নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শ্রাবনের বৃষ্টিস্নাত স্বপ্নমত্ত এলোমেলো তরুনের হাতে নীল রঙের আল্পনা যেখানে দু ফোটা অস্রুর মাখামাখি আর তার সানগ্লাসের আড়ালে কিছুটা অনুভূতি যা কিনা সানসেটে বসে থাকা এক টুকরো রোদ অতঃপর তার হাতে থাকা উপন্যাসের শেষ পৃষ্ঠায় এসে দেখা দিল একটি শুকনো গোলাপ পাপড়ি

শেখ আশিক রোশানরাজ সরকার জুনিয়র

ল্যাম্পপোস্টের হলুদ সোডিয়াম আলোয় ভিজতে থাকা তরুন যার আছে আকাশে ওড়ার স্বপ্ন।সে গোধূলী ভালোবাসে।আর ভালোবাসে সন্ধ্যাকালে বাসের জানালার পাশের সিট টা কে।আচ্ছা আপনি কি তার মত ঝুম বৃষ্টিতে এক কাপ কড়া লিকারের চিনি ছাড়া লাল চা ভালোবাসেন??

শেখ আশিক রোশানরাজ সরকার জুনিয়র › বিস্তারিত পোস্টঃ

A brief history of mine

১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৪৭

"হাফ বয়েল ডিম...এক মগ ধোয়া ওঠা চিনি
চাড়া তেতো কড়া লিকার...আর
অ্যাকুস্টিকে কিছু অযথা প্লাকিং দিয়ে
দিন শুরু করা আমার সম্পর্কে জানতে চেয়ে
সময় নস্ট করা্র কোন মানে হয়না...তবে
হ্যা..যদি কোন এক একাকী বিকেলে
আপনার কিছু করার না থাকে তাহলে
আপনি লিখাটা পড়তে পারেনঃ
ঘটনার শুরু কোন এক 29 মে
তে..মঙ্গলবার..সকাল 10 টা বেজে 40
মিনিট...আরেকটি সাধারন
দিন..প্রতিদিনের মতো সেদিনও বাচ্চারা
স্কুলে যাচ্ছিল..রাস্তার পাশে বসে
টোকাই ছেলেটা ছেড়া ফ্রক পড়া ছোট বোন
কে নিয়ে বাটার-বন খাচ্ছিল..বাস
কন্ট্রাকটরের সাথে প্যাসেঞ্জার ২ টাকা
নিয়ে তর্ক করছিল..রিকশাওয়ালাটার
মাথায় লাল গামছা বাধা ছিল...suddenly
কোন এক কারন ছাড়াই গল্পটা মোড় নেয়
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এর
একটি কক্ষে.. আমার বয়স তখন 1 মিনিট..সদ্য
ভূমিষ্ঠ হলাম...হঠাৎ কে যেন নিতম্বে ঠাস
করে চড় মারল...সবার সামনে এভাবে
অপমান..!?!..তারস্বরে কান্না শুরু করে
দিলাম..পিছু ফিরে দেখি কিছু নীলের
ছায়া...নাহ এবারের মতো মাফ করে দেয়া
যাক...।।
বয়স খেয়াল নেই.. আমি তখন হামাগুড়ি
দেয়া মাত্র শিখেছি... আমাকে প্রায়ই আয়
আয় চাঁদ মামা কবিতাটি শোনানো হয়..।।
বয়স তিন..আমি তখনো কথা বলিনা ...সবার
আশঙ্কা আমি কথা বলতে অক্ষম..কিন্তু বড়
মামা বলেছিলেন 'ঠিক হয়ে যাবে'...আজ
আম্মু আফসোস করে আমি কেন কথা বলা
শিখলাম ...।।
এরপর ক্লাস 1 এর
কথা..তখনো মাঝে মাঝে আমি বিছানা
ভিজিয়ে ফেলতাম..একা একা টয়লেটে
যেতেও ভয়
পেতাম...আম্মুর কাছ থেকে পাচ
টাকা পেলে খুব খুশি হতাম....তখন
ইচ্ছা হলো আমি পাখি হবো...guyzz do u
know albatroSS?..।।
ক্লাস 5.. এ পর্যন্ত আমি খুব
মনযোগী ছাত্র ছিলাম...মারাত্মক ভালো
রেসাল্ট করলাম..তখনো নিয়মিত আম্মুর
মার
খেতাম....নিয়মিত পড়াশোনা
করতাম...সবাই
বলত ছেলে বড় কিছু হবে...
ক্লাস সিক্স...হঠাৎ
মনে হলো মেয়ে মানুষ মারাত্মক সুন্দর
হয়....তখন ফাস্ট চুলে জেল
দেয়া শিখি...মেয়েদের... দিকে চোখ বড়
করে তাকিয়ে থাকি..তাদের চুল ...কাজল
কালো চোখ ...lots of meanings u know..!!
ক্লাস 8 এর কথা....তখন মোটামুটি ভালই
মেয়েদের সাথে লাইন
মারা শিখেছি..ভাবছি ক্লাস টেনের
সিনিয়র আপুটার সাথে প্রেম করা দরকার
....।।
ক্লাস 10...তখন আমি রোজ সেই জায়গায়
বসে লাল চা খাই যেখানে আমার বন্ধুরা
টানা দুটা বেনসন টানে...।।
হঠাৎ করে বাবা মারা গেল...মানুষ
টাকে আমি খুব বেশি চিনতাম
না...দেশের বাইরে বিজনেস ছিল..মনে
রাখার মত কোন
মোমেন্টস্ ক্রিয়েট হয়নি.. আব্বু যখন মারা
যায় তখন
আমি অনেক দূরে কৃষ্ণচূড়ায় ঘেরা এক গ্রাম্য
রাস্তা দিয়ে হাটছিলাম...আব্বুর প্রতি
মারাত্মক
অভিমান ছিল...যেদিন সকালে লোকটা
মারা যায়
সেদিন রাতে সে আমাকে 12 বার ফোন
করেছিল..আমি ফোন ধরিনি...সকালে খবর
পাই
আব্বু নেই....এরপর
ট্রেনে করে বাড়ি ফিরি ..জানাজা দিতে
যাই...আব্বুকে যখন দেখানো হয় আমি
দেখলাম আমার জন্মদাতার
লাশ মুখ ঘুরিয়ে আছে ...হয়তো অভিমান .....
মনে পড়ে যখন মাগরীবের আজান দেয় তখন
আমি অস্রুহীন চোখে তার লাশ
কাধে নিয়ে কবর দিতে যাই...আমার আম্মু
দূর থেকে সেটা দেখছিলো...।।
এরপর আকাশে অনেক শকুনের ডানা মেলে
ওড়া আর ঠোকড় দেয়ার অপেক্ষা।মধ্যাঙ্গুল
সেই সব দুঃস্বপ্ন ডানার প্রতি...।।
এরপর কলেজ লাইফ শুরু. ..
নাহ একটা লক্ষ্য থাকা উচিত.....
আমি আমার জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ
করলাম...জীবনের প্রতিটা নিশ্বাস
প্রতিটা হৃদস্পন্দন কে উপভোগ করব....।।
ছোট্ট বেলায় আম্মু হাত ধরে কবিগুরুর
"আমাদের ছোট নদী" পড়িয়েছিল...আমি
এরপর
বড় হয়ে "শেষের কবিতা " পড়ে নস্টালজিক
হয়েছি...।।
এখন আমি শেক্সপিয়ার পড়ি..টলস্টয় এর
প্রতিটা পৃষ্ঠার ঘ্রান আমার
চেনা....বিকেলে যখন সূর্য ক্লান্ত হয়ে যায়
তখন ধোয়া ওঠা কফির মগ হাতে নিয়ে
সানসেটে বসে থাকা কুচকুচে কালো কাক
দুটির সাথে আড্ডায় মেতে উঠি...।।
"আম্মু"...basically my life is on "আম্মুউউউ কইইই
তুম্মিইই"......।।
আমি জীবনে একবার
কাদতে চেয়েছিলাম...আম্মুর সাথে আব্বুর
কবর জিয়ারত করতে গিয়েছিলাম... তখন
প্রায় বিকেল ...নদীর
পাড়ে গাছটার নিচে আমি যখন আব্বুর
কবরের সামনে চোখ বন্ধ করে
দাড়িয়েছিলাম...আম্মু তখন পথের উপর
বসে বাচ্চা মানুষের মত কাঁদছিলো..আমি
কাদিনি..
আম্মু বলেছে পুরষের সৌন্দর্য
ব্যক্তিত্বে...যেটা আমার নেই ...।।
আমি এলোমেলো মহাকাল....শীতের
রাতে ব্যালকনীতে বসে কুয়াশায় কিছু
চিহ্ন হাতড়ে খুজি.....
পথ দিয়ে হাটতে হাটতে গুনগুন করে গাই
"raindrops keep falling on my head" অথবা "three
little birds"
আমি পাগল .....বদ্ধ উন্মাদ বলা যেতে পারে
.....মুক্তির
স্বাদ চাই অথবা সাড়ে তিন হাত মাটির
ইন্দ্রজাল...
আম্মুকে বলতে চাই "ভালবাসি"..
মাঝ সাগরে এক মগ
ধোঁয়া ওঠা কফিতে ঠোট ছুইয়ে "আহ" শব্দটা
করতে চাই....
চাই গোধূলি তে কাজল কালো চোখ আর
লম্বা এলো চুল
নিয়ে কবিতা লিখতে .....
চাই শেষ ট্রেনে বিনা টিকিটে বাড়ি
ফিরতে ...
চাই রাত তিনটা ১০ মিনিটে কিছু নিশাচর
আলোর সাথে আড্ডা দিতে...
চাই বাসের ছাদে উঠে শহুরে বৃষ্টি তে
ভিজতে ...
চাই উপন্যাসের শেষ পৃষ্ঠায় রাখা সেই
শুকনো পাপড়ির স্পর্শ পেতে ....
চাই কোন এক মাতালের সাথে বাংলা মদ
খেয়ে রাজপথে মাতলামি করতে ...
চাই শ্রাবন বৃষ্টিতে ভেজা এক গুচ্ছ কদম
ফুল...
চাই সারারাত রাস্তার পাশে বসে
ল্যাম্পপোস্ট এর আলোয় টলস্টয় পড়তে...
চাই কোন এক অভিমানী জ্যোৎস্নায় বসে
acoustic বাজাতে ...
চাই শেষ নিশ্বাস কে অট্টহাসি তে বিদায়
জানাতে .......
||||আর লিখার ইচ্ছে নেই..কফির মগে শেষ
চুমুক দেয়া হয়ে গেছে ...||||

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.