নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শ্রাবনের বৃষ্টিস্নাত স্বপ্নমত্ত এলোমেলো তরুনের হাতে নীল রঙের আল্পনা যেখানে দু ফোটা অস্রুর মাখামাখি আর তার সানগ্লাসের আড়ালে কিছুটা অনুভূতি যা কিনা সানসেটে বসে থাকা এক টুকরো রোদ অতঃপর তার হাতে থাকা উপন্যাসের শেষ পৃষ্ঠায় এসে দেখা দিল একটি শুকনো গোলাপ পাপড়ি

শেখ আশিক রোশানরাজ সরকার জুনিয়র

ল্যাম্পপোস্টের হলুদ সোডিয়াম আলোয় ভিজতে থাকা তরুন যার আছে আকাশে ওড়ার স্বপ্ন।সে গোধূলী ভালোবাসে।আর ভালোবাসে সন্ধ্যাকালে বাসের জানালার পাশের সিট টা কে।আচ্ছা আপনি কি তার মত ঝুম বৃষ্টিতে এক কাপ কড়া লিকারের চিনি ছাড়া লাল চা ভালোবাসেন??

শেখ আশিক রোশানরাজ সরকার জুনিয়র › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুভি রিভিউঃ আয়নাবাজী

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৩৮

আজকে অফ ডে ছিলো....সো ফ্রেন্ড রা মিলে প্ল্যান...সিদ্ধান্ত নেয়া হলো #আয়নাবাজী দেখতে যাবো... আগে থেকেই একটা ভালো এক্সপেকটেশন ছিলো......মুভি শুরু হওয়ার পর থেকেই একটা ঘোর জমাট বাধতে শুরু করলো... যাত্রা পালার নায়িকার সন্তান আয়না...অভিনয় তার রক্তে...সে বাস্তব জীবনের অভিনয় পছন্দ করে... পর্দার আড়ালের অভিনয় এ কোন জীবন থাকেনা...বাস্তব জীবনের অভিনয় কে সে রোজগার হিসেবে ধরে নেয়...তার এ ব্যবসায় খদ্দের রা কেউ কোটিপতি ধর্ষক...কেউ ধনী বাবার খুনী ছেলে ...কেউবা রাজনীতিবিদ...
ঢাকা শহরের এক ছোট কোনায় থাকে হাজার চরিত্রের এক আয়না...যার প্রতিটা মুভমেন্ট আপনাকে অবাক করে দিবে...আপনি তার মতো করে চিন্তা করতে শুরু করবেন...সিনেমার সবচেয়ে বড় আয়নাবাজী একদম শেষ মুহূর্তে যেখানে আয়না তার অভিনয় শক্তিকে আরেকজনের ভেতরে প্রতিস্থাপন করে... ।
মুভিতে সিনেমেটোগ্রাফির ব্যাপারটা আলাদা ভাবে চোখে পড়ার মতো...যেহেতু ঢাকার অন্ধকার জগত নিয়ে এই আর্ট ফিল্ম তাই মুভিটি পুরান ঢাকা কে কেন্দ্র করে এগিয়েছে...লোকশন পুরোটাই ছিল পুরান ঢাকা।নাজিরাবাজার...শাখারী-বাজার....বুড়িগঙ্গা আর লালবাগ ই ছিলো এর মেইন লোকেশন...আয়না চরিত্রের পরেই এর মূল ফোকাস ছিল ঢাকা সিটি এবং মেট্রো লাইফ অফ ঢাকা...আমাদের প্রতিদিনকার শহর... এ মুভিতে ভোজনরসিক বাঙ্গালী জাতির পরিচয় দেয়া হয়েছে...ডাইলগ গুলো ছিল আমাদের প্রতিদিনকার সাধারন কথা...তবুও সেখানে অসাধারন কিছু ছিলো......
তবে মুভিটার কিছু দিকে নড়চড় হয়েছে যেটা অবশ্যই চোখে পড়ার মতো...কিন্তু সেগুলো মুভিটির গ্রেটনেস এর কাছে একদম ই তুচ্ছ...।
আমি পার্সোনাল দিক থেকে একটা বড় ভুলের কথা বলবো যেটা অডিয়েন্স হিসেবে আমার চোখে দৃষ্টিকটু লেগেছে... মুভির শেষ দিক...আয়নাবাজীর মোহ এবং প্রতিটি চরিত্রের তুখোড় অভিনয়ে তখন বুদ হয়ে আছি... হঠাত করেই টাইট ফিট পুলিশের পোশাক পড়া আরেফিন শুভ অতিথি শিল্পী হিসেবে উপস্থিত হয়...তার টিপিকাল বাংলা ফিল্মি ডাইলগ এবং বিশেষ ভঙ্গিতে করা অভিনয় আমাদের মতো দর্শক দের কে বিরক্ত এবং হতাশ হতে বাধ্য করে..এরকম একটি মাস্টার পিসের সবচেয়ে বড় খুত আরেফিন শুভ নামক নায়কের আবির্ভাব যেখানে আর বাকী সবাই ছিলেন অভিনেতা...
বাংলা সিনেমার বর্তমান অবস্থায় এরকম সিনেমা অনেক বড় একটা টারনিং পয়েন্ট... দর্শক হলে যায়না এটা মিথ্যে কথা... দর্শক কে হলে আনতে হয় এটা হলো সত্যি কথা...
আশা করি সবাই হলে যেয়ে মুভিটা দেখবেন...

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ দুপুর ২:২৬

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনি তো অনেকটা স্পয়লার করে দিলেন!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.