নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু।

আস সালাম - আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক

উম্মু আবদুল্লাহ

তোমরা মুসলিম হয়ে আমাকে ধন্য করেছ, তা মনে করো না। বরং আল্লাহ ঈমানের পথে পরিচালিত করে তোমাদের ধন্য করেছেন। (হুজুরাত:১৭)

উম্মু আবদুল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

এরদোগানের বিপুল ভোটে এগিয়ে থাকা - মুসলিম দেশগুলোর জন্য গনতন্ত্র মূল্যহীন

২৫ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:২৬

এরদোগান ক্যারিশম্যাটিক রাজনীতিবিদ। রাজনীতিতে তিনি বহু ক্যারিশমা দেখিয়েছেন।

চিরস্থায়ী ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছে এবং যোগ্যতা সবই তার ছিল। কিন্তু বাধ সেধেছিল সংবিধান। গনভোট আয়োজন করে নিজের জনপ্রিয়তার বদৌলতে তিনি সে সংবিধান পাল্টে ক্ষমতায় থেকে গেলেন। একই জনপ্রিয়তাকে পুজি করে ব্যর্থ করে দিলেন সেনা ক্যু।

বিরোধীদের ক্যারিশমা নেই। তাই হজম করতে হচ্ছে এরদোগানের এসব পদক্ষেপ।

যাই হোক, এরদোগানের একদলীয় মানসিকতা আর নীতির ভয়ংকর বিরোধী আমি। তবে তার উন্নয়ন এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার পক্ষের পদক্ষেপগুলোর প্রশংসা না করে পারছি না। এছাড়া নাগরিক সেবা এবং দুর্নীতি বিরোধী অবস্থানও তার খুব পোক্ত। শত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও তাই তুর্কীদের কাছে এরদোগানই সেরা।

এরদোগানের এই এগিয়ে থাকা মানে তুরষ্কের গনতন্ত্রায়ন আরো পিছিয়ে যাওয়া। সেনা ক্যু এর পরে তুরষ্কে বিরোধী মত দমন আরো সরেস হয়েছে। এ থেকে প্রশ্ন উঠতে পারে মুসলিমদের জন্য মডেল দেশ তুরষ্কের উদাহরন কি অন্য দেশগুলোর জন্যে প্রযোজ্য? সত্যিই কি মুসলিম দেশগুলোতে গনতন্ত্র এখনও বাক্সবন্দীত্বের পর্যায়ে?

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:৩৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: ভোটের মধ্যে কোন কারচুপি না হয়ে থাকলে সমস্যা কোথায়?

২৫ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:৫৮

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: জনরায় প্রতিফলিত হয়েছে যা অবশ্যই স্বাগতম। কিন্তু ক্ষমতায় থাকার জন্য সংবিধান পাল্টানো একদলীয় মানসিকতার বহিপ্রকাশ । কি আর করা। অপদার্থ বিরোধী দল থাকলে এরকমই হয়।

২| ২৫ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:৪৯

রাকু হাসান বলেছেন: আপনার সাথে একমত পোষণ করছি । আমি আমার ক্ষুদ্রজ্ঞানে যা বুঝতে পারি । ইসলামী দেশগুলোর গণতন্ত্র আজো বাক্সবন্ধী বলতে গেলে ।

২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:১১

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: সেটাই নিয়তি।

৩| ২৫ শে জুন, ২০১৮ রাত ২:৪৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


তুরস্ককে ইরাক কিংবা লিবিয়ায় পরিণত করবে এই দুষ্টলোক।

২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:০৯

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: নাহ, সে জনগনের ম্যান্ডেট নিয়ে এসেছে। এরদোগানের যোগ্যতায় কোন কমতি নেই। সে একনায়ক কিন্তু স্বৈরাচারী নয়।

৪| ২৫ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:২৫

আবু তালেব শেখ বলেছেন: বাংলাদেশে তো আর ক্ষমতা সুসংহত করতে সংবিধান চেইন্জ হয় না। বাচা গেল। ঐ কাজ টা আমাদের সরকার করেনা

২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:১২

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: কি বলেন! তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল কি এমনি এমনি হয়েছে।

৫| ২৫ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:২৭

গরল বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, ইরাক ও লিবিয়ার সাথে তুরস্কের পার্থক্য হচ্ছে ইরাক ও লিবিয়ায় সামরিক সরকার ও সমাজতন্ত্রী শাসন ব্যাবস্থা ছিল, তুরস্কে তা নেই। মাহাথির মোহাম্মাদও কিন্তু এরদোগানের মতই ছিল, এখন দেখা যাক এরদোগান কি মাহাথিরের মত দেশকে এগিয়ে নিবে না আসাদের মত দেশকে সিরিয়াতে পরিণত করবে।

২৬ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:১৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: এগিয়ে যাওয়া বলতে যদি অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দুর্নীতি মুক্ত, আইনের শাসন, নাগরিক সেবা হয় তবে এরদোগান তাতে সফল সন্দেহ নেই। কিন্তু তিনি ক্ষমতাকে কেন্দ্রীভূত করেছেন নিজের কাছে, যা একজন একনায়কের বৈশিষ্ট। এছাড়া বিরোধীমত দমনের যে সংস্কৃতি তুরষ্কে প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে চলছিল তার কোন সংস্কার তিনি করেন নি। যার ফলে যে দল ক্ষমতায় থাকুক না কেন, বিরোধীদের দমন নিপীড়ন খুব স্বাভাবিক বিষয়।

৬| ২৫ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:২৯

আবু তালেব শেখ বলেছেন: এরদোগান সমস্ত বিশ্বে এবং নিজ দেশে যখন এতো জনপ্রিয় গাজি সাহেব কেন ওনার বিরোধী?????
নাকি আমেরিকার চোখে এরদোয়ান ভিলেন বলে?? যতই হোক যাদের নুন খেতে হয় তাদের গুন তো গাওয়া লাগবে।

২৭ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৪৭

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: রাজনীতিবিদরা কখনই শতভাগ সমর্থন পায় না। তাদের বিরোধিতা থাকেই।

৭| ২৫ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৯:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: ৯৬ শতাংশ ভোটের ফলাফল অনুযায়ী এরদোগান একাই পেয়েছেন ৫২ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট।

২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৩৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: হ্যা, বিরোধী দল কার্যত মেরুদন্ডহীন বিধায় এরদোগানের কোন বিকল্প খুজে পায় নি তুর্কীরা।

তুরষ্কের ধর্ম নিরপেক্ষ দলগুলোর উচিত জনগনের পালস বোঝা এবং ধর্ম বিরোধী অবস্থান থেকে সরে আসা। এরদোগান কখনই ধর্মনিরপেক্ষদের জন্য হুমকি হন নি। তিনি ব্যক্তি স্বাধীনতায় কখনও হস্তক্ষেপ করেন নি।

৮| ২৫ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:২৯

পদ্মপুকুর বলেছেন: চিন্তা চেতনায় দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশ বা তুরস্ক, অথব হনলুলুর লোকদের মধ্যে কোন ভেদাভেদ নেই। সবাই যেকোনোভাবে ক্ষমতায় থাকতে চায়। পার্থক্য শুধু এখানেই যে, কেউ ক্ষমতা ধরে রাখতে জনপ্রিয়তাকে ম্যানিপুলেট করে, আর কেউ জনপ্রিয়তার কোন ধার ধারে না।

২৮ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪০

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ক্ষমতায় সবাই থাকতে চায়। কিন্তু সভ্য দেশগুলোতে কোন একনায়ক চাইলেই তা পারে না।

আমি এ কারনে শুধু এরদোগানকে একক ভাবে দায়ী করব না। অবশ্যই ধর্ম নিরপেক্ষ বিরোধীদলও দায়ী। এরদোগান ক্ষমতায় আসার আগে তারা ছিল ক্ষমতায় এবং এক আতংকের সৃষ্টি করে ধর্মপ্রান মানুষের জন্য। যা কেউই ভালভাবে নেয় নি। মনে রাখা দরকার ধর্ম নিরপেক্ষই হোক, ধর্মপ্রানই হোক - এরা সবাই আমাদের সমাজের অংশ। কাউকে বাদ দিয়ে সমাজ গঠন সম্ভব নয়।

৯| ২৫ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: শুধু মুসলিম দেশগুলোর জন্য কেন , সকলের জন্যই গণতন্ত্র মূল্যহীন হইয়া যাইতেছে ! "জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস" এই জনতুষ্টিবাদই গণতন্ত্রের দুর্গে বিশাল ফুটো তৈরী করিয়াছে ! ইহারই কারণে হিটলার ক্ষমতায় আসিয়াছে ! ইহারই কারণে ট্রাম্পের মতন ভাঁড় , নরাধম মোদির মতন পিশাচ , নেতানিয়াহুর মতন শকুন ক্ষমতায় আসিয়াছে ! সেই একই ফুটো দিয়া এরদোগান , মহাথির আসিলে দোষ হইল কিভাবে ? আর সং বিধান এতো পবিত্র কিভাবে হয় যদি জন তুষ্টি অনুযায়ী কাটাছেঁড়ার সুযোগ থাকে ? আর ইহা লঙ্ঘিত হইলেই বা কি ?
সম্ভবত এরদোগানের প্রসঙ্গ আসিতেছে কারণ সে ঠিক পাশ্চাত্যের প্রেস্ক্রিপশন হুবহু অনুসরণ করিতে রাজি না ! ছি ছি হইলে সমস্যা নাই ! গণতন্ত্রের ধজ্বাধারীরা নিজেদের ধ্বজা নিজেরাই ভঙ্গ করিয়া ফেলে যখন তাহাদের স্বার্থের বিপরীত হয় ! তাই নির্বাচনে জিতলেও মুরসি অপসারিত হয়, এরদোগান দোষী হইয়া যায়, আলজেরিয়ায় স্যালভেশন ফ্রন্ট সন্ত্রাসী হইয়া যায় ! অপরদিকে আইয়ুব খানের মৌলিক গণতন্ত্র প্রসংশিত হয় ! আমাদের দেশের কথা আর কইলাম না !

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৫৪

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: এরদোগান মাহাথির নির্বাচন দিয়ে এসেছেন - এতে কেন দোষ থাকবে? দোষ হল, ক্ষমতা কুক্ষিগত করে দেশকে পিছিয়ে দেয়া, বিরোধীমত দমনে বাড়াবাড়ি করা। ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত থাকাটা তুরষ্কের গনতন্ত্রের জন্য মোটেও সহায়ক নয়।

১০| ২৫ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১২

আঁধার রাত বলেছেন: এরদোগান তো কৃষ্ণ না, সুতরাং তার লীলা খেলা তো দোষ হবেই

২৬ শে জুন, ২০১৮ সকাল ৮:৩২

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: মন্তব্য মাথার উপর দিয়ে চলে গেল।

১১| ২৮ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


তুরস্ক ন্যাটোর সদস্য, তার ুপর আমেরিকার নজর আছে; সে সমস্যার সৃষ্টি করছে তুরস্কের জন্য

২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:৩০

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: তার থেকে ভাল লোক না পেয়ে তুর্কীরা তাকেই বেছে নিয়েছে।

১২| ২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১২:২৪

অর্থনীতিবিদ বলেছেন: তুরস্কবাসীদের সামনে এরদোগান ছাড়া বিকল্প কেউ ছিলো না। তাছাড়া এরদোগানের অনেক ভালো গুণও অাছে। নিদেনপক্ষে আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের থেকে এরদোগান হাজার গুণে ভালো। জনগণ ভালো দিকগুলোকেই আমলে নিয়েছে। গণতন্ত্র পিছিয়ে পড়লেও সমস্যা নেই। জনগণ তো সন্তুষ্ট। এটাই বা কম কিসে?

২৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১:২৯

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: তুরষ্ক ইউরোপের দেশ। তাই তুরষ্ককে তুলনা করতে হবে ইউরোপের অন্য দেশের সাথে। এই বাংলাদেশের সাথে কোনভাবেই তুরষ্কের তুলনা চলে না।

তুরষ্কের কল্যানকামী বলেই আমি চাই গনতন্ত্রের সূচকে তুরষ্ক এগিয়ে যাক। গনতান্ত্রিক সহিষ্ণুতা প্রতিষ্ঠিত হোক। সাধারন একটি ব্যাংগাত্মক কবিতা লিখেছেন বলে কেউ তুরষ্কে জেলে যাক - এটা কাম্য নয়।

১৩| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:৪৫

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান এখন খুবই অপছন্দের এক ব্যক্তিত্ব

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪৯

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ লিংকের জন্য। পড়লাম লেখাটি। কিন্তু চুক্তির বিষয়টি ঠিক বুঝতে পারলাম না। চুক্তির মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে কি হবে?

প্রেসিডেন্ট এরদোগান পশ্চিমাদের কাছে অপছন্দের একজন হলেও তুর্কীরা তার পক্ষেই নিজেদের রেখেছে। বিরোধী দল যতদিন পর্যন্ত তুর্কীদের আস্থা ভাজন না হবে ততদিন হয়তবা এরদোগানই ক্ষমতায় থাকবেন।

১৪| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:১৫

আবু মুহাম্মদ বলেছেন: মুসলিম দেশগুলোর জন্য শুধু নয় , সকলের জন্যই গণতন্ত্র মূল্যহীন

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:২৩

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: গনতন্ত্রকে আমি এমন কোন সোনার হরিন মনে করি না। কিন্তু তবুও গনতন্ত্রে মানুষের কথা বলার অধিকারটুকু থাকে। এটা জবাবদিহিতা তৈরী করে। এটা আমার কাছে ভাল লাগে।

১৫| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১:০২

ইসমাঈল আযহার বলেছেন: যথার্থ

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:২৩

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.