নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু।

আস সালাম - আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক

উম্মু আবদুল্লাহ

তোমরা মুসলিম হয়ে আমাকে ধন্য করেছ, তা মনে করো না। বরং আল্লাহ ঈমানের পথে পরিচালিত করে তোমাদের ধন্য করেছেন। (হুজুরাত:১৭)

উম্মু আবদুল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আবু জেহেল একজন হিন্দু - এই দাবী কতটুকু সত্য?

২৩ শে জুন, ২০১৮ ভোর ৬:৫২

ইন্টারনেটে প্রায়ই এক দাবী দেখি। রাসুল (সা) এর চাচা ইবনে হিশাম (যিনি আবু জেহেল নামে পরিচিত) একজন হিন্দু এবং মূলত শিবের পূজারী।

এই দাবী কতটুকু সত্য। উল্লেখ্য এর পক্ষে আবু জেহেলের একটি কবিতাকে রেফারেন্স দেয়া হয়। গুগল ট্রান্সলেট করে এবং আবার সেই ট্রান্সলেটকে পরিমার্জিত করে কবিতাটি নীচে দিলাম।


"যে ব্যক্তি পাপ ও অবাধ্যতায় তার জীবন কাটাতে পারে বা কুৎসিত ও ক্রোধে তা বর্জন করতে পারে

যদি অন্তত তিনি ধার্মিকতা ও ন্যায়পরায়ণতার কাছে ফিরে যান তবে কি সে রক্ষা পাবে?

যদি তিনি একবার মহাদেবকে শুদ্ধ হৃদয় দিয়ে পূজা করেন, তবে তিনি আধ্যাত্মিকতার সর্বোচ্চ অর্জন করবেন

ওহ প্রভু শিব আমার সমগ্র জীবন বিনিময় করেন কিন্তু ভারতে একদিনের বাসস্থান যেখানে একজন পরিত্রান লাভ করে

শুধু এক তীর্থযাত্রা নিশ্চিত করে সমস্ত সৌভাগ্য যা সত্যিই মহান সহচরদের জন্য সুরক্ষিত"




কারো কি এ বিষয়ে কিছু জানা রয়েছে?

মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৭:১৬

স্োরনাভ বলেছেন: হা হা হা, ভারতের বাইরে হিন্দু মিথোলজী কোনদিন ও যায়নি, পাগান বহু ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখতেন ইবনে হিশাম। কিছুটা ইব্রাহীমি ধর্মের মিশেল কিছু আরবী দেব দেবী। ভারতের ঈশ্বরদের এই পৃথিবীর অন্য কোথাও মানা হয় না।

২৩ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৭:৫৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আমারও তাই ধারনা। কিন্তু ইন্টারনেটে আবার এর ব্যপক প্রচারনা দেখা যায়। সেই জন্যই পোস্ট দেয়া যাতে কেউ কিছু জানেন কিনা তার সন্ধান করা।

পবিত্র কোরানে যেসব দেব দেবীর কথা রয়েছে সেসবের সাথে এখনকার যুগের প্রচলিত কোন দেব দেবীর মিল পাওয়া যায় না।

২| ২৩ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:১৬

রাজীব নুর বলেছেন: না উনি হিন্দু ছিলেন না।

২৩ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১৫

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আমিও সেটাই মনে করি।

৩| ২৩ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪৮

একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: হা হা হা, ভারতের বাইরে হিন্দু মিথোলজী কোনদিন ও যায়নি[/sb

এতে একটু ভুল আছে। নিচে ৫ম তো ১৩তম শতাব্দীর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটা ম্যাপ দেয়া হল যেখানে হিন্দু ধর্ম কোন দেশ গুলোতে বিস্তার লাভ করেছিলো তা দেখানো হয়েছে।

২৩ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১২

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আরবে সেই সময়টাতে হিন্দু ধর্মের বিস্তার থাকলে কি তা সেসময়কার সাহিত্যে পাওয়া যেত না?

ইসলামী উৎসে যেসব প্যাগানদের উল্লেখ রয়েছে তারা সাধারন ভাবে মৃত্যু পরবর্তী জীবনকে অবিশ্বাস করত। কোরানে বার বার সে বিষয়টিকে টেনে আনা হয়েছে। যা হিন্দু ধর্মের চেয়ে আলাদা।

৪| ২৩ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:২৯

জুন বলেছেন: আমি যে কথাটি বলার জন্য লগ হোলাম দেখি উপরে ৩নং মন্তব্যকারী তা বলে গিয়েছেন। প্রাচীন খেমার সাম্রাজ্য যা দক্ষিন পুর্ব এশিয়া জুড়ে বিস্তৃত ছিল তার রাজধানী ছিল সিয়েমরেপ যা ক্যাম্বোডিয়াতে অবস্থিত। সেখানে বৌদ্ধ ধর্ম বিস্তার লাভের আগে রাজধর্ম ছিল হিন্দু ধর্ম। তারা শিব ইন্দ্র এ সব দেবতার পুজা করতো। যেহেতু রাজধর্ম হিন্দু ছিল অতএব প্রজাদের ও তাই। আমার নিজ চোখে দেখা সেই সব মুর্তি ও তার ইতিহাস।
সৌদি আরবে প্রিয় নবীর ইসলাম প্রচারের আগে সেখানে মুর্তি পুজার চল ছিল। তারা ক হিন্দু কোন দেবতা নাকি তা কোথাও পাইনি। তাদের প্রতিবেশী মিশরেও দেখেছি প্রাচীনকালে ফারাওরা মুর্তিপুজক ছিল আমুন আইসিস এটোন এই সব দেবতার। তাদের সাথে হিন্দু দেবতার কোন মিল নেই। তাই মনে হয় আবু জেহেলের ধর্মটি হিন্দু ধর্ম ছিল কিনা সন্দেহ।
আশাকরি আপনার এই পোষ্টের মাধ্যমে আমার জানার ব্যাপ্তিটি বাড়বে বিলক্ষন।

২৩ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪২

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: কম্বোডিয়ায় হিন্দু ধর্মের বিস্তৃতির ইতিহাস কি আপনার জানা রয়েছে?

মুসলিম ইতিহাসে আরবদের প্যাগান ধর্মের যে রূপ দেয়া হয়েছে তা সম্পূর্ন ইহজাগতিক রূপ। সেই প্যাগান ধর্মে পারলৌকিক জীবন কি আত্মার পরিশুদ্ধির কোন কথা নেই। ফারাও মূর্তিপূজাও অনেকটা সেরকম। এরা কোন মহাগ্রন্থ পাঠ করত - সেরকম তথ্য মুসলিম উৎসে নেই।

২৩ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪৩

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আমি নিজেই তো জানার উদ্দেশ্যে পোস্ট দিলাম। যাক, আশা করি কেউ না কেউ আমাদের জানার ব্যপ্তি বাড়িয়ে দেবে।

৫| ২৩ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: আবু জেহেল বা জাহেলিয়াতের বাপকে 'আপনি' বা 'যিনি' বলাটা মানতে পারলাম না। তাকে 'সে' বলে সম্বোধন করাটাই যুক্তিযুক্ত। বুঝতে পারার জন্যে ধন্যবাদ।

২৩ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:১৯

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আমি এডিট করে দিয়েছি। ধন্যবাদ।

৬| ২৩ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০১

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ উম্মু আবদুল্লাহ- সাধারণ মুসলিমরা কিছ্ছা-কাহিনির ভক্ত। fact এর চাইতে myth/গুজব বেশী বিশ্বাস করে ।
আবু জেহেল নবীর(স) চাচা ছিলেন না হিন্দু তো নয়ই।
আবু জেহেলের আসল নাম আমর ইবনে হিশাম। তিনি কুরাইশ গোত্রের লোকই তবে বানু মাখযূম পরিবারের।
তিনি ছিলেন মক্কার একজন বহু ঈশ্বরবাদী পৌত্তলিক বা মূর্তিপূজারী কুরাইশ নেতা ইসলাম ধর্মের ঘোর বিরোধী ।
মক্কার মূর্তিপূজারীদের সাথে ভারতীয় মূর্তিপূজারী হিন্দুদের সাথে কোন সংযোগ যোগাযোগ ছিল না। আরবীয় দেব দেবী ও হিন্দু দেব দেবী সম্পূর্ণ আলাদা।
আর চৌদ্দশ বছর আগের মৃত ব্যক্তিকে আপনি বললেও ক্ষতি নেই , তুই বললেও বেশী সওয়াব হবে না।



২৩ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:২৫

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আমি এই প্রচারনাটি মূলত অমুসলিম আর ইসলাম বিরোধী সাইটগুলোতে বেশী দেখেছি। প্রাচীন আরবে হিন্দু ধর্মের বিস্তার ছিল - এই দাবীর দ্বারা। মুসলিম কেউ কেউ এর বিরোধিতা করেছে তবে কেউই জোরালোভাবে কোন যুক্তি দেয় নি। আবু জেহেলের যে কবিতাটিকে প্রমান দেখানো হয় সেটি কি আদৌ তার লেখা? এটাই আমার প্রশ্ন।

২৩ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৩৫

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: তিনি নবীর(সা) চাচা ছিলেন না? আপন চাচা না হলেও সম্ভবত চাচা ছিলেন।

৭| ২৩ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
@ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ,

আবু জেহেলের সবচেয়ে বড় পরিচয়- সে একজন অত্যাচারী ছিলো। একজন অত্যাচারীকে সম্মান জানানো'র কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না।

২৩ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:১৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: এইটা খুব সত্য। আবু জেহেল এতিমের সম্পদ আত্মসাৎকারী এক চূড়ান্ত বদমাস। তাকে ধর্মপ্রান বানিয়ে কার কোন ফায়দাটা হাসিল হতে পারে?

২৩ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৫০

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: যাই হোক, সে ধর্মের প্রতি নিবেদিত হলেও হতে পারে। কারন বদরের যুদ্ধের সময় সে সম্ভবত এই প্রার্থনা করেছিল যে যারা ভ্রান্ত পথে রয়েছে তারা যেন পরাজিত হয়।

৮| ২৩ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:১০

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ সত্যপথিক শাইয়্যান - একজন মুসলিম হিসাবে আপনি আবু জেহেলকে ঘৃনা/অসম্মান করতেই পারেন। মুখ্য কারণ হচ্ছে সে নবী মুহাম্মদ(স)কে নবী হিসাবে স্বীকার করেনি,ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেনি বরং জোরেসোরে ইসলামের বিরোধিতা করছে। সে অত্যাচারী ছিলো, এতিমের সম্পদ আত্মসাতকারী ছিলো, বদমাশ ছিলো এসব গৌণ কারণ।
অত্যাচার, এতিমের সম্পদ আত্মসাত ও বদমাইশীর জন্য চৌদ্দশ বছর আগের মৃত ব্যক্তিকে যদি ঘৃণা করতে পারেন তাহলে বর্তমানে আপনার আশেপাশের, আপনার সমাজের আবু জেহেল চরিত্রের মুসলিমদের সহ্য করেন কিভাবে? এক আবু জেহেল লোকান্তরে,লক্ষ আবু জেহেল মুসলিমদের ঘরে ঘরে। আবু জেহেলরা মরে নি তারা আছে মুসলিমদের মধ্যে বহাল তবিয়তে।

২৩ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪৮

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: এতিমের সম্পদ আত্মসাৎকারী জঘন্য চরিত্রের অধিকারীরা সবসময়েই ঘৃন্য। এরা মুসলিম ভেক ধারন করে থাকলেও ঘৃন্য। হ্যা, আবু জেহেল নবীকে (সা) অন্যায়ভাবে কষ্ট দিয়েছে যা ঘৃনার মাত্রা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।

মক্কার কোরাইশদের মাঝে অনেক ইসলামের শত্রু ছিলো যারা সাধারন দয়া মায়া ও মানবীয় গুনাবলী বিবর্জিত ছিল না। উৎবা ইবনে রাবিয়া ইসলামের শত্রু হলেও অমানুষ ছিল না। বদরের যুদ্ধে সেও নিহত হয় মুসলিমদের হাতে।

৯| ২৩ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:২৩

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:
@ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ,

প্রথমতঃ আমি তাকে ঘৃণা করি না। তার কর্মকে ঘৃণা করি।

দ্বিতীয়তঃ ইসলামের বিরোধিতা আগেও অনেকেই করেছে, এবং এখনো করছে। কিন্তু, মানুষ হিসেবে তাদের অনেকেই অত্যাচারী হিসেবে নিজেদের প্রকাশিত করেনি। আবু জেহেল যেমন ইসলামের বিরোধিতা করেছে, তেমনি নিজেদের গোত্রীয় ইয়াতিমদের উপরও অত্যাচারের খড়্গ উঠিয়েছে। তাই, সর্বোপরি, সে একজন অত্যাচারী। এটাই তার পরিচয়।

তৃতীয়তঃ আবু জেহেলের সমমানের অত্যাচারী কেউ এখন আছে বলে আমি মনে করি না।

১০| ২৩ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৪৯

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ সত্যপথিক শাইয়্যান- জনাব, আবু জেহেল কি ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া ইবনে আবি সুফিয়ানের চাইতে, হাজ্জাজ বিন ইউসুফের চাইতে বেশি অত্যাচারী ছিলো ? চেনেন তো এদের ? আর আবু জেহেলের মতো কাজ করে এমন মুসলিমদের সম্পর্কে আপনার মনোভাব কি ?
ভালো করে ভাববেন ।

২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আবু জেহেলকে ঠিক স্বৈরাচারী শাসকদের সাথে তুলনা করা যায় না। সেইসব স্বৈরাচারী শাসকেরা মূলত তাদের বিরোধীদের উপরে অত্যাচার করত। আর আবু জেহেল অসম্ভব স্বার্থপর স্বভাব খারাপ একজন লোক। ইসলামের বিরোধিতা করা আর রাসুল (সা)কে কুৎসিত অন্যায়ভাবে কষ্ট দেয়া সমার্থক হতে পারে না।

১১| ২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:

@ব্লগার ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ,

আপনি ৮-নং মন্তব্যে এখনকার অত্যাচারীদের কথা বলেছেন। সেই সূত্র ধরে, আমি বলেছি যে, এখনকার সময়ে এমন কাউকে আমি দেখছি না।


আর, ইয়াজিদ বা হাজ্জাজ সম্পর্কে আমার মনোভাব আমার এই পোস্টে পাবেন- যুগে যুগে অন্যায়ের প্রতিবাদকারীদের উপর মুসলিম স্বৈরশাসকদের অত্যাচার- Click This Link

১২| ২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০৪

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ সত্যপথিক শাইয়্যান- আপনার ডিসেম্বর'17 পোস্টটি পড়লাম। ধন্যবাদ লিংক দেওয়ার জন্য। চমৎকার পোস্ট । ইসলামের ইতিহাসের dark side গুলি নিয়ে আলোচনা মুসলিমরা সাধারণত পছন্দ করে না। মুসলিমরা পছন্দ করে জিলাপী মার্কা মিষ্টি মিষ্টি কিছ্ছা-কাহিনি।
@ উম্মু আবদুল্লাহ ও সত্যপথিক শাইয়্যান- আপনাদের সাথে তর্ক-বিতর্ক চলবে। হয়তো পরবর্তী কোন পোস্টে । রাজী ?

২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:০১

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: কি বলেন? নিজেদের সমালোচনা না করলে মুসলিমরা এগিয়ে যাবে কি করে?

তর্ক বিতর্ক আমার পছন্দ নয়, তবে আলোচনা সবসময়েই স্বাগতম।

১৩| ২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:১৪

নাজিম সৌরভ বলেছেন: বহুত্ববাদী ধর্ম সারা জগতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল এবং আছে । তবে মজার ব্যপার হল বহুত্ববাদীদের দেবতাদের বৈশিষ্ট্য কিছুটা মিল থাকলেও এর পুজারিরা সবসময় নিজদের দেবতাকে ইউনিক মনে করে । আবার আরবের বহুত্ববাদীরা তাদের দেবতাদের শ্রেষ্ঠ ভাবতো । আবু জেহেল যদি শুনত তাকে কেউ হিন্দু মনে করছে তাহলে আবু জেহেল হয়ত তার মাথা ফাটিয়ে দিত । :)

২৩ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আবু জেহেল যদি শুনত তাকে কেউ হিন্দু মনে করছে তাহলে আবু জেহেল হয়ত তার মাথা ফাটিয়ে দিত । :)

১৪| ২৩ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৯

কাইকর বলেছেন: আমার জানা মতে হিন্দু ছিলেন না

২৩ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০২

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ।

ঐরকম একজন দুষ্ট লোক নিয়ে মাতামাতি করার কিছু নেই।

১৫| ২৩ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

হাসান রাজু বলেছেন: আমার জানা মতে, সাধারণ ধারনা হল, অন্য ধর্মের কেউ চাইলেই ধর্মান্তরিত হয়ে হিন্দু হতে পারে না। তাই এই ধর্মের বিস্তৃতি এত কম । জন্মসূত্রে হিন্দু হলেই হিন্দু হওয়া যায়, সেক্ষেত্রে আবু জেহেল একা নন, পরিবারের বাকিরাও ইসলাম গ্রহণের পূর্বে হিন্দু হওয়ার কথা ।

২৩ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৫০

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: এইটা অবশ্য বোধগম্য। যারা দাবী করছেন তারা বলছেন আবু জেহেল শিবের পূজা করতেন। তারা এটা দাবী করেন নি যে তিনি জন্ম সূত্রে হিন্দু। কেউ জন্মসূত্রে অন্য ধর্মের হলেও ভিন্ন ধর্মকে ভালবাসতে পারে।

কথা হচ্ছে, আবু জেহেলের মত একজনকে রেফারেন্স টেনে প্রাচীন আরবে হিন্দু ধর্মের বিস্তৃতি ছিল - এটা প্রমানের দরকার কি?

১৬| ২৪ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:০৯

জাতির বোঝা বলেছেন: ধর্ম তো মানুষের বানানো।

১৭| ২৪ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪১

জুন বলেছেন: view this link আপনার মন্তব্যের জবাব দিতে আবার এলাম উম্মু আবদুল্লাহ। আপনি নেট থেকে নেয়া এই লেখাটি দেখতে পারেন প্রাচীনকালে কিভাবে দক্ষিন পশ্চিম এশিয়ায় বনিকদের মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম প্রসার লাভ করে।
ক্যম্বোডিয়ায় আমার নিজ চোখে দেখা বিভিন্ন স্থাপত্য নিয়ে লেখাতেও বিষয়টি উল্লেখ করা আছে। নীচে আমার অনেক লেখার থেকে একটি মাত্র লিঙ্ক দিলাম যা ক্যম্বোডিয়ার সিয়ামরেপের একটি শিবমন্দির। এখানে কুমারী মেয়েরা পুজা দিতে আসতো শুধুমাত্র শিবের মত বর পাবার আশায় । আপনি সময় করে দেখতে পারেন।
এংকর শিল্পের মুকুটে এক উজ্জ্বলতম রত্ন ---বান্তে সেরি

২৪ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:৩৯

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: লিংকের জন্য ধন্যবাদ।

প্রাচীন বনিকদের দ্বারা ধর্মের বিস্তৃতি ঘটত সন্দেহ নেই। সেইটা কতদূর গিয়েছিল, কি মাত্রায় গিয়েছিল এবং কতটুকু খাটিভাবে গিয়েছিল সেইটাই প্রশ্ন।

আমার মনে হয় না সেই সময়টাতে আরবে হিন্দু ধর্মের কনসেপ্ট পৌছেছিল। আমাদের মনে রাখা প্রয়োজন সেই সময়টাতে পারস্যেও পৌত্তলিক ধর্ম বজায় ছিল, যাতে সূর্যকে পূজা করা হত। এসব ধর্ম সম্পূর্ন ইহজাগতিক। আরবের পৌত্তলিকদের ধর্মও অনেকটা সেরকম। সেকারনেই বার বার পবিত্র কোরানে দুটো বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে : এক: মৃত্যু পরবর্তী জীবন সত্য, দুই: উপাস্যের পৃথকীকরন বা ভিন্ন ভিন্ন রূপ অগ্রহনযোগ্য। এছাড়া ইসলাম সৃষ্টির মধ্যে স্রষ্টার প্রকাশ অনুমোদন করে না।

যাই হোক, এইসব বিষয়ে রিসার্চ অবশ্যই স্বাগতম। তবে মোদ্দা কথা, ছোট খাট দুই একটি উদাহরন দিয়ে কোন উপসংহার টানা যায় না। এর জন্যে প্রয়োজন নির্মোহ দৃষ্টিতে ব্যপক অনুসন্ধান। আবু জেহেলের কবিতাটি কোন উৎস থেকে পাওয়া কিংবা সেইটা সত্যিকারের তার লেখা কিনা - সেইটার প্রকৃত অনুসন্ধান কাম্য। মুসলিম উৎস থেকে যে ইতিহাস পাওয়া যায় তাতে এমন কোন হদিস পাওয়া যায় না যাতে আরবে হিন্দু ধর্মের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.