নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু।

আস সালাম - আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক

উম্মু আবদুল্লাহ

তোমরা মুসলিম হয়ে আমাকে ধন্য করেছ, তা মনে করো না। বরং আল্লাহ ঈমানের পথে পরিচালিত করে তোমাদের ধন্য করেছেন। (হুজুরাত:১৭)

উম্মু আবদুল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফরহাদ মাজহার নাটকের অবসান জরুরী

১৪ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৮:৫২


ফরহাদ মাজহার নিয়ে নানারকম খবর পড়ছি। যতই পড়ছি ততই অবাক হচ্ছি । সবাই কিছু না কিছু লুকোচ্ছেন।

ফরহাদ মাজহার স্রোতের বিপরীতে চলা একজন মানুষ। ৯০ এর দশকে তিনি আনসার বিদ্রোহীদের সমর্থনে আর্টিক্যাল লিখে তৎকালীন বিএনপি সরকারের বিরাগ ভাজন হন। সেজন্যে তাকে জেলে যেতে হয়। সেই ফরহাদ মাজহার এবার মোটামুটি সাফল্যের সাথে শাহবাগ আন্দোলনে পানি ঢেলে তাকে নিভিয়ে দিতে সক্ষম হন। সেজন্যে তিনি আবারো সরকার সমর্থক গ্রুপের চক্ষুশূল হন। এবার সরকার পক্ষ হলেন আওয়ামী সরকার।

কে কি ভাবল তা নিয়ে থোড়াই কেয়ার করেন ফরহাদ মাজহার । রাম যদি শামকে খুন করে এবং ফরহাদ মাজহার যদি রামের সমর্থক হন তবে তার কলাম লেখার এপ্রোচটি হবে এমন যে "শামের আসলে মৃত্যুদন্ড পাওনা ছিল এবং রাম সমাজের উপকার সাধন করেছে শামকে খুন করে"। যার প্রতি পক্ষপাত থাকে, তা খুব নির্লজ্জভাবে প্রকাশ পায়। আমি নিজে যুক্তিযুক্ত এবং ব্যালেন্সল্ড লেখার অনুরাগী। যার ফলে আমি ফরহাদ মাজহারের লেখালেখির খুব একটা ভক্ত নেই। তার লেখা আমার ততটা পড়াও হয় না। শুধু শাহবাগের উপরে কয়েকটি লেখা পড়েছিলাম।

ফরহাদ মাজহারের হঠাৎ অন্তর্ধান বেশ রহস্যজনক। তিনি যদি স্বেচ্ছায় এ কাজ করে থাকেন, তাহলে এটা কেন করবেন। পুলিশ বা কেন এত কৌতুহলী হয়ে তড়িঘড়ি করে অর্চনার সাক্ষ্য নিল? পুলিশের কাছে যখন জানতে চাওয়া হল, "আপনারা কি ফরহাদ মাজহারের বিরুদ্ধে একশন নেবেন?" তখন পুলিশ উত্তর করল "তিনি তো বুদ্ধিজীবী।" এর মানে কি? আইনের চোখে তো সবার সমান হবার কথা।

আমরা সত্যটুকু জানতে চাই।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:১৩

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত ফরহাদ মাজহার ধোয়া তুলসি পাতা নয়।আপাতত তথ্য প্রমান সব ফরহাদ মাজহারের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজের গ্রহনযোগ্য বক্তব্য তাই তাকেই দিতে হবে। তবে এই অপহরন নাটক যদি তিনি করে থাকেন তবে বলতে হবে যে , তিনি বড্ড কাচা নাট্যকার!! অপহরনের ঘটনা সাজাতে চাইলে সেই রকম বেশ বাস নিতে হয়। এইরকম খোলা হাওয়ায় মার্কেট এলাকায় ঘুরে বেড়িয়ে কি অপহরন ঘটনা সাজানো যায়! বুড়ার কি ঘটে এতটকু বুদ্ধিও নেই।

১৪ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:২৪

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: সিসিটিভি ফুটেজের গ্রহনযোগ্য বক্তব্য ফরহাদ মাজহারকে দিতে হবে - আপনার কথার এই অংশটুকুর সাথে আমি একমত। "বুড়ার কি ঘটে এতটকু বুদ্ধিও নেই" - এইটার সাথেও মোটামুটি একমত বলে বিষয়টি খুব জটিল মনে হচ্ছে। তিনি যথেষ্ঠ বুদ্ধি রাখেন। এরকম বুদ্ধিমান একজন মানুষ এরকম ফালতু অপহরন নাটক সাজাবেন - এইটি মেনে নেয়া বড় কঠিন। এছাড়া তার যেরকম স্বাস্থ্য তাতে এরকম "অপহরন" নাটক তৈরী করাটাও প্রায় অসম্ভব।

পুলিশের ভাষ্যতে ঠিক সন্তুষ্ট হতে পারছি না। অর্চনাকে নাকি আর খুজে পাওয়া যাচ্ছে না।

২| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৩৩

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনারা সবই বুঝেন কিন্তু না বুঝার ভান করেন। ভিডিও মিথ্যা বলে না...বিকাশ/রকেট এর মাধ্যমে তার টাকা পাঠানোর ভিডিও দেখার পর ও যদি বলেন "পুলিশের ভাষ্যতে ঠিক সন্তুষ্ট হতে পারছি না।" তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না যে আপনার বিশ্বাস কোথায়।
দেখুন এখানে ইউটিউব ভিডিও (৩০ মিনিট) তে উনি কিভাবে টাকা পাঠাচ্ছেন উনার 'সেবাদাসী' এর কাছে....।
sending money

আগের দিন ইসলাম নিয়ে জ্বালাময়ী বক্তিতা পরদিন সেবাদাসী..। অর্চনা যদি লাজ-লজ্জায় লুকিয়ে থাকে তাতে তো ভিডিও মিথ্যা হয়ে যায় না।

১৪ ই জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: টাকা পাঠাতে তাকে খুলনা যেতে হল কেন? এটা তো তিনি ঢাকায় বসে করতে পারতেন।

তার সেবাদাসী বা সেরকম কিছু রয়েছে কিনা তা জানিনা। তবে থাকলে আমি খুব অবাক হব না।

পুলিশ অর্চনার সাক্ষ্য নিতে বেশী তড়িঘড়ি করেছে বলে আমার কাছে মনে হয়েছে।

৩| ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:৫৫

নিরাপদ দেশ চাই বলেছেন: বাংলাদেশে পুলিশের বক্তব্যর গ্রহনযোগ্যতা কোন কালেই নেই। যে যখন ক্ষমতায় পুলিশ তার হয়েই কাজ করে। এ কারনেই মানুষ বুঝতে পারে না কে সত্য বলে বা কে মিথ্যা বলছে। আবার অন্যদিকে মাজহারেরও তেমন ভাল ইমেজ নেই। তার সমসাময়িক অনেক নির্দলীয় বুদ্ধিজীবিকেও দেখেছি তার বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখতে। কাজেই কে যে সত্য বলছে বলা মুশকিল।

১৪ ই জুলাই, ২০১৭ রাত ৮:১৫

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: কেউই কি সত্য বলছে নাকি সেটাও একটা প্রশ্ন।

ফরহাদ মাজহারের কিছু কবিতা পড়ার পর আমি তার উপর সাংঘাতিক বিরক্ত হয়েছিলাম। এই ব্লগে একদল লোক একসময় তার খুব ভক্ত ছিল। এরপর তিনি যখন শাহবাগের বিরূদ্ধে লিখলেন তখন উনার সমর্থক যারা ছিল তার হয়ে গেল তার ঘোর বিরোধী। শাহবাগ নিয়ে তার কয়েকটি কলাম লেখা পড়েছি। অবশ্যই এটা বলব যে তিনি চিন্তাশীল লেখা লিখতে পারেন।

৪| ১৯ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪২

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ফরহাদ মাজহারকে নিয়ে গোলাম মোর্তজার লেখাটি পড়লাম।
http://www.newsonbd.net/newsdetail/detail/112/324171

তিনি অনেক যুক্তিযুক্ত বিষয় অবতারনা করেছেন। সবকিছুর সাথে কমত নই, তবে লেখাটি ভাল হয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ পাবলিক করাটা আমার মতে ঠিকই হয়েছে।

ফরহাদ মাজহারের বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা নেবার বিষয়ে গোলাম মোর্তজা যা বলেছেন তার সাথে পুরো একমত নেই। মাজহার নিজে পুলিশকে ডাকেন নি। পুলিশ ডেকেছিলেন তার পরিবার এবং সমর্থকরা। যদি পুলিশের ভাষ্য সত্যও হয়ে থাকে (এটি এখনও শত ভাগ প্রমানিত নয়), তবুও ফরহাদ মাজহারকে প্রতারনার দায়ে দায়ী করা সম্পূর্ন সমীচীন নয়। কিন্তু অবশ্যই বিষয়টির সম্পূর্ন সুরাহা করতে হবে। "চুপ" থেকে বিষয়টির ধুম্রজাল বজায় রাখা যাবে না। কারন যে করেই হোক বিষয়টি পুলিশ পর্যন্ত গিয়েছে। ফরহাদ মাজহারকে অন্তত পক্ষে এটুকু বলতে হবে যে "এটি অপহরন ছিল না"। যদি তিনি "চুপ" থাকেন, তাহলে ধরে নেব তিনি আগের "অপহরন" অবস্থানে অটল রয়েছেন এবং সেক্ষেত্রে পুলিশি তদন্ত বন্ধ হতে পারে না।

আমাদেরকে জানতে এটি আসলেই অপহরন কিনা। পুলিশ তার বক্তব্য দিয়েছে। এখন প্রতিক্রিয়া জানানোর পালা ফরহাদ মাজহারের।

৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ২:৩২

চাঁদগাজী বলেছেন:


সরকার, পুলিশ ও মাজহার; ভয়ংকর কমপ্লেক্স বিষয়

২৫ শে জুলাই, ২০১৭ ভোর ৫:২৭

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ক্ষতড়িৎ গতিতে উদ্ধারের কারনে সরকার মোটামুটি ভাবে দায়মুক্ত।

মাজহার কাদের সাহায্য নিয়ে খুলনা গিয়েছেন তা বের করা জরূরী ছিল। এখন তো সব পক্ষই চুপ।

৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ২:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



এই মাজহার, এই পুলিশ, এই সরকার, এরা নিজের কথা নিজেরাও বিশ্বাস করে না।

৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ২:২২

মিঃ আতিক বলেছেন: শুধু ফরহাদ মযহার ই নয়, একটা বিষয় অবাক ভাবে লক্ষ করেছি যারা গুম হওয়ার পরে জীবন নিয়ে ফিরে এসেছে তারা কেউ আর এ ব্যাপারে মুখ খুলেননি।একটা কথাই তারা বলেন কে গুম করেছে তা তারা জানেন না।

২৯ শে জুলাই, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০১

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: এটি একটি ভয়ানক বিষয়। অজস্র গুম হয়ে যাওয়াদের ভিড়ে যে দু একজন মানুষ ফিরে এসেছেন তারা একদম চুপ হয়ে গিয়েছিলেন।

মাজহারের বিষয়টি নিয়েও তেমনটি হত যদি না সিসিটিভি ফুটেজ আবিষ্কার হত। সিসিটিভি ফুটেজ না থাকলে মানুষজন হয়ত অপহরনের দাবী মেনে নিত। কিন্তু সিসিটিভি ফুটেজ একটি ধুম্রজাল তৈরী করেছে। এখন মাজহারকে এগিয়ে এসে বিষয়টি খোলাসা করতে হবে। কারন পুলিশ দাবী করছে তিনি অপহরনের শিকার নন।

৮| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৫৮

বিজন রয় বলেছেন: কত সত্য যে আমরা জানতে পারি না!!!

আপনি তো অনেক পুরানো ব্লগার।
নিয়মিত থাকবেন আশাকরি।
শুভকামনা রইল।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৩

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: শুভ কামনা আপনার জন্যেও। ভাল থাকুন। ব্লগিং এ নিয়মিত থাকুন। যদিও এই কাজটি খুব সহজ কিছু নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.