নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ হওয়ার জন্য ছুটে চলি অবিরাম।

ইশতিয়াক আহমেদ আবীর

লিখতে, পড়তে ও ছবি তুলতে ভালো লাগে তবে অলস বলে পড়া (পাঠ্য বইয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়) ছাড়া কোনটাই হয় না।।

ইশতিয়াক আহমেদ আবীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিক্ষণীয় রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা ও এক টুকরো চির সবুজ স্মৃতি।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৬

৩ ডিসেম্বর সকাল ১০ টা রাজধানীর সোহারাওয়ার্দি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান অনুষদে সন্মান ২য় বর্ষের বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী একত্রিত হয়েছে আসন্ন পরীক্ষা,ব্যাবহারিক ক্লাস,শিক্ষা সফর ও আড্ডা দেওয়ার জন্য।কিন্তু বিধিবাম জাকিয়া লাইলা ম্যামের সাথে কুশল বিনিময় করতে গিয়ে আমাদের উদ্দেশ্য হাসিল হল না।তিনি আমাদের অফিস কক্ষের বর্ধিত অংশে তার জন্য অপেক্ষা করতে বললেন,তিনি পাঠদান করবেন।আমরা বেশ হতাশ হচ্ছিলাম,আড্ডা দিব তা না করে ক্লাস :( ।অনিচ্ছা সত্যেও ক্লাশে ঢুকলাম।ম্যাম এসে যথারীতি হাজিরা নিলেন এবং রাকিবকে একগুচ্ছ বাঁশ উপহার দিলেন।

বাঁশ উপহার পর্বে শেষে ম্যাম হঠাৎ করে হার্বেরিয়াম এর কথা আমদের জিজ্ঞেস করলেন।অনেকেই খুব আগ্রহে এবং উত্তেজনার সাথে জানাল তারা হার্বেরিয়াম সম্পর্কে জানে।তবুও ম্যাম হার্বেরিয়াম করা একটা নমুনা কাথা আমাদের দেখালেন এবং হঠাৎ বললেন“চলো আজকে আমরা নমুনা সংগ্রহ করি”।আমরা আনন্দের সাথে শিক্ষিকার সাথে সহমত পোষণ করলাম।
হার্বেরিয়াম উদ্ভিদের নমুনা সংগ্রহের একটি বিশেষ পদ্ধতি।

আমরা তখনো জনতাম না আমাদের জন্য কি অপেক্ষা করছে।প্রথমে আমাদের ক্যাম্পাস :p ঘুরলাম যদিও তেমন তেমন কিছু পেলাম না।এরপর লক্ষ্মীবাজার দিয়ে একটু এগিয়ে বাংলাবাজার হয়ে আমরা ঢু মেরেছিলাম প্যারিদাস রোডের বেশ কয়েকটি ঐতিয্যবাহি পুরানো সনাতন ধর্মালম্বিদের বাড়িতে।এখনো বাড়িগুলোতে আজ্ঞিনা আছে,আছে ওষধিসহ নানা রকমের সোভা বর্ধনকারী বাহারি গাছের সমাহার।আমারা বাড়ির আজ্ঞিনায় এবং পরিত্যক্ত জায়গায় ও রাস্তার পাশে পুরনো বাড়ির দেওয়াল জন্মানো বিভিন্ন উদ্ভিদের নমুনা জাকিয়া লাইলা ম্যামের নির্দেশনায় সংগ্রহ করছিলাম।আমরা পুরো পথ পায়ে হেটে নমুনা সংগ্রহ করছিলাম।এক সময়ে পৌঁছে গেলাম শ্রী শী রায় বল্লভ মন্দিরে।সেখানে একটা সুন্দর সাম্প্রদায়িক মেলবন্ধনের ছবি দেখলাম,পাশাপাশি মন্দির ও মসজিদ।সন্ধ্যাবেলা যখন মসজিদে মুসলমানরা নামাজ আদায় করতে যায় ঠিক তখন হিন্দুরা তার পাশের মন্দিরে উলুধ্বনি ও শাঁখ বাজায়।
সেখান থেকে একটু এগোলেই শ্রীশদাস লেন।আর এই লেনে ঢুকলেই বাম পাশে চোখে পরবে ছোট একটা সাইন বোর্ড ।খুব বেশি ঝিকিমিকি নয়,অতিসাধারণ।তবে সেটাই বিখ্যাত ‘বিউটি বোর্ডিং’।কবি-সাহিত্যিকদের কাছে এই বিউটি আড্ডার কেন্দ্রস্থল। যারা শিল্প-সাহিত্যের খোজ রাখেন -তাদের কাছে এই নাম রক্তে নাচন ধরায়
ভিতরে প্রবেশ করতেই চোখে পড়ল ফিকে হলুদ রঙের একটি দোতলা বাড়ি। বাড়ির সামনে প্রশস্ত উঠোন। শ্যামল-সবুজে ঘেরা। একেবারে আড্ডার উপযোগী জায়গা। পাশে খাবার ঘর, শোবার ঘর, পেছনে সিঁড়িঘর সবই পুরনো বাড়ির রূপকথার গল্পের মতো সাজানো। এই বিউটি বোর্ডিং বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র বা ইতিহাসের ভিত্তিভূমি। যেন একটি জ্যান্ত ইতিহাস সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বিউটি বোর্ডিং ও এর আড্ডার ইতিহাস চল্লিশের দশক থেকেই সুখ্যাতি লাভ করেছিল। সমমনা লোকদের তখন বিভিন্ন বিষয়ে চলত তোলপাড় করা সব আড্ডা। অনেক কবি-সাহিত্যিকেরই এভাবে লেখা তৈরির বহু ইতিহাস রয়েছে এই বিউটি বোর্ডিংয়ে।আমরা বিউটির সৌন্দয্য ঘুরে দেখলাম।এরপর কথা হলো বিউটির বর্তমান মালিক তারক সাহার সাথে। বিউটি বোডিং নিয়ে গল্প শেষ হবে না।সে আরেক দিন করব।
অবশেষে আমরা রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা নিয়ে ক্যাম্পাসে ফিরলাম।সেখান হালকা নাস্তা ও আড্ডা শেষে প্রস্থান করলাম। দারুন সময় কাটালাম।নিঃসন্দেহে জীবনের অন্যতম একটা চির সবুজ সময় কাটালাম।অনেক অনেক ধন্যবাদ সবাইকে সুন্দর একটা অভিজ্ঞতার সঙ্গী করার জন্য।
আর হ্যা আমরা কিন্তু প্রচুর ছবি তুলেছি।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:৫১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক মুল্যবান লেখা , বেশ তথ্য সমৃদ্ধ
অনেক কিছু জানা গেল ।

শুভেচ্ছা রইল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.