নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শ্রাবনের বৃষ্টিস্নাত স্বপ্নমত্ত এলোমেলো তরুনের হাতে নীল রঙের আল্পনা যেখানে দু ফোটা অস্রুর মাখামাখি আর তার সানগ্লাসের আড়ালে কিছুটা অনুভূতি যা কিনা সানসেটে বসে থাকা এক টুকরো রোদ অতঃপর তার হাতে থাকা উপন্যাসের শেষ পৃষ্ঠায় এসে দেখা দিল একটি শুকনো গোলাপ পাপড়ি

শেখ আশিক রোশানরাজ সরকার জুনিয়র

ল্যাম্পপোস্টের হলুদ সোডিয়াম আলোয় ভিজতে থাকা তরুন যার আছে আকাশে ওড়ার স্বপ্ন।সে গোধূলী ভালোবাসে।আর ভালোবাসে সন্ধ্যাকালে বাসের জানালার পাশের সিট টা কে।আচ্ছা আপনি কি তার মত ঝুম বৃষ্টিতে এক কাপ কড়া লিকারের চিনি ছাড়া লাল চা ভালোবাসেন??

শেখ আশিক রোশানরাজ সরকার জুনিয়র › বিস্তারিত পোস্টঃ

৫ টাকার মালকিন

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৪

কয়েকদিন আগের ঘটনা।হাকিম চত্বরে বসে চিকেন চপ খাচ্ছি।
আমি একটু বেশিই ভোজনবিলাসী।তবে মাঝে টাইফয়েড হওয়াতে একটু রয়ে সয়ে আছি।
তো চারটে চিকেন চপ খেয়ে আবার অর্ডার..
""মাম্মা দুইটা মাশরুম"
হঠাত উশকো খুশকো চুলের ৪ কি ৫ বছরের একটা মেয়ে।খালিগায়..লাল হাফপ্যান্ট..রোদে পোড়া মুখ হলেও ভালো করে চেয়ে দেখলে বোঝা যাবে কোথায় যেন একটা দৈব ভাব আছে।মায়াকাড়া।
৫ টাকা হাতে নিয়ে দোকানীকে বলছে "একটা আলুর চপ দ্যান"
এত্ত লোকের অর্ডারের চাপে মেয়েটার মিনমিনে স্বর মাম্মার কানে যাচ্ছে না।
আমার খুব খারাপ লাগলো দৃশ্য টা দেখে। কি অসহায়। আমি মাঝে মাঝে একদিনে খাওয়ায় যা খরচ করি তা হয়তোবা তাদের সারা মাসের খরচ ও হবে কিনা জানিনা।
মেয়েটা খুব শক্ত করে তার ছোট আঙুল গুলো দিয়ে ৫ টাকার নোট টা ধরে আছে।
আমি অর্ডার দিলাম "মামা মেয়েটা কে দেখো ত কি চায়। আচ্ছা অরে ৫ টা চিকেন ৫ টা আলুর চপ আর ৫ টা মাশরুম দাও...টাকা নিও না.."
মেয়েটা প্যাকেট পেয়ে মাথা নিচু করে চলে গেল।
আমি হেটে গিয়ে দেখলাম।মেয়েটা তার মা আর ছোট ভাইয়ের কাছে বসে আছে।তার ভাইটা ফুটপাতের ধুলায় হামাগুড়ী খাচ্ছে।আর সে তার ছোট হাত দিয়ে তার ছোট ভাইকে আলুর চপ ভেঙে ভেঙে খাওয়াচ্ছে।
নিজেকে thanks দিলাম এরকম মোমেন্ট ক্রিয়েট করার জন্য।
আমি এরকম কাজ অনেক করি।কিন্তু এবার যেন আমার বিবেক আমাকে বাধ্য করেছিল।এসব নিয়ে আমি কখনো পোস্ট দিইনা।এইবার অ দিতে চাইনি।আমি জানি আমি কি করছি।মানুষ সেটা শুনিয়ে লাভ নেই।
আসলে আমার পোস্ট টা এই বিষয় নিয়ে নয়...
আমি ভাবছিলাম... এই বয়সে আমি রঙিন জামা কাপড় আর দামি জুতা পায়ে দিয়ে আম্মুর হাত ধরে ফুটপাতে হেটেছি।আর সেই বয়সে এই মেয়েটি ধুলোয় গড়াগড়ি খাচ্ছে।যে বয়সে আমি চকলেটের ভাগ নিয়ে ছোটবোনের সাথে ঝগড়া করতাম সেই বয়সে এই মেয়েটি তার ছোট ভাইকে হাতে তুলে খাওয়াচ্ছে।
সে এখনি জীবন যুদ্ধে নেমে গেছে।ফ্যামিলিকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য মেয়েটি আমার ফেলে দেওয়া কোকের প্লাস্টিকের বোতল কুড়ায়।
আমি মেয়েটিকে নিয়ে খুবি আতংকিত। বাসায় এসে আম্মুকে বলেছিলাম যে ""আম্মু এই সুন্দর মেয়েটার কি হবে।কয়দিন পরে তো সে বড় হবে।সে সেনেট্যারী ন্যাপকিন কই পাবে??সে কি নিজেকে হায়নাদের থেকে বাচিয়ে রাখতে পারবে???সমাজের হায়নারা তাকে খেয়ে ফেলবে না তো??""
আসলে কারো কারো ভাগ্য এত খারাপ হয়!!! আসলে খারাপ বলা যাবেনা। কারন সমাজে ধনী গরীব আর মধ্যবিত্ত রা আছে বলেই সমাজ টা ব্যালান্সড।
কিন্তু আমাদের এটা দায়িত্ব গরীব দের হেল্প করা।এটা আমাদের ইসলাম ধর্মের বিধান ও।
প্রত্যেকেরই মৌলিক অধিকার ভোগের অধিকার আছে। কিন্তু সেটা তারা পাচ্ছে না। কেন পাচ্ছে না??
এর জবাবদিহীতা আমাদের ই দিতে হবে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২৭

বেরসিক কথক বলেছেন: গুড!
ভালো লাগলো।

২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:৫২

মামুন ইসলাম বলেছেন: হুম ভালো বলেছেন ।

৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৩১

শেখ আশিক রোশানরাজ সরকার জুনিয়র বলেছেন: ধন্যবাদ

৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৮:৩২

শেখ আশিক রোশানরাজ সরকার জুনিয়র বলেছেন: ধন্যবাদ

৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:০২

রাােসল বলেছেন: your post will encourage the people. may the almighty help you to do more such type of job.

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৪

শেখ আশিক রোশানরাজ সরকার জুনিয়র বলেছেন: yeah!thanks man..!! such a nice wish!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.