নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ হওয়ার জন্য ছুটে চলি অবিরাম।

ইশতিয়াক আহমেদ আবীর

লিখতে, পড়তে ও ছবি তুলতে ভালো লাগে তবে অলস বলে পড়া (পাঠ্য বইয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়) ছাড়া কোনটাই হয় না।।

ইশতিয়াক আহমেদ আবীর › বিস্তারিত পোস্টঃ

পৃথিবীর ২য় বৃহত্তম আত্মহত্যার স্থান ব্রীজ

২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৪২


যুক্তরাষ্ট্রের সোনালি দুয়ার হিসেবে খ্যাত গোল্ডেন গেট ব্রিজ সানফ্রান্সিসকোর অন্যতম আকর্ষনীয় স্থাপনা। কিন্তু কে জানত এই ব্রিজই একদিন আত্নহত্যার জন্য সবচেয়ে আলোচিত জায়গা হিসেবে পরিচিত হবে। এটিকে পৃথিবীর ২য় বৃহত্তম আত্মহত্যার স্পট হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ব্রিজের পাটাতনটি পানি থেকে ২৪৫ ফুট উঁচুতে। সেতু থেকে কেউ লাফিয়ে পড়লে মাত্র ৪ সেকেন্ডের মধ্যে ৮০ কিলোমিটার বেগে পানিতে আছরে পড়ে। বেশিরভাগ আত্মহত্যাকারী ট্রমার কারণেই মারা যায়। মাত্র ৫ শতাংশ তাৎক্ষনিক এ ট্রমা কাটিয়ে উঠতে পারলেও শিতল পানিতে হাইপোথেলামিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করে। ১৯৩৭ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশী আত্মহত্যাকারীর মৃতদেহ খুঁজে পাওয়া যায় সানফ্রান্সিকোর বে অঞ্চল থেকে। কেননা, বেশির ভাগ লোকই আত্মহত্যার জন্য ব্রিজের বে অভিমূখি অংশটি বেছে নেয়। যদিও ব্রীজের এই অংশটিতে পৌঁছাতে ব্যক্তিকে অনেকটা পথ হেঁটে আসতে হয়।
এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১৩ সালের জুলাই পর্যন্ত গোল্ডেন গেট ব্রিজ থেকে লাফিয়ে পড়া লোকেদের মধ্যে ৯৮ ভাগই মারা যায়। ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত সরকারি ভাবে মৃতদের হিসাব রাখা হয়। ১৯৯৫ সালের ৩ জুন ১০০০তম আত্মহত্যাটি রেকর্ড করা হয়। পরবর্তীতে আত্মহত্যার সংখ্যা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে, বেসরকারিভাবে প্রাপ্ত মৃতদেহ এবং প্রত্যক্ষদর্শীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১২ সালে এর সংখ্যা ১৬০০ ছাড়িয়ে যায়। এক মাসে সবচেয়ে বেশী আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে ২০১৩ সালের আগষ্টে। ওই মাসে ১০ জন আত্মহত্যা করে এবং ওই বছরটিতে ৪৬ জন আত্মহত্যা করে। সেসময় ১১৮ জনকে আত্মহত্যার চেষ্টা থেকে ফিরিয়েও আনা হয়। ২০১৩ সালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে ফিরেছেন মাত্র ৩৪ জন, যারা ফিরেছে তাদের অধিকাংশই পানিতে ঝাপিয়ে পড়ার সময় প্রথমে পায়ের পাতা পানি স্পর্শ করেছিল। যদিও তাদের অনেকেই ভেঙ্গে যাওয়া হাড় এবং আভ্যন্তরীণ বিভিন্ন ক্ষত নিয়ে বেঁচে আছেন।
গোল্ডেন ব্রিজ থেকে আম্যরিলিয়ন ডিমন্ট নামে ছোট্ট মেয়েটি তার বাবার কথায় ব্রিজ থেকে ঝাঁপ দিয়েছিল। মেয়ের পর বাবাও পানিতে ঝাঁপিয়ে আত্মাহুতি দেন

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:৫০

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ভয়াবহ !

২| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১৭

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: ভয়ংকর স্থান, দুঃখজনক।
ভালো লাগলো পরিচিত হয়ে

৩| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:০২

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশের মানুষের জন্য তো কাজটা কঠিন হয়ে যাচ্ছে, ভিসা পেতে হবে, ওয়ান-ওয়ে ট্রিপ হলেও ভাড়া অনেক হবে! সমস্যা হয়ে যাছে, আপনার কাছে কোন সহজ সমাধান?

৪| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১১:০৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


ওহ, প্রশ্ন করতে ভুলে গেছি, আপনি কি চাচ্ছেন যে, এই প্রসিদ্ধ যায়গায় বাংগালীরাও একটু সুযোগ পাক?

৫| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৮

সুমন কর বলেছেন: ভয়ংকর !!

৬| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:১৪

হাঙ্গামা বলেছেন: কেউ আত্মহত্যা করতে চাইলে তাকে বাধা দেয়া উচিত না। এটা তার অধিকার।

৭| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: অভিশপ্ত ব্রিজ।

৮| ২৯ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০৭

জাহিদ অনিক বলেছেন:

বাহ ! ব্রিজটা দেখতেই বেশ সুন্দর। এমন সুন্দর ব্রিজ ! এত শীতল ফ্রিজিং জল ! এমন আবহাওয়া আমি তো খুশিতেই ঝাপ দিয়ে মরে যাব

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.