নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শ্রাবনের বৃষ্টিস্নাত স্বপ্নমত্ত এলোমেলো তরুনের হাতে নীল রঙের আল্পনা যেখানে দু ফোটা অস্রুর মাখামাখি আর তার সানগ্লাসের আড়ালে কিছুটা অনুভূতি যা কিনা সানসেটে বসে থাকা এক টুকরো রোদ অতঃপর তার হাতে থাকা উপন্যাসের শেষ পৃষ্ঠায় এসে দেখা দিল একটি শুকনো গোলাপ পাপড়ি

শেখ আশিক রোশানরাজ সরকার জুনিয়র

ল্যাম্পপোস্টের হলুদ সোডিয়াম আলোয় ভিজতে থাকা তরুন যার আছে আকাশে ওড়ার স্বপ্ন।সে গোধূলী ভালোবাসে।আর ভালোবাসে সন্ধ্যাকালে বাসের জানালার পাশের সিট টা কে।আচ্ছা আপনি কি তার মত ঝুম বৃষ্টিতে এক কাপ কড়া লিকারের চিনি ছাড়া লাল চা ভালোবাসেন??

শেখ আশিক রোশানরাজ সরকার জুনিয়র › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিরোনাম এখানে হাতকড়ায় বন্দী

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:১১



আমি ব্লগিং জগতে বলতে গেলে আতুড় ঘরে থাকা শিশু সমান। যদিও ১৮ বয়স পার করেছি । লেখালেখি করি আগে থেকেই। বাট কখনো সিরিয়াস ইস্যু নিয়ে লিখা হয়নি। হয়তবা লিখার মতো অভিজ্ঞতা সৃষ্টি হয়নি। জীবন বলতে গেলে মাত্র শুরু।
যাই হোক একটা কথা বলে নিই। কেনো যেন এই দেশ টাকে আমি অনেক ফিল করি। অনেক আবেগ। চিন্তা করি যদি কিছু করে যাওয়ার সুযোগ পেতাম তো ধন্য হতাম। যাই হোক অনেকে এসব দেশপ্রেম কথাটা কে ন্যাকামো মনে করে। আসল কথায় আসি:

আমি এবার এইচএসসি পাশ করেছি। মিডল ক্লাস ফ্যামিলির ছেলে। যার বাবা আজ থেকে আড়াই বছর আগে মারা যান। তো যা হয়। প্রাইভেট ভার্সিটি তে পড়ার সামর্থ্য আমাদের থাকেনা। সুতরাং সরকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলোই আশা ভরসা। সেই সাথে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারে থাকা কিছু কলেজ। আমি ঢাকায় বড় হয়েছি। সো ঢাকা তেই পড়ার ইচ্ছা। আমি নাম বলবো না। কারন কয়েকজনের জন্য এত মানী একটা কলেজের মানহানী হোক আমি চাই না। হয়তোবা আপনারা যারা সিনিয়র তাদের কাছে ঘটনাটা তুচ্ছ মনে হবে। বাট আমি আমার লাইফ এ প্রথম এক্সপেরিয়েন্স করলাম। অই যে মাত্র তো জীবন শুরু।
কলেজে ফর্ম হাতে ঢুকেই অফিস রুমের দিকে গেলাম । ফ্লোরে পা রাখার আগেই কেউ আমার হাত টাচ করলো। আমি পিছু ফিরলাম

"কি ভাইয়া ফর্ম দিতে আসছো?"
"জ্বী"
"তো অইদিকে কই যাও এদিকে আসো"
না যেয়ে উপায় নেই তো ফলো করলাম। ফাকা বিল্ডিং এর একজাগায় আমার মতো আরো কয়েকজন ফর্ম হাতে দাঁড়িয়ে আছে। সেখানে আরো কতজন দায়িত্বশীল ভাইয়ারা উপস্থিত।
"দেখি তোমার কাগজ গুলো বের করো"
আমিঃ"ভাইয়া আমি অফিসে জমা দিবো আপনাদের কষ্ট করতে হবে না"
"আগে দাও কাগজ গুলা এতো কথা বলো কেন"
আমি দিলাম কারন কিছু করার নেই
সবগুলো কাগজ সাজিয়ে স্টাপলিং করে বললো
"৫০০ টাকা দাও"
"ভাই আমি তো শিওর ক্যাশে টাকা দিয়ে দিছি আমার লাগবেনা"
তারা আমাকে বোঝাতে লাগলো কেন টাকা লাগবে। আমি মনে মনে বলি "ঢাকার ট্রাফিকে বইসা আর ধুলা খাইয়া বড় হয়ছি আর আমাকে ভাই বাক্স পেটরা নিয়া ঢাকায় আসা আপনারা কাহিনী শোনাচ্ছেন?" (এটাকে খারাপ ভাবে নিবেন না । i am just trying 2 explain that situation how shameless they R!!!"
আমি কিছু বলতে যাবো অখন একজন বলে উঠলোঃ
"হয় টাকা দাও আর প্রবেশপত্র নিয়ে যাও নাহয় শুধু টাকা দাও"
দিয়ে দিলাম কাহিনী করে লাভ নেই ।
আমি এসে পড়বো তখন দেখি এক ছেলে প্রায় কেদে দিসে আর তাদের বলতেসে "ভাই আমার টাকা টা দ্যান আমার আর টাকা নাই"
তার অনুরোধ রাখা হয়নি। তার মানি ব্যাগ এ অপারেশন সার্চ লাইট করা হয়েছে।
পরে তার সাথে কথা বলে জানতে পারলাম সে ঝিনাইদাহ থেকে এসেছে আর এখানে থাকে জগন্নাথ হলে এক ভাইয়ের কাছে।তার হিসাব করা টাকা । তার কমদামী বাদামী ছেড়া মানিব্যাগ টা হাতড়ে কিভাবে কেচে টাকা নেয়া হয়েছে সে দেখাতে লাগলো।
তার দুশো টাকা শর্ট পরে গেছে।
আমি অনেক অনুনয় বিনয় করে তাকে টাকাটা দিলাম। সে নিল। হয়তোবা তার খুব দরকার ছিল। বিশ্বাস করেন আমি যদি তাকে টাকা টা না দিতে পারতাম আমি তিনদিন ঘুমুতে পারতাম না।
আমি পড়ে বিষয় টা আমার কাজিনের সাথে শেয়ার করলাম। বললাম "ভাই একটু সান্তনা দ্যান"
ভাই বললো "জীবন তো মাত্র শুরু"
আসলেই জীবন তো মাত্র শুরু ।

একটা ভাবসম্প্রসারন খুব কমন । পরীক্ষায় বারবার আসে।
"ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বালু কনা বিন্দু বিন্দু জল
গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল"
এই ৫০০ টাকা একদিন ৫০০০ হবে ৫০০০০ হবে ৫০০০০০ হবে ৫০০০০০০ হবে।
আসলে খুব কষ্ট হয় যখন দেখি আমার দেশেই এসব হচ্ছে । যে দেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল । আসলে দেশ টাকে নিয়ে অনেক আশা । অনেক গর্ব।
খুব খারাপ লাগে যখন দেখি এরা আমারই স্বদেশী।


"হয়তোবা সাজিয়ে লিখতে পারিনি।একটা ক্ষুদ্র আবেগের বহিপ্রকাশ। অভিজ্ঞতা নেই লিখার।সামনে থেকে হয়তোবা অভিজ্ঞতা বাড়বে। অই যে জীবন তো মাত্র শুরু"
তবে একটাই আশা শুরুটা হোক ভালো।

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩০

আহলান বলেছেন: ওটাই ..... ! ডু অর ডাই পজিশনে চইল্যা যাইতাছে সব মনে হয় ....

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩

শেখ আশিক রোশানরাজ সরকার জুনিয়র বলেছেন: জ্বী ভাই

২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪০

ইকবালবিডি০৯ বলেছেন: কিছু বলতে পারছিনা। আমার মুখে থালা আছে।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৩

শেখ আশিক রোশানরাজ সরকার জুনিয়র বলেছেন: আসলে ভাই কিছু বলা দরকার কিন্তু আমাদেরই

৩| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৪৯

মানবী বলেছেন: এরা কারা? পরিচয় পত্র দেয়া হবে কি হবেনা তা নির্তারন করার অধিকার ্‌এদের কে দিয়েছে।
আজ আপনারা যারা এধরনের একটি তিক্ত অভিজ্ঞতার মাঝ দিয়ে গেলেন, আপনারা সকলে মিলে যদি প্রতীজ্ঞা করেন ভবিষ্যতে এমন করবেননা এবং এমন হতে দিবেননা, তাহলে হয়তো এধরনের নোংরা পরিস্থিতির অবসান সম্ভব!

ওই বখাটেদের প্রতি তীব্র ঘৃনা জানালাম।
আপনার ও সেই ছেলেটির উজ্জল ভবিষ্যত ও সাফল্য কামনা করি।
ধন্যবাদ পোস্টের জন্য।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৬

শেখ আশিক রোশানরাজ সরকার জুনিয়র বলেছেন: ধন্যবাদ
এরা হচ্ছে তারা যাদের গায়ে মানুষের চামড়া থাকলেও আদোতে তারা পশু।
আসলে সামনে দাড়াতে হবে আমাদেরই । নতুবা উপায় নেই। দরকার ঐক্য।

৪| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:২৯

গেম চেঞ্জার বলেছেন: ওরা টাকার জন্যই তো এত নীচ হতে পেরেছে, নাকি? ছিঃ টাকার এত দরকার থাকলে ফ্রিল্যানসিং বা অন্য কিছু ক্রিয়েটিভ কাজ করে মাসে ১-২ লাখ টাকা অনায়েসে ইনকাম করতে পারত।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৬

শেখ আশিক রোশানরাজ সরকার জুনিয়র বলেছেন: সেই যোগ্যতা হয়তবা তাদের নেই। অথবা এ কাজ গুলো করে তারা তাদের পেশিশক্তির প্রদর্শন ও করতে চায় ।

৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬

সুমন কর বলেছেন: দুঃখজনক ঘটনা। আপনি ঐ ছেলেটির জন্য যা করেছেন, তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

আর ওদের নিয়ে কি বলব !! দেশটাই তারা একদিন, টাকায় গিলে ফেলবে... X((

প্রকৃত মানুষ হয়ে বেঁচে থাকুন। +।

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৩৪

শেখ আশিক রোশানরাজ সরকার জুনিয়র বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৬

ক্যান্সারযোদ্ধা বলেছেন: এদেশে স্নায়ুশক্তির চেয়ে পেশিশক্তির ব্যবহারই বেশি। যদিও কলমের কাছে অস্ত্র বারংবার পরাজিত হয়েছে। ধন্যবাদ।

৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৪৫

আবু শাকিল বলেছেন: সুমন দা র সাথে সহমত ।
প্রকৃত মানুষ হয়ে বেঁচে থাকুন।

৮| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:২৯

থিওরি বলেছেন: জীবনটা আসলেই সিরিয়াস।
আমরা শুধু দেখছি আর জ্বলছি! করার কি কিছুই নেই?? আমরা মেনেই নিয়েছি কিছুই করার নেই! সমবেদনা রইল ঝিনাইদহের সেই ছেলেটি এবং আপনার প্রতি।
শুভ হোক আপনার ব্লগিং।

৯| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫০

শেখ আশিক রোশানরাজ সরকার জুনিয়র বলেছেন: ধন্যবাদ

১০| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫০

শেখ আশিক রোশানরাজ সরকার জুনিয়র বলেছেন: ধন্যবাদ

১১| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৫৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আসলে খুব কষ্ট হয় যখন দেখি আমার দেশেই এসব হচ্ছে । যে দেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল । আসলে দেশ টাকে নিয়ে অনেক আশা । অনেক গর্ব।
খুব খারাপ লাগে যখন দেখি এরা আমারই স্বদেশী।

১৬ ই অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:১২

শেখ আশিক রোশানরাজ সরকার জুনিয়র বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.