নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পাঠ করুন, আপনার পালনকর্তা মহা দয়ালু।

আস সালাম - আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক

উম্মু আবদুল্লাহ

তোমরা মুসলিম হয়ে আমাকে ধন্য করেছ, তা মনে করো না। বরং আল্লাহ ঈমানের পথে পরিচালিত করে তোমাদের ধন্য করেছেন। (হুজুরাত:১৭)

উম্মু আবদুল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অরিত্রী কথন

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫১

মিষ্টি চেহারার মেয়ে অরিত্রী আত্মহত্যা করেছে।

ঘটনাটি হৃদয়বিদারক।

স্কুল থেকে বহিষ্কার সংক্রান্ত ঘটনায় মেয়েটি আত্মহননকে বেছে নিয়েছে।

স্কুলে মোবাইল নিয়ে যাওয়ার কারনে যদি অরিত্রীকে বহিষ্কার করা হয়ে থাকে তবে তা কোনভাবেই গ্রহনযোগ্য নয়। এর জন্য অন্য শাস্তি দেয়া যায়। কিন্তু বহিষ্কার নয়। সেরকম হলে জড়িত শিক্ষকদের বরখাস্ত করাটাই সমীচীন। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে অরিত্রীর বিরূদ্ধে নকলের অভিযোগ আনা হয়েছে এই বলে যে পুরো বইটিই মোবাইলে কপি করে নেয়া হয়েছিল। সেরকটি হলে অবশ্য কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবার অধিকারী।

তারপরেও আমার নিজের কৈশোরকালের কথা মনে পড়ে যায়। খুব যে সুবোধ শান্ত শিষ্ট ছিলাম আমি তা কিন্তু নয়। শিক্ষক শিক্ষিকাদের বহু যন্ত্রনা দিয়েছি। ক্লাশে কথা বলা, বেয়াদবের মত অহেতুক তর্ক করা, এমনকি ক্লাশে গল্পের বই নিয়ে ক্লাশ টাইমে ডেস্কের নীচে লুকিয়ে লুকিয়ে পাঠ করা ইত্যাদি বহু অপকর্মের কারনে শাস্তি পাওয়া ছিল নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। আমার শিক্ষক শিক্ষিকারা এসব কারনে বিরক্ত হতেন। কিন্তু ক্ষমাও করে দিতেন। কখনও অতীত মনের মধ্যে পুষে রাখতেন না। দিনের শাস্তি দিনেই শেষ হয়ে যেত। পরদিন শুরু হত এক ফ্রেশ দিন। সমস্ত সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমাকে এবং আমার মত অসংখ্য ছাত্র ছাত্রীদের উনারা ভালবাসতেন। সেকারনে খুব বেশী কঠোর তারা কখনই হতে পারতেন না। এমনকি নকল করলেও তার সর্বোচ্চ শাস্তি ছিল সেই পরীক্ষায় শূন্য পাওয়া। অনেক ঝামেলা হত, তবে সেই ছাত্রীদেরকে বহিষ্কৃত হতে হত না।

ভিকারুননেসা স্কুল এক নামী দামী স্কুল। এখানে স্কুলের শৃংখলাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হয়। এক ছাত্রী চলে গেলে আরেক ছাত্রী আসবে। এই ছাত্রীরা শুধু স্কুল চালাবার হাতিয়ার মাত্র। এই ছাত্রীরা সেই স্কুলের প্রান ভোমরা নয়।

অরিত্রীর আত্মহননের জন্য দায়ী আমাদের মন মানসিকতা। একজন ছাত্রীকে তার শ্রেষ্ঠত্ব প্রমানের জন্য কেন সর্বশ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠেই পড়তে হবে? জীবনের একটি ভুল কেন সমস্ত জীবনকে তছনছ করে দেবে? "অতীতকে ভুলে গিয়ে নূতন করে আবার শুরু কর" - টিসি দেবার সময় প্রধান শিক্ষিকা কি মোলায়েম সুরে অরিত্রীকে বুঝিয়েছিলেন যে স্কুল পরিবর্তন অরিত্রীর জন্যই ভাল হবে? অরিত্রীর বাবা মা কি তাকে বলেছিলেন যে স্কুল পরিবর্তন করেও তুমি নিজের ভবিষ্যত গড়তে পারবে?

পরবর্তী প্রজন্মের প্রতি দায়বদ্ধতাটুকু আমাদের সবার।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: তারা শীক্ষক নন এখন টাকা বানাবার মেশিন!

একজন চলে গেলে নতুন ভর্তিতে আবার লাখ লাখ টাকার ডোনেশন! নামে ঘুষ!
তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত!

শুধু এই স্কুল নয়, সবগুলো স্কুলে একই অবস্থা! এই যে এখন ডিসেম্বর মাস যান যে কোন স্কুলে দেখবেন প্রিন্সিপালের রুমে লাখ লাখ টাকার ডোনেশন অফার নিয়ে পাবলিশারের প্রতিনিধি পাবেন। বই পাঠ্য করাও । লাগুক না লাগুক। কেনাও ! সেই বোঝা বহন করাও! ব্যাস!

শিক্ষা এখণ পণ্য তাদের কাছে।
ধিক! শতধিক।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: সেইরকমই শুনছি।

অন্যদিকে ডিসিপ্লিনের নামে চলে স্টীম রোলার।

এইরকম ঘটনা আমেরিকাতেও মুসলিম স্কুলগুলোতে হচ্ছে। একটি মেয়ে আত্মহত্যা করেছে ঠিক এর কাছাকাছি ঘটনায়। মেয়েটি হয়ত দুষ্টামি করেছে, কিন্তু শিক্ষক শিক্ষিকাদের অতিরিক্ত কঠোর হবার কোন দরকার ছিল না।

২| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:০৭

কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: আবেগের যায়গা কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান না। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কিছু আইন কানুন আছে, আবেগ তৈরি করতে চাইলে নাট্যশালায় যাওয়া উচিৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না।এটা ওর বাবা মায়ে দায়িত্ব অবহেলার ফল।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১৭

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আমি তা মনে করি না। সরকারী অনুদান পাওয়া প্রতিটি স্কুল জনগনের কাছে দায়বদ্ধ। কলেজের নিয়ম কানুন কি হবে তা শুধু কলেজ কর্তৃপক্ষ একক ভাবে নির্ধারন করতে পারেন না। রানী ভবানী কলেজের অধ্যক্ষ কলেজের ছাত্রীদের বোরখা পরে আসতে বলেছিলেন যা পরবর্তীতে ধোপে টেকেনি। নবম শ্রেনীর স্কুলের ছাত্রীকে নৈতিকতা শেখানোর দায়ভার স্কুলেরও রয়েছে। স্কুলেই এরা বেশীর ভাগ সময় কাটায়। নিয়ম নীতিমালার দোহাই দিয়ে অতিরিক্ত কঠোরতা কখনই গ্রহনযোগ্য হতে পারে না। এরা এখনও আইনের চোখে প্রাপ্ত বয়স্ক নয়।


বিষয়টি কি জানেন? যেসব স্কুল ডোনেশনে ছাত্রী ভর্তি করে, পরীক্ষার আগে উচ্চমূল্যে বাধ্যতামূলক কোচিং করায় - নৈতিকতা বিষয়টিই সবার আগে তাদের শেখা দরকার।

৩| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৮

জাহিদ হাসান বলেছেন: Right

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৩

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:০৭

রাজীব নুর বলেছেন: অ‌রিত্রী মা...
ক্ষমা করা যায় না?
আমরা ‌যে কথার গন্ডার!

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:০৩

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: যে চলে ফিয়েছে তাকে তো আর ফিরিয়ে আনা যায় না। সামনের দিন গুলোতে আর যেন এরকমভাবে কেউ না চলে যায়। ভাল স্কুল ভাল সাবজেক্টের প্রতিযোগিতা মাথা থেকে ফেলে ছাত্র ছাত্রীদের সঠিক পথে এগিয়ে নেবার গুরুদায়টুকু আমাদের সবার পালন করতে হবে। আপনি যখন বাবা হয়ে নিজের সন্তানদের স্কুলে দেবেন তখন এই বিষয়টিই বুঝিয়ে দেবেন যে জীবন অনেক বড় একটা নদী। একে কখনও থামিয়ে দেয়া যায় না। শত প্রতিকূলতাতেও নয়। অভিভাবকরা পাশে থাকলে সন্তানরা নিশ্চয়ই সঠিক পথের দিশা পাবে।

৫| ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১১

নিউজপ্রিন্ট বলেছেন: হিরু আলুম নামের নিকৃিষ্ট আলুম নোংরা অশালীন ভিডিও ইউটিউবে প্রচারকারী আসন্ন সংসদ নির্বাচনে বগুরা ৪ আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেবে, যেই সংসদ নির্বাচণে অংশ নেবেন শেখ মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা, যেই সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবেন বর্তমান সরকারের তাবত মন্ত্রী পরিষদের মন্ত্রীগণ। কিন্তু হিরু আলুম কে ? কি তার পরিচয় - দেশে তার গ্রামে মেম্বার নির্বাচন করার যোগ্যতা সে রাখে না। চেয়ারম্যান নির্বাচন করতে চাইলে ভর বাজারে বিচার ডেকে হিরু আলুমকে কানে ধরে উঠ বস করানো হবে। সেই ব্যাক্তি নর্দমার কীট নোংরা অশালীন ভিডিওকারী ও ই্উটিউবে নোংরা অশালীন ভিডিও প্রচারকারী কিভাবে বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে - তার বিরুদ্ধে আপনারা কেউ লিখেন না, আবার আপনারা সবাই ব্লগ লিখেন ! কিসের ব্লগ লিখেন বলতে পারেন ? দেশের প্রতি কি দায়িত্ব নিয়ে লিখেন যে একটা নোংরা নর্দমার কীট অশালীন ভিডিওকারীর বিরুদ্ধে লিখছেন না। আপনাদের কাছে দেশ কি আশা করে? আপনারা ব্লগে বড় বড় কলাম লিখেন এই নর্দমার কীট সম্পর্কে কেনো লিখছেন না । কি লাভ এই বড় বড় কলাম লিখে যদি আপনার-আপনাদের লিখা দেশের সমাজের পরিবেশের উপকারে না আসে।

নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন হিরু আলুম নামক নিকৃষ্ট আলুম নোংরা অশালীন ভিডিও ইউটিউবে প্রচারকারী কিভাবে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ নির্বাচন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে? পবিত্র সংসদ ভবন যেখানে দেশের আইন বিচার ব্যাবস্থা সংশোধন সংযোজন পরিমার্জন করা হয় সেখানে হিরু আলুম নামক নিকৃষ্ট আলুমের কাজ কি?

হিরু আলুম বাংলাদেশ ইন্টারনেট সমাজে নোংরা অশালীন ভিডিও প্রকাশ করে সমাজ ধ্বংসের অন্যতম কারণ। সে কিভাবে দেশের সর্বোচ্চ পবিত্র স্থানে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে ? আপনারা কেউ কিছু বলুন ? কেউতো কিছু লিখুন - এই নোংরা কীট সমাজ ছিড়ে খাবলে খাবে । সমাজ পরিবেশ দেশ রক্ষা করুন। আপনারা দেশের কাছে দায়বদ্ধ - নিজেকে কি বলে সান্তনা দেবেন ?

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:০০

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: হিরো আলম কে? পত্রিকায় হেড লাইনে দেখেছি এ নাম। কিনতু তার সম্পর্কে তো কিছুই জানিনা! তিনি কি খুবই গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তি যে তাকে না জানাটা বেকুবির পর্যায়ে পড়ে?

৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৭

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: বিদায় ২০১৮ আগমনী ২০১৯ কে স্বাগত। আপনাকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

০১ লা জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০৩

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: শুভেচ্ছা আপনাকেও। ভাল থাকুন।

৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:৪৬

সৈয়দ তাজুল ইসলাম বলেছেন: আপু,
শিক্ষক আমি নিজে! কিন্তু কেন জানি ঠাকা বানাতে পারছিনে!

তবে হ্যা, এই ঘটনার জন্য ঐ ব্যক্তি অনেকটাই দায়ী!

১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১০:৫৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: শিক্ষকদের বেতন কিছুটা কম হওয়ায় তাদের প্রাইভেট কোচিং ইত্যাদিতে যেতেই হয়। আমার পরিবারেও শিক্ষক রয়েছেন এবং তাদেরকেও সেসবে থাকতে হয়েছে। টিউটরিং বিষয়টি আমেরিকাতেও বেশ জনপ্রিয়। শিক্ষকদের আয়ের একটি ভাল উৎস টিউটরিং। যদিও ক্লাশে ফাকি দিয়ে কোন শিক্ষক টিউটরিং করতে পারেন না। ক্লাশের স্টুডেন্টদের ভাল রকম দায়িত্ব শিক্ষকদের নিতে হয়। এর পরেও কেউ টিউটরিং করতে চাইলে সেটা করতে পারে। কিন্তু ডোনেশনের নামে বাংলাদেশে যেরকম বানিজ্যিকরন চলে তা রীতিমত ভয়াবহ এবং সম্পূর্ন অগ্রহনযোগ্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.