নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবন যদি মানুষের উপকারে না আসে, সেই জীবনের মূল্য নেই। সবার মাঝে বিলিন হতে পারাই জীবনের স্বার্থকতা। কান্না নিজের জন্য আর হাসি সবার জন্য।

ইসমাঈল আযহার

মেইল[email protected], স্বপ্ন দেখি শুদ্ধ মানুষ হওয়ার, সোনার বাংলা গড়ার। শখ, লেখালেখি, ঘুরে বেড়ানো। সঙ্গি বই। ভালবাসি মাকে, নিজেকে, আমার বাবাকে।

ইসমাঈল আযহার › বিস্তারিত পোস্টঃ

মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা থেকে ছাঁটাই করা কে এই জন বোল্টন?

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:২৭


জন বোল্টন রিপাবলিকান নেতাদের কাছে রাজনৈতিক ফন্দি-ধান্ধাবাজির জন্য পরিচিত। ইরাকে যা খুঁজে পাওয়া যায়নি সেই ‘ওয়েপন অব মাস ডেসট্রাকশন’ বা গণবিধ্বংসী অস্ত্রের আবিষ্কারক হলেন বোল্টন। তিনি জর্জ ডব্লিউ. বুশকে এই ট্যাবলেট ব্যবহার করতে প্ররোচিত করেছিলেন। গুরুত্বপূর্ণ কূটনীতিক পদে কাজ করলেও, বোল্টন মূলত কূটনীতি ও অস্ত্র-নিরোধ নীতিকেই অবজ্ঞা করে এসেছেন।

২০১৮ এপ্রিলের দিকে জন বোল্টনকে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ম্যাকমাস্টারের স্থলাভিষিক্ত হয়ে এবং ১৮ সালের এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে এই দায়িত্ব পালন কনেন তিনি। তখন অস্থির ট্রাম্প ১৪ মাসের মধ্যে ৩ জনকে নিরাপত্তা উপদেষ্টা করেন।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ পেতে বোল্টন ব্যাপক চেষ্টা চালিয়েছেন। এমনকি ট্রাম্প আগে এই পদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে তাকে প্রত্যাখ্যান করার পরও দমেনি বোল্টন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য প্রথমে তাকে বাদ দিয়েছিলেন তার বিপজ্জনক অবস্থানে নয়; বরং তার গোঁফ পছন্দ না হওয়ায়।

বোল্টন সাবেক তিন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনল্ড রিগ্যান, সিনিয়র বুশ ও জর্জ ডব্লিউ বুশের অধীনে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার সময়ে জাতিসংঘে মার্কিন দূত ছিলেন বোল্টন। ইরাকের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের কাছে ব্যাপক বিধ্বংসী অস্ত্র থাকার সেই অবিস্কারক তথ্য ভুল প্রমাণিত হওয়ায় ১৫ বছর ধরে চলছে ইরাক যুদ্ধ। উত্থান ঘটেছে আইএস-এর। ইরান আর উত্তর কোরিয়াতেও হামলা চালানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি।

ওভাল অফিসে অনেক বেপরোয়া ও ভীতি সঞ্চারকারী এসেছেন। বোল্টন যেন সবাইকে বাজিমাত করেন। এ মুর্হূতে হেনরি কিসিঞ্জারের কথা মনে পড়ছে, যার সময়ে ইন্দোচীনে ৩ মিলিয়ন মানুষ মারা গিয়েছিল। বুশ ২০০২ সালে ‘শয়তানের অক্ষ’ হিসাবে ইরাক, ইরান ও উত্তর কোরিয়ার কথা বলেছিলেন। বোল্টন এই অক্ষের মধ্যে যোগসূত্রের সূত্র দিয়েছিলেন। অথচ এই দাবি নাকি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। বোল্টন ইসরাইলে অগণিত ভ্রমণ করেছেন, মোসাদের প্রধান মীর দাগানের সঙ্গে তখন দেখা করতেন। এসব বিষয় সেক্রেটারি অব স্টেট ও অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে রুটিন মাফিক রির্পোট করতে হয়। কিন্তু বোল্টন এসব তোয়াক্কা করেন না।

ইরাকের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক আলোচনার পরিবর্তে সামরিক আগ্রাসনের মাধ্যমে সমাধান করাই বোল্টনের পছন্দ ছিল। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে বোল্টন ইরানের ওপর বোমা ফেলার ওকালতি করেন। উত্তর কোরিয়া ইস্যুতে পরমাণু বোমা মেরে শেষ করার পক্ষেও মত দেন এই বোল্টন। কিন্তু ইসরাইল উত্তর কোরিয়ার আগে ইরানের বিষয়টি নিষ্পন্ন করার জন্য ট্রাম্পকে রাজি করাতে পেরেছেন বলে প্রতিভাত হয়। বোল্টন রক্ষণশীল ও গোঁড়া জাতীয়তাবাদী। পশ্চিমা মৌলবাদীর সকল উপাদান বোল্টনের শিরায় প্রবাহিত।

বর্তমান জন বোল্টনকে তার পদ থেকে ছাঁটাই করেছেন ট্রাম্প। বিবিসি ও আল জাজিরার খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার ( ১০ সেপ্টেম্বর) এক টুইটবার্তায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই এ কথা জানান। বোল্টনের পদত্যাগের খবর জানিয়ে ট্রাম্প টুইটে লিখেছেন, গত (সোমবার) রাতে আমি জন বোল্টনকে বলেছি যে, হোয়াইটে হাউজে তার সেবার আর প্রয়োজন নেই। প্রশাসনের অনেকের মতো আমিও তার অনেক পরামর্শের বিষয়ে জোরাল আপত্তি জানিয়েছি। সে কারণে আমি জনকে পদত্যাগ করতে বলেছি।

মঙ্গলবার সকালে জন বোল্টন পদত্যাগ করেছেন বলেও উল্লেখ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, আগামী সপ্তাহে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার নাম ঘোষণা করা হবে। আফগানিস্তানের তালেবান প্রতিনিধিদের যুক্তরাষ্ট্রে আমন্ত্রণের পরিকল্পনা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনে বিভাজনের খবরের মধ্যে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে অপসারণ করা হল।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: এই বিষয়ে তো আমি কিছুই জানি না। আন্তর্জাতিক বিষয়ে আমার কোনো জ্ঞান নেই।

২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:৪৭

জগতারন বলেছেন:
জন বোল্টন মানুষ রূপি এক জানোয়ারের নাম।
১৯৯০ সাল থেকে আমি তার কর্মকান্ড সম্বন্ধে জ্ঞাত।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০১

ইসমাঈল আযহার বলেছেন: ‘জন বোল্টন মানুষ রূপি এক জানোয়ারের নাম’। ঠিক বলেছেন।

৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫২

মানতাশা বলেছেন: ++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
ইহা তো বিশ্বের শান্তির বার্তা ।ট্রাম্প মনে হইতেছে একটা ভালো কাজ করিলো।
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৩

ইসমাঈল আযহার বলেছেন: ‘ইহা তো বিশ্বের শান্তির বার্তা’ হুম।

৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ৭:৩৯

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: জাহান্নামে যাক বোল্টন।

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:০৪

ইসমাঈল আযহার বলেছেন: জাহান্নামে যাক বোল্ট। ওকে দেখলে জান্নামীদের শাস্তির অনুভব বেড়ে যাবে - আমার ধারণা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.