নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শ্রাবনের বৃষ্টিস্নাত স্বপ্নমত্ত এলোমেলো তরুনের হাতে নীল রঙের আল্পনা যেখানে দু ফোটা অস্রুর মাখামাখি আর তার সানগ্লাসের আড়ালে কিছুটা অনুভূতি যা কিনা সানসেটে বসে থাকা এক টুকরো রোদ অতঃপর তার হাতে থাকা উপন্যাসের শেষ পৃষ্ঠায় এসে দেখা দিল একটি শুকনো গোলাপ পাপড়ি

শেখ আশিক রোশানরাজ সরকার জুনিয়র

ল্যাম্পপোস্টের হলুদ সোডিয়াম আলোয় ভিজতে থাকা তরুন যার আছে আকাশে ওড়ার স্বপ্ন।সে গোধূলী ভালোবাসে।আর ভালোবাসে সন্ধ্যাকালে বাসের জানালার পাশের সিট টা কে।আচ্ছা আপনি কি তার মত ঝুম বৃষ্টিতে এক কাপ কড়া লিকারের চিনি ছাড়া লাল চা ভালোবাসেন??

শেখ আশিক রোশানরাজ সরকার জুনিয়র › বিস্তারিত পোস্টঃ

ট্রাফিকের শহরে একটি লাল গোলাপ.....মাত্র ১৫ টাকা

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৮:২৮

প্রত্যেকটা মানুষের জন্য এক একটি ভিন্ন পথ নির্ধারণ করে তাকে হেটে পার হতে বলা হয়...সেই পথে বছরের পর বছর সে একা হাটতে থাকে..কখনো পড়ন্ত বিকেলে কিছুক্ষন বিশ্রাম..রাতে আকাশের তারা গোনা..হঠাত কোন হাতের স্পর্শ এবং একটু খানি রোমান্স..একটা ইলিউশান..রাত শেষে আবার হাটা শুরু..দীর্ঘ পথের যাত্রা!!

উপরে যে মানুষ কে দেখা যাচ্ছে তিনি একসময় দু বেনী করে নদীর পাড়ে দৌড়ে বেড়াতেন..কিন্তু সময় তার দৌড়ানোর শক্তি নিয়ে নিয়েছে..তিনি এখন লাল গোলাপ বিক্রেতা....প্রতিদিন ভোরে শাহবাগ থেকে গোলাপ কিনে তিনি সরোবরের দিকে হাটতে থাকেন...তিনি মানূষের কাছে ১৫ টাকার বিনিময়ে একটি লাল গোলাপ বিক্রি করেন..মুখে শিশুদের মতো হাসি দিয়ে অনুনয় করে বলেন "বাবা একটা ফুল নাও না"..এভাবেই তার সাথে পরিচয়...প্রতিদিন ই তার সাথে দেখা হয়..বেচাকেনার খবর নেয়া হয়..
চাচীর কাছ থেকে আমার ফুল কেনার প্রয়োজন হয় না...মানিব্যাগ এর অবস্থা ভালো থাকলে মাঝে মাঝে তাকে সাপোর্ট করার জন্য কেনা হয়.. তবে তাকে কথা দিয়েছি..কোন এক সময় তার কাছ থেকে রোজ সকালে লাল গোলাপ কিনবো...
চাচী রায়ের বাজারে থাকে..বাসায় একমাত্র মেয়ে এবং নাতী..এই তিনজনের পরিবার নিয়েই ব্যস্ত ঢাকা শহরে তার বসবাস।
স্বামী মৃত...মেয়ের জামাই মেয়েকে ফেলে রেখে চলে গেছে..এখন মেয়ে তার সাথে থাকে..নাতি পড়াশোনা করছে...এভাবেই চলছে তার জীবন..কোন অভিযোগ নেই তার.. অভিমান নেই সদা হাস্যোজ্জ্বল সেই মুখে..শুধু আছে বেচে থাকার আনন্দ..
স্রস্টার কাছে তার একটাই চাওয়া কখনো যেন রাস্তায় নেমে হাত পাততে না হয়..
কখনো যদি পারেন..১৫ টাকা দিয়ে এদের মতো মানুষের মুখে হাসি ফোটাবেন..!
রাস্তায় বেচে থাকা এইসব মানুষদের মুখের সেই প্রানবন্ত এবং সত্য হাসির চেয়ে বড় কোন সত্য আছে কিনা আমার জানা নেই...এই হাসিই হতে পারে লাইফের সবচেয়ে বড় মোটিভেশন..
Life is Running....it will make you to cry to laugh... just except that and run with a fresh smile... হবে যা হওয়ার..
দিনশেষে থাকবো শুধু আমি আর আপনি...কার কি আসে যায়??
বি:দ্র: "দেখি বাবা ছবি টা কেমন হইছে..বুড়া হইয়া গেছি তো..আগের সেই আমি আর নাই..হা হা হা"

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১০:৫৬

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: দেখতে খারাপ লাগে। সবার মুখটাই করুণ লাগে। ইচ্ছে হয় কিছু কিনতে। কিন্তু কয়জনের মুখে হাসি ফোটাবো?

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:২৪

শেখ আশিক রোশানরাজ সরকার জুনিয়র বলেছেন: সাধ্যের মধ্যে যতটুকু করা যায়.. :)

২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ ভোর ৪:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংলাদেশের ৪৬ বছরে সবার মুখে হাসি ফোটার কথা ছিল; মাত্র ৫০ লাখের মুখে হাসি আছে এখন, ডাকাতের হাসি।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:২৮

শেখ আশিক রোশানরাজ সরকার জুনিয়র বলেছেন: আশা নামক শব্দটী নিয়েই মানুষ কে এগিয়ে যেতে হয়.. :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.