বহুগুন বেড়ে যাবে।

খ্যাতির সাথে রয়েছে বিড়ম্বনা। যে কোন খ্যাতিমানকে সমালোচনা সহ্য করতে হয়। কিন্তু সৃষ্টিশীলতা সব বাধাকেই অতিক্রম করতে পারে। আজ যারা হুমায়ূন আহমেদের কথা মনে করছেন তারা কি জানেন যে এক সময় হুমায়ূনকে "বাজারী সাহিত্যিক" বলে অবমূল্যায়ন করা হত? কিন্তু হুমায়ূন শেষতক তার অবস্থানকে দৃঢ় করতে পেরেছেন। কাশেম আবু বকরের কি হবে তা সময়ই বলে দেবে। তাকে নিয়ে আজকের এই হই চই কচলাকচলি কি ক্ষনস্থায়ী? নাকি, লেখক সাধারন পাঠকের হৃদয়ে শেকড় গেড়ে চিরস্থায়ী ঠাই গড়ে নেবেন?

"অন্যদিকে সাধারণ মুসলমান রাও যারা বেশী ধার্মিক না হলেও প্রেম ভালোবাসার সাথে ইসলামের সহাবস্থান সমর্থন করতে পারছে না। একই আমরা(মুসলমান) গান শুনি, সিনেমা দেখি সব গুনাহর কাজ করি কিন্তু আমরা এগুলো উপন্যাসের মাধ্যমে হলেও হালাল করার চেষ্টাকে সমর্থন করতে পারি না।"

১০০ ভাগ সহমত। ইসলাম সমর্থিত নয় এমন বিষয়কে ইসলামের মোড়কবন্দী করা যায় না। অবশ্য এটা লেখার স্টাইলের উপরেও কিছুটা নির্ভর করে। তার বই পড়ার সৌভাগ্য বা দুর্ভাগ্য কোনটাই হয় নি। যার ফলে বকরের লেখা নিয়ে সুচিন্তিত মতামত দেয়াটা কঠিন।

৫| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:২৬

তার ছিড়া আমি বলেছেন: ইসলামে প্রেম-ভালবাসা নিষেধ নয়, তবে প্রেমের নামে ডেটিং করা, রেস্টুরেন্টে জামাই-বউয়ের মত খাওয়া-দাওয়া করা, পার্কে বসে ফুসুর ফুসুর, তারপর ঘসা-ঘসি, ডলাডলি, তারপর আরো কত কি! তা আল্লাই ভালো জানেন, এই গুলো নিষেধ।

মহানবী যখন মদিনায় হিজরতের অনুমতি দিলেন, নিজেও হিজরত করলেন, তন্মধ্যে একজন সাহাবী হিজরত করলেন, একটি মেয়ের প্রেমে পড়ে। মেয়েটি আগেই হিজরত করে চলে গেছেন মদিনায়, অতএত ছেলেটি নিরূপায়, হিজরত না করলে প্রেমিকাকে পাওয়া যাবে না। সো হিজরত......
মহানবী ঘটনা জানতে পেরে বললেন- " সকল কর্মের ফলাফল তার নিয়্যতের উপর নির্ভর করে, যে হিজরত করলো আল্লাহ ও তার রসূলের জন্য, সে তার ফল {সওয়াব} পাবে, আর যে হিজরত করলো কোন মেয়েকে পাওয়ার জন্য সে তার ফল পাবে।"
এখানে নবীজী সাহাবীর বিরুদ্ধে প্রেম করার অপরাধে কোন এ্যাকশন নেন নাই। তবে হিজরতের সওয়াব থেকে মাহরুম।

কাশেম বিন আবু বাকারের কোন বই পড়ার সৌভাগ্য আমার হইনি। তবে যা জানতে পারছি, তাতে বুঝা যায়, তিনি কিছুটা রস-কষ দিয়েই লিখে গেছেন। তিনি নিজেকে কোখনই ইসলামিক রাইটার বলে দাবি করনে নাই। এটা তার নিজস্ব স্টাইল বলা যেতে পারে।

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:১৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "ইসলামে প্রেম-ভালবাসা নিষেধ নয়" জাতীয় কথাবার্তা দিয়ে বিয়ে বহির্ভূত রোমান্সকে হালকা করার কোন মানে হয় না।

এখন এটা ইন্টারনেটের যুগ। ছেলে মেয়েদের কি করে যেন ধারনা হয়েছে "চ্যাট" জাতীয় বিষয়গুলো ইসলামের দৃষ্টিতে ঠিক আছে। যার ফলে এই "চ্যাট" দিয়ে তারা সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিন্তু এটা কখনই ইসলাম সম্মত নয়। সুরা হুজুরাতে স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে কথোপকথনের ধরন কিরকম হতে পারে। সুতরাং প্রচলিত কনসেপ্টের প্রেম ভালবাসা জাতীয় বিষয়গুলো কখনই ইসলাম সম্মত নয়।

আমরা চাই বা না চাই, মানুষ তার সংগী খুজে নেবে জীবনের প্রয়োজনে। মানুষকে সেভাবেই সৃষ্টি করা হয়েছে। লাইলী মজনু সহ নানান কাহিনী আমরা ছোট বেলা থেকেই পড়ে আসছি। ইসলাম এখানে বিধি নিষেধের বেড়াজাল তুলে দিয়েছে। সেই বিধি নিষেধের বেড়াজালকে মানুষ তার নিজের চরিত্রের দুর্বলতার জন্যে ছিন্ন করলেও করতে পারে। আমরা কেউই নিখুত নই। আদম (আ)ও ভুল করেছিলেন। কিন্তু ইসলামের বিধি নিষেধকে অস্বীকার করে তাকে ইসলামের দৃষ্টিতে হালাল বলে চালিয়ে দিতে চাওয়াটা সঠিক পন্থা নয়।

কাশেম বিন আবু বকর তার লেখায় এই ধরনের সম্পর্ককে কিছুটা হালকা ভাবে নিয়েছেন।

৬| ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:০২

আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: কাশেম বিন আবুবকরের মেবি দুইটা বই পড়া হয়েছিলো যা আমার কাছে নিতান্তই গার্বেজ মনে হয়েছিলো এবং আমাদের অনেকের কাছে তা মনে হবে কিন্তু কথা হল আমাদের মত পাঠকদের জন্য কি কাশেম বিন আবুবকর কি ঠেকে আছে? সাহিত্যে কোয়ালিটি ব্যাপারটা আপেক্ষিক কিন্তু বিজনেস ব্যাপারটা ফিক্সড আর এই বিজনেস এ কাশেম বিন আবুবকর এগিয়ে আছে। বাংলাদেশে ৬৮ হাজার গ্রামে তার সাহিত্যের এক বিশাল বাজার তার এই বাজারের কাস্টমাররা ঠিক যে জিনিসটা চায় অর্থাৎ রক্ষনশীলতা নৈতিকতা ও রোমান্স সংমিশ্রনে এক হচপচ ফ্যান্টাসি সেই ব্যাপারটা কাশেম বিন আবুবকর সাপ্লাই দিয়ে যাচ্ছে গ্রাম গঞ্জের বই পড়ুয়াদের চিন্তা ভাবনা যেই যায়গায় কাশেম বিন আবুবকর ঠিক সেই যায়গায় স্ট্রোক দিচ্ছে, তার বাজার তৈরির জন্য তাকে প্রথম আলুতে জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক ব্যানারে কলাম লিখা লাগে নাই স্টেডিয়ামে গিয়ে মাশরাফিদের সাথে সেলফি তোলারও প্রয়োজন হয় নাই।
দিন শেষে কথা হল যে কাশেম বিন আবুবকর তো তার গেঁয়ো পাঠকদের কে তার বই গিলিয়ে ভালো টাকা উপার্জন করে নিজের ভাত কাপড়ের ব্যাবস্থা করেছে কিন্তু যেই সব শহুরে বটলার সাহিত্যিকরা আজ কাশেম বিন আবুবকরের সমালোচনা করতেসে তারা নিজেদের লেখা গুলো তাদের শহুরে প্রগতিশীল পাঠকদের কতটুকু গেলাতে পারছে, তাদের বই গুলো যতটুকু বিজনেস করছে তাতে এটলিস্ট চারুকলা বা আজিজ মার্কেটের চিপায় দাড়িয়ে গাঁজা টানার পয়সা আসছে তো?
এরা কাশেম বিন আবুবকর কে তাচ্ছিল্য করে আবার নিজেদের আলোচনায় আনার জন্য এই কাশেম বিন আবুবকর টপিকটাই বেছে নেয়
শেইম_অন

২৯ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৩৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: তার বাজার তৈরির জন্য তাকে প্রথম আলুতে জনপ্রিয় কথা সাহিত্যিক ব্যানারে কলাম লিখা লাগে নাই স্টেডিয়ামে গিয়ে মাশরাফিদের সাথে সেলফি তোলারও প্রয়োজন হয় নাই।

চমৎকার লিখেছেন।

আর হ্যা, শহুরে বটতলার ঐসব কথিত সাহিত্যিকদের জন্য করুনা ব্যতিরেকে আর কিছুই করার নেই। মানুষের মনকে ছুয়ে যাবার মত লেখা উপহার দেবার সাধ্য ক্ষমতা কিংবা যোগ্যতা কোনটাই তাদের নেই। তার জন্য প্রয়োজন সমাজকে উপলব্ধি করা, চারিপাশের বৈচিত্রময় মানুষদের অনুভব করা। সেই ক্ষমতা নেই বলেই তাদের লেখা পাঠক খায় না। এদিকে এরা আবার কাশেম বিন আবু বকরদের সমালোচনায় মূখর। আরে, কাশেমের লেখা তো অন্তত পক্ষে মানুষ গিলেছে। সেইটাই তারা করে দেখাক না কেন?

৭| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:১৫

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: ধর্মীয় অনুশাসনের কঠোর অনুশীলনের মধ্যে থেকেও আত্ম নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। এবং এটাই মানবধর্ম।।
কোন লেখকেরই দশটা বই সমান পাঠকপ্রিয়তা পায় না।। দুই/একটি লেখাই তাকে অমর করে তোলে।।
রোমেনা আফাজ, নিহারঞ্জনগুপ্তের কালোভ্রমর শুধু একটা নির্দিষ্ট শ্রেনীর জন্যই।।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:০৮

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: একদম ঠিক।

নিহারঞ্জনগুপ্তের ফ্যান ছিলাম একসময়। আমি ডিটেকটিভ বইয়ের পোকা কিনা। এখনও তার বই পড়তে ভালই লাগে। কিন্তু তার সম্ভবত পাঠকপ্রিয়তা নেই, কারন বাজারে গেলে তার বই খুব একটা পাই না।

৮| ১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৫৮

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আরে, কাশেমের লেখা তো অন্তত পক্ষে মানুষ গিলেছে। সেইটাই তারা করে দেখাক না কেন? একশতভাগ সহমত

১৪ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:০৩

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ। হ্যা, মানুষের কাছে পৌছুতে পারা একটি বড় গুন। কাশেম এটা করতে পেরেছেন। সবাই এটা পারে না।

৯| ২১ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৩

আশাবাদী মানুষ বলেছেন: কেমন আছেন ?

২২ শে মে, ২০১৭ ভোর ৪:৫৫

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আরে আপনি? কত দিন পর!

১০| ২৫ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০

বিজন রয় বলেছেন: নতুন পোন্ট দিন।

২৮ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আগে অন্যদের গুলো পড়ে নেই।

১১| ০৮ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৯:০৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


উনি বাজার বুঝতে পেরেছিলেন।

০৯ ই জুলাই, ২০১৭ ভোর ৫:৩৯

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: সেইটাই উনার সার্থকতা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.